somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইস্তাম্বুল ভ্রমন – শেষ ভাগ

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কাদিকয় ফেরী ঘাট থেকে একটু এগিয়ে গেলেই পার্ক, সেখানে নানা ধরনের খাবারের দোকান। সাগরের তীর ঘেঁসে বলে খাবার খেতে খেতে সাগরের দৃশ্য দেখা যায়। দুপুর হয়ে গেছে, নামাজের সময়, দূরে একটা মসজিদ দেখলাম। যেতে যেতে পথে বাস স্টেশন পেলাম। এখান থেকে তুরস্কের অন্য শহরে কিংবা এই শহরে যাতায়াত করা যায়। সকাল বেলা নাস্তা খাবার সময় একজন স্থানীয় কাস্টম অফিসারের সাথে কথা হয়েছে। দেশের অন্য অংশ থেকে ইস্তাম্বুলের ইউরোপীয় অংশে আসতে প্রায় সবাই এই ফেরী ব্যবহার করে।হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে এলাম। মসজিদের নীচে অজু করার জায়গা আছে, টয়লেট ব্যবহার করতে হলে একটু দূরে গিয়ে পয়সা দিয়ে ঢুকতে হয়। পানি বেশ ঠাণ্ডা, অজু করে নামাজ পরে নিলাম। হায়দার পাশা প্রোটোকল মসজিদ বেশ জমকালো , নামাজ পড়ার ব্যবস্থা বেশ সুন্দর, ভেতরে ব্যাগ রাখার ব্যবস্থা আছে। নামাজ পড়ে আশেপাশের এলাকাতে একটু ঘুরে আবার ফেরী ঘাটে এলাম।


কাদিকয় ফেরী ঘাট ও আশেপাশের এলাকা


ফেরী ছাড়ার সময় হয়ে গেছে, আমার ও ইস্তাম্বুলে থাকার সময় শেষের দিকে, তাড়াতাড়ি তিন লিরা দিয়ে টোকেন নিলাম মেসিন থেকে। ফেরী তখন ছাড়ি ছাড়ি করছে। এবার ফেরীর অন্য দিক দিয়ে মারমারা সাগর দেখতে দেখতে ইনামুনুতে চলে এলাম। ফেরিঘাটে তুর্কী খাবারের বেশ চালু দোকান আছে কয়েকটা। সেখান থেকে দুপুরের খাবার নিয়ে নিলাম। আবার ট্রামে, এবার আমাকে জাইতিনবুরনু স্টেশনে ট্রাম ছেড়ে মেট্রোতে করে বিমান বন্দরে যেতে হবে। সুন্দর ভাবে ইংরাজি লিখা সাইন পোস্ট দেখে কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দরে পৌঁছে গেলাম। লাগেজ সংগ্রহ করে সব ফর্মালিটি শেষে বিমানের জন্য অপেক্ষা, আমি দেশে ফিরছি, আমার দেশ আমার প্রিয় দেশে।




আকসারী এলাকা
ফেরার পথে কিছু সময় পেলাম ইস্তাম্বুল ঘুরে দেখার, বিমান বন্দরে বসে না থেকে ইমিগ্রেশানে গিয়ে সিল লাগিয়ে বাহিরে চলে এলাম। এবার আর হাভাতাস বাসে না গিয়ে মেট্রোতে করে বেড়াতে বের হলাম। এয়ারপোর্ট থেকে একটা মেট্রো লাইন প্রায় ১৬ টা স্টেশনে থেমে আকসারীতে আসে। এখান থেকে ট্রামে করে সুলতান আহমেত এলাকায় যাওয়া যায়। নিচে সাবওয়ে এলাকাতে অনেক ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান। স্টেশন থেকে উপরে উঠলেই বিশাল চত্তর। রাস্তা পার হলে একটা সুন্দর পার্ক এবং এর পাশেই বড় একটা মসজিদ। দুপুর হয়ে গেছে ততক্ষণে,শুক্রবার বলে জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গেলাম। অজুর জন্য বেশ বড় লাইন। অনেক মানুষ স্যুট প্যান্ট পড়ে নামাজ পড়তে এসেছে। আমাকে একজন মুসল্লি তার জায়নামাজে বসতে দিল। নামাজ শেষে কিছুক্ষণ পার্কে বসে নাস্তা করে নিলাম।



মুরাত পাশা মসজিদ আকসারী
আকসারী এলাকাতে বেশ বড় একটা পাতাল মার্কেট আছে। এখানে অনেক জিনিসপত্র পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ সেখানে ঘুরলাম তারপর উপরে এসে একটা দোকান থেকে কিছু টার্কিশ চকলেট কিনলাম। এই চকলেটগুলো কুরদিস্থানেও পাওয়া যেত, অনেক বছর পর এবার তুরস্ক থেকেই তা কেনার সুযোগ পেলাম। ঘণ্টা তিনেক আশেপাশের এলাকা বেরিয়ে আবার মেট্রোতে চড়ে বসলাম। সময় মত বিমান বন্দরে পৌঁছে গেলাম।এবার আর দেশের পথে না, আমাকে যেতে হবে আফ্রিকাতে। ইস্তাম্বুল থেকে বিমান ঘণ্টা খানেক সময় রুয়ান্ডার কিগালিতে থেমে আমাদেরকে উগান্ডার এন্টেবিতে নামিয়ে দিল। ইস্তাম্বুলে আনন্দময় কিছু সময় কাটাতে পেরে বেশ ভাল লাগল। মনে মনে বলছিলামঃ
আবার আসিব ফিরে এই দেশে, এই শহরে
ভাল লাগা মন নিয়ে
কোন এক সোনালি ভোরে...


৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×