somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২ পি, এম এর প্রেম

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


২ পি, এম এর প্রেম

তৌহিদ রিয়াজ



প্রারম্ভিকা:

না এখানে পি, এম বলতে After Noon বা post meridiem বোঝানো হয়নি এখানে পি, এম বলতে দেশের আসল ওস্তাদ প্রাইম মিনিস্টারদেরকেই বোঝানো হয়েছে । You can say “How dare you are indicating prime ministers love stories?” না চিন্তাগুলো এবং চরিত্রগুলো কাল্পনিক । বাস্তবের সাথে কোন মিলই নেই । আর পি, এম রাও মানুষ তাই তাদেরও প্রেম বা ভালোবাসা হতেই পারে ।
কেউ কেউ বলতে পারে মামু তোমার জেলে যাওয়ার ইচ্ছে হইছে তাইনা । না তাই আগেই বলেই নিচ্ছি গল্পটার সাথে বাস্তবের কোন রাষ্ট্রনায়ক বা নায়িকার মিল নেই বা থাকারও কোন সম্ভাবনা নেই । তাই জোড় করে কেউ মিল খোঁজার চেস্টা করবেন না ।
আগেকার দিনে একরাজ্যের রাজার সাথে ভিন রাজ্যের রানীর অথবা অমুক রাজ্যের রাজপূত্রের সাথে তমুক রাজ্যের রাজ কন্যার প্রেম কাহিনী শোনা যেত, এখন তো রাজা রানীর সংখ্যা কমে এসেছে । এসে গেছে রাষ্ট্র কনসেপ্ট । তাই পি, এম এর প্রেম হতেই পারে, তবে এখানে হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের প্রেম । সে এক আচানক ইতিহাস ।
গুলিস্থান (না আমাদের দেশের মতিঝিল নিকস্টস্থ গুলিস্থান নয়) রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়িকা গুলবাহার এর জন্ম ১৯৭১ সালে (না বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কিত নয়) | রাষ্ট্রটির জন্ম হযেছিল গুলবাহার এর দাদুর হাত ধরে, এর পরে বিভিন্ন প্লট পরিবর্তনের মাধ্যমে এই রাষ্ট্রের দায়িত্বে বসেন এই প্রানবন্ত হুসনে মালিকা গুলবাহার । এর মাঝে দেশে অনেক রক্তপাত হয় । তৃতীয় বিশ্বের এই দেশটিতে প্রথমথেকেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় ।
কিন্তু রাষ্ট্রনায়িকা গুলবাহার একজন আয়রন লেডী, মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ক্ষমতায় আসা এই নেত্রী খুবই শক্ত হাতে দমন করেছেন যারা তার যত শত্রু ছিল বা হতে পারত তাদের। তার কাছে সবই বাম হাতের খেলা । রাজনীতিতে এই নারী খুবই পটু । রাষ্ট্রনীতি, আইন, কূটনীতিতে বিশেষ দক্ষতা গুলবাহার এর ।
জনপ্রিয়্তাও কম নয় এই নেত্রীর । যা তাকে জনগনের নায়িকা হতে সাহায্য করেছে ।
তবে তাকে ক্ষমতায় আসা বা টিকে থাকার পেছনে যে রাষ্ট্রের হাত রয়েছে সেই বৃন্দাবন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক মোনায়েম খাঁও কম যাননা, হ্যান্ডসাম এই রাষ্ট্রনায়কের জন্ম ১৯৬৬ সালে ।
খাঁ সাহেব বরাবরই একজন ড্যাসিং, ফ্যাশন সচেতন ব্যাক্তি । উনার রাজনীতিতে আসাটা অবশ্য সত্যিকারই গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে । তৃতীয় বিশ্বের দেশ হলেও গুলিস্থানের মত এতটা খারাপ অবস্থা নয় বৃন্দাবনের । বৃন্দাবন ধীরে ধীরে নিজেকে বেশ শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিনত করেছে । আর খাঁ সাহেব বয়সে যেমন নবীন ঠিক তেমনি মডার্ন তার চিন্তা ভাবনা ।

এক:

গুল আর খাঁয়ের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারসতে । সেদিন গুলবাহার পরেছিলেন স্যাতিন ব্লু রংয়ের ড্রেস আর স্টাইলিস্ট খাঁ সাহেব পরেছিলেন ধপধপে সাদা রংয়ের পায়জামা পানজাবী । দুজনকেই অসাধারন লাগছিল ।

