somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেম য়ৌনতা ও ভালোবাসা

১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্ব-৩

বিহাইন্ড দ্যা স্ক্রীণ

চন্দ্রালোকিত মরুপথে এক কিশোরীকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। তাকে তীক্ষ্ণ চোখে পর্যবেক্ষণ করছে একটি শকুণ। একটি তীক্ষ্ণ চিৎকারের পর শকুনটিকে একটি পাহাড়ের আড়ালে চলে যেতে দেখা যায়। তরুণী সেই পাহাড়ের কাছে আসতেই।

চুমকী চলেছে একা পথে সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে...............।
ষাটোর্ধ এক সৌম্য পুরুষকে তরুণীর দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়।

-----ছেড়ে দে শয়তান
তুই আমার দেহ পাবি কিন্তু মন পাবি না।
-----আমি ওইটাই চাই।

অথবা
বৃদ্ধের গাণে, ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ তরুণীও গেয়ে উঠে
এই রাত তোমার আমার
ওই চাঁদ তোমার আমার...............
যথাযথ প্রেম-পিরীতি ও গোটা কয়েক গানের পর.....
অধরেরও সাথে যেন অধরেরও কথা।
এরপর বাৎসায়নের যে কোন একটি.................
আমাদের আজকের অতিথি মাতা ম্যারী ও তার অনাগত সন্তান...................
আজ আমাদের যমরাজকে আধুনিক ডাক্তারের বেশে এবং স্টুডিওটিকে কুয়াশাচ্ছন্ন নিষ্প্রাণ ইনটেনসিভ কেয়ারের মত ইনটেরিওর এ দেখা যাবে।
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে মাতার অংশে নিঃশব্দ এবং সন্তানের অংশে ঢিব ঢিব (হৃদস্পন্দন) পাওয়া যাবে।
মাঃ ওই পোলা, ছোট্ট খোকা, বাবু, ওহ্ বেবি, খুকী, শায়াচাঁন, গুদুঁগুদুঁ, ইস্টুকুস্টু, শুনতে পাচ্ছো আমি তোমার মা বলছি।
(মা কোন উত্তর পান না, তারপরও অনুভব করেন সে আছ তার অস্তিত্ব, হয়তোবা ফলস্ এলার্ম, কিন্তু না তা হতে পারে না, এ যে আমার সতীত্বের পুরুস্কার, হই না আমি বীরঙ্গনা কিংবা সীতার মতই সৎ যাই হইনা কেন।)
মাঃ আমার ছোট্ট বাবু আজ তোমাকে তোমার বাবার কথা বলব।
/আমার অসহাত্বের সুযোগ নিয়ে, আমাকে জোড় করে, আর এভাবেই তোর আমার জরায়ুতে অবস্থান, হয়তো তোকে মেরে ফেলা যায়, কিন্তু একটি জীবণ তো, তোর মুখটা আমি দেখিনি, আমার বিয়েও হয়নি, তবুও তুই আমার অস্তিত্বতো, তোর বাবাকে বলেছিলাম তোর কথা অস্বীকার করল, ইমার্জেন্সী পিল খাওয়াতে চাইল, আর এখন তোর বাবা ও বাবার বন্ধুরা তাদেরকে কি তুই দেখতে পাস মোজা পরে আসে/
অথবা
আমার আর তোর বাবার সপ্নগুলো সবসময় মিলে যেত, ওর দুষ্টুমি ভরা চোখ, ওর লৌহ-মাংস পেশী, ওর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আমাদের ভালোবাসা ও তুই আর তোর কথা বলতেই একটা দৌড়, ইমার্জেন্সী পিল এবং আমাকে বেশ্যা হিসেবে স্বীকৃতি কয়েকবার ক্লিনিকে ডঃ তসলিমা নাসরিনের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েলিল, বলেছিল দেশের জনসংখ্যা এমনিতেই বেশী, আমাকে বোরখা পরে ঘুরতে বলে, আমাকে সারাদিন ঘরে অন্ধকারে, চুলার উনুনে থাকতে বলে আর তোর দায়িত্ব অস্বীকার করে, বল আমি কি তোকে মেরে ফেলতে পারি?

