somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামী রাজনীতি/ইসলামী রাষ্ট্র বিহীন ইসলাম কোন ইসলামই নয় : পর্ব-১২- আকীদা

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইতিপূর্বে অনেকবার আমি আকীদা শব্দটা ব্যবহার কোরে এসেছি। আকীদা বোলতে কি বোঝায় তা পরিষ্কার বুঝে নেয়া প্রত্যেকটি মুসলিমের(Muslim) অতি প্রয়োজনীয়। কারণ দ্বীনের সব প্রধান প্রধান পণ্ডিতদের সম্মিলিত অভিমত এই যে পরিপূর্ণ ঈমান থাকা সত্ত্বেও আকীদার ভুলে একজন মো'মেনের কার্যতঃ মোশরেক ও কাফের হোয়ে যাওয়া সম্ভব। অর্থাৎ একজন মানুষ আল্লাহ(Allah), রসুল, কোরান, কেয়ামত, হাশর, জান্নাত, জাহান্নাম, মালায়েক ইত্যাদি সর্ব বিষয়ে সম্পূর্ণ ঈমানদার হোয়েও আকীদা ভুল হওয়ার দরুন কার্যতঃ মোশরেক ও কাফের হোয়ে যেতে পারে। ঐ সব বিষয়ে ঈমান পূর্ণ হোলেও যদি মানুষ মোশরেক ও কাফের হোতে পারে তবে অবশ্যই আকীদা ঈমানের চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ, বেশী প্রয়োজনীয়। আসলেও তাই, আকীদা ঈমানের চেয়ে সুক্ষ্মতর, কিন্তু তার চেয়ে বেশী প্রয়োজনীয়। তার প্রমাণ বর্তমান দুনিয়ার মুসলিমদের অবস্থা। কোটি কোটি মানুষের মোকাম্মেল ঈমান, আল্লাহ(Allah), রসুল, কোরান ইত্যাদির ওপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও তারা শেরক ও কুফরের মধ্যে ডুবে আছে, আকীদার ভুলের বিকৃতির জন্য কিন্তু বুঝতে পারছেনা। আকীদা হলো কোন একটি জিনিষ বা ব্যাপার সমগ্রভাবে দেখা বা বোঝা (Comprehensive Concept)। কোন বস্তু বা পদার্থ হোলে সেটির সমগ্রটিকে চোখ দিয়ে দেখে সেটা কি, সেটা দিয়ে কি কাজ হয় এবং সেটার উদ্দেশ্য কি এ সমস্তই সঠিকভাবে বুঝে নেয়া হলো আকীদা এবং কোন বস্তু বা পদার্থ না হোয়ে যদি কোন বিষয় হয় তবে সেটাকে চোখ দিয়ে নয়, বুদ্ধি, যুক্তি, চিন্তা দিয়ে সেটার সামগ্রিক রূপটাকে ধারণা করা, সেটার কাজ কি, সেটার উদ্দেশ্য কি এ সমস্তই সঠিক বুঝে নেওয়া হল আকীদা। অন্যভাবে বলা যায় যে আকীদা হলো দৃষ্টি। বস্তু বা পদার্থ হোলে দৈহিক চক্ষু দিয়ে সে জিনিস বা বস্তুটিকে সম্পূর্ণভাবে দেখা, আর বিষয় হোলে বুদ্ধি, মনের চোখ দিয়ে সামগ্রিকভাবে দেখা ও বোঝা। দুটো উদাহরণের চেষ্টা কোরছি। প্রথমটা বস্তু। সেই সর্বজনবিদিত অন্ধের হাতি দেখার উপমাটাই নেওয়া যাক। পাঁচ জন অন্ধ, তাদের দৃষ্টিশক্তি নেই বোলে হাতড়িয়ে হাতি দেখে পাঁচ জনে হাতি সম্বন্ধে পাঁচ রকম সিদ্ধান্ত করলো। যে শুড় হাতড়ালো