somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন আমরা সংযম, ত্যাগ ও আত্মসুদ্ধির মাসে, একটু ত্যাগী ও সংযমী হই।

০১ লা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে নিত্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অনেক কমিয়ে দেয় এবং ব্যবসায়িরা লাভ কম করে, অথচ আমাদের দেশের চিত্র উল্টো, সব কিছুর দামই যেন আকাশ ছোঁয়া, কে কার চেয়ে বেশী দামে বিক্রি করবে তার একটা প্রতিযোগীতা, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবং এ দ্রব্যমূল্যের এ দামের কারনে আয়-রোজগারহীন , স্বল্পআয়ের মানুষের পক্ষে ঠিক মতো ইফতার ও সেহরীর খাবার যোগার করা কঠিন হয়ে যায় ।

সামনে পবিত্র রমজান, এ মাস ত্যাগের মাস। এই ত্যাগের মাসে আসুন আমরা একটু ত্যাগ স্বীকার করি , আমাদের সামান্য ত্যাগ, এনে দিতে পারে গরীব আত্মিয়-স্বজণ এর মুখে একটু হাঁসি ও একটু স্বাছন্দ। এখন বলতে পারেন রমজান ত্যাগ শিক্ষা দেয় ঠিক কথা, কিন্তু আমরা আবার কি ত্যাগ স্বীকার করতে পারি। এবং মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীরা একটু বেশী অবদান রাখতে পারি।

হাঁ শুধু মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীরাই শুধু এই ত্যাগ স্বীকার করতে পারি। কারন এ সুবিধা শুধু মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের ই আছে। যাক কথা না বাড়িয়ে আসল কথায় আসি।

মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীরা সবাই কম বেশী জানি যে মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশে রমজানের সময় ইফতার সরকারী ভাবে মসজিদে করানো হয়, এবং প্রবাসীদের মধ্যে বড় একটা অংশ মসজিদে ইফতার করে, যার অনেক গুলো কারন আছে।

যেমন:১) সময়ের অভাবে অনেকে কাজ থেকে ফিরে ইফতার তৈরী করার মতো মানসিকতা ও শক্তি প্রায় হারিয়ে ফেলে, তাই কাজ থেকে ফিরার পরথেকে ইফতার এর আগের সময়টুকু একটু বিশ্রাম নেয়, এবং ই্ফতার এর সময় মসজিদে চলে যায়।
২) আর যারা অল্প বেতনে কাজ করে তাদের তো টাকার অভাবটাই বড়।
৩)অনেকে বেশী সাওয়াব এর আশায় মসজিদে ইফতার করে।
৪) অনেকে জামায়াতে নামাজ পড়ার জন্য।
যাক সে সকল কথা, কে , কি কারনে ইফতার করে তা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।

মধ্যপ্রাচ্যের ভাইদের প্রতি আমার আহ্ববান আমরা রোজার এক মাস ঘরে ইফতার করতে বাংলাদেশের টাকার জন প্রতি কম করে হলেও প্রায় ৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয় । আমরা যদি ঘরে ইফতার না করে মসজিদে ইফতার করি, ইফতারের খরচের টাকা গুলো আমাদের গরীব আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে দান করি , তা হলে ‌এই লাগামহীন দ্রব্যমুলের সময়ে গরীব আত্মীয় বা প্রতি বেশীর অনেক উপকার হবে । আমাদের অনেক প্রতিবেশী ও আত্মীয় আছে যারা লজ্জার কারনে কারো কাছে চাইতে পারে না।
আমরা প্রাবাসী দের সবচেয়ে বড় ত্যাগ, আমরা প্রাবাসে থাকি । মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব থেকে অনেক দূরে। আর এটাতো সামান্য।

শুধু প্রবাসীরাই নয়, দেশে যারা আছে তারা একটু চেষ্টা করলেই গরীব- দূ:খীর মুখে হাঁসি ফুটাতে পারেন। প্রশ্ন হলো কি ভাবে? দেশেতো মধ্যপ্রাচ্যের মতো সরকারী ভাবে মসজিদে ইফতার করানো হয় না।
তা হলে বলি:

দেশে যারা আছে তারা ইফতারের ও সেহরীর তালিকা থেকে বিলাসী, অপ্রয়োজনীয়, এবং স্বাস্থ্য কর নয় (মানে সারাদিন সিয়াম সাধনা করার পর তৈলাক্ত খাবার শরীর এর জন্যে উপযুক্ত নয়) এমন এক বা একাধিক খাবার ইফতার ও সেহেরীর থেকে বাদ দিয়ে তার মুল্য গরীব আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে দান করার মাধ্যমে করা যায়।

এত করে আপনার স্বাস্থ্য ও ভাল থাকবে এবং আপনার গরীব আত্মীয় বা প্রতিবেশীর মুখে ইফতার ও সেহেরী জুটবে, এবং আখেরাতের জন্য কিছু নেকী ও কামাই হবে।

আমাদের সামান্য কিছু ত্যাগে যদি অন্যের মুখে সামান্য হাঁসি আনতে পারি তাতেই বা কম কিসের।
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×