চারমাস পর
সন্তানঃ ওই মা, হুনতাছোসনি।
মাঃ হিঃ হিঃ শুনবো না আবার, বল কি বলবি।
সন্তান বাবা আমার যাই হোক আমি তো বাবার বন্ধুদেরকেও মোজা পরে আসতে দেখি, দেখি কত অবলীলায় সামান্য সুবিধা আদায়ের জন্য তুমি বেটাগুলার সাথে চোখের ইশারা, ঠোঁটের বাকাঁ হাঁসি সওদা কর।
মাঃ ছিঃ বাবা একথা বলতে নেই তোর বাবা জানেই না, কিভাবে একটি মেয়েকে সেক্সুয়াল স্যাটিসফেকশন দিতে হয়।
সন্তানঃ মা তুমি বাবাকে শিখাও।
মাঃ আচ্ছা ঠিক আছে, বলতো তুই বড় হলে কি হবি, অনেক বড় হলে।
সন্তানঃ আমি তোমার মত হব, একই অঙ্গে বহুরুপ নিয়ে কখনও সীতা, কখনও হেলেন, কখনও সাবিতা আবার কখনও বেগম রোকেয়া, কিংবা বিধবা কোন এক নারী যার শাড়ির ভাজেঁ লক্ষ-কোটি খাশি, অথবা স্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান, কিংবা হিটলার, বুশ, ওবামা, লাদেন, এরশাদ, সেঞ্চুরিয়ান মানিক, পেটমোটা পুলিশ অফিসার, মুগাবে বা ইদি আমিন।
মাঃ না বাবু ছোট্ট সোনা তুমি হবে আইনস্টাইন, গ্যালিলিও, নিউটন, সক্রেটিস্, হুমায়ুন আজাদ, জাফর ইকবাল, রামানুজন, বেগম রোকেয়া, সোফিয়া কালাভস্কি, মাদাম কুরি, মাদাম তেরেসা।
সন্তানঃ কিভাবে সম্ভব!!! তোমাকে প্রশ্ন করলেইতো চড় দিবে, আমাকে স্কুলে রেখে বাইরে পরকীয়া করবে কিংবা সিরিয়ালের কাসুন্দি ঘাঁটবে, পরচর্চা করবে, বিউটি পার্লারে যাবে।
মাঃ করব না পড়ব, তোর প্রশ্নের উত্তর দিতে জানব, অফিসে যাব।
সন্তানঃ তাহলে বাব দিবে চড়-থাপ্পড়, লাথি, জুতাপেটা, চোখ রাঙ্গানী।
মাঃ আমি আগলে রাখব দিবে না।
সন্তানঃ বাবা তো উপার্জন করে তুমি পারবে না। বাবা টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিবে।
মাঃ আমি তোর বাবার চেয়ে বেশী উপার্জন করব তোর খরচ আমরা সমানভাবে চালাব।
সন্তানঃ অফিসের কলিগদের সাথে ইটিশ-পিটিশ করবে নাতো।
মাঃ না কথা দিচ্ছি মানুষ হব। নারী নয়।
সন্তানঃ ঠিক আছে দেখা যাবে। আমি জানি আমার ফার্স্ট হওয়া তোমাকে গর্বিত করবে, তুমি বড়াই করবে।
মাঃ করব না, যা করব তাহল যদি তুমি মেধাবী ও জ্ঞান পিপাসু হও তবে বড়াই করব, তুমি মানবতার জন্য মানুষ হলে বড়াই করব, একটা গাণ শুনবে.............
জন্মিলে মরিতে হবেরে............
একথা জানিতো সবাই।
তবু মরণে মরণে অনেক ফারাক আছেরে ভাই।
সব মরণ নয় সমান।২
রক্ত চোষার উস্কানিতে, জনতার দুশমনিতে
সারা জীবণ গেলে কেটে মরণ যদি আসে
তবে সেই মরণের ভার দেখে ভাই পাখির পালক হাঁসেরে সব মরণ নয় সমান।
জীবণ উৎসর্গ করে সব হারা জনতার তরে মরণ যদি হয়...........
সেই মরণের ধারে হার মানেরে সব পাহাড় হিমালয়..............
সব মরণ নয় সমান।

