শামীম আর মিতার সম্পর্ক বেশ ভালই চলছিল। দু জন থাকে দুই শহরে, দুরত্ব টা একটু বেশীই ওদের মাঝে। কিন্তু দুরত্ব কি আর দুটি মনের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে? ভালবাসা এমন এক জিনিস যা মানে না কোনো বাধা আর সেখানে দুরত্ব তো মামুলি ব্যাপার। ওদের দেখা হতো কম এই দুরত্বের কারনেই, আর এই নিয়ে মিতার অনেক অভিযোগ ও ছিলো শামীম এর প্রতি। কিন্তু শত অভিযোগ, রাগ, অভিমান নিমেষেই পানি হয়ে যেতো যখন ওদের দেখা হতো, মিতার অভিযোগ, রাগ, অভিমান গুলা ভালবাসা কে বহুগুনে বাড়িয়ে দিতো কেননা বহুদিন পরে ভালবাসার মানুষ কে দেখার মাঝে যে স্বর্গীয় সুখ লুকিয়ে থাকে....................................
একসাথে থাকা সময় টুকু বড্ড কম মনে হতো ওদের। স্বর্গীয় সুখ টুকু খুব তাড়াতাড়িই যেন শেষ হয়ে যেতো। ছোট ছোট অনেক স্বপ্ন ছিল ওদের, ছোট্ট একটা ঘর, ছোট্ট একটা বারান্দা, যেখানে দুই কাপ চা হাতে বসে গল্প করে কাটিয়ে দিবে হাজারো সন্ধ্যা। মিতার স্বাপ্ন ছিল শামীম এর হাত ধরে সোডিয়াম বাতির নিচ দিয়ে হাটবে, রাস্তার পাসের ফুসকা খাবে আরও কতো কি....................................
পৃথিবীতে কোনো কিছু গড়া হয় বোধ হয় ভাঙ্গার জন্যই, তা না হলে কেন ভেঙ্গে যাবে এই নিষ্পাপ স্বপ্ন গুলো???
শামীমের তো কোনো দোষ ছিল না, তাহলে মিতা কেন এমন করল ওর সাথে? মিতা যখন শামীম কে ওর অতীত প্রেমের গল্প শোনাল শামীম তো মিতার অতীত হতে চেয়েছিল, চেয়েছিল আগের চেয়ে আরও বেশী ভালবাসতে, অতীতের দুঃখ গুলো মুছে দিয়ে হতে চেয়েছিল নতুন ভবিষ্যত। কিন্তু এতেও মিতার আপত্তি, মিতা ও তো কম ভালবাসত না শামীম কে, তাহলে কি চেয়েছিল শামীম এর কাছে??? শামীম তো সুধু মিতার হয়েই থাকতে চেয়েছিল............................
আজ শামীম আর মিতার মাঝে পথের চেয়ে মনের দুরত্ব অনেক বেশী হয়ে গেছে, তবুও মাঝে মাঝে শামীমের অবচেতন মন মিতা কে কাছে পেতে চায়, বাকীটা জীবন মিতার হয়েই থাকতে চায়।