খাঁয়ের এখনও বিবাহ হয়নি, যদিও তার প্রেম কাহিনীর লিস্ট অনেক বিশাল, সেই ক্যামব্রীজে পড়ার সময় থেকেই তার প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া রুপসী নারীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয় । ‘বৃন্দাবনে সত্যিকার কৃষ্নের আগমন’ কথাটি সাড়া বিশ্বে রটে যায় যখন খাঁ সাহেব এই রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসেন ।
আর গুলবাহার এর সাথে তার স্বামীর ডিভোর্স হয় বেশ কিছু বছর আগে । এ ব্যাপারে যদিও কেউই মুখ খুলেননি কখনও । তবে এর কারন হিসাবে রাজনৈতিক মতাদর্শের সংঘাতকে চিহ্নিত করেন অনেকে । কারন গুলবাহার এর স্বামী ঠিক গুলবাহার এর দাদুর মতাদর্শের মানুষ ছিলেন না । ডিভোর্স এর ১ বছর পরে যদিও গুলবাহার এর স্বামী মারা যান অজ্ঞাত কারনবশতঃ, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অবশ্য এটাকে ন্যাচারাল ডেথই বলেছে ।
সম্মেলনের পরে দুজনের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় আধা ঘন্টার এবং বৈঠকের পর দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রনায়কের ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক হয় ১০ মিনিটের ।
পরে অবশ্য অনেকেই এই দশ মিনিটকেই দুইজনের প্রেমের বীজবপনের প্রথম ধাপ হিসাবে চিন্হিত করেন । তবে এখানে দুই রাষ্ট্র প্রধান কিছু রাষ্ট্র পরিচালনার কৌশল, তৃতীয় এবং প্রবলেম রাষ্ট্রকে নিয়ে কিছু বাক্যালাপ এবং কিছু ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দের কথা বিনিময় করেন যাতে করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গ্রীট করতে সুবিধা হয় ।
তবে গুলের কাছে খাঁ সাহেবের পারসোনালিটি বেশ পছন্দ হয় ।আর খাঁ সাহেবের বা হাতে পরা Patek Philippe ব্র্যান্ডের প্ল্যাটিনাম হাত ঘড়িটা নজর কাড়লো গুলের ।
হাত ঘড়ির আর গাড়ীর শখ কলেজ লাইফ থেকেই, ক্যামব্রীজে ট্রিনিট্রি কলেজে পড়ার সময় থেকেই এই দুটি শখ ছিলো তার । বাবা বিশাল বড় ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হওয়ার সুবাধে এই শখগুলো পূরন করা গেছিলো সহজেই । আর নারী, ৫ ফুট ১১ উচ্চতার এই হ্যান্ডসাম তরুনকে পছন্দ করার মত সুন্দরীর অভাব হয়নি কখনই ।
আর গুলবাহার কখনও চিন্তা করেনি কিসে তার শখ । ছোটবেলা থেকেই জেদী টাইপের মেয়ে ছিল গুল । চেয়ে পায়নি এমনটি কখনও হয়নি । কথাটি তার বিয়ের ব্যাপারেও প্রযোজ্য । আর পলিটিক্সকে শুধু তার পেশা বা নেশা বললে ভূল হবে এটা তার শখ এবং সপ্নও । এই নেশার পেছনেই ছুটেছে গুল সারাজীবন । কখনও ব্যাক্তি গুলের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেয়নি সে নিজেই ।
দুজনের ওয়ান টু ওয়ান সেশান শেষ হলো অল্প কিছুক্ষনেই, হ্যান্ডসেক করলো দুই রাষ্ট্রপ্রধান । এই প্রথম দুজনের শরীরের কোন অংশের স্পর্শ লাগলো ।
“Me and my country will do whatever required to bring peace and stability in this subcontinent.” বললো খাঁ সাহেব ।
খানিক সময় নিয়ে গুল বললো “This bilateral meeting will open the door of opportunities not only for both the countries but also the same for this subcontinent.”


দুই:

আসলে রাজনীতিবিদদের পার্সোনাল স্পেস বলে কিছু নেই, আর প্রধানমন্ত্রীদের ক্ষেত্রে সেটা একেবারেই শুন্যের কোটায় । সারাদিন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স দিয়ে ঘেরা এই জীবন । খাঁ সাহেবের ক্ষেত্রে ত্রি স্তর বিশিষ্ট সিকিউরিটি থাকলেও গুলের ক্ষেত্রে এটা আরও অনেক বেশী । রাজনৈতিক পরিবারের হওয়ায় এবং বিভিন্ন আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের কারনে তার লাইফ রিস্ক অনেক অনেক বেশী । এমনকি তার পরিবারের মধ্যেও এই দ্বন্দ্ব বিদ্যমান ।