সন্তানঃ অসাধারন। আমি সবহারা জনতার তরে কাজ করব। আমি সমগ্র খাশি সমাজকে মানব সমাজে রূপান্তর করব।

বিহাইন্ড দ্যা স্ক্রীণ-২
অপবাদ/ফতোয়া ও শাস্তিস্বরুপ মাতা ম্যারীকে সমাজচ্যুত করা হয়।

সন্তানঃ মা পাশের বাড়ির ছেলেটি ডক্তার, দোতলারটি ইঞ্জিনিয়ার আর মালিকের ছেলেটি সি. এ। আর তুমি চাও আমি মহান হব না! আমি ডাক্তার হতে চাই আমি ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।
মাঃ না বাবা তোমার যা মন চায় তুমি তাই হবে তবে অবশ্যই সঠিক উদ্দেশ্যটি বজায় রাখবে। মনে রেখ........... বিদ্যালয়ের মোটো হলো জ্ঞানের জন্য এসো এবং সেবার জন্য ছড়িয়ে পড়ো।
একটি লাথি ও ঢিব ঢিব, ঢিব ঢিব।
সন্তানঃ আচ্ছা মা আমার খাবারের, পড়ার এ যাবতীয় খরচ দিতে দিতে তুমি তো ফতুর হয়ে যাবে।
মাঃ মা কখনও ফতুর হয় না। সব গেলেও স্নেহ-ভালোবাসা থাকে।
সন্তানঃ তবে সেদিন যে তুমি জবাই করে দিলে?
মাঃ গাধা আমি মানসিক রোগী ছিলাম বলে।
সন্তানঃ আচ্ছা মা তোমার গহণা-গাটি, শাড়ি-চুড়ি, সামাজিক প্রেস্টিজ বড় না সততা, ভালোবাসা বড়।
মাঃ ক্ষেত্র বিশেষে, বিশেষ রকমে।
সন্তানঃ আচ্ছা আমি যদি খুব বেযাড়া হই, খুব বায়না করি।
মাঃ আমি তোমাকে বুঝাব এটা ঠিক নয়, আমার সামর্থ কতটুকু।
সন্তানঃ মা এমনটা নয়তো যে, আমি তোমার ইনভেস্টমেন্ট এবং ভবিষ্যতে আমি তোমাকে খাওয়াব-দেখব বলে তুমি এসব করবে।
মাঃ জানিনা? জানতে চাইওনা?

