আমি সেই রাখাল
যে বাজাতো বাঁশি ;
সুরমা নদীর পাড়ে
সেদিন সুরের টানে
উদাস-ক্ষণে তুমি এসেছিলে
বলেছিলে স্মিত হেসে ,
পাখিরাও গান থামিয়ে
তোমার বাঁশি শুনে !
বললে আরো বিস্ময় চোখ মেলে
তোমার গ্রামটি যেন স্বপ্নপুরী
এমন যদি হত আমার শহরপুরী
বসে বাতায়ন পাশে দেখতাম দিবানিশি ।
তাই তোমার জন্ম দিনে
আমার গাঁয়ের মাথার উপর থেকে
তুলে দিলাম একটি শুভ্র আকাশ
আছে ফসল ভরা একটি সবুজ প্রান্তর
তার গা ঘেঁষে এক নদী বইছে নিরবধি;
সেথায় উড়ছে দেখ মন পবনের ঘুড়ি ।
আরো দিলাম একটি অরণ্য-নিগুঢ় বন
সাঁঝ বেলাতে জোনাক জ্বালে প্রদীপ,
একটি পূর্ণিমার রাত-অদ্ভুত মায়ার ফাঁদ
সেই ফাঁদের মাঝেই লুকিয়ে আছে
স্বর্গ রাজ্যের চাবি চাইলে তুমি
কুড়িয়ে নিতে পারো।
একটা সন্ধ্যা রাত -
নিঃশব্দে শিশির ছোঁয়ায় সিক্ত সবুজ ঘাস
একটি মেঠোপথ পথ -
দুপাশে ছড়ানো মায়াবী কাশবন ,
হেলে দুলে জানায় যেন উষ্ণ সম্ভাষণ ।
আরো দিলাম একটি রাঙা প্রভাত
সূর্যের আলোয় নিকষ-কালো
রাতের আঁধার করে এফোঁড় ওফোঁড় ,
তুমি সেথায় কান পাতলেই শুনতে পাবে
পাখির কিচিরমিচির।
তুমি নেবে তো -আমার এ উপহার?
বললে মুক্তো ঝরা ছড়িয়ে হাসি
এতো কিছু কোথায় রাখি ?
আমি বললাম , কেন ?
ছড়িয়ে দেবে শহর জুড়ে !
নতুবা ঝুলিয়ে দিও তোমার ঘরে
সেথায় বসে শুনে নিও সেই রাখালের বাঁশি।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