somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিশুদের উপর এ অবিচারের শেষ কোথায়?

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সামাজিক অবক্ষয় সমাজ ধ্বংসের মূল কারিগর।সমাজে যখন সামাজিক বিষয়গুলোর ক্ষয়প্রাপ্তি শুরু হয় তখনই সমাজের অধঃপতন ঘটতে শুরু করে যার নাম সামাজিক অবক্ষয়।সামাজকি বিষয়গুলোর মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ হচ্ছে প্রধান।আর সমাজব্যবস্থায় এই মনুষ্যত্ববোধ লোপ পেলে কিংবা ঘাটতি থাকলে সমাজে নেমে আসে নানা ধরণের বিশৃঙ্খলা।সমাজে অসামাজিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়াই হচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়ের লক্ষণ।বর্তমানে আমাদের সমাজে অসামাজিক কর্মকাণ্ড দিনে দিনে বেড়েই চলেছে ,কমার কোন লক্ষণ নেই।এই অসামাজিক কর্মকাণ্ড এমন ধারায় হচ্ছে যেখানে থাকছে না মানবতার কোন স্থান।সামাজিক অবক্ষয়ে সমাজব্যবস্থা প্রতিনিয়ত হচ্ছে কলুষিত এবং কলংকিত।যার আকার এতটাই প্রবল যে সাধারণ মানুষের হৃদয়কে রক্তা্ত্ত করে স্তম্ভিত করে দেয়।
সভ্যতার এত উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে সমাজব্যবস্থা এমন একটি পর্যায় এসে পৌছেছে য়েখানে আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে আসলেই আমরা মানুষ না পশু?
হ্যা,আমি শিশুহত্যার কথাই বলছি।এমন পৈশাচিকতা জন্তু-জানোয়ারকেও হার মানায়।হয়তো এমন নারকীয় হত্যাকাণ্ড মানুষ সভ্য হয়ে গড়ে ওঠার আগেও ঘটেনি।মানুষ কতটা পাষণ্ড হলে এমন পৈশাচিক কাজ করতে পারে তা ধারণার বহির্ভূত।
টিকন,সামিউল,আদনান এরা সবাই কোমলমতির নিষ্পাপ শিশু।কিন্তু,সবাই নির্মম হত্যার শিকার।প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে শিশু হত্যা ।কেন এ জঘণ্য পাপকাজ সমাজকে আকড়ে ধরতে চাচ্ছে,কোথায় এর শেষ!
চট্টগ্রামের চান্দগাওয়ের শিশু টিকন।মা গার্মেন্টেসের শ্রমিক।ছোট শিশুর মায়ের জন্য মন কাদে।মায়ের জন্য সময়ে অসময়ে কান্না করা কেড়ে নিল তার জীবন।শুধু মাত্র কান্না করার অপরাধে নির্দয় মামার শাসনের নামে দুঃশাসনের পিটুনীতে মৃত্যু হয় টিকনের।
সিলেটের কুমারগাওয়ে চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ুয়া সামিউল কিছু বিকৃত মানুষের লালসার শিকার হয়ে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।দরিদ্র পরিবারে সন্তান সামিউল সবজি বিক্রি করে সংসারের যোগান চালাতে বাবাকে সাহায্য করত।কিছু সম্পাদশালী লোক সামিউলকে চোরের অপবাদ দিয়ে খুটির সাথে বেধে অমানবিকভাবে নির্যাতন চালায়।সামিউলেল সারা শরীর খুচিয়ে খুচিয়ে মারা হয় যা মধ্যযুগীয় বর্ববরতাকেও হার মানিয়েছে।শিশুটি মৃত্যর পূর্বে পানি চেয়েছিল কিন্তু তাও পায়নি।হত্যাকারীরা পৈশাচিকতার চরম শিখরে পৌছে হত্যার দৃশ্য ধারণ করে ইন্টারনেটে দেয় যা দেখে মানুষের হৃদয় হয়েছে ক্ষতবিক্ষত।
রাজশাহীর পবা উপজেলায় স্ত্রী এর উপর রাগ করে ছয় বছরের আদনানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে এক নির্দয় পিতা।মানুষের মায়া নামক অনুভূতি কি হারিয়ে গেল না যাচ্ছে? কি নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে মানুষের হৃদয়।
শিশুদের উপর এ কেমন বর্বরতা।বাবার হাতে ,মায়ের হাতে কিংবা অন্য মানুষদের হাতে এসব কি ঘটছে?তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এমন লোহমর্ষক ঘটনার বৃদ্ধিতে সকলেই হতবাক!
সর্বশেষ মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ বেচে যায় আট মাসের এক নবজাতক।এগুলো কেন হচ্ছে?কোথায় মানবতা?
শিষ্টচারিতা,মাদকাসক্তি,অসুস্থ রাজনীতি,সৌজন্যবোধ,মূল্যবোধের অবক্ষয়,বেকারত্ত্ব,ইসলামিক শিক্ষার অভাব,পারিবারিক শিক্ষার অভাব,অপসংস্কৃতি,কু-সংস্কার,বিশ্বাসহীনতা,ইন্টারনেট,,মন্যুষত্ববোধ ,বিচার ব্যবস্থা সহ প্রত্যেকটি বিষয় এমন নিকৃষ্ঠতম ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন সামাজিক ব্যাক্তিবর্গ গণ।
দেশের সাধারণ মানুষদের চাওয়া-
প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক,দেশে শান্তি ফিরে আসুক,কোমলমতি শিশু গুলো অকালে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাক।দেশের মানুষের বিশ্বাস সরকারী হস্তক্ষেপ এবং প্রশাসন ব্যবস্থা পারে মানুষের এসব আশাকে সত্য করতে।আমরা এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য আর দেখতে চাই না।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×