somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চীনের বিস্ময়কর, চোখ ধাঁধানো সুন্দর 'হলুদ পর্বত' আর 'অমরদের সেতু'

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হুয়াংশান বা হলুদ পর্বত হচ্ছে চীনের পূর্ব অঞ্চলের আনহুই প্রদেশের দক্ষিণ ভাগে অবস্থিত পর্বতমালা। এই পর্বতমালাগুলো মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্যে বিখ্যাত। ক্ষেত্র বিশেষে চীনের সবচেয়ে সুন্দর জায়াগা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও জায়গাটি 'অমরদের সেতু' বা 'ব্রিজ অব ইমমরটাল'-এর জন্যে প্রসিদ্ধ। অনেকের মতে, এই অমরদের সেতু পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত ব্রিজ।

চীনা ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে হুয়াংশানের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। একে ঘিরে প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো একটি কিংবদন্তি আছে। ৭৪৭ খ্রিস্টাব্দের সালের দিকে টেং রাজবংশ যখন চীন শাসন করতেন, এই জায়গাতেই অমরত্বের অমৃত আবিস্কার হয়।



শত শত বছর ধরে, অমরত্বের খোঁজে থাকা সন্যাসী ছাড়াও হুয়াংশান চীনের অনেক কবি ও শিল্পীদের আকর্ষন করেছে। এই পর্বতমালার ভূদৃশ্য, শিলা আর গাছের সৌন্দর্যে অমুপ্রাণিত হয়ে ১৬০০ সালের দিকে চীনে 'শান শুই' (পর্বত এবং পানি) নামক একটি স্কুল স্থাপিত হয়।

হুয়াংশানের চার আশ্চর্যঃ

হুয়াংশান তার চার আশ্চর্যের জন্যে বিখ্যাত। সেগুলো হচ্ছে- ১) প্রাচীন পাইন গাছ, ২) শিলার গঠনশৈলী, ৩) পর্বতছোয়া মেঘের সমুদ্র, এবং ৪) খাড়া হয়ে উঠতে না পারা পার্বত্য অঞ্চল। হুয়াংশানের গাছগুলি আঁকাবাঁকা এবং পাকানো হয় যা এখনো দেখতে অসম্ভব সুন্দর।

শিলা গঠনের ক্ষেত্রে, সময়ের সাথে সাথে উপাদানগুলির সংস্পর্শে অনেক উদ্ভট আকারের শিলা তৈরি হয়েছে। সেজন্যে, এই পর্বতমালার দর্শনার্থীরা শিলাগুলোর বিভিন্ন কাঠামোর মধ্যে বিভিন্ন বাস্তব বা পৌরাণিক প্রাণীর অবয়ব আবিষ্কার করে বিভ্রমে পড়েন।



হুয়াংশানের গা-ছোয়া মেঘের সমুদ্র সবচেয়ে ভালো ভাবে দেখা যায় শীত কালে। এই মেঘমালা মাঝে মাঝে যখন পর্বত শৃঙ্গের নিচে দিয়ে ভেসে বেড়ায়, তখন পর্বত শিখরের দিকে তাকালে মনে হবে যেন এটা কুয়াশার সাগরে ভাসমান একটি দ্বীপ।



সবশেষে, পর্বত আরোহীরা যখন পর্বতের উপরে পৌঁছেন, তখন গরম ঝর্ণায় গোসল করে নিজেদের প্রাণ জুড়িয়ে নেন। বলা হয়ে থাকে, হুয়াংডি নামক চীনের এক কিংবদন্তির সম্রাট এরকমই কোন এক ঝর্ণার পানিতে ৪৯ দিন গোসল করে অমর হয়ে স্বর্গে প্রবেশ করেছিলেন।




বিস্ময়কর অমরদের সেতুঃ

হুয়াংশান 'অমরদের সেতু'-এর জন্যেও বিখ্যাত। এই সেতুটি 'রুপকথার সেতু' নামেও পরিচিত। সেতুটি দু'টি জোড়া লাগানো পর্বতের সুড়ঙ্গ'র মাঝের শিলা কেটে বানানো হয়েছে যা একটি সরু প্রবেশপথে এসে শেষ হয়েছে। পাথরের তৈরী ব্রিজটি খোদাই করে অলংকৃত করা। অনেকগুলো খাড়া ধাপ পের হয়ে তবেই সেই সেতুটিতে পৌছা যায়। এই কষ্ট সহ্য করে যারা সেখানে পৌঁছাতে পারেন, তারাই শুধু পর্বতের দুই পাশের অতুলনীয় সৌন্দর্য উপভোগ করতে সক্ষম হোন।







সূত্রঃ

baike.com, 2017. 黄山[风景名胜区. [Online]
Available at: Click This Link

ChinaTourGuide.Com, 2015. Huangshan Mountain | Huangshan City. [Online]
Available at: Click This Link

Starr, B., 2013. Take Death Defying Walks in China's Mountains. [Online]
Available at: Click This Link

Tang Dynasty Tours Ltd., 2017. Huangshan Mountain - Awesome Cloud Sea. [Online]
Available at: Click This Link

UNESCO, 2017. Mount Huangshan. [Online]
Available at: http://whc.unesco.org/en/list/547

www.sacredsteps.co.uk, 2017. Huanshan. [Online]
Available at: http://www.sacredsteps.co.uk/huangshan.htm

www.thebeautyoftravel.com, 2013. Do you have the courage to walk across the Bridge of the Immortals?. [Online]
Available at: Click This Link

www.theenglishgroup.co.uk, 2012. The Bridge of Immortals. [Online]
Available at: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০০
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×