somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু প্রশ্ন সবার কাছে.।.।।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবাই আস্তিক নাস্তিক নিয়ে বহুত বাক-বিতন্ডা করে ফেলসেন।এগুলা শুনতে শুনতে প্রায় শেষ আমার মত আম পাবলিকের অবস্থা।আমাদের কিছু করার নাই স্বামী বিদেশ টাইপের অবস্থা।মানুষ হিসেবে বেশ ছোট আমি।তারপরও কিছু জিনিস খেয়াল করলাম বেশ অনেক দিন ধরে।না অভিজিৎ মরার পর থেকে নয় তার আগে থেকে।অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধিদের গনজাগরণ মঞ্চের পর থেকে।ভাই আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে বলছি না।আমার দাদাও যদি যুদ্ধাপরাধী হত না তাকেও আমি ছেড়ে কথা বলতাম না।আমার কথা সেটা না।যা করা হচ্ছে সবই ইসলামের বিরুদ্ধে।আপনি নাস্তিক হন এটা আপনার ব্যাপার।আপনার ভাব মুর্তির ব্যাপার।কিন্তু আপনারা দেশদ্রোহি কোনো কাজ করতে দেখলেই কেন ইসলামকে দোষারোপ করবেন??সব কি ইসলাম ধর্মের লোকরা করে?আপনারা সাধু সুফি।যান মেনে নিলাম আপনারা সাধু।
এবার আসি মুক্তমনা বিষয়টা নিয়ে।এখন নাস্তিকতা একটা ফ্যাশান বলা যায়।আর মুক্তমনা হতে হলে তাকে নাস্তিক হতে হবে মাস্ট।আর বাংলাদেশের মুক্তমনা মানেই ইসলাম বিদ্বেষ।যারা ধর্মটাকে পায়ে পিষে ফেলতে পারবে তারা মুক্ত মনা।কারন এটা বলছি কেন??এই মুক্তমনারাই গণজাগরণ মঞ্চ করেছে।দেশের অনেক তরুনের অনুপ্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু তারা।আর দেশে মুক্তমনা তার পর থেকেই বেড়ে গিয়েছে কিন্তু এই মুক্তমনারা একটা কথাই চিন্তা করতে পারে,ইসলাম বিদ্বেষ।কিন্তু দেশের আর কোনো ব্যাপারে তাদের মুক্ত চিন্তা জেগে উঠে না।
এবার এক্সপ্লেইনেশানে আসি।দেশের শেয়ার বাজার যখন ফল করল কোনো মুক্তচিন্তাবাদীর কলম ফুঁসে উঠেনি।দিনের পর দিন রোড এক্সিডেন্টে মানুষ মারা যাচ্ছে সেটা কোনো মুক্তচিন্তাবিদের কানের কাছেও ঘিষে না।দেশ যখন নিজের সংস্কৃতি হারিয়ে বিদেশী সংস্কৃতিতে বুঁদ তখন কোনো জাগরণ মঞ্চ দেখাও যায় না।জাগরণ মঞ্চের কোনো নারী সদস্য যখন ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়ে দেশ বাঁচাও বলে চিৎকার করে তখন দেশপ্রেম কই যায়?কেউ কি বলেছে তখন যে আসো দেশীয় জামা পড়ে আন্দোলন করতে।হলমার্ক যখন চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে সতেরস কোটি টাক মাফ পায় তখন কেউ তার বিরুদ্ধে যায় না।কেউ চিন্তাও করে না যে তার মাথা থেকে কত টাকা চলে গেছে।সালমান এফ রহমান যে শেয়ার বাজার বা পুরো অর্থনীতি নিয়ে কি খেলাটা খেলছে তাতে কারো কিছুই হয় নি।এগুলো চিন্তা করা কি বদ্ধ চিন্তা?মুক্তচিন্তাবিদরা তো কখনো হা ও করেন না।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল যখন কনফারেন্স ডাকে তখন সেখানে বক্তাই হয় শ্রোতা।দুর্নীতিকে যখন বার বার দেশ তাদের বিশেষহ র্যাংশক রক্ষা করে চলে তখন কারো কলম একটুও জাগ্রত হয় না।রাজনৈতিক দলগুলো যখন মানুষ নিয়ে মরণ খেলায় মেতে ওঠে তখন কারো টণকও নড়ে না।ফেলানীকে যখন তারকাটায় বিঁধ রাখা হয় তার জন্য কি হয়েছিল কনো মঞ্চ?হয় নি।যখন দিনের পর দিন নিরিহ বোনেরা ধর্ষন হচ্ছে কেউ কি কোনো খবর রাখছে?ইন্ডিয়া যে ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে আমাদের পদ্মা শুকে দিয়েছে তা কি কারো দৃষ্টির অগোচরে আছে?না কি মুক্ত মনাদের এগুলো নিয়ে কলম চালাতে সমস্যা?তারা স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে কলম চালাতে চায়,দেশের ভাল চায়।না এগুলো ইসলামিক মৌলবাদীরা করে?আমি গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে বলছি না।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়ায় আমি নিজেও খুশি।কিন্তু দেশের অন্য অসঙ্গতিগুলো?এগুলোর জন্য কি কোনো জাগরণ মঞ্চ নাই?না এতে মানুষের জাগরণ নাই.২০১২ সালে শেয়ার বাজার পতনের ফলে ৪জন আত্মহত্যা করেছে।তাতে কোনো মুক্তমনা সালমান এফ রহমান বা দেশের অর্থনীতিবিদদের কারোইই মাথা চাননি?কেন?
না এগুলোর জন্য আবার বিয়াল্লিশ বছর পর জাগরণ মঞ্চ ?
না হবেই না?না কি শুধু ধর্মকে হেয় করার জন্য এসব?আর উপরে তথ্য মতে মুক্তমনা হতে কি শুধু ধর্মের এগেইনস্টে লিখতে হবে?দেশের অন্য অসংগতিতে চুপ মেরে থাকতে হবে?
দেশের মুক্তমনাদের কাছে প্রশ্ন রইল।
আমি ছোট মানুষ।চেপে যাই।
লেখাটার পর নিশ্চিত আমি ছাগু ট্যাগে ট্যাগায়িত হব।আমার সমস্যা নেই।অসঙ্গতি ধরলে সব ধরতে হবে।সবার সমস্যায় কলম চালাতে হবে।

ব্যান হবার সম্ভাবনা প্রচুর।শুধু কিছু প্রশ্ন করে গেলাম।যার গালি গালাজ যা আছে দিতে পারেন।
৯টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×