গাজার নেশা মানুষকে কতটা উম্মাদ চিন্তায় ডুবাতে পারে এটা না দেখলে হয়ত অনুভব করতে পারতামনা।
ঈদের ছুটিতে দেশে গিয়ে বিকাল বেলা স্কুল মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম। বিভিন্ন ধরনের কথা হচ্ছিল । এরই মাঝে লক্ষ করলাম পাশের থেকে একটি কথা কানে ভেসে আসছে।
একটি লোক বলছে, কিরে বিড়ি ডাস্ট নাকি, কিরকম ''গুমটো গুমটো'' লাগতিছে ? পাশের লোকটি বলছে তুই খাসনে। লোকটি বলছে না, ডাস্ট হোলিও ভালোই লাগতিছে।
ততক্ষনে আমার বুঝতে বাকি নাই যে, প্রথম লোকটিকে দ্বিতীয় লোকটি গাজা খাওয়াচ্ছে।
বিড়ি শেষ হওয়ার পর লোকটি দ্বিতীয় লোকটিকে বলছে, দেই আর একটা বিড়ি। দ্বিতীয় লোকটি না দিতে চাইলে প্রথম লোকটি এক প্রকার জোর করেই তার কাছ থেকে বিড়ি নিয়ে তাতে আগুন ধরায় এবং যথারিতি হাটতে হাটতে বাড়ির দিকে রওনা হয়।
এদিকে কৌতুহল আমার মাথায় চেপে বসেছে,কি হয় আমাকে দেখতে হবে।
লোকটির পিছু পিছু আমি হাঁটছি। কিছু পথ যাওয়ার পর ঘটে একটি মজার ঘটনা। লোকটি তার পরিহিত লুঙ্গি কোমরের সঙ্গে গিট মেরে গাছের দিকে তাকিয়ে বলছে ''ওরে কত্ত বড় ইলিশ মাছ, দাড়া তোরে ধরতিছি, তুই যতই পাগাল মারিস, তোরে ধরবোই''। আমি লোকটিকে কোন রকম ভাবে বুঝিয়ে তার বাড়িতে পৌছায় দিই।
কিন্তু সেখানেও ঘটে বিপত্তি। কথায় আছে না ''ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে''।
লোকটি তার স্ত্রীকে বললো, বউ মাঠে যাব কাঁচি দে, ঘাস কাটে আনি। তার স্ত্রী বলছে তুমি এই সব কি বলছো। এখন সন্ধ্যা আর তুমি ঘাস কাটতি যাব, তার মানে। গরুর খাড় কাড়া হোয়নি । খাড় কাড়ে দিয়ে আস।
অতৎপর লোকটি খড় কাড়তে গেল।
বাড়ির পাশেই ছিল খড়ের গাদা সেখান থেকে খড় কাড়তে থাকে। কিন্তু সেখানেও হলো আর এক বিপত্তি। স্বাম্বীর দেরি দেখে স্ত্রী এগিয়ে যায়। দেখে স্বাম্বী যে পল কেড়েছে, তা পলের গাদার থেকেও বেশি হয়ে গেছে ....!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




