ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি জানিয়েছে পুরান ঢাকার চকবাজারের হাজী ওয়াহেদ ম্যানসনে নিশ্চিতভাবেই কেমিক্যাল ছিল ।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ওয়াহেদ ম্যানসন পরিদর্শন শেষে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছিলেন, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা কেমিক্যাল এরিয়া না, এখানে কেমিক্যালের কোনো অস্তিত্ব নেই, কোনো গোডাউনও ছিল না।" শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনেও একই দাবি করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান বলেন, ‘এই ভবনে অবশ্যই কেমিক্যাল ছিল। এখানকার যে পাউডার, সেগুলো কেমিক্যাল। এখানে যেসব প্লাস্টিকের বোতল পাওয়া গেছে, সেগুলোও কেমিক্যাল। যিনি বলেছেন এখানে কোনো কেমিক্যাল ছিল না, সে কথাটি সত্য নয়।’অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে রাসায়নিকের মজুত ছিল বলে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছিল এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল। সময়টিভির প্রতিবেদন নিজেরাই দেখুনঃ
এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন থাকবে অনতিবিলম্বে এই মিথ্যাবাদী মন্ত্রীকে ও মন্ত্রানালয়ের তদন্ত প্রতিবেদকদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক এবং এতগুলো মৃত মানুষের স্মরণে অন্তত একটি দিন জাতিয় শোক ঘোষণা করা হউক।
গত কয়েক বছর ধরে যখন বিশ্ব মিডিয়া ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে "ঢাকা বসবাসের অনুপযুক্ত শহর" ও "ঢাকা সবচেয়ে বড় যানজটের শহর" এবং"নিরাপত্তার সূচকে ঢাকার অবস্থান সবচেয়ে নিচে"।তখন আমাদের মন্ত্রীরা আস্ফোলন করেছেন, "নিউনিউইয়র্কের থেকে ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত"- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, "আকাশ থেকে ঢাকা দেখলে লসএঞ্জেলস মনে হয়", "হাতিরঝিলে গেলে মনে হয় প্যারিসে এসেছি"- তথ্যমন্ত্রী।
সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে উচিৎ হল কিভাবে আমাদের সীমাবদ্ধতা দূর করা যায় সেই বাবস্থা গ্রহন করা। অহুতুক মিথ্যা তোষামোদের জন্য তাদের মন্ত্রানালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০২