গুরুজী স্নিগ্ধচোখে অতল গভীরতা নিয়ে আমাকে দীক্ষা দেন
তার জ্ঞানগর্ব প্রতিটি কথায় আমি মুগ্ধ হয়ে থাকি
তারপর সস্নেহে পিঠে হাত বুলিয়ে বলেন যাহ!-
-জগৎ ভ্রমিয়া দ্যাখ ।
তারপর কয়েকশত সৌর বছর পর ভ্রমণপথে
গুরুজীর সাথে দেখা , তাঁর অবয়ব ঠিক আগের মত
একটি ছায়াবৃক্ষের নিচে বসে ভক্তজনদের দীক্ষা দিচ্ছেন।
আমি সহাস্যে এগিয়ে প্রণাম জানাতেই তিনি ভ্রু কোচকে তাকালেন !
-আমাকে চিনতে পারলেন না ।
অবশেষে নিজের পরিচয় ব্যক্ত করতেই তিনি
অঙ্গুলি নির্দেশে বসে পড়তে বলেন ।
তিনি নতুন নতুন পাঠ শিক্ষা দিতে থাকেন
আমি আদি পাঠ থেকে মিলাতে গিয়ে খোঁচট খাই।
গুরুজী সেই আদি থেকে অন্তহীন
নতুন দীক্ষায় দিক্ষিত করতে থাকেন
ভাবি আর রাত জাগি, প্রতি রাতে খুন হয়ে যাই
গুরুজিকে আমার বেদনা শুধাই
তিনি বলেন অতীত ভুলে যাও
জীবন শুধুই বর্তমানে
অতীত ও ভবিষ্যৎ দু'কূলেই ধোয়াশা।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