তার কাছে হাতি একটা অজগর সাপের মত, যে পা হাতড়ালো তার কাছে থামের মত, যে পেট হাতড়ালো তার কাছে জালার মত, যে কান হাতড়ালো তার কাছে কুলোর মত, আর যে লেজ হাতড়ালো হাতি তার কাছে চাবুকের মত। সবগুলো অভিমতই অবশ্য ভুল। এই ভুলের কারণ মাত্র একটা- সেটা হোচ্ছে এ লোকগুলির দৃষ্টিশক্তি নেই তাই তারা চোখ দিয়ে সমস্ত হাতিটাকে সমগ্রভাবে দেখতে পারে না। যদি দৃষ্টি থাকতো তবে সমগ্র হাতিটাকে একবারে দেখতে পেতো, হাতি দিয়ে কি হয়, ওটার উদ্দেশ্য কি সবই সঠিক হতো, অর্থাৎ হাতি সম্বন্ধে তাদের আকীদা সঠিক হতো। তাদের হাতড়াবার প্রয়োজনই হতো না, যেমন বিশ্বনবীর (দঃ) আসহাবদের হাতড়াবার অর্থাৎ ইসলাম(Islam)কে বিশ্লেষণ করার কোন প্রয়োজন হয়নি। কারণ তাদের আকীদা শেখা ছিল স্বয়ং রসুলের (দঃ) কাছ থেকে।

বস্তু বা পদার্থ না হোয়ে কোন বিষয় হোলে তখন দৈহিক চক্ষু না হোয়ে প্রয়োজন হবে মস্তিষ্কের, বুদ্ধির, মনের চোখের, যুক্তির চোখের। উদাহরণরূপে ধরুণ আপনাকে চোখ বেঁধে স্টেশনে দাঁড়ানো ট্রেনের একটা বগী অর্থাৎ কামরায় নিয়ে যেয়ে আপনার চোখের বাঁধন খুলে দিলাম। তারপর আপনাকে বোঝালাম এই যে, আপনাকে যেখানে নিয়ে এসেছি এটা একটা বসবাস করার ঘর। এই দেখুন এই যে গদীমোড়া বিছানা, এই যে টেবিল, ইলেকট্রিক বাতি, পাখা, মাথার কাছে পড়ার বাতি, দরজা, জানালা, এই যে পাশেই টয়লেট, পেশাব-পায়াখানা-হাতমুখ ধোয়ার বেসিন, পানি ইত্যাদি বসবাস করার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই আছে। সুতরাং আপনি এখানে সুখে বসবাস করুন। অতি শক্তিশালী যুক্তি। আপনি যদি ঐ যুক্তি শুনে বিশ্বাস করেন যে ট্রেনের ঐ কামরা সত্যই বসবাস করার জন্য তৈরী করা হোয়েছে তবে আপনার আকীদা অর্থাৎ ঐ কামরার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ধারণা (Comprehensive Concept) ভুল হলো। বসবাস করার সমস্ত আয়োজন ওখানে থাকা সত্ত্বেও ওটার উদ্দেশ্য বসবাস করার জন্য নয়, ওটার উদ্দেশ্য আপনাকে সিলেট বা চট্টগ্রাম বা দিনাজপুর নিয়ে যাওয়া। আপনি শুধু ওটাকে আংশিকভাবে দেখছেন বোলে বুঝতে পারছেন না ওর আসল উদ্দেশ্য কি। আপনি কামরাটা থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে খানিকটা দুরে থেকে কামরাটাকে দেখুন। এবার আপনি দেখতে পাবেন ঐ কামরার নিচে চাকা লাগানো আছে অর্থাৎ ওটার চলার জন্য। তারপর আরও একটু দূরে যেয়ে দেখলে সম্পূর্ণ ট্রেন, সেটার ইনজিন, রেলের লাইন সব চোখে পড়বে। এইবার আপনি আপনার বুদ্ধি, যুক্তি, ব্যবহার কোরলেই বুঝতে পারবেন যে বসবাস করার সব রকম ব্যবস্থা থাকলেও ঐ কামরার উদ্দেশ্য তা নয়, ওর আসল উদ্দেশ্য হলো আপনাকে দূরে কোন গন্তব্য স্থানে নিয়ে যাওয়া। এইবার আপনার আকীদা (Conception) সঠিক হলো। