somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গতরাতে ঢাবি ও জবির ‘খ’ ইউনিট ভর্তির প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ !! গুজব নাকি সত্যি ???

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘ফেসবুকের কয়েকটি পেইজে প্রশ্ন পাওয়া গেছে, প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন” নামে কয়েকজনের পোস্ট শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে ঢাবি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা দেখছি। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি। প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ভর্তিচ্ছু একজন শিক্ষার্থী জানান, সালিহুর রহমান নামে একজন তার ফেসবুক ‘উদ্ভাস এইচএসসি ব্যাচ ২০১৫’ তে পোস্ট করেন : ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটের প্রশ্নের জন্য যোগাযোগ করুন। প্রথমে ১০ হাজার টাকা পরে ৪০ হাজার টাকা। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ ০১৮৩****৪০৯ নম্বরে।
সরকার যাহার উপর ভর করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে বড় বড় বুলি আওরান, সেই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কেনো এধরনের অসৎ আচরন করছে !?ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলো ডাকাত চোর লম্পট সন্ত্রাসী লীগের কারখানা ।প্রাচ্যের অক্সফোট নামক খ্যাত এই বিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে গেছে
ফেসবুকে আর ইন্টারনেটে সব ধরনের কারসাজি চলে আর জারা এই সব সত্য মথ্যা যাচাই না করে প্রচার করা তাদের বিচারের ব্যাবস্থা অনতিবিলম্বে করা উচিত !!
সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য ভাল উদ্দেগ না নিলে তাহলে মেধাবিরা মুখ থুবরে অচিরেই তারা ধ্বংস হয়ে যাবে ।নয়তবা মনে করব বিশেষ কারো স্বার্থ রক্ষায় পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন বলে মনে করি। এর প্রেক্ষিতে বলতে চাই সবকিছুই প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিবেন তাহলে শিক্ষামন্ত্রী কি করেন?
বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গত ছয় বছরে রাজধানীতে দায়ের হওয়া ৭০টি মামলার একটিও এখন পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। শাস্তি পাননি কোনো অপরাধী। মামলা থেকে অব্যাহতি ও খালাস পেয়ে গেছেন অনেকে। অনেক আসামি জামিন নিয়ে আর আদালতে হাজিরা দিতেও যাচ্ছেন না।

সাজা না হওয়ার কারনঃ অভিযুক্তরা ১. নিরপরাধী ২. সরকারী দলের লোক ৩. ঠিক বিচার হয়নি কিন্তু এ ধরনের অপরাধের জন্য সরকারই দায়ী থাকে। সরকারের এ দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, রাষ্ট্রপক্ষ হয় দুর্নীতিবাজ অথবা অদক্ষ এবং অযোগ্য।
বৈয়মের মুখ খোলা থাকছে বলে সব চিনি তো পিপঁড়ার পেটে চলে যাচ্ছে , পিপঁড়ার আর দোষ কি ! কার ও সাজা হচ্ছে না বলে এবারের এই মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁসের কেসটি ও জায়েজ হয়ে যাবে ।মেডিকেলের যে প্রশ্ন সেটা এক ঘন্টায় একশ বৃত্ত ভরাট করে কোনকালে কোনমানুষের দ্বারা ৯৪/৯৭ মার্কস তোলা সম্ভব নয়, যদি সে রাতের বেলা প্রশ্ন হাতে না পায় ! কাজেই যারা এই ধরনের মার্কস পেয়েছে তাদেরকে রিমান্ডে নিলেই কেস প্রমানিত হবে । এবারের কেসটি ও প্রমানিত না হলে খুবই দুঃখজনক এবং অবাক কান্ড হবে।

