somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

থাইল্যান্ডে বিনামূল্যে যাত্রীদের ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেয়। সেই সুযোগ ভ্রমণের ব্যয় কামাতে সহয়তা করবে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পৃথিবীতে ফ্রি বলে কিছু নেই। হয়তো সত্যিই নেই।
তবে ।
হ্যাঁ, থাইল্যান্ডে বিনামূল্যে যাত্রীদের ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেয়। সেই সুযোগ ভ্রমণের ব্যয় কামাতে সহয়তা করবে।

বিনামূল্যে থাইল্যান্ডে ট্রেনে ভ্রমণ।

ভ্রমণ কখন হবে।
যখন মিলবে, অবসর তখন ভ্রমণ।
যদি পর্যাপ্ত টাকা থাকে, তবেই ভ্রমণ।

ভ্রমণ ব্যস্ততার মাঝেও হয়, কম টাকা বা টাকা ছাড়াও ভ্রমণ হয়।
না না টাকা ছাড়া আবার ভ্রমণ হয় কি করে?

যে যাই বিশ্বাস করেন সুযোগ পেলে ভ্রমণ করুন। অথবা না করুন। আমি এই লেখা লিখছি যারা মনে করেন ভ্রমণ মানেই টাকা পয়সা খরচ কমবেশি নয়। ভ্রমণ মানে যেখানে যাবেন সেই স্থায়ী স্বাদের স্বাদ নেওয়া। তারাই আর একটু সময় ব্যয় করে আমার লেখা পড়তে পারেন।

থাইল্যান্ড ভ্রমণের জন্য ভাল। যদি একটু পরিকল্পনা করেন আগে থেকে ।তবে তা অনেকাংশে ভারত ভ্রমণ থেকেও কম। বিমান ভাড়া ১৫ হাজার টাকা মধ্যে হয়ে যাবে। তারপর থাইল্যান্ডে খুবই সস্তায় বা বিনামূল্যে ভ্রমণ করতে পারবেন।

সস্তা ভ্রমনের থাই রেলের কিছু তথ্য রাখুন মস্তকে। থাইল্যান্ডের মূলত পাঁচটি রেলের পথ আছে।

উত্তর লাইন
ব্যাংকক - চিয়াং মাই

উত্তর-পূর্ব লাইন
ব্যাংকক - উবন রচতথানি
ব্যাংকক - নং খাই

পূর্ব লাইন
ব্যাংকক - অরণ্যপ্রতিৎ
ব্যাংকক - বন পুহলু টা লুঙ্গ হয়ে পাতায়ে (সপ্তাহান্তে)

দক্ষিণ লাইন
ব্যাংকক - সুঙ্গাই গোলক
ব্যাংকক - পাদং বেসার

পশ্চিম লাইন
ব্যাংকক - নাম টোকা হয়ে কাঞ্চনবাবুরির
ব্যাংকক - সুফান বুড়ি

নামগুলো ম্যাপে ইংরেজিতে পাবেন। ভাল করে পড়ে নিন। আমার বাংলা নাম পড়ার তেমন দরকার নেই। থাইল্যান্ডে এই পাঁচ ধরনের ট্রেন রয়েছে: সাধারণ, দ্রুত, এক্সপ্রেস, বিশেষ এক্সপ্রেস এবং বিশেষ এক্সপ্রেস স্প্রিন্টার।

ট্রেনের মাধ্যমে থাইল্যান্ড ভ্রমণ আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় ভিন্ন স্বাদ যোগ করবে। টাকা কম ব্যাংককের বসেই দিন পার না করে। অন্যতম সেরা উপায় হল থাই ট্রেনে ঘুরতে বের হয়ে যাও।

বিলাবহুল আরামদায়ক স্লিপার কেবিন পাবেন সাশ্রয়ী মূল্যে। তবে কিছু ট্রেনও রয়েছে যা লোকেরা বিনামূল্যে জন্য ভ্রমণ করতে পারবেন। এই ট্রেনগুলিতে এয়ার কন্ডিশনার নেই।নিদিষ্টি রাস্তায় ভ্রমনে টাকা ও লাগে না।

ট্রেনগুলোর একটা সমস্যা হল গন্ধ। তবে তা দিন কয়েক গেলে আর পাবেন না।

সুতরাং, যদি আপনি বাংলাদেশের ট্রেনে উঠে টিকেট না কেটে যাতায়াতের অভ্যাস থাকে। তবে আপনার অভ্যাসকে প্রাধান্য দিয়েই থাই রেলে তৃতীয় বিভাগ অপেক্ষা করছে। একটি বিনামূল্যে ট্রেন ধরতে আপনার বন্ধুদের কি বলে তা এড়িয়ে যান। সাহস করে উঠে পড়ুন মাগনা ট্রেনে।

যেখানে থাইল্যান্ডের মেট্রো ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের শুধুই সেলফোনে টিপাটিপি দেখে। সেখানে ২য়, ৩য় শ্রেনী বা মাগনা কামড়ায় ট্রেন ভ্রমন আপনাকে থাইল্যান্ডের মানুষের সাথে সহজে বন্ধুত্ব গড়ার সুযোগ করে দিবে।ভাষা যে কোন প্রতিবন্ধকতা নয় তা বুঝতে পারবেন একবার এই ট্রেন ভ্রমণ করলেই।

তবে বিলাবহুল ট্রেন ভ্রমনের যে স্বাদ আপনি পাবেন। তা আপনার দেশের ট্রেন মান উন্নয়নের দাবী জোরালো করার বীজ বুনে দিবে অন্তরে।

শেষ কথা আমি আমার এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ট্রেনে সিট কেন ফ্রি। সে বলে ছিল যাদের স্বল্প আয়ের তাদের প্রতি তো রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে। তাছাড়া এই মানুষগুলো যদি অন্যকোন মাধ্যমে যাতায়াত করে। তবে আরো বেশি যানজট, পরিবেশ দূষণ হবে। সেই তুলনায় এই সব ট্রেনে ভর্তুকি খুবই কম।

যাই হোক মূল কথায় আসি।মাগনা ট্রেনে ভ্রমনের ইচ্ছা না থাকলে বিশালবহুল ট্রেনগুলোতে যান মজা পাবেন। শিশু এবং বাচ্চাদের কিন্তু টিকেটের দাম দিতে হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৭
৮টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×