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে একবারে সম্পূর্ণভাবে কোন বস্তু, পদার্থ বা বিষয়কে না দেখে ওগুলোর অংশ বিশেষকে দেখে ওগুলো সম্বন্ধে সঠিক আকীদা করা যায় না। নাট-বল্টু দেখে যেমন কখনও বলা যাবে না যে ওটা কেমন ইঞ্জিনের অংশ, তেমনি কোন জীবন-ব্যবস্থা, দ্বীনের কোন অংশ দেখে বলা যাবে না, ওর সমগ্র রূপটি কি, ও উদ্দেশ্য কি। ঠিক ওমনিভাবে ওমুক কাজ কোরলে অত হাজার সওয়াব লেখা হয়, ওমুক দোয়া পড়লে অত লক্ষ সওয়াব হয় থেকেও ইসলামে(Islam)র আসল উদ্দেশ্য বোঝা যাবে না। অনেকটা এই ভাবেই এই শেষ জীবন-ব্যবস্থা শেষ ইসলামে(Islam)র প্রকৃত আকীদা লুপ্ত হোয়ে গেছে। বসবাসের আসবাবপত্র দেখে ট্রেনের কামরাকে তাই মনে কোরে সেখানে আরামে বাস কোরতে থাকলে যা হবে আজ মুসলিম উম্মাহর তাই হোয়েছে। আজ তার কোন গন্তব্যস্থান নেই, কোন উদ্দেশ্য নেই, দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের কামরায় সে বাস কোরছে। এই আকীদা বিকৃতির মূলে সেই অতি বিশ্লেষণ, সেই ভারসাম্যহীন বিকৃত-সুফীবাদ, সেই সেরাতুল মুস্তাকীম, সরল-সহজ পথকে ত্যাগ।

এই উম্মাহর আকীদার বিকৃতি কখন এলো? বিশ্বনবী (দঃ) তাঁর উম্মাহকে যে আকীদা শিক্ষা দিয়ে গেলেন সেটা হলো এইঃ- ক) মানব জাতির মধ্যে বিদ্যমান সমস্ত রকমের রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক অন্যায়, অত্যাচার দূর করা সম্ভব মাত্র একটি উপায়ে এবং সেটি হলো আল্লাহ(Allah)র দেয়া সংবিধান অর্থাৎ কোরান মানব জাতির জাতীয় ও ব্যক্তি জীবনে প্রতিষ্ঠা ও প্রয়োগ। খ) ঐ প্রতিষ্ঠা ও প্রয়োগের দায়িত্ব দিয়ে আল্লাহ(Allah) তাঁর শেষ নবীকে (দঃ) পৃথিবীতে প্রেরণ কোরেছেন (কোরান - সূরা আল ফাতাহ -২৮) এবং যেহেতু ঐ বিরাট কাজ এক জীবনে সম্ভব নয় তাই তার চলে যাবার পর সে দায়িত্ব অর্পিত হোয়েছে তাঁর সৃষ্ট উম্মাহর ওপর। গ) যেহেতু সবিনয়ে নিবেদন কোরলেই কাফের ও মোশরেক মানব জাতি তা গ্রহণ কোরবে না, অন্যায়ের মধ্যেই বাস কোরবে, তাই সশস্ত্র সংগ্রাম কোরে তাদের রাষ্ট্রশক্তি অধিকার কোরতে হবে যাতে তারা ঐ সংবিধানের সুফল ঘনিষ্টভাবে, প্রত্যক্ষভাবে দেখে সেটাকে স্ব-ইচ্ছায় গ্রহণ করে [হাদীস- আবু যর (রাঃ)]। ঘ) ঐক্যবদ্ধ, সুশৃংখল