আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম থাকবে। এ অবস্থায় দলের পাশে থাকা জরুরি- এই ভেবে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে ফিরতে চাইছেন। তবে এ জন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে তারেক রহমানের। তাই এখনই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বদলে স্বামীর সঙ্গেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
জোবায়দা রহমান।সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পাঁচ বছরের বেশি সময় ছুটিতে বিদেশে কাটানোর নিয়ম নেই।
সরকারি চিকিৎসক জোবায়দা রহমানের ছুটির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। তাই চাকরির কারণে মে মাসে দেশে ফেরার কথা ছিল জিয়া পরিবারের বধূর।জোবায়দা রহমান অসুস্থ তারেক রহমানের চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লন্ডনে যান। সে হিসেবে তার ছুটির মেয়াদ পাঁচবছর হতে চলেছে। এ অবস্থায় চাকরি টিকিয়ে রাখতে হলে তাকে দেশে ফিরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। লন্ডনে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওএসডি কর্মকর্তা হিসেবে জাতীয় হৃদরোগ
ইনস্টিটিউটে এমডি কার্ডিওলজি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন
জোবায়দা রহমান।
প্রয়াত নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল এডমিরাল মাহবুব আলী খানের
ছোট মেয়ে ডা. জোবায়দা দেশের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ
না হলেও ওয়ান ইলেভেনের প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান, আরাফাত
রহমান কোকো ও খালেদা জিয়া কারাগারে গেলে এই পরিবারের দেখভাল করতে গিয়ে প্রকাশ্যে আসেন। সেসময় স্বল্পভাষী এ রমণী সবার নজর কাড়েন। চিকিৎসার জন্য তারেক রহমান লন্ডনে গেলে পরবর্তী সময়ে তিনিও তার সঙ্গে যান।
বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন জোবায়দা। চলমান রাজনৈতিক সংকটাবস্থায় বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াও প্রচণ্ড নিঃসঙ্গতা অনুভব করছেন। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের জন্য তিনি ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন।বিশেষত খালেদা জিয়া দৌহিত্র জায়মা রহমানের শূণ্যতা প্রায়ই অনুভব করেন।
জানা যায়,আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে জোবায়দা রহমান। ঢাকা-১৩ অথবা সিলেট সদর আসন থেকে দলীয় প্রার্থী হতে পারেন তিনি ।
সূত্র:ঢাকা টাইমস