প্রথম ছবিটি ডয়েচেভেলের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।
দ্বিতীয় ছবিটি আমার তোলা জাপান থেকে।
বস্তুতে যৌনতা আরোপ আমরা হরহামেশাই করি। নানান রকমের ফলের সাথে পুরুষ নারীর যৌন প্রত্যঙ্গের তুলনার বিষয়টি মনে করে দেখুন, তাহলেই বুঝবেন। আর তাই জগতের সকল কিছুই যৌনাত্মক হওয়া সম্ভব বলে আমি মনে করি। মূর্ত থেকে বিমূর্ত সকলকিছুই। কেননা মানুষ যৌন প্রাণী এবং তার বোঝাপড়া সবসময়ই সাবজেক্টিভ। যদিও সাবজেক্টিভিটিকে একদম আলাদা করে বোঝারও কোন সুযোগ নেই, কারণ এই সাবজেক্টিভ আসলে কালেক্টিভ দ্বারা প্রভাবিত, আকার প্রাপ্ত।
আর তাই আমি মনে করি যে ধর্ষণ মূলত একটি চেতনা। এটি শারীরিক-মানসিক-সামাজিক চেতনা। এটির মোটিভেশন এবং আক্রমণ/ক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে। ধর্ষণ অ-ক্রিয়ও হতে পারে। কিন্তু পরিশেষে ধর্ষণ একটি ফলাফল।
কিন্তু মানুষ কলাগাছ থেকে কলম সকল কিছুকে ধর্ষণ করতে সক্ষম। সকল জেন্ডারই তা করতে সক্ষম। ফলে রোবট থেকে শিশু সবাই ধর্ষণের শিকার হতে পারেন। বোরখা, বিকিনি, ফ্রক, ত্বক, হাসি, ফেইসবুকের লাইক, কান্না, কথা, শব্দ, চিন্তা অথার্ৎ; মূতর্ ও বিমূর্ত সকল কিছু ধর্ষণের বাহক, টুলস ও শিকার হতে পারে।
ওড়না, পোশাক হিসেবে যতটা না বরং আব্রুর ইমেজ হিসেবে কাজ করে। সকল পোশাকই তো, তাই না? ফলে ওড়না সরানো মানে আব্রু সরানো, ওড়না জড়ানো মানে আব্রু জড়ানো এটাই তো এই সমাজে বিদ্যমান। কিসে আব্রু বুঝব পোশাকে নাকি আচরণে নাকি দৃষ্টিতে তা ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু আব্রুর ধারণাই নেই এমন কোন সমাজ কি আছে?
এই ইমেজের যে মিনিং তা পাল্টালে শুধু হবে না। অথর্াৎ ঘটনা পোশাক বা অপোশাকের বিষয় না। মানুষ ভীষণ ক্রিয়েটিভ সে একের পর এক যৌনতা আরোপ করতে থাকবে, সকল কিছুতেই। রোবটও এমন ইমেজ হতে পারে। রোবটেও যৌন আগ্রহ হতে পারে। রোবট ইন্ডাস্ট্রীর বিশাল বিনিয়োগ যৌন রোবট তৈরিতে। ফলে যৌন পলিসিংও থাকবেই। সকল ক্ষেত্রেই।
অনেকক্ষণ নীচের রোবটটার দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবছিলাম, ওড়না নিয়ে যেখানে ইন্টারেস্টিং হিটেড একটা তর্ক সেখানে এই জাপানী রোবটটা কি অযৌন?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৭