ও সুশিক্ষিত জাতি ও বাহিনী ছাড়া কোন সংগ্রাম, সশস্ত্র সংগ্রাম সম্ভব নয় তাই ঐ ঐক্য ও শৃংখলা শিক্ষার প্রক্রিয়া হলো সালাত (নামায)। কিন্তু (সালাত) নামায উদ্দেশ্য নয়, প্রক্রিয়া মাত্র। ঙ) অর্থাৎ বিশ্বনবীকে (দঃ) প্রেরণ, সংবিধান কোরান অবতরণ, উম্মতে মোহাম্মদী নামে এক দুর্দ্ধর্ষ অপরাজেয় যোদ্ধা জাতির সৃষ্টি সবই একটি মাত্র উদ্দেশ্য এবং সেটা হলো মানব জাতির মধ্য থেকে সমস্ত রকমের অন্যায় (যুলম, ফাসাদ) ও রক্তপাত (সাফাকু দ্দিমা) শেষ কোরে সেখানে সুবিচারও শান্তি প্রতিষ্ঠা কোরে ইসলিসের চ্যালেঞ্জে আল্লাহ(Allah)কে জয়ী করানো।

আকীদা শব্দটির মূল হলো আক্দ। আক্ষরিক অর্থ হলো গেরো, গিট, গ্রন্থি। আমরা এই শব্দটাই ব্যবহার করি বিয়ের ব্যাপারে। একটি পুরুষ ও একটি নারীকে আক্দ করিয়ে দেওয়া অর্থাৎ দুজনকে গেরো দিয়ে বেঁধে দেয়া, গ্রন্থিতে আবদ্ধ করা। আকীদার বেলাতেও ঐ একই অর্থে ব্যবহার করা হোয়েছে। যে ভাব, ধারণা ও অভিপ্রায়ে আকীদা শব্দ ঈমানের ব্যাপারে প্রয়োগ হোয়েছে তা এই রকমঃ আল্লাহ(Allah), রসুল, মালায়েক (ফেরেশতা), কেয়ামত, জান্নাত, জাহান্নাম, তকদীর ইত্যাদি যে সমস্ত ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস (ঈমান) মোমেন ও মুসলিম হোতে গেলে অত্যাবশ্যক, সেগুলির প্রত্যেকটিকে এক একটি ফুল মনে করুন। এই বিভিন্ন ফুলগুলি দিয়ে একটি মালা গাঁথতে হবে। ঐ ফুলগুলির মধ্য দিয়ে সুতো পরিয়ে সূতোর দু'মাথায় একটি গেরো দিতে হবে। এই গেরো বা গ্রন্থিই আকীদা। এই গেরো না দিলে সব ফুল চারদিকে ছড়িয়ে ছিটকে পড়ে যাবে। ফুলগুলি যত সুন্দরই হোক, যত সুগন্ধীই থাকুক, আসল উদ্দেশ্য যে মালা, সেই মালা হবে না। মালা না গেঁথে শুধু ফুলগুলি কারো গলায় পরান যাবে না। অর্থাৎ ঐ গেরো ছাড়া অতসব সুন্দর, সুগন্ধীযুক্ত ফুলগুলি অর্থহীন কারণ আসল উদ্দেশ্য হলো ঐ মালা। আলাদা আলাদা ফুলগুলি শুধু ফুল, তারপর ঐ গ্রন্থি, গিঁট দিলেই তখন আর ফুল রইলো না, তখন সব ফুল মিলে নতুন আরেকটি জিনিষ সৃষ্টি হলো, সেটা মালা। আল্লাহ(Allah) ও রসুল (দঃ) মোমেনদের কাছে ঐ মালা চান। তাই বড় বড় ফকীহরা বোলেছেন- যথার্থ (মোকাম্মেল) ঈমান থাকা সত্ত্বেও আকীদার অভাবে বা বিকৃতিতে মানুষ মোশরেক ও কাফের হোয়ে যেতে পারে। এবং তাই হোয়েছে, পৃথিবীময় নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি ছাড়াও বহু নফল এবাদত হোচ্ছে, কিন্তু ঐ গিঁট, গ্রন্থির অভাবে সব ছড়িয়ে ছিটকিয়ে পড়ে আছে। মালা নেই এবং মালা নেই বোলেই ঐ সব সুন্দর ফুলগুলির কোন দাম নেই। এই কারণেই নবী করিমের (দঃ) সেই বাণী- এমন সময় আসবে যখন মানুষের রোযা শুধু না খেয়ে থাকা হবে, তাহাজ্জুদ ঘুম নষ্ট করা হবে।

