somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাফলং ঘুরে আসলেন! আঁকা বাঁকা প্রায় শত ফিট দীর্ঘ এই অনিন্দ্য সুন্দর জলপ্রপাতটি মিস করেন নাই তো !!! [ ছবি সহ ]

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্যের মিলনমেলা সিলেটের এই পূণ্যভূমি । তেল- গ্যাস খনির মতো কিছু দিন পরপরই নতুন রূপে আবিস্কৃত হয় একেকটি দর্শনীয় স্থান ।তেমনি একটি চমৎকার দর্শনীয় স্থান জাফলং এর জলপ্রপাত । এই পোস্টটি যারা পড়ছেন তাদের অনেকেই হয়তো এক বা একাধিক বার জাফলং গিয়েছেন কিন্তু সবাই ই এই জলপ্রপাতটি দেখে এসেছেন, এমনটি হওয়ার কথা না । কারণ আমি নিজেও এর অগে কয়েকবার গিয়েছি কিন্তু জলপ্রপাতটির অপার সৌন্দর্যের সন্ধান পাই নি । আর গতকাল ফেইসবুকে ওখানকার কয়েকটা ছবি আপলোড করেছিলাম, জাফলং ঘুরে আসা অনেক ইবনে বতুতাই জায়গাটি আবিস্কার করতে পারে নি, ইনবক্স এবং কমেন্টে বেশ কয়েকজনই জায়গাটা কোথায় জানতে চেয়েছেন ।প্রতিভার জোরে কেউ কেউ জায়গাটি না চিনেও চিনতে পারার ভান করে, ইনবক্সে ধরা খেয়েছেন । যাই হওক, গৌরচন্দ্রিকা অনেক করে ফেললাম, এবার ভ্রমণ সম্পর্কে আমার মতো কেবলা হাকিমের দেওয়া ছবি [শুধুমাত্র জলপ্রপাতের আলাদা কোন ছবি না থাকায়, এই অধম আর তার গুণধর বন্ধুুর ছবিগুলোই আপনাদের হজম করতে হচ্ছ ] আর বর্ণনাগুলো পড়ে এই জলকণ্যাটি সম্পর্কে একটু ধারণা নিতে পারেন-


ছবি: জাফলং ২০১৫


ছবি: জাফলং ২০১৫

ছবি: জাফলং ২০১৫

ছবি: জাফলং ২০১৫

ছবি: জাফলং ২০১৫

ছবি: জাফলং ২০১৫

ছবি: জাফলং ২০১৫



যেভাবে যেতে হবে: জাফলং পর্যন্ত কিভাবে যেতে হবে, এই সম্পর্কে আশা করি সবাই ই জানেন, তাই ঐ বিষয়ে এলেম দিয়ে আপনাদের মন উনচান করানোর মতো রিস্ক না নেওয়াটাকেই অধিক নিরাপদ মনে করলাম । কিন্তু আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে রাখি, জাফলং যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই সোজা রাস্তা দিয়ে বাজার হয়ে নৌঘাটে নামেন, বাজারে পৌছার আগে ২/১ কি.মি রাস্তার যে অবস্থা, তা দেখলে স্বয়ং যোগাযোগ মন্ত্রীও প্রটোকল ভেঙে ছুড়ে পায়ে হেঁটেই রাজ পথের ধূলো উড়াতে উড়াতে.. নীল আকাশের নীচে রাস্তায় চলিতে বাধ্য হবেন ।যেকথায় ছিলাম, বাজারে পৌছানোর ৩/৪ কি.মি আগে জাফলং এর বিজিবি ক্যাম্প , বাসে আসলে ক্যম্পের সামনে নেমে যেতে পারেন আর গাড়ি নিয়ে আসলে ক্যাম্পের রাস্তা দিয়েই গাড়ি নিয়ে চলে যেতে পারেন সোজা জিরো পয়েন্টে । মেইন রোড থেকে জিরো পয়েন্টে হেঁটে যেতে ৭/৮ মিনিট সময় লাগে, রাস্তাও অনেক ভালো ।জিরো পয়েন্টের দিকে নৌঘাটে নেমে, নৌকা করে চলে যাবেন সরাসরি জলপ্রপাতে, মাঝিকে বললেই হবে, ‘ও বা বাইসাব, খাসিয়া পুন্জির ওবায়দি ঝরণা দেখতাম’ কেল্লাফতে, আপনারে ঝর্ণা দেখা আর ঠেকায় কে !! নৌকা ভাড়া সাধারণত ২০০-৪০০ টাকার মধ্যে হয় । তবে বার্গেইনিং: দ্যা আর্ট থিওরী অ্যপ্লাই করে আমি আর আমার বন্ধু ২ জনে ১০০ টাকা দিয়ে ২ জন মাঝি সহকারে নৌকা রিজার্ভ করে ফেলেছিলাম ।এইবার জলপ্রপাতে নেমে চক্ষু যুগল স্বার্থক করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আপনার…

আরো কিছু তথ্য: বৃষ্টির সময় জলপ্রপাত দিয়ে প্রচুর পানি প্রবাহিত হয়, ঐ সময় স্বাভাবিক সৌন্দর্যের চেয়ে জলপ্রপাতের সৌন্দর্য অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় ।শুষ্ক মৌসুমে জলপ্রপাতের পানি কম থাকে, তাই এখনই সুযোগ আছে যার, জলপ্রপাতে যাওয়ার তার শ্রেষ্ট সময় । খুব বেশি বৃষ্টিপাতের সময় দৃশ্যমান বড় বড় পাথরগুলোর উপরে না ওঠাই নিরাপদ এবং বুদ্ধিমানের কাজ । আর শখের বসে ওঠলে যেকোন সময় পটল তোলে ভবলীলা সাঙ্গ করার একটা উজ্জ্বল সম্ভাবনা আপনার হাতের নাগালেই থাকবে.. তাই ভাবিয়া করিবেন কাজ, করার পর ভাবার আর সুযোগ পাইবেন না ।

অনেক বকবাকানি করলাম ।কোন মন্তব্য থাকলে লিখতে পারেন ।পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হেঁটে আসে বৈশাখ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০০


বৈশাখ, বৈশাখের ঝড় ধূলিবালি
উঠন জুড়ে ঝলমল করছে;
মৌ মৌ ঘ্রান নাকের চারপাশ
তবু বৈশাখ কেনো জানি অহাহাকার-
কালমেঘ দেখে চমকে উঠি!
আজ বুঝি বৈশাখ আমাকে ছুঁয়ে যাবে-
অথচ বৈশাখের নিলাখেলা বুঝা বড় দায়
আজও বৈশাখ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×