somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বুশরা সিরিয়া অবস্থিট অন্যতম একটা শহর! ছবি ব্লগ

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বুশরা সিরিয়ায় অবস্থিত একটি অন্যতম শহর ।এই শহরটি সিরিয়ার দক্ষিণে অবস্থিত।সিরিয়ার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে ২০০৪ সালের আদমশুমারিতে বুশরায় ১৯,৬৮৩ জন অধিবাসী ছিলো।এর উপজেলা যা নয়টি এলাকা নিয়ে গঠিত, ২০০৪ সালে যার যৌথ জনসংখ্যা ছিলো ৩৩৮৩৯ জন। শহরের প্রধান জনগোষ্ঠী সুন্নি মুসলিম হলে অল্প পরিসরে শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ও বাস করেন।বুশরার আছে প্রাচীন ইতিহাস এবং রোমান যুগে এটা ছিল একটি সমৃদ্ধ প্রাদেশিক রাজধানী ও মহানগর আর্চবিশপ যা এন্টিওখ ও সমগ্র পূর্বের ইস্টার্ন অর্থোডক্স প্যাট্রিয়কের এখতিয়ারাধীন ছিলো। ইসলামী যুগেও এটা প্রশাসনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কিন্তু উসমানীয় শাসনামলে এটা গুরুত্বহীন হতে থাকে। আজকের দিনে এটা একটি প্রত্নস্থল এবং ইউনেস্কো স্থানটিকে একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছেন।


৩য় থুতমোজ এবং আখেনাতেন এর নথিতে সর্বপ্রথম বসতি স্থাপনের কথা উল্লেখ আছে। ২য় খ্রিস্টপূর্বাব্দে বুশরা ছিলো প্রথম নাবেতিয় শহর। ১০৬ সালে ট্রোজান সেনাপতি কর্নেলিয়াস পালমা এই নাবেতিয় রাজ্য জয় করেছিলেন।

আখেনাতেন ছিলেন অষ্টাদশ রাজবংশের একজন প্রাচীন মিশরীয় ফারাও । তার শাসনকাল ছিল ১৭ বছর এবং তিনি আনুমানিক ১৩৩৪ বা ১৩৩৬ খ্রিষ্টপূর্বে মারা যান। তিনি ঐতিহ্যগত মিশরীয় বহুঈশ্বরবাদ ত্যাগ করা এবং একেশ্বরবাদের প্রবর্তন করার জন্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলেন। তার একেশ্বরবাদের উপাসনার দেবতা ছিলেন আটেন। প্রাচীন মিশরের গোড়ার দিকের একটি শিলালিপিতে আটেনকে তুলনা করা হয়েছে যেমন তারার তুলনায় সুর্য। পরবর্তীতে আটেনকে শুধুমাত্র দেবতা না বলে, সাধারণ দেবতাদের চেয়ে উচ্চ অবস্থানে সৌর দেবতা বলা হতো।


রোমান সাম্রাজ্যকালে বুশরার নামকরণ করা হয় নোভা ট্রোজানা বস্ত্রা এবং এখানে লেজিও ৩য় সাইরেনেইকা বাস করতেন। এটাকে আরব পেত্রায় রোমান প্রদেশের রাজধানী করা হয়। শরহটি বিকশিত হয় এবং বিভিন্ন বাণিজ্যপথের কেন্দ্রস্থলে মহানগরী তে পরিণত হয়। একটি রোমান রাস্তা যা ট্রোজান নোভা হয়ে দামাস্কাসকে লোহিত সাগরের সংগে যুক্ত করে। এটা খাদ্য উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং সম্রাট ফিলিপ দ্যা আরবের সময়ে বস্ত্রা তার নিজস্ব মুদ্রা তৈরী । ২৪৬ এবং ২৪৭ সালে বুশরাতে দুটি আরব কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।


৫ম শতাব্দীতে বাইজেন্টাইন পর্ব শুরু হলে বুশরাতে খ্রিস্টান ধর্ম প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। শহরটি আর্চবিশপ আসনের মহানগরী হয়ে ওঠে এবং ৬ষ্ঠ শতকে বিশাল একটি ক্যাথেড্রাল নির্মাণ করা হয়। ৭ম শতকের শুরুর দিকে সাসানি পারসিগণ বুশরা দখল করে কিন্তু বাইজেন্টাইন অভিযানে পুনর্দখল করে বাইজান্টাইনরা।


নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর প্রাকজীবনে বুশরার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা আছে। খ্রিষ্টান পাদ্রি বাহিরার বর্ণনায় বুশরার উল্লেখ আছে। ৬৩৪ সালে বুশরা যুদ্ধে খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বে খেলাফায়ে রাশিদুনের সৈন্যবাহিনী বাইজান্টাইনদের হারিয়ে বুশরা দখল করেন। ইসলামী শাসনামলে বুশরা দামেস্কের সর্ব দক্ষিণের ফাঁড়ি হিসেবে পরিগণিত হতো। ইসলামী শাসনামলের প্রথমদিকে বুশরা নগরীর স্থাপত্য শৈলীতে কোনরূপ পরিবর্তন আনা হয়নি। যখন বুশরার অধিকাংশ নাগরিক ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে শুরু করে তখন রোমান যুগের পবিত্র স্থানসমূহ মুসলিম গণ ধর্মাচারের জন্য ব্যবহার করতে শুরু করে।৯ম শতকের ইয়াকুবি লিখেছেন। বুশরা হাউরান প্রদেশের রাজধানী ছিলো।



একদা ৮০০০০ অধিবাসী সম্বলিত অঞ্চল আজ ধ্বংসাবশেষ এর মাঝে একটি গ্রাম মাত্র। ২য় শতকের রোমান থিয়েটার সম্ভবত ট্রোজান নির্মান করেন। এটা ৪৮১ থেকে ১২৩১ সাল পর্যন্ত দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।আরো অনেক নাবাতিয় এবং রোমীয় সৌধ, খ্রিস্টান গির্জা, মুসলিমদের মসজিদ এবং মাদ্রাসা দেখতে পাওয়া যায় অর্ধ ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহরের মধ্যে। ইসলামের ইতিহাসে আল ওমরি মসজিদ টিকে থাকা পুরাতন মসজিদের মধ্যে অন্যতম।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।
Suriye’de Değişimin Ortaya Çıkardığı Toplum: Suriye Türkmenleriarchnetle Strange, 1890, p. 425
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৭
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×