গ) ঐ মালা হলো উম্মতে মোহাম্মদী এবং তার চরিত্র, এবং উম্মতে মোহাম্মদীর এবং তাঁর চরিত্রের উদ্দেশ্য হলো সংগ্রামের মাধ্যমে সমস্ত পৃথিবীতে আল্লাহ(Allah)র সার্বভৌমত্ব কায়েম কোরে তার সংবিধান প্রতিষ্ঠা কোরে ইসলিসের চ্যালেঞ্জকে পরাজিত কোরে ঐ বিজয়ের মালা আল্লাহ(Allah) ও তার রসুলের গলায় পরিয়ে দেওয়া।

এই আকীদার বিকৃতির ফলে শুধু যে ইসলামে(Islam)র মূল উদ্দেশ্য হারিয়ে গেছে তাই নয়, এর ছোটখাট উদ্দেশ্যও বিকৃত হোয়ে গেছে। একটি অতি সাধারণ ব্যাপার নিন। আল্লাহ(Allah) ও তার রসুল (দঃ) মেয়েদের পরদা (হিজাব) কোরতে আদেশ দিয়েছেন। কেন? উদ্দেশ্য কি? উদ্দেশ্য হোচ্ছে আঁটশাট কাপড় পোরে, অর্দ্ধনগ্ন হোয়ে যুবতী, তরুণী মেয়েরা ঘুরে বেড়ালে তাদের দিকে চোখ পড়লে মানুষের আদীম প্রবৃত্তি স্বভাবতঃই মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। তাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত আত্মসংবরণ কোরতে পারবে না, অন্যায়ে লিপ্ত হোয়ে পড়বে, পরিণতিতে হয়ত অন্যের সঙ্গে সংঘাত হবে, হয়ত পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হবে, মোট কথা নানাভাবে সমাজে অশান্তি, গোলযোগ সৃষ্টি হবে, আত্মারও অবনতি হবে। তাই ঐ পরদার, হেজাবের আদেশ। ঐটাই উদ্দেশ্য বোলে যেসব মেয়েদের বয়স বেশী হোয়েছে, যারা প্রৌঢ়া, বৃদ্ধা হোয়েছেন অর্থাৎ যাদের দেখলে কোন প্রবৃত্তি উত্তেজিত হবে না তাদের ঐ পরদা থেকে রেহাই দেয়া হোয়েছে। আজকাল পথেঘাটে দেখবেন প্রৌঢ়া, বৃদ্ধা মা, দাদীরা কিম্ভুত কিমাকার বোরকায় আপদমস্তক ঢেকে আছেন আর তাদের সঙ্গে আধুনিক, মেকআপ করা অর্দ্ধ নগ্না মেয়ে, নাতনীরা বাজারে বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অর্থাৎ যে উদ্দেশ্যে পরদা করার আদেশ হোয়েছে তার ঠিক উল্টোটা করা হোচ্ছে। কারণ ঐ একই-উদ্দেশ্য কি, তা বোঝার শক্তির অভাব, আকীদার বিকৃতি। ইসলামে(Islam)র প্রতিটি ব্যাপারে আজ ঐ অবস্থা। আল্লাহ(Allah) রসুল যে উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট কোরে দিয়েছিলেন আজ ঠিক তার উলটো উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে, মূল ব্যাপারে উদ্দেশ্যই নেই।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×