মাঝে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলো, দুই রাষ্ট্রনায়কের সরাসরি হটলাইনে কথা হলো ডিসেম্বর মাসে, এর প্রধান উদ্দেশ্য গুলিস্থানের আপকামিং নির্বাচন ।
তবে এই হটলাইনটাকে আসলে বিশ্বাস করা যায়না । তাই কুশল বিনিময় আর আকার ইঙ্গিতেই কথা সাড়তে হলো ।
গুলিস্থানের সরকার সিলেকশানে বৃন্দাবনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভুমিকা রয়েছে । তাই দু দেশের কুটনীতিকদের দৌড়ঝাপ বেড়ে গেলো । আর এর মাঝে খাঁ সাহেবকে ফসিল ব্র্যান্ডের একটি দামী ঘড়ি উপহার দিয়ে পাঠালো গুল । ইলেকশনের ঠিক একদিন আগে আবারো কথা হলো দুজনের । এবারও ইস্যুটা আকারে ইঙ্গিতে সাড়লো এই তীক্ষ্ণ দুই পলিটিশিয়ান ।
জয় হলো গুলের । পার্টী নিরন্কুশ বিজয় অর্জন করলো । অভিনন্দন জানালো বিশ্বের বড় সব নেতা নেত্রীই, কিন্তু গুল অপেক্ষা করছিল খাঁ সাহেবের অভিনন্দনের । একটু স্পেশাল ছিলো অভিনন্দন জানানোর ধরন । বৃন্দাবনের এম্বাসাডর সরাসরি একটি উপহার নিয়ে দেখা করতে এলেন গুলের সাথে ।
উপহারটি হলো একটি ধপধপে সাদা সিল্কের ড্রেস, সাথে খাঁ সাহেবের নিজের লেখা একটি শায়েরীর বই, আর সাথে একটা ইনভাইটেশান কার্ড । কার্ডটি তার দেশে অনুস্ঠিতব্য আন্তর্জাতীক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের । যেটা ওয়ার্ল্ডের অন্যতম বৃহৎ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের একটা । আর কার্ডের শেষে নিজের হাতে লেখা একটা শায়েরী…


"গুল এলো তাই বাগানে ফুল এলো,
গুল এলো তাই বাগানে ফুল এলো,
নিয়মহীন জীবনে কিছু রুল এলো,
গুল এলো তাই বাগানে ফুল এলো,
নিয়মহীন জীবনে কিছু রুল এলো,
গুলিস্থানকে বৃন্দাবনের শুভেচ্ছা,
কারন নির্বাচিত হয়ে গুল এলো ।"


আয়রন লেডীর মুখে বাঁকা একটি হাসি । জীবনে অনেক সুপুরুষ দেখেছে সে । গুলিস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে এবং এর পরেও অনেকেই তার সাথে ভাব করতে চেয়েছে । পাত্তা পাইনি কেউই । কারনটা তার অভিলক্ষ্য এবং রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা ।

তিন:

বৃন্দাবনেও এর পরে বেশ কিছু সমস্যার উদ্রেক হয় । খাঁ সাহেবের পার্টীতেই এসব সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য অনেক ঝানু রাজনীতিবিদ আছেন । আর টেকনোক্র্যাট মিনিস্টাররাও কম যাননা ।
তবে বড় দেশ তাই সমস্যাও বড় বড় । দিন শেষে প্রাসাদে ফিরলে তিন লেয়ার বিশিষ্ট সতর্কতা থাকলেও নিজেকে বড়ই একা মনে হয় মোনায়েম খাঁর । তাই লেখালেখি ই তার সম্বল, তবে ইয়োগা, মেডিটেশান, খেলাধুলা, হালকা নেশা, বই পড়া কোন কিছুই বাদ নেই এই ডাইনামিক নেতার ।
গত রাতে গুল একটা ভয়ানক আর অদ্ভুত সপ্ন দেখেন । দেখেন তার পিছনে অনেকগুলো সাপ তেড়ে আসছে, উল্টোদিক থেকে আসা একটি এনাকোন্ডা সাপগুলোকে গিলে ফেললো । হঠাৎ সাপটি মানুষের রুপ নিল । বললো আমি ইচ্ছাধারী নাগ, আমি থাকতে তোমার কোন ভয় নেই, নাগের হাতে সেই ফসিল ব্র্যান্ডের ঘড়িটা ।
গুলের পাশে হাজারো মানুষ থাকলেও নিজের বলতে কেউই নেই, কিছু স্বার্থান্বেষী কাজিন আর কথিত এক সৎভাই আছে তার । কথিত আছে গুলের বাবা এক পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন এবং তারই ফলশ্রুতিতে জন্মায় এই কথিত সৎভাই রাহিল । তবে মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ার তিন মাস পরে তথাকথিত ন্যাচারাল ডেথে মারা যান রাহিলের মা । রাহিল তখন বিলেতে এক বোর্ডিং স্কুলে থাকায় বেঁচে যান ।
গুলের বাবা মারা যান ৯০ এ এক ভয়ানক এসাসিনেশানে । যদিও গুলের মা ক্যান্সারে মারা যান । গুলের একমাত্র ভাইকে গুলিকরে মারা হয় এক কনফারেন্সে বক্তব্য রাখার সময় ১৯৯৬ সালে । গুলিস্থানে ফুলেল ইতিহাসের চেয়ে কন্টকাবৃত ইতিহাসই বেশী ।
সেই থেকে মাত্র ২৫ বছর বয়স হতেই মূলত একা চলাশুরু এই উচ্চাকাঙ্খী নারীর । ভাই বেঁচে থাকতেই বিয়ে এবং ডিভোর্স সম্পন্ন হয়ে যায় গুলের । বিয়েটার মেইন সুতো বুনে যান গুলের দাদু । তখন গুলের বয়স মাত্র দুই তার এক বন্ধুর নাতীর সাথে ।
সে রাতে সাপের সপ্নে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর আর ঘুম আসছিলনা গুলের । তার ড্রয়ারে কতগুলি মোবাইল সেট আছে তা জানেন না গুল । আর কেউ তাকে প্রয়োজন ছাড়া ফোন দিবেনা । হঠাৎ খুব একা মনে হলো এই পরাক্রমশালী রাষ্ট্রনায়িকার । তার রুমে কোন জানালা বা বারান্দা নেই । এবং তার একাকী ছাদে যাওয়ার পার্মিশান বা এডভাইস নাই । কারন রিস্ক ।