বিহাইন্ড দ্যা স্ক্রীণ-৩
একজন মদ্যপ মাতাল লোককে আসতে দেখা যায়।
অথবা
অফিস/ব্যবসা ফেরত সুদর্শন এক ভদ্র-সভ্য যুবককে।
মাঃ দেখো বাবু কথা বলছে।
---------এ অবস্থায় যুবককে বা বাবাকে মায়ের পেটে কান পেতে কথা বলতে দেখা যায়-------
সন্তানঃ হুমম্ তুমি আপও সিগারেট টেনেছো।
বাবাঃ স্যরি।
সন্তানঃ হোয়াট ডু ইউ মীন বাই স্যরি? হাও ম্যানি টাইমস্ ইউ সেইড দ্যাট? কীপ এওয়ে ইউরসেলফ্ ফ্রম আস।
বাবাঃ এই কানে ধরে উঠবস করছি।
সন্তানঃ হইছে বাবা আর লাগবো না।
বাবাঃ এই যে আইনস্টাইন মায়ের সাথে কি বলছিলে?
সন্তানঃ কচু করবা তুমি বুড্ডা হইলে দেইখো কার শইল্লে জোড় বেশী।
বাবাঃ হারামীরপুত মোর মোহে মোহে কথা আইজ মা পোলা দোনডারে পাইছি।
সন্তানঃ ওরে হারামী হুন তরে আমি ডরাই না খালি বড় হইবার দে তোর তেড বাইর কইরা দিমু, ধইরা এমন পাড়ানী দিমু না।
বাবাঃ আসলে ভুল হইছে, বল কি চাও।
সন্তানঃ তুমি আর মদ খাবে না, মায়ের সাথে ঝগড়া করবে না, মাকে যা বলার বুঝিয়ে বলবে, ব্রোথেলে যাবে না, পরকীয়া করবে না কথা দাও।
বাবাঃ ওকে, ডান।
সন্তানঃ আমি যদি প্রচন্ড মেধাবী হই, কিংবা সার্কাসের জন্তুর মত শারীরিক কাঠামোর হই আমারে লইয়া ব্যবসা করবা নাতো?
বাবাঃ কথা দিচ্ছি কখনওই এরকমটা হবে না।
সন্তানঃ আমার প্রশ্নসমূহের লজিক্যাল উত্তর দিবা।
বাবাঃ সাধ্যে যতটুকু থাকে। না জানলে জেনে বলব।
সন্তানঃ এখন বলতো ঘরের কাজে মাকে সাহায্য করা কি তোমার উচিত নয়?
বাবাঃ উচিত, হাজারবার উচিত, করি তো।
সন্তানঃ আমি হয়তো নেশা করতে পারি, আমি নষ্ট হয়ে যেতে পারি, পরীক্ষায় খারাপ করতে পারি, একটা লাথি দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিবে কি?
বাবাঃ কখনও নয়, আমি তোমাকে সুস্থ রাখব সে রকম হবে না কথা দিচ্ছি।
সন্তানঃ আচ্ছা বাবা ইতিহাস যা বলে, তা এতো দ্বন্ধ তৈরী করে কেন?
বাবাঃ মানুষের পক্ষপাতিত্ব দৃষ্টিভঙ্গিটাই এই দ্ভন্ধ তৈরী করে।
সন্তানঃ কাকে বিশ্বাস করব?
বাবাঃ মাইন্ড ইজ ইউর, চয়েজ ইজ ইউর।
সন্তানঃ আচ্ছা বাবা আমাকে একটা কথা বলবে, কেনো সবসময় অন্ধকার জয়ি হয়, কেন মানুষ চাইলেও আলোর মুখ দেখেনা।
বাবাঃ ব্ল্যাক ইজ দ্যা আর্ট অফ ম্যাজিক, মানুষের মোরাল সেন্স যদি সেই আর্ট এর চেয়ে শক্তিশালী না হয় তবে তো আলোকিত হওয়ার সম্ভাবনাটাও হ্রাস পায়।
সন্তানঃ বাবা আমি যদি জ্ঞান পিপাসু হই, সমগ্র বই পড়ে ফেলতে চাই?
বাবা আমি গর্বিত।
সন্তানঃ ধর্ম কি উত্তরসূরী হিসেবে পালন করা বা মেনে নেওয়া বাঞ্চনীয়?
বাবাঃ মোটেও নয়, আমি তোমাকে সব ধর্ম, সব রূপ ও উপকথা শিখাবো এরপর তুমি যা ভালো মনে করো নিবে, না হলে নিবে না।
সন্তানঃ তুমি যদি আমার বন্ধু হও তবে কি কি শর্ত পালণ করবে।
বাবাঃ উইশ কাম ট্রু, ওমের্তাটা সবচেয়ে জরুরী, উপহাস ইগনোরেবল, ব্লকগুলো ভেঙ্গে দিয়ে লিবারেল করব।
সন্তানঃ আচ্ছা আমাকে স্বাধীনতা দিবে।
বাবাঃ শুধু স্বাধীনতাই শিখাবোনা স্বাধীনতার ব্যবহারটাকে মহাকালের কল্যাণে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তাও শিখাবো।
সন্তানঃ পরিবার, ব্যাচেলর লাইফ কোনটা বেছে নিব?
বাবাঃ আস্ক ইউরসেলফ্, যদি তুমি ভাবো, তুমি তোমার সঙ্গীর প্রতি লয়্যাল থাকবে, তাকে তুমি বিশ্বাস করতে পারবে, সন্তানকে সু ও স্বশিক্ষিত করতে পারবে তবে পরিবার, অন্যথায় ব্যাচেলর লাইফ।
সন্তানঃ আচ্ছা বিয়ে অথবা লিভ টোগেদার কোনটা বেছে নিব?
