একটি পতাকার জন্য
আমরা একদিন যুদ্ধ করেছিলাম
এক সাগর রক্ত বিনিময় করেছিলাম
মা বোনের সম্ভ্রম রক্ষার ব্যর্থতা মেনে নিয়েছিলাম
শকুন উড়েছিল বাংলার মাঠ ঘাট উঠোনে।
একটি পতাকার জন্য
ধুয়ে গিয়েছিল বধুর হাতের মেহেদী
বরের বাসর হয়েছিল ষ্টেনগানের গুলিতে
হিযরতের পথে সন্তান হারা মায়ের আহাজারী ভরেছিল
পিতার বুক ছিন্ন ভিন্ন হয়েছিল গ্রেনেডে।
একটি পতাকার জন্য
লক্ষ্য করিনি মুসলিম-হিন্দু-খৃষ্টান-বৌদ্ধ
কতটা দহন ও আত্মত্যাগে নাম লেখালো ইতিহাসের পাতায়
বেদের মহুয়ারা কে কোথায় ছিটকে পরে কাঁদছে
পাহাড়ী ভাই-বোনেরা বন্দী হয়েছে কে কোন কারাগারে।
একটি পতাকার জন্য
মেঘেরা করেছিল অন্দোলন বজ্রপাতের ভাষায়
রাজপথ কেঁপেছিল তরুনের সাহসী মিছিলে
শত্রুকে হাতে ধরিয়েছিল পেছন ফিরার নির্দেশনা
সূর্য ওঠা ভোর হয়েছিল শত্রুর পরাজয় ঘটাতে।
একটি পতাকার জন্য
দেশের দামাল ছেলেরা যন্ত্রনার আগুন জ্বেলেছিল
হানাদারের তাবুতে দাউ দাউ করে
মায়ের দোয়া সাথে করে প্রায় শূন্য হাতে
সবুজ মাঠে লাল বৃত্ত নির্মান করেছিল তাজা রক্তে।
একটি পতাকার জন্য
ঘুমায়নি আজও যুদ্ধে না ফেরা ছেলের মা
পতাকা হাতে ছেলে বুঝি আসবে কখনও দরজায়
না পেয়ে ফিরে যাবে নাতো দরজা থেকে?
রোজ প্রার্থনা করেন পতাকার সম্মান রক্ষা পাক আজীবন।
শাহিদা খানম তানিয়া
৩১/০৩/২০১৬ই
একটি গ্রুপে কবিতা প্রতিযোগিতায় এই কবিতাটি লিখে দিলাম.কবিতা দিতে গিয়ে দেখি সময় শেষ, একটু কষ্ট লাগছে। ব্যস্ত ছিলাম বলে লিখতে দেরী হওয়া। যাই হোক কবিতা.. কেমন হয়েছে সেটা কি বলবা তোমরা?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১