চার:

গুলমোহর প্যালেসে সরকারী নিযুক্ত অফিসার, স্টাফ (১ম শ্রেণী থেকে ৪থ শ্রেণী পর্যন্ত ) ছাড়াও গুলবাহার নিযুক্ত ৩০ জন এসিট্যান্ট রয়েছে । এরা সবাই খুবই লয়্যাল । তবে তারপরও এরা কেউ সিকিউরিটির ফুল লেয়ার পার না করে ম্যাডামের রুমে প্রবেশের কোন উপায় নেই । সুইচ টিপে তার রুম চারিদিক থেকে সিল করে দেওয়ার উপায় আছে । আর স্পেশাল পালানোর পথ রয়েছে দুটি । যেগুলো শুধু পুরো গুলিস্থানে তিনজন ব্যাক্তির জানা আছে ।
আর এই প্যালেসে তার একই রকমের চারটি বেডরুম রয়েছে । একমাত্র তিনি ই জানেন আজ তিনি কোথায় থাকবেন । আর রুমের এনট্রান্সের করিডোরটা করা হয়েছে একটা অপটিক্যাল ইলিউশান এর মাধ্যমে । যেটাকে সুইচ টিপে বোধগম্য করার বা পাজলড করার অত্যাধুনিক ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে । আর তার বুলেট প্রুফ ড্রেস তো আছেই ।
এত মানুষ চার পাশে, গুল ডাকলে মূহুর্তেই কয়েক লাখ মানুষ এই শহরে জড়ো হয়ে যাবে । কিন্তু তবুও আজ রাতে বড় একা লাগছিলো তার । হঠাৎ খাঁ সাহেবের দেওয়া শায়েরীর বইটার কথা মনে পড়ল তার, কিন্তু খুঁজে পাওয়া গেলনা । কয়েকশ বই হবে তার বেডরুমে । আর নীচের লাইব্রেরীতে তো কথাই নেই । "কাল রবার্টকে বলতে হবে খুজে দিতে" মনে মনে বিড় বিড় করলো গুল । রবার্ট হলো গুলের ব্যাক্তিগত এসিট্যান্টদের একজন । নাম শুনলে বিদেশী মনে হলেও সে এখানকারই একজন, তবে তার বাবা এক স্কটিশ নারীকে বিয়েকে করেন, উনি রবার্টের মা "
কাল সকালে প্রেস কনফারেন্স ১০ টায়, ১১টায় তার্কিশ এম্বাসাডরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত, ১টায় হোটেল ম্যারিয়ট গুলিস্থানে লান্চ উইথ থাই বিজনেস ইন্টারপ্রিনিয়রস । বিকেল তিনটায় নব্যনির্মিত ফ্লাইওভারের উদ্বোধন এবং ভাষন, সন্ধ্যায় রাশিয়ান কালচারাল সেন্টারে রাশান গুলিস্থান কালচারাল ইন্টারাকশান ফেয়ারের উদ্বোধন। এসিট্যান্ট মায়ার রেখে যাওয়া ইলেকট্রনিক নোটে চোখ বুলাচ্ছিলেন গুল । আর পার্সোনাল কিছু টাস্কেরও নোট রাখা হযেছে এতে । যেমন ভোর সাড়ে ছটায় ইয়োগা সেশান । স্পা শেষে সকাল আটটায় জুলিয়ানের মিডিয়া ও নিউজ ব্রিফিং । এরপর আধাঘন্টায় রাজনৈতিক উপদেস্টা এবং ব্যাক্তিগত সচিবের রেগুলার ব্রিফিং । গত বেশ অনেক বছর ধরে এভাবেই চলছে । অসুস্থ হওয়ারও সুযোগ পাননি গুল ।





পাচঁ:

মোনায়েম খাঁ ২৫ বছর বয়সে ইউ, কে থেকে ফিরে আসার পর তার চাচার মুভি প্রোডাকশান ব্যানারে একটি চলচিত্রে অংশগ্রহন করেন । চলচিত্রটি বৃন্দাবন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে হিট হয় । মোনায়েম বেস্ট নিউ কামার পুরস্কৃত হন । পরে অবশ্য আর কোন মুভি করা হয়নি তার । কারন তার প্রধান লক্ষ্য ছিল রাজনীতি । তবে ছবির জনপ্রিয়তা তাকে গিলগিট সিটি কর্পোরেশানে জিততে সাহায্য করে । অবশ্য তার ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট বাবার জশ, খ্যাতি আর টাকাও বেশ বড় নিয়ামক হিসাবে কাজ করে ।
বিলেতে থাকার সময় পাব, ড্যান্স বারে যাওয়ার অভ্যাস ছিলো খাঁর । এটা তার অপন্যান্ট নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যবহার করে । এমনকি এখনও তার অতীতকে টানা হয় প্রায়ই । তার পার্টী বেশ কনজারভেটিভ হলেও তিনি খুবই মডার্ন । আর তার নারী প্রীতির দিকটাও মিডিয়াতে চাউর হয় । এমনকি তার দলেরও অনেকে এখনও এটাকে পছন্দ করেননা । কিন্তু গুলের ঠিক উল্টো, খাঁ সাহেব জনগন স্পেশালি মহিলা এবং তরুনদের মাঝে খুবই জনপ্রিয় । আর তার বক্তৃতা দেওয়ার স্টাইলে সম্মোহনী একটা ব্যাপার আছে ।
যদিও গুলের মত তারও সিকিউরিটি খুবই টাইট, কিন্তু মাঝে মাঝে তিনি নিজেই এটাকে ব্রেক করেন । হঠাৎ করে বেরিয়ে পরেন । তবে এটা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স থেকে একেবারেই নিষেধ । তবে খাঁ সাহেবের পছন্দের কিছু ডেসটিনেশান আছে যেমন আলাস্কা, সুইজারল্যান্ডের ইন্টারলেকেন । এসব জায়গায় তার প্রোটকলের খুব বেশী ব্যাপার নেই ।
আজ রাতে তিনি হঠাৎই Women’s ট্রেনে ভ্রমন করবেন । আইডিয়াটি আসলে তিনি ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মেট্রো রেলে হঠাৎ ভ্রমনের ইউটিউব ভিডিও দেখে পেয়েছেন । খাঁ সাহেব রিসেন্টলি আরেকটি কাজ করছেন, প্রতি রাতেই তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের জীবন যাপন সম্পর্কে পড়ছেন বা ভিডিও দেখছেন , এদের মধ্যে তার পছন্দের কনটেম্পরারী রাষ্ট্রপ্রধানরা হলেন রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন, ইরানের আহমেদিনাযাদ, মালয়েশিয়ার মাহাথীর, বারাক ওবামা, আর উরুগুয়ের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান জোসে মুজিকা । এদের লাইফস্টাইল ফলো করেন খাঁ সাহেব । আর মাহাত্মা গান্ধী থেকে নেলসন ম্যান্দেলা, নেপোলিয়ান, লেনিন, ফিদেল ক্যাস্ত্রো, ইদি আমিন, হাসান বলকিয়াহ পর্যন্ত কেউই বাদ নেই এই জীবনি পড়ার লিস্ট থেকে ।
সব আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো, রেল মন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী সবাই বেশ তটস্থ আছেন । অনেকেই অবশ্য তাকে বারন করেছেন । নিরাপত্তা বেশ জোরদার করা হযেছে । তবে পাবলিক ট্রেন বলে কথা, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলা যাবেনা ।
ট্রেনে আগত: মহিলারা তাকে দেখে প্রায় সম্বিত হারানোর মত অবস্থা । বিশেষ করে কমবয়সি মেয়েরা, সেলফি তুলতে ব্যস্ত সবাই । পরের দিনে ইউটিউব, ফেসবুক সহ সব সোশ্যাল মিডিয়ায় সয়লাব হলো খাঁ সাহেবের খবর ।
খবরটি গুলের মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে কেউ টিটকারী মেরে বললে হঠাৎই ক্ষেপে যান গুল, যদিও ক্ষেপে যাওয়ার কারন তিনি জানেননা ।




ছয় :

আজ গুল মন্ত্রীসভার প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিলো রিফিউজি ইস্যু । পার্শ্ববর্তী এক্স রাস্ট্রের রিফিউজি ইস্যু গুলিস্থান আর বৃন্দাবনের জন্য বড় একটা বিষ ফোঁড়ার আকার ধারন করেছে । গত একব্ছরে এক্স রাস্ট্রের রিফিউজির সংখ্যা গুলিস্থান আর বৃন্দাবনের গুলিস্থানে প্রায় ১২ লাখ আর বৃন্দাবনে প্রায় ১ লাখ ছাড়িয়েছে ।

মন্ত্রীসভায় গুলিস্থান আর বৃন্দাবনের জয়েন্ট টাস্কফোর্স গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় । পরের দিন বৃন্দাবনে গুলিস্থানের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানালে, খাঁ সাহেবের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় রাষ্ট্রদূতের । ঠিক হয় রাতে হটলাইনে কথা বলবেন গুল আর খাঁ ।