বাবাঃ সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় প্রেক্ষাপট অনুযায়ী নির্ভর করবে। যদি দেখো আগত শিশুটির সমস্ত দ্বায়িত্ব পরিবারকেই নিতে হবে এবং উইদআউট ম্যারিজ তাকে সমাজ নানা প্রকার অবমূল্যায়ন করবে , তবে অবশ্যই বিয়ে, আর রাষ্ট্র যদি শিশুটিকে বড় করার দ্বায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা রাখে তবে লীভ টোগেদার করতে পার, তবে একথা মনে রেখ একটি সুস্থ পারিবারিক পরিবেশেই একটি শিশুর মানসিক বিকাশটা সর্বোচ্চ হয়, শুধুমাত্র কোন কিছুই তার উপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না।
সন্তানঃ যদি কাউকে ভালোবাসি তার সাথে লীভ টোগেদার করি, সন্তান না নেই যদি সন্তান আসে তবে বিয়ে ও পরিবার গঠন করি তবে কি কাজটা নৈতিকতা বহির্ভূত হবে?
বাবাঃ পাপ পূন্যের কথা আমি কাহারে শুধাই।
নির্ভর করবে তোমার ও তোমার সঙ্গীর চিন্তার সামজ্ঞস্যতার উপর, সমাজ একদিন সিস্টেমটাকে মেনে নিবে।
সন্তানঃ ফিজিক্যাল টার্মগুলো ধর, সেক্স যদি বাই, গে, লেসবিয়ান বা গ্রুপ, এ্যানিম্যাল হয় ক্ষতিটা কি?
বাবাঃ ডিফারেন্ট টাচ্ এন্ড টোস্ট মানলাম, কিন্তু তুমিও জান সভ্যতা, বিবর্তন, বিজ্ঞান, মোরাল সেনস্ কখনওই এতটুকু উৎকর্ষিত হবে না, এটা ধ্বংস সৃষ্টি নয়।
সন্তানঃ টু ক্রিয়েট সামথিং নিউয়ার, উই শুড্ ডেস্ট্রয় ফার্স্ট।
বাবাঃ হাউ ক্যান বি ইউ আর সো সিউর দ্যাট নিউয়ার ওয়ান ইজ ব্যাটার দ্যান ওল্ডার, হোয়াই নট্ ইউ ট্রাই টু ইরেক্ট ওল্ডার ওয়ান।
সন্তানঃ সংস্কার, কালচার্, সবসময় কি মডার্নটা নিব না?
বাবাঃ নির্ভর করে ট্যাস্ট এর উপর, তুমি তোমার কালচার্ তো নিবেই ডিফারেন্ট ট্যাস্ট গুলোও নিতে পার দ্যান ইউ ক্যান মিক্স-আপ দেম হোয়াট ইজ মোস্ট স্মুথ উইদ ইউর হ্যাবিচিউট।
সন্তানঃ রাষ্ট্র, রাজনীতি, বিজ্ঞান কোনটা চয়েজ করব?
বাবাঃ রাষ্ট্রকে হিসেবে ট্রান্সপারেন্ট ডেমোক্রেসী সাপোর্টেড রাষ্ট্র বেছে নাও, রাজনীতি কর স্বার্থহীন আত্মার গানে এবং জনমানুষ ও বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে মানব কল্যাণে ছড়িয়ে দাও।
সন্তানঃ আমার দুনিয়া জাহান্নামে যাক, আমি সৎ তো সব ঠিক, আমি ভালো তো সব ঠিক তাই না বাবা।
বাবাঃ সেলফিশনেস্ টক, তোমার বাসার পাশের ডাস্টবিনের গন্ধ তুমি পাবে না এটা আশা করতে পার না, সেই ডাস্টবিনের জীবাণু তোমাকেও একদিন ইনফেকটেড করবে।
সন্তানঃ ধরো একই সাথে একজনকে ভালোবাসি এবং আরেকজনের প্রতি ফিজিক্যালি উইক কি করব? অথবা ভালোবাসা বিহীন শুধুমাত্র সেক্স?
বাবাঃ মোরালিটি ডিফারস্ অন, হাও স্ট্রংগার ইউর মোরালিটি ইজ।
সন্তানঃ রবীন্দ্রনাথের ল্যাবরেটরী মনে আছে, কিছু করাপশন যদি বেটার কিছু তৈরী করে তবে তো ভালোই।
বাবাঃ অন্যায় তো অন্যায়ই, তা থেকে কি ভালো কিছু আশা করা যায়? তুমি তো আর টিন থেকে স্বর্ণ তৈরী করতে পারবে না, পারবে হয়তো, মূল্যটা সোনার চেয়েও বেশীই দিতে হবে।
সন্তানঃ যার যার যোগ্যতানুযায়ী তার অবস্থানটা তো দেওয়া উচত না?
বাবাঃ সব সময় পারা যায় না, মানুষ এখনও তার লোমশ আলখেল্লা ছেড়ে মুক্ত হাওয়ায় বেরুতে পারেনি, পারবে কিনা জানিনা, কারণ মানুষ এখন মানুষের চেয়েও শক্তিশালী, পশুত্ব ধ্বংস করেত পারে যে কোন মহুর্তে।
সন্তানঃ সেক্স এবং লাভ্ দুটোকে আলাদা করা যায় না।
বাবাঃ সম্ভব হত যদি মানুষ ইনঅরগানিক ম্যাটেরিয়্যালস হতো।
বাবা/মাঃ ডিফারস্ অন।
বাবা/মাঃ তোমার যদি কোন হেডেক না থাকে তবে কিছু বলার নেই, কারও না, না সমাজ, না রাষ্ট্র, না পরিবার, না বন্ধু-বান্ধব, কারও নয়।
সন্তানঃ জানি তারপরও করবে, সমাজ, ধর্ম, স্টেটাস্, ছাগ প্রেস্টিজিওয়াস ইগো, ফ্লাশেস অব মেমোরীস্।

