somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এলোমেলো চিরকুট... (৩)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১.
অনেক রাতে বাসায় ফিরে জানালা খুলতেই সেইরকম গন্ধে টের পেলাম এক মাথা-নষ্ট গাছের প্রতিবেশী হয়ে আছি। জানালার বাইরের পাগলা কদম গাছটা নভেম্বরে আরেক দফা ফুল ফুটিয়ে বসে আছে। অবশ্য আবহাওয়ার বেসামাল অবস্থাতে এ বেচারাও সম্ভবত বেশ বিভ্রান্ত হয়ে আছে। সকাল বেলা উপর থেকে অনেক দিনের বৃষ্টি না হওয়া ধুলো জমা পাতাগুলোর মাঝে ফুলগুলো দেখতে ভাল লাগল না। বৃষ্টি ভেজা পাতা না হলে কদম ফুলগুলোর রূপ ঠিক খোলে নাহ।

২.
শরৎ মিয়া এবার বেশ ফাঁকিবাজি করে পার হতে চাচ্ছে। অবশ্য ঢাকার কুৎসিত আকাশে শরৎ দেখতে চাওয়াটাই একটা বেকুবি। তবে সন্ধা গুলো মাঝে মাঝে বেশ জল রং গোলানো আকাশ দেখাচ্ছে। আর ওই সময়ের হুটহাট হিমেল বাতাস হুদাই মনটা খারাপ করে দেয়। ইচ্ছে না থাকলেও ওই সময়টা আমার ঘরে ফেরার সময় হওয়ায় হাটতে হাটতে মাঝে মাঝেই আকাশের দিকে চোখ চলে যায়।
সময়গুলো বেশ তাড়াহুড়ো নিয়ে দৌড়ুচ্ছে। এই সেদিন বছরটা মাত্র আরম্ভ হলা আর এটুকু এসেই দশটা মাস ফুড়ুৎ!
হচ্ছেটা কি?

৩.
বাংলা-মাধ্যমে পড়া যে কারও কাছে নভেম্বর ডিসেম্বর মাসের একটা আলাদা আবেগ আছে। ফাইনাল পরীক্ষা নামের পুলসিরাত আর সেটা পার হবার আনন্দের মাস ছিলো এই দুটো মাস। শীতের সকাল বেলায় কাঁপতে কাঁপতে জেলাস্কুলের রোদ না ঢোকা সেই ক্লাসরুম গুলোতে পরীক্ষা। লেটার প্রেসে ছাপা প্রশ্নপত্রের বিশ্বাসঘাতকতা, ইকোনো-ডিএক্স কলমের থ্যাবড়ানো কালির জঘণ্য হাতের লেখা, লাল আর সাদা রঙের আমার সেই পুরানো টিনের জিওমেট্রি বক্সটা। আর পরীক্ষা শেষ হলে করব এমন জমিয়ে রাখা একগাদা কাজ (যা কখনোই আর করা হত না) আর তিন গোয়েন্দা। আহ... অন্য একটা জীবন মনে হয় এখন। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এই তিন মাস এইসব টুকরো টুকরো ছবিগুলো খুব... খুব নস্টালজিক করে দেয় মাঝে মাঝে।
আর অনেক দিন পর আলমারি থেকে বের করা গতবছরের শীতের কাপড়ে ন্যাপথলিনের সেই গন্ধ আর উঠোনের রোদে মেলে দেওয়া লেপের মার্কিন কাপড়ের সেই লাল রঙের ওম ওম ভাব... আহ!
এইসব মনে পড়লে ধ্যাত্তেরি যাইগা বলে ফিরে যাবার পুরানো ইচ্ছেটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

এইচএসসির পর যখন প্রথমবারের মত অনেক দিনের জন্য ঢাকা আসব, ভোর বেলার বাস ধরার আগে বড়পুলের মোড়ে অজয়দার সাথে দেখা হয়েছিল। "...তুমিও যাইতাছো! আর তো ফিরবানা জানি", এই কথাটার মানে তখন বুঝিনি, এখন মাঝে মাঝে বোঝার চেষ্টা করি।
১০টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×