যে ব্যবসা ইতোমধ্যেই কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে, তার একটি সিষ্টেমও তৈরি হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের যদি ইচ্ছা না হয় সেই সিষ্টেম গুড়িয়ে দিয়ে অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনার, তবে তো অপরাধীরা আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে আসবেই, অপরাধও আর উৎসাহে চলতে থাকবে।সেটাই চলছে।প্রমাণ হয়েই আছে, গ্রেফতার করে শুধু সময়িক উত্তেজনা প্রশমনের জন্য, অপরাধীকে শাস্তি দেবার জন্য নয়।প্রশ্নপত্র ফাঁসের শুরুটা কোচিং বাণিজ্য থেকে, আজও কোন সরকার এই কোচিং বাণিজ্য বিষয় কোন সিদ্ধান্তই নিতে পারেনি।শিক্ষাক্ষেত্রে কোচিং বাণিজ্য ইতোমধ্যে গোটা শিক্ষার নৈতিকতায় ধ্বস নামিয়েছে, এই সরকার প্রশাসন সকলেই জানে কিন্তু এটা বন্ধের কোন উদ্যোগ আজও গ্রহণ করা হয়নি।হবে এমনটাও আমাদের নজরে নেই।এবার যাদেরকে ধরা হয়েছে বা হবে, তারা যে শাস্তি পাবে, এমন নিশ্চয়তা নেই কারণ ঠিক সময় রাজনীতি মাঠে এগিয়ে এসে তাদেরকেও মুক্ত করে নেবে, আবার তাদের বাণিজ্য রমরমা হবে।নয়তো যে প্রশাসন কোন রকম অনুসন্ধান না করে মেডিকেলের ফল ঘোষণা করেছিল, আজ তারা পর্দার আড়ালে কেন? তাদের তো উচিত ছিল এই পরীক্ষা বাতিল করার, কেন তারা সেটা পারছেন না? কারণ একটিই টপ টু বটম সবই নষ্টদের দখলে।এখন মাঠে কিছু আন্দোলন আছে, মিডিয়ার দৌড়াদৌড়ি আছে, তাই ধরপাকড় চলছে। তারা জানেন সময় সব থিতু হয়ে যাবে।তাদের পরবর্তী বাণিজ্যের দরজাও উন্মুক্ত হবে।

যে দেশে সব সময় সরকার বা ক্ষতাসীন দলগূলো এবং সরকারে না থাকা বিরোধী দলগূলো দেশের উন্নতি, আইন শৃঙ্খলা, বিচার ব্যবস্থা, শান্তি ও জনসাধারণের সুযোগ সুবিধা ব্যাপারে নিজেদের স্বার্থের জন্য সম্পৃক্ততার ও সহঅবস্হানের পরিবর্তে দুই মেরুতে অবস্থান করে সে দেশে কোনদিন নিয়মতান্ত্রিক কোন কিছুর আশা করা যায় না । দেশের জন্মলগ্ন থেকে দলের নেতাদের বা নেত্রীদের বা সরকার প্রধানদের অপ্রত্যাশিত ও আকস্মিকভাবে কিছু পাওনাকে যথাযথ মূল্য না দিয়ে এবং কিছু দলীয় সমর্থকদের দ্বারা নিজেদেরকে অন্ধযোগের মত দেবতা তুল্য মনে করে সকল হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে নিজেদের ক্ষমতা ও ঐতিহ্যকে পাকাপোক্ত করার জন্য সচেষ্ট থাকায় দেশ আজ ক্ষাদের কিনারায় । আর তার সাথে দেশের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ও নিজেদেরকে নিরাপদে রাখার জন্য কাপুরুষের মত এই সকল অগণতান্ত্রিক দলগুলোকে সমর্থন দিয়ে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় বসায়ে দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছেন । দেশের মানুষ আজ গণতন্ত্র বলতে শুধু নির্বাচনকেই বুজে, গণতন্ত্রের অন্যান্য গূণাবলী বা গণতান্ত্রিক দায়িত্ববোধ বলতে কিছুই বুঝে না । দেশের যা কিছু উন্নতি বা অগ্রগতি হয়েছে তা যে কোন সরকারের চেয়ে সাধারণ জনগণের বলপূর্বক উৎদুগেই হয়েছে । সব সরকার যদি যথাযথ ভাবে সহযোগিতা করত তাহলে দেশ এত দিনে উন্নত দেশে পরিণত হয়ে যেত । এই অবস্থায় ২০২১ সালে দেশ উন্নত দেশ হিসেবে পরিণত হবে যার ফলে ক্ষমতায় থাকা লোকজনের bank balance এর উন্নতি ছাড়া ট্রেন ষ্টেশনে শুয়ে থাকা লোকজনের কোন উন্নতি হবে না ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×