বিহাইন্ড দ্যা স্ক্রীন---৪
প্রসব পূর্ব বেদনায় শুওয়েরর খোযাঢ়ে ছটফট করে থাকেন ম্যারী।

সন্তানঃ জানি তোমাদের দর্শনগুলো, আমার সপ্নগুলো, সবই মুদ্রিত অক্ষরমাত্র এর কোন প্রভাব কখনও কেউ নিবে না, জানি পৃথিবী যেমন আছে তেমনই রবে, সক্রেটিস, টি. এইচ এলিয়ট বা বাট্রান্ড রাসেল মানুষের কোন কনফ্লিক্ট ই দূর করতে পারেনি পারবেও না, জানি সমগ্র বেশ্যালয়েই আমরা শিশুরা বেড়ে উঠব, জানি কোন কিছুতেই কারো কিছু আসে যায় না, প্রথমে খৎনা ও পরে ঠিকই খাশি করবে, প্রথমে ফ্রক ও পরে ঠিকই বোরখা পড়াবে, হিন্দু, মুসলিম না খ্রিস্টান তা নির্ণয়ের চেস্টা করবে, আমাকে জাস্টিফাই করার চেস্টা করবে নিজেকে দিয়ে, আমাকে বুঝার চেস্টা করবে নর্দমার কাঁদা মাখিয়ে, জানি সমালোচনা প্রমূখরা খ্যাতি নিবে অট্টহেঁসে, জানি আজও মানুষ উত্তরাধিকারের বড়াইয়ে মেতে আমাকে ধর্ষন করবে, কি দরকার ছিল মা-বাবা কি দরকার ছিল, সমস্ত আনপ্ল্যানড, সমস্ত ক্যাওস্, সমস্ত ধ্বংসে আমাকে সৃষ্টি করার।

