সব সম্পর্কই একটা শিল্প। বাড়ীওয়ালার সাথে ভাড়াটিয়ার যে সম্পর্ক তাকেও শিল্পের পর্যায়ে নেওয়া যায়। উদাহরণ দেই -
আমি সব সময় ২৭/২৮ তারিখের মধ্যেই বাড়ী ভাড়া ক্লিয়ার করে ফেলি। নতুন মাস আসার আগেই ঝামেলা শেষ। আর ঈদের সময় সব সময় একটা মজা করি। ঈদের ১০/১৫ দিন আগে ভাড়াটা দিয়া দেই, হোক সে মাসের ৪/৫ তারিখ বলি
- আঙ্কেল, ভাড়াটিয়া হিসাবে আমিতো আর আপনাকে বোনাস দিতে পারবো না। তাই সামনের মাসের ভাড়াটা অন্তত দিয়া দেই। আপনার সপিং এ কাজে দিবো।
আমার যুক্তি হইলো, ভাড়াতো এক মাসেরটা আমি দুই বার দিচ্ছি না! যা দিতেই হবে তা একটু গুছানো ভাবে, শৈল্পিক ভাবে দিতে সমস্যা কি?
ঐদিন বাড়ীওয়ালা ভদ্রলোক আবেগে গদগদ হয়ে বলতেছে
- বাবা আপনারে আমি ভাড়াটিয়া মনে করি না। আপনাকে সন্তানের মত দেখি।
দুষ্টু লোক হয়ত বলবে, তাইলে ভাড়া নেওয়ার কী দরকার! আরে ভাই, বাপের বাসায় থাকলেওতো মাস শেষে একটা খরচ দিতে হয়, নাকি?
একটা জিনিস আমি খুব মেনে চলি। তা হইলো, কেউই কমপ্লেইন পছন্দ করে না। তাই ইলেক্ট্রিক সুইচ, বাথরুমের ট্যাপ ইত্যাদি নষ্ট হইলে নিজে নিজেই ঠিক করে ফেলি। ছোটখাটো সমস্যায় বাড়ীওয়ালাকে জানানোর কোন মানে হয়? শিল্প চর্চা করলে কিছু খরচাপাতি হয়। এইটা সেই "কিছু খরচাপাতি"।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