গুল আর খাঁয়ের কথা চললো প্রায় ৪০ মিনিট, মূল প্রসঙ্গ: রিফিউজি ইস্যু, কিভাবে জয়েন্টলি এক্স রাষ্ট্রকে কঠিন শিক্ষা দেওয়া যায় প্রভৃতি । প্রায় শেষ দিকে খাঁ সাহেব বললেন সেদিন জাপানের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় গুলকে পিংক রংয়ের ড্রেসে বেশ অদ্ভুত লাগছিলো । গুল বেশ খুশি হলেও, শুধু ধন্যবাদ জানালো, আর আগামী মাসের শুরুতে তার দেশে একটা জরুরী মিটিংয়ে আসার আমন্ত্রণ জানালো ।
সেই রাতে আবারো একটা বাজে সপ্ন দেখলো গুল । দেখলো তার বিছানায় সে যে কোল বালিশ টা ইউজ করছে সেটা একটা অজগর সাপে পরিনত হয়েছে, সাপের মূখটা তার প্রাক্তন স্বামীর চেহারার মত, সাপটার মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে । সাপটার সাথে চোখাচোখি হতেই ওটা বলে উঠলো তুই আমাকে মেরেছিস... হঠাৎই ঘুম ভাঙলো গুলের ।
রাত তখন তিনটা । খুব পানির তেষ্টা পেলো গুলের । আর ঘুম এলোনা তার । উঠে বসে তার ল্যাপটপে রাখা বেশ কিছু ছবি ঘাটলো গুল । হঠাৎই একটা ছবিতে খাঁ সাহেব আর তার পাশাপাশি ছবি দেখতে পেলো সে । খাঁ সাহেব সাদা কাবুলী ড্রেস পরা ছিলেন । বেশ হ্যান্ডসাম লাগছিলো তাকে । পায়ে টেস্টোনি সুজ, রিয়েলি হ্যান্ডসাম । ভাবছিলো গুল ।
ড্রয়ার থেকে খাঁ সাহেবের উপহার দেওয়া শায়েরীর বইটা বের করলো গুল । আজ থেকে প্রতিরাতে অন্তত একটা করে শায়েরী পড়বে বলে ঠিক করলো গুল ।
ভোর ছটায় স্বরাস্ট্র মন্ত্রীর হটলাইন থেকে ফোন এলো । মন্ত্রী নিজেই ফোন দিয়েছেন, “Madam sorry to disturb you in this very morning, there seems to be huge crisis took place in Cantonment 3, General Pandey tried to attempt a coup. General Karamat suppressed the coup with the help of Cantonment 5 and you know who else helped us…Already nine died and 20 others captured”.
জবাবে গুল বললেন, “Find the plot and the conspirators, kill all of them, we want blood”.
বেলা বারোটায় গুল খাঁ সাহেবকে ফোন দিলেন “Thank you for the support, Total 51 killed so far, 200+ arrested, media has been totally taken control, thank you so much. Our boys may need further help…”.
জবাবে খাঁ সাহেব বললেন, “It is my country’s pleasure to support your country in any crisis”.

ক্ষাণিকক্ষন চিন্তা করে খাঁ সাহেব বললেন, “I will always be there with you Gul, sorry I meant Ms. Gul”.








সাত :

গুলিস্থানে আরও একটি ব্লাডশেড । আবারো একটি ব্যার্থ অভ্যুথ্থান । গত পাঁচ বছরে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ রাজনৈতিক কারনে মারা গেছে গুলিস্থানে । সংখ্যাটি অবশ্য সরকারী হিসাবে । সত্যিকারে কত প্রাণ যে গেছে তার ইয়ত্তা নেই । আজ রাতে বেশ ভয় লাগছিলো গুলের । নিরাপত্তা প্রায় দ্বিগুন করা হয়েছে ।
যথারীতি ঘুম আসতে চাইছিলনা । রাত তিনটার দিকে এক ভয়ংকর সপ্নের মধ্যেই হঠাৎ ক্লাইভ ক্রিস্চিয়ান ব্র্যান্ডের সেন্টের গন্ধ ভেসে আসছিলো, ঘুম ভাঙলো গুলের । কেন যেন মনে হলো এই সেন্টটা খাঁ সাহেব দিযেছিলেন গতবার তাদের সাক্ষাতের সময় । কিন্তু এখন যেন এটা সত্যি সত্যি তার নাকে ভেঁসে আসছে ।
গুল শায়েরীর বইটা নাকে নিলেন । বুঝলেন এই সেন্টটা এই বইটা থেকে আসছে । লোকটার মাঝে কিছু একটা আছে ভাবলেন গুল ।
দিন কিভাবে কেটে যায় বুঝাই যায়না, অথচ রাত কাটতেই চায়না । আর একবার ঘুম ভেঙ্গে গেলে তো কথাই নেই । শুধু ক্ষমতা আর টাকাই গুলকে বাঁচিয়ে রেখেছে ।
আর অন্যদিকে রাত এগারোটায় স্পা শেষ করে থাই রাজা ভূমিবলের জীবন ইতিহাস পড়লেন খাঁ সাহেব ।
আর বারোটার সময় নতুন একটা শায়েরী লিখলেন খাঁ । এবার ক্রিসমাস ব্রাজিলের রিওতে কাঁটাবেন খাঁ সাহেব । কয়েকদিন ছুটিতে থাকতে চান তিনি । স্বাধীনতার পরে কোন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর এই প্রথম ছুটি কাটানো । এ এক অনন্য নজীর স্থাপন করতে চলেছেন তিনি । রাষ্ট্রপতির কাছে দশদিন ছুটি চেয়েছেন তিনি ।
এ নিয়ে সমালোচকরা অবশ্য এক গাল দেখে নিচ্ছেন তাকে । সোশ্যাল মিডিয়াতে আবারো ঝড় । দেশের এমন সময়ে কান্ডারীর মোজ মাস্তির এই ছুটিকে কেই বা ভালো চোখে দেখবেন?
তবে সবচেয়ে বেশী সতর্কতা মুলক নিষেধাজ্ঞা এসেছে, তার রাজনৈতিক দল, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে । তবে পুরো ট্যুরের প্ল্যান করেছেন তার ফ্রেন্ড নিরাপত্তা এক্সপার্ট হারমান ।


