সুন্দর, সুখী ও উন্নতমানের জীবন যাপনের জন্য সমাজকে শিক্ষিত ও দারিদ্রমুক্ত হতে হবে; সাথে সাথে শারীরিক ও মাসিকভাবে সুস্হ থাকতে হবে। শারীরিক ও মাসিকভাবে সুস্হ থাকার জন্য দরকার: জ্ঞানচর্চা, অবসর, বিনোদন, খেলাধুলা। গ্রীক জাতি প্রাচীনকাল থেকে খেলাধুলাকে জীবনের অংশ করেছে, গ্রীকেরা নিশ্চয় আমাদের জাতি থেকে বেশী জ্ঞান রাখে। আজকের বিশ্বে খেলাধুলা মানুষের সামাজিক জীবনের অংশ হয়ে গেছে। আমরা আমাদের মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে এত বিতর্কে জড়াচ্ছি কেন? কারণ, আমাদের মাঝে অশিক্ষিত ও কুশিক্ষিত, জীবনভাবনাহীন লোকজন আছে, যারা উন্নত মানব সমাজ থেকে আমাদেরকে আলাদা করে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে; বেশ দীর্ঘ সময়, অশিক্ষিত ও কমশিক্ষিত লোকজন আমাদের জাতিকে পরিচালনা করে আসছে, আমাদের জীবনকে অতিষ্ট করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই।

যারা আজকের সময়ের তুলনায় কমশিক্ষিত, কুশিক্ষিত ও অশিক্ষিত, তাদের কথায় আমরা চলতে থাকলে জাতি আরো আরো অধপতনের দিকে যাবে; আমরা ইতিমধ্যে মানহীন শিক্ষা, বেকারত্ব ও অনৈক্যে ভুগছি; আমরা যদি এসব কমশিক্ষিতদের কথায় চলি, আমাদের ভবিষ্যত কি হবে? আরো ভয়ংকর হবে।

পৃথিবীর সব জাতির পুরুষেরা খেলাধুলা করছে, মেয়েরা খেলাধুলা করছে, ভালো আছে; আমাদেরগুলো ৪০ শে বুড়াবুড়ি। আমাদের মাঝে যারা বলছে, মেয়েরা খেলতে পারবে না, তারা কি জাপান, গ্রীস, কানাডা কিংবা সুইডেনের মানুষ থেকে বেশী জ্ঞানী? আসলে ওরা গড় বাংগালী থেকেও কম বুদ্ধিমান; আমরা কি ওদের কথায় চলতে পারবো? ওদেরকে থামানো দরকার, ওরা বেকুবী কথা বললে, ওদেরকে দেশের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে; ওরা মানব সংস্কৃতিকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে।

আমাদের ভুল শিক্ষা ব্যবস্হা এখনো শিক্ষার ১টি ভুল শাখাকে চালু রেখেছে, উহা হলো মাদ্রাসা। মাদ্রাসা অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের অক্ষরজ্ঞান দিচ্ছে; কিন্তু মাদ্রাসার গ্রেজুয়েটরা যা শিখে, উহার মুলে রয়েছে জীবন সম্পর্কে ভুল ধারণা। মাদ্রাসার বাহিরেও, অনেক স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে জীবন সম্পর্কে ভুল ধারণা দেয়া হচ্ছে; ফলে, আমাদের মানুষের শিক্ষা বিশ্বমানের হচ্ছেনা, আমরা সবকিছুতে পেছনে পড়ে যাচ্ছি। শিক্ষাকে বিশ্বমানের করতে হলে, জাতির জীবনকে শান্তিময় করতে হলে, ভুল ধারণার লোকজনকে সমাজের নেতৃত্ব থেকে সরাতে হবে।