(ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি কোন সাধারণ যাত্রী নন একজন বাস ড্রাইভার। প্রায় একঘন্টা বাস একই স্থানে দাড়িয়ে আছে এই সুযোগে তিনিও একটু নাক ডেকে ঘুমিয়ে নিচ্ছেন)
ঢাকার ট্রাফিক জ্যামের প্রচুর সুবিধাঃ
১।রাতে যাদের ভাল ঘুম হয়নি তারা গাড়িতে বসে মনের সুখে দুই তিনঘন্টা ঘুমিয়ে নিতে পারেন,তবে আপনাকে অবশ্যই কম্ভুকর্ণ হতে হবে নাহলে চারপাশের ভয়াবহ শব্দে ঘুমাতে পারবেন না।
২।তাড়াহুড়োয় বাসা থেকে নাস্তা করে বেরোতে পারেননি?
-যেকোন ট্রফিক সিগন্যালে নেমে পড়ুন, তারপর আরামসে পাশের হোটেল থেকে নাস্তা করুন এরপর এককাপ চা পান করুন এবার ঢেকুর তুলতে তুলতে গাড়িতে উঠুন, দেখুন গাড়ি একচুলও নড়েনি,ঠিক আগের জায়গাই আছে।
৩।বউয়ের কড়া শাসনে বাসায় ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পান না?
-মনের সুখে ফেসবুক ইউটিউব ব্যবহার করতে থাকুন, আপনার হাতে অফুরন্ত সময় ।
সতর্কতাঃ বউয়ের কাছে ঝাড়ি না খেলেও অফিসের বসের কাছে দেরি করে অফিস যাওয়ার কারণে ঝাড়ি খাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%।
৪।প্রতিদিন গাজিপুর থেকে মতিঝিল হেটে চলে আসুন, আপনিই পারবেন ভবিষ্যতে পায়ে হেটে বিশ্বভ্রমণে যেতে, এটা তারই প্রস্তুতি।
সুবিধাঃ একদিকে ডায়াবেটিস ব্লাডপ্রেসার থেকে মুক্তিপাবেন, আবার গাড়ির চেয়ে অনেক আগেই কর্মস্থলে পৌছাতে পারবেন ।
৫।বিনোদনঃ হুডতোলা রিকশা কিংবা সিএনজি অটোরিকশায় প্রেমিক যুগলের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত আপনাকে ফ্রী বিনোদন দেবে।
৬। কেনাকাটাঃ গাড়িতে বসেই হকারদের কাছ থেকে পায়ের জুতা থেকে মাথার ছাতা সবই কিনতে পারবেন তাই মার্কেটে যাওয়ার বাড়তি ঝামেলা থেকে আপনি মুক্ত।
৭।পরকালীন সুখঃ গাড়ির ভিক্ষুক অন্য ভিক্ষুকদের চেয়ে দোয়া করায় বেশি পারদর্শী তাই ওদের দান করলে পরকালীন সুখের গ্যারান্টি পাওয়া যাবে।
যারা ঢাকার বাইরে থাকেন আর ট্রাফিক জ্যামকে ভয় পান তাদেরকে বলছি, ট্রাফিক জ্যাম জিনিসটাকে আপনারা যতটা খারাপ ভাবেন ওটা আসলে ততটা খারাপ নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