ট্যুরে তার সাথে থাকবেন দেশের দুই সেরা কম্যান্ডো, তার বন্ধু ও প্রখ্যাত চিকিৎসক মরেল, আর তার আরেক বন্ধু ও যাকে খাঁ সাহেব নিজেই ম্যাকগাইভার উপাধি দিয়েছেন সেই প্রোগ্রামার ও এনালিস্ট কেভিন । ইন্টারপোলকে পাশ কাটিয়ে বিখ্যাত এক ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা গ্রুপের সহযোগীতা নেওয়া হয়েছে |
যদিও ব্রাজিলের কথা বলে ছুটি নেওয়া হয়েছে তবে আসলে উনি প্রথমে সাইবেরিয়া, ক্রিসমাসে লাস ভেগাস, তারপর একদিন ও রাতের জন্য রিচার্ড ব্রানসনের নেকার আইল্যান্ড ও থার্টি ফাস্টে দুবাইতে কাটাবেন । আর আসার সময় উমরাহ করে আসবেন ।
তবে একমাত্র প্রেসিডেন্টকে ফোনে জানিয়েছেন তিনি । কারন তিনি হলেন রাষ্ট্রপতি আর খাঁ সাহেবের অভিভাবকও ।
রাষ্ট্রপতি কিছুক্ষণ চুপ থাকলেও পরে বলেন, “Khan, please take care, but it is highly risky for you and how you will handle media?”
তবে তিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গুলকে তার প্লানের কথা বলেছেন, ঠিক কোন দেশে যাচ্ছেন বলেননি, তবে খাঁ সাহেব গুলকে যেতে আমন্ত্রনও জানিয়েছেন ।
গুল চিন্তা করেন গেলে ভালোই লাগতো, তবে তার নিরাপত্তা আর দেশের পরিস্থিতি বেশ নাজুক ।






আট:

সাইবেরিয়ার ইয়াকুটস্কে দুটো দিন খুবই চমৎকার কাটলো । খুবই ঠান্ডা পরেছে, মাইনাস -৪০ ডিগ্রী, শীতে প্রায়ই পুরো শরীর জমে যাচ্ছে । কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছেনা । শুধু খাঁ সাহেবেরই না, কমান্ডো দুজনেরও অবস্থা বেশ খারাপ । তবে বেশ অন্যরকম মজাও হচ্ছিল । একদিন বল্গা হরিণ শীকারে যাওয়া হয়েছিল ।
মনে থাকার মত ব্যাপার । শীতের ভোরে প্রায় -৫০ ডিগ্রী তাপমাত্রার হাড় কাঁপানো শীতে, প্রায় ৩০টি কুকুর নিয়ে ডগ স্লেডিং করে শীকারে বের হন হান্টারদের ৫জন আর তারা সাতজন ট্রাভেল সঙ্গী, ও, হ্যাঁ বলা হয়নি তাদের সাথে খাঁ সাহেবের দুই ইন্টারন্যাশনাল গোয়েন্দা আছেন |
এ এক অন্যরকম এক্সপেরিয়ান্স । -৫০ এর কাছাকাছি তাপমাত্রায় বাইরে বের হওয়াটাই একটা চ্যালেনজের ব্যাপার, আর তার উপরে হান্টিং । ইয়াকুটস্ককে পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা স্থান বললে ভুল বলা হবে না ।
ইয়াকুটস্কের ডায়ামন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বিখ্যাত । এটা পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ডায়ামন্ড প্রডিউসিং এলাকা । পরেরদিন একটা হীরা ফ্যাক্টরী ভিজিটের সময় খাঁ বেশ কিছু ডায়ামন্ড আইটেম কিনেন । বেশীর ভাগই গিফ্টের জন্য ।
গুলের জন্য একটা নেকলেস কিনেন তিনি, রাতে ফোন দেন গুলকে । একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অজানা নাম্বার থেকে ফোন দেওয়া অনেকটা মিশন ইম্পসিবল টাইপ এর ব্যাপার । তবে ম্যাকগাইভার কেভিন এর কল্যানে এটা খোদ ইয়াখুটস্ক থেকেও এটা সম্ভব হলো ।
ফোন করেই বলেন, “Hi Gul, this is Khan from guess where, I am in Arctic Circle nd it is minus 48 right now, I know people are overhearing our conversation, but as you know this place is famous for Diamond, I bought one for you, Will send you in our next meeting. Wish You were with us..”.
জবাবে আয়রন লেডী কি বলবেন বুঝে পাননা, উনি বলেন " থ্যাংক ইউ মি: খান, সো কাইন্ড অফ ইউ, আই উইশ আই কুড বি দেয়ার, টেক কেয়ার"।
খাঁ সাহেব বলেন, “I will call you 3 days later from another place if you don’t mind, tell your agents not to over hear”. বলে একটা হাসি দেন খান ।