ক্যান ইউ ক্রাই এ রিভার ওভার মি...........
আই ক্রাইড্ এ রিভার ওভার ইউ..............
হেই আর্থ, হেই হিউম্যান, আই ক্রাইড
ডোন্ট ইউ নোউ...........
টোগেদার উই স্ট্যান্ড
ডিভাইডেড উই ফল
আমরা পতিত হব পন্ডিত শিয়ালের লিঙ্গ হতে আস্তাকুঁড়ে,
নষ্ট নীড়ে ছোট্ট পদ্য রচে আর লাভ কি বলো?
বলো আমায়?
বিহাইন্ড দ্যা স্ক্রীণ-----৪
মাতা ম্যারীর যোনীদেশ ছিড়েঁ দিয়ে বেরিয়ে আসে ক্ষুদে লুসিফার, অট্টহাঁসিতে ফেঁটে পড়ে, অতিদ্রুত নিজের লিঙ্গকে শানিত করে ম্যারীর ভার্জিনিটি লুন্ঠিত করে, পৃথিবীকে চিৎকার করে জানিয়ে দেয় তার পুরুষত্বের কথা, অবশেষে কুঠার দিয়ে দ্বিখন্ডিত করে ম্যারীকে এবং বাবা জিউসকে স্বর্গচ্যুত করে সমস্ত স্বর্গ নরককে কর্পোরেট রূপে নিয়ে আসে, যেখানে নগ্ন নর ও নারী পণ্য, যেখানে শিজ্ঞা ও জ্ঞান চর্বিত, যেখানে রাজনীতি রাজস্ব ও রাজাহীন সাম্রাজ্যে আলিবাবার চল্লিশ চোর, যেখানে খাশি সমাজ আলাদীনের চেরাগের সপ্ন দেখে তিনটি ইচ্ছা পূরণের আসায়..........
১. আর্ন মানি।
২. ডু সেক্স।
৩. বি হ্যাপি।
যেখানে, দর্শন ধর্ষিত, বিজ্ঞান চর্বিত, প্রযুক্তি যুক্তিহীন ব্যবহারে মত্ত, রক্ত শরাব, হৃদয় মাত্রই প্রণয় এবং সভ্যতা হ্রদয় খান, শাড়ি মানেই বারো হাত প্যাচেঁ ইকেকখানা শিয়াল মাতা, কোর্ট মানেই ব্যাডমিন্টন, কর্ক হল খাশিরা।
মোরা একটি বিচিঁ বাচাঁবো বলে যুদ্ধ করি..........

আজকাল আফিমের নেশায় জেগে থাকি
ভালোবাসার আফিম
কেউ একটু বেচঁবে কি
বিনিময়ে সারাটা জীবণ দিব
বুকের পাঁজর থেকে রক্ত দিব
যত ব্যাগ চাও
অথবা নিতে পারো
ড্যাড ম্যান চেস্ট।

ঢিব্ ঢিব্ ঢিব ঢিব্ ঢিব্ ঢিব্ ঢিব্

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ বাবৃ, শাওন, রাজন, অম্লান, রোকন, কানিজ, বাবা-মা, আজিম ভাই, দূর্জয়, অমিত, নয়ন, বিন্দিয়া, শুভ ও আরিফের প্রতি।

প্রিলিউড টু ফাউন্ডেশন আই নিডেড সাম ক্যাওস্ ডোন্ট আপসেট এন্ড বোদার এবাউট মি।

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অণু থ্রিলারঃ পরিচয়

লিখেছেন আমি তুমি আমরা, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭


ছবিঃ Bing AI এর সাহায্যে প্রস্তুতকৃত

১৯৪৬ কিংবা ১৯৪৭ সাল।
দাবানলের মত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
যে যেভাবে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। একটাই লক্ষ্য সবার-যদি কোনভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেইন্টেড লেডিস অফ সান ফ্রান্সিসকো - ছবি ব্লগ

লিখেছেন শোভন শামস, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯

"পেইন্টেড লেডিস অফ সান ফ্রান্সিসকো", কিংবা "পোস্টকার্ড রো" বা "সেভেন সিস্টারস" নামে পরিচিত, বাড়িগুলো। এটা সান ফ্রান্সিসকোর আলামো স্কোয়ার, স্টেইনার স্ট্রিটে অবস্থিত রঙিন ভিক্টোরিয়ান বাড়ির একটি সারি। বহু... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×