সাংবাদিকরা আসলেই মহান , ভুলে যাওয়ায় কেবল তাদের কাজ । মুম্বাইয়ে বাংলাদেশী কয়েক সাংবাদিককে কোন হোটেলেই রুম দিচ্ছিলনা, সেই দুঃখ অবলীলায় ভুলে তারা কি সুন্দর বন্ধু রাষ্ট্রের হাতি নিয়ে মেতে আছেন -মোটামুটি ত্রিশের অধিক রিপোর্ট করে ফেলেছে এক বিবিসি বাংলা। হাতি যে পরিমান কাভারেজ পাচ্ছে তার কিয়দাংশ ও পাচ্ছেনা উত্তর বঙ্গের বানভাসি মানুষ । অবশ্য সেখানে এখন আর বন্যার কোন ব্যাপার আছে কিনা কে জানে। হাতিকে গ্রেফতার করার পর ভেবেছিলাম যাক এইবার হয়ত থামবে । রসিক হাতিও মজা পেয়ে গেছে, মিডিয়া এটেনশন কে না চায়, আর সেত এখন সেলিব্রেটি হাতি, তাই দড়ি ছিড়ে আবার পানিতে নেমে গেছে । এখন নিশ্চয় খেলা আবার প্রথম থেকে শুরু হবে - পানি থেকে তোলা, ইনজেকশন দেয়া.......এই না হলে বঙ্গবাহাদুর !!! অন্যের হাতির এই যে আমরা নাম দিলাম এইটা কি কূটনৈতিক শিষ্টাচারের লঙ্ঘন কিনা কে জানে, কারন শ্রিংলা বলেছেন তিনি আশাবাদি হাতিটা ফিরে যাবে নিজ দেশে । জাতি এখন গজ-রঙ্গী (নামটা কালকেটেড) ভাইজানের অপেক্ষায় । ।
আফসোস হাতিটি বানের পানিতে আসলেও ফেলানী গিয়েছিল জীবিকার তাগিদে, আর ফিরে এসেছিল তার লাশ । হাতির প্রতি যে দরদ আমরা দেখালাম তার সিকি ভাগ থাকলেও ফেলানীদের মরতে হতোনা ।
জীবনেও কোন গাছ না লাগানো একদল দেখি রামপাল নিয়ে অনেক হাউকাউ করতেছে । আগে গাছ লাগান তারপর কথা । দরকার পরলে নিজের রান্নাঘরে একটা গোলাপ গাছের টব রেখে দিন , ছয়মাস দেখেন তাপে তার কোন ক্ষতি হয় কিনা, তারপর আলোচনায় আসেন । অযথা ক্ষতি হবে বলে বলে কেন উন্নয়নে বাঁধা দিচ্ছেন । সরকার বলছে ক্ষতি হবেনা- সো কথা শেষ । অবশ্য রান্নাঘরে গ্যাস না থাকলে সেটা ভিন্ন আলোচনা ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