নয়:

রাতে ঘুম না আসা, ঘুমালে বাজে সপ্ন দেখে ঘুম ভাঙ্গা যেন গুলের জন্য একটা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
সে রাতের সপ্নে গুল দেখছিলেন, বিশাল এভালাঞ্চ এসে একজন স্কীয়ারকে বরফের অতল তলে ডুবিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আর তার সাথে সাথে সেই চেনা সেন্টের গন্ধটা মিলিয়ে যাচ্ছে । রেসকিউয়াররা রেসকিউ করে এক যুবকের নিথর দেহ পায় । নি:শ্বাস ম্লান হয়ে আসছে তার ।
নীল হয়ে আসছে তার মুখখানা, সপ্নের আবছা আবছা রঙে মুখাকৃতিটা খাঁ সাহেবের মত লাগছিল । হঠাৎ নিথর লোকটি অস্পষ্টভাবে বলল "গুল প্লিজ সেভ মি" । ঘুম ভাঙলো গুলের ।
সে রাতে আর ঘুম আসেনি গুলের । গুল ভাবেন খাঁ সাহেব লোকটা বেশ ইন্টারেসটিং । এইরকম ক্যারেক্টারের কোন রাষ্ট্রপ্রধানের নাম তার জানা নেই, একটু পাগলাটে আর ইমম্যাচিউরড টাইপের ।তবে অন্যদিকে বেশ ডাইনামিক আর পারসোনালিটি সমৃদ্ধও বটে ।

লাস ভেগাসে Wynn নামের বেশ বড় আর অত্যাধুনিক হোটেলে উঠেছিলেন খাঁ সাহেবরা । হোটেলটাতে একমাস কন্টিনিউয়াস থাকলেও সবকিছু উপভোগ করা যাবেনা । তবে এবার ডেভিড কপারফিল্ডের একটা শো এম, জি, এম গ্রান্ডে দেখবেন বলে ঠিক করেছেন খান ।
নিরাপত্তার কারনে প্রথমে উমরা করে ঠিক থার্টি ফাস্টে দুবাইয়ে আসেন খান । পাম বিচ আইল্যান্ডে খাঁ সাহেবদের নিজেদের প্রাসাদে থাকার কথা থাকলেও সেটাতেও পরিবর্তন করে হোটেল বুর্জ আল আরবে উঠেন খাঁ সাহেব ।দুবাই প্রিন্স রশীদ আল মাকতুম খাঁ সাহেবের বন্ধু হওয়ায় কাজগুলো সহজেই করা যায় দুবাইয়ে, আর খাতিরের কোন কমতি হয়না ।

এই প্রথম এই ট্যুরে নিজের পরিচয় রিভিল করলেন খাঁ ।যদিও ট্যুরটি সম্পুর্ণ নিজের খরচে হচ্ছে । মাকতুম সাহেব ওয়ার্ল্ডের প্রথম দশজন ধনীদের একজন হতে পারেন, কিন্তু খাঁ সাহেবও কম যাননা । তিনি লাস্ট মাসেই ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা ওয়ার্ল্ডের বেস্ট তরুন লিডার হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছেন, এবং সেরা দশজন পাওয়ারফুল মানূষের খেতাবও তার দখলে ।
না হওয়ার কোন কারনও নেই, তার দেশ বৃন্দাবন পৃথিবীর মোস্ট পাওয়ারফুল পাঁচটা দেশের একটা ।
বুর্জ আল খলিফার রয়াল স্যুট থেকে পার্সিয়ান গালফের দৃশ্য বেশ মনোমুগ্ধকর লাগছিল ।দুবাইয়ে তখনও রাতে ১২ টা না বাজলেও, গুলিস্থানের রাত ঠিক বারোটা এক মিনিটে আবারো কেভিনের হেল্প নিয়ে গুলকে ফোন দেন খাঁ । এর মাত্র চারঘন্টা আগে মিরনি ডায়ামন্ড মাইনের সেই প্রসেসড ডায়ামন্ড নেকলেসটি পৌছায় গুলের কাছে । আসলে ইয়াখুটস্ক থেকেই পাঠিয়ে দেন খাঁ সাহেব । বক্সে নেকলেসের সাথে কোন নাম না থাকলেও সেই সেন্টের গন্ধটাতেই গুল বুঝে যান এটা খাঁ সাহেবের পাঠানো ।

খান বলেন " Happy New Year Gul, I am in Dubai , It is a city of entertainment right now, Persian gulf sky is enlightened with fireworks, what are doing out