একদিন প্রাকটিকাল করব এই বলে সবাই যার যার বাসা থেকে বের হলাম । মাকে বল্লাম যে বন্ধুর বাসায় থাকব, এমনিতে মা বাসার বাহিরে যেতে দেয় না রাএি বেলায়, একমাত্র ছেলে বলে কথা, বৃথা যায় না সকল চাওয়া পাওয়া হি হি , সবাই এক হলাম রাত ১০টার দিকে আগে থেকে পরিকল্পনা যে বাহিরে থাকব, ডিসিশন হল টাউন এর দিকে যাব কি করব তখন জানি না।শহর বাসা থেকে ৪-৫ কিমি., রিষ্কা ভাড়া করলাম ২টা ৬ জন মিলে ,শহরে নামলাম খিদা লাগছে হোটেল এ গেলাম রাত তখন ১০.৩০মি. খাওয়া দাওয়া শেষ করে বের হলাম হঠাৎ সিনেমা হল দেখলাম সামনে ছবি শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে, পাগলামো আর যায় কোথায় টিকিট কিনে ঢুকে গেলাম হলে ,পাঠকবৃন্দ সিনেমার নাম শুনে দয়া করে হাসবেন না, আমি একটু হাসতে হাসতে নামটা বলি নরপিশ্চাশ হা হা হা . সিনেমা হলের যা অবস্থা কোন মতে পিছনে বসলাম আর ৫মিনিট পর থেকে মশা আর ছার পোকার কামর যাই হোক সেচ্ছায় মশাকে রক্ত দান কর্মসূচী , আর সিনেমার যা অবস্থা যায় না তার বর্ননা করা ,বাংলা সিনেমার কালের ঘন্টা বাজছে বুঝতে আর বাকি নেই । যে যার মত করে ঘুমিয়ে নিলাম সিনেমা হলে । টিক ১২.৩০ এ সিনেমা হল থেকে বের হলাম ,মজার বেপার হোল সব রিস্কা ভাড়া চায় বেশী , হঠাৎ করে শব্দ পেলাম ট্রেন এর চিন্তা অসল যে যে প্রতি দিন ট্রেন এর ইঞ্জিন যায়, বাসার কাছে ইঞ্জিন ঠিক করায় ব্যস চলে আসলাম ইস্টিশনে , এ দেখি আর এক দুনিয়া শীতের সময় যে যার মত শুয়ে আছে গরীব লোকগুলো ,অনেক এ আবার বসে আছে ট্রেন এর অপেক্ষায় , যাই হোক পেয়ে গেলাম ইঞ্জিন যে যার মতন উঠে পরলাম ঠিক ৮-১০ মিনিট এ পৌছে গেলাম , ক্যামপাসের ভিতর দিয়ে হাঠতে লাগলাম , এক সেন্ট্রি জিঞ্জেস করল ভাই আপনারা কোথা থেকে আসলেন ,আমার পাগল বন্ধুটি বল্লল মেলা কাম করে আসলাম বলে হাটতে থাকলাম ,কিছু দুরে যেতেই পিকআপ আসল আর ব্যাটা সেন্ট্রি বলে দিল আমাদের কথা ,বুঝতে পারলাম সাদা পিকআপটি বুঝি আমাদের পিছনে আসছে ,পাশে নদীর পার এর গলি দৌর দিলাম , আমি একটু দুরে আম গাছের পিছনে বসে কোনা মানে আমার চশমা পরা বন্ধুটি আমার পিছনে শুয়ে আছে এমনিতে বৃষ্ঠি পড়েছে কাদা কাদা হয়ে আছে সব , মনে মনে হাসতেছি আবার ভয় পাচ্ছি কারন পিকআপ টা নদীর পাড় এ ঢুকেছে আর ফোকাস মেরে বসে আছে পাজি ব্যাটা যাচ্ছেনা আর ধরা পড়লে বিচার যেতে পারে বাসায় ,বিচার গেলে শেষে আর কোনদিন বিশ্বাস করবে না মা ।অনেক প্রশ্ন হবে ধরা পড়লে , আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল এরা র্যাব হা হা ,ভাল কথা বাকিরা কোথায় , বাকিরা বড় জাম গাছের তলায় কাদামাটি মেখে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে যেন হানাদার বাহিনি সামনে ,পিকআপ থেকে ততখন কিছু সেন্ট্রি বের হলো আর সামনের দিকে আসতে থাকল ,আমি ঠিক করলাম দৌর দিব ,আল্লাহর মেহেরবানী ঠিক গাছ পর্যন্ত আসল পরে পিকআপ এ ফিরে বসে থাকল তাও যায় না এমন ভাব যেন আপরাধী পাইছে ,ফিস ফিস করে বল্লাম চল যাই দৌর দি , একজন বললে মানে ওরে জামাপ্যন্ট সব কাদায় গেছে পাজি ব্যাটাদের ঢিলদে ,যাইহোক ৩ ঘন্টা এইভাবে কোন অপরাধ না করে, রাত বাজে ৪-৫টা কার বাসায় যাব সব আতঙ্কে পিকআপ চলে গেছে, সারা রাত নদীর পাড় এ কাটালাম ,সকাল হলে নদীর পানি দিয়ে গঙ্গাস্নান করে পরিষ্কার হয়ে কাপড় রোদে শুকিয়ে বাড়ি ফিরলাম । কানে ধরলাম আর এই রকম হবে না ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:১২