অনেকদিন তোমার সাথে কথা হ্য়না।কেমন আছো তুমি? আজকাল তোমার খবর নেয়া হয়না একদম ই না।এ জন্য নয় যে তোমাকে ভুলে গেছি।সেটা তো কখনো সম্ভব না।তোমাকে বিচ্ছিন্ন কি করে করি বলো।
তোমাকে ভালোবাসি আমার শৈশব থেকে।যখন বাবা মা তাদের কর্মক্ষেএে সারাবেলা থাকত।ঠিক তখন থেকে তুমি আমার পাশে।আমার একলা ঘরে খেলার সাথী।
আমার কিশোরী বেলায় অকারনে মন খারাপ হওয়া দুপুর গুলোয়,ঝুম বৃষ্টিতে বারান্দায়,রাত জেগে গল্পের বইয়ের পাতায়,নিশুতি রাতের নিরবতায় জেগে থাকায়-কোথায় তুমি ছিলেনা।
যখন প্রায় ই আমার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হতো,তোমাকে পাশে নিয়ে যখন তখন রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পরতাম।জানালার গ্রিল ভেঙে ঘন বরষায় আমরা মেঘবালিকাদের দেশে যেতাম মনের ডানায় ভর করে,কদম ফুলে বর্ষা বরন করতাম দুজনে।গোধুলীর রং মাখা বিকেল গুলোয় ছাদের কোনায় গুনগুন করে প্রিয় গানের সাথে সন্ধা মেলাতো,আমাদের ঘরে ফেরার কথা মনেই থাকতো না।ভুগোলের বই টা নিয়ে রাতে সবাই কে ফাকি দিয়ে চলে যেতাম ছাদে।তখন আমরা সব তারাদের চিনতাম।
ডায়রীর পর ডায়রী চিঠি লিখেছি তোমাকে।কখনো হাসি,কখনো কান্নায়।যখন কোনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছি,আয়নার সামনে বসে তোমার সাথে আলোচোনা করেছি।
আমার প্রিয় মানুষটি।যাকে নিয়ে আমি আমার দীর্ঘজীবন পথচলা শুরু হলো।সেই মানুষটি ও তোমার মধ্যে আমাকে চিনেছিলো।তোমার সাথেই তার প্রথম পরিচয়।একসময় সে জানলো আমার মাঝেই তোমার বাস।সুরু হলো আমাদের পথচলা।এখন তার যত আপত্তি তোমাকে নিয়ে।তুমি নাকি মিথ্যা।আমার কল্পনাবিলাশ তার অসহ্য।তখন মনে হয় কেনো যে তোমার সাথে তার পরিচয় হলো।
তাহলে কি সব শেয়ার করাতে নেই?খুব ভালোবাসার মানুষটির সাথেও কি একটা অদৃশ্য দেয়ালের সীমা থাকে?সেখানেওকি কিছু না বলা কথার মাত্রা থাকে?
মানুষের তো কত বিলাশ থাকে,আমার না হয় কল্পনা বিলাশ।আর বিলাশ ই বা আমি তোমাকে কেন বলি?আমার সব কিছুর পর ও তো তোমার কাছে ফিরে আসতে হয়।আমি তো তুমি ছাড়া আর কা্উকে পেলাম না,যে শুধই আমাকে ভালোবাসে,আমার সব দোষ ত্রুটি নিয়ে।তাই তোমাকে তো আমি অস্বীকার করতে পারিনা।আমি তো তোমার কাছে না এসে পারিনা।বাতাস ছাড়া কি নিশ্বাশ নেয়া যায়!!