পিনাক ৬ লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার কয়েকদিন পরেও খুঁজে না পাওয়াকে অনেকেই লজ্জাজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন । লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর পর ই অনেকেই উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে অনেক কথা বলেছে । কিন্তু দুঃখের বিষয় হল সবচেয়ে কম কথা হয়েছে সবথেকে জরুরী বিসয় নিয়ে ই । লঞ্চ কেন ডুবে গেলো, মুলত কাদের বার্থতা রয়েছে এর পিছনে , ভবিষ্যতে এ রকম যাতে না হয় এসব নিয়ে খুব কম কথা ই বলা হয়েছে ।
যতদূর জানতে পেরেছি তাতে লঞ্চ এর ধারন ক্ষমতা ছিল মোটামুটি ১০০ এর মত কিন্তু যাত্রী উঠেছিলো ৩০০ এর বেশি । লঞ্চ ডোবার মুল কারন ছিল এটাই । এখন কথা হচ্ছে এতো পরিমানে যাত্রী উঠলো সেটা কাদের দোষে যাত্রী দের নাকি লঞ্চ কর্তৃপক্ষের । হ্যাঁ এই দুই দলের কথাই আমাদের মাথায় আসে । কিন্তু দোষ কি শুধুই এই দুই দলের নাকি অন্য কারো দোষ ও রয়েছে ?? কোন যাত্রী নিশ্চয়ই সখের বসে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ওঠে না। তারা বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত যাত্রী হয় । আবার লঞ্চ মালিক রা ও তাঁদের কোন লঞ্চকে বসিয়ে রেখে অন্য লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠায় তা ও কিন্তু নয় । দেখা যাচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী সামাল দিতেই প্রতিটা লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো হয় ।
এ ঘটনা শুধু মাত্র লঞ্চে নয় বাস ট্রেনে ও একই অবস্থা । আজ আমাদের দেশের যোগাযোগ বাবস্থার কেনো এই অবস্থা ? এর মুল কারন আমরা গরীব তা নয় এর মুল কারন আমাদের দুর্নীতি, আমাদের অবহেলা, আমাদের অসচেতনতা ।
যখন কোন বড় ধারনের দুর্ঘটনা শুধু মাত্র তখন কয়েক দিনের জন্য আমাদের মাথা বেথা হয় । কিন্তু এই ঘটনার এই যদি একটু সচেতন থাকা হয় তাইলে অনেকটা কমানো যায় ।
এখনো যোগাযোগ বাবস্থার এই হাল , স্থানে স্থানে দুর্নীতি, প্রশাসনের অবহেলা এসবের দায় কোন ভাবেই সরকার এড়াতে পারে না । শুধু মাত্র মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কয়েকটা টাকা ক্ষতিপূরণ দিলেই সরকারের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। যোগাযোগ বাবস্থার উন্নতি, দুর্নীতি দমন এগুলো সরকারকেই করে হবে.।.।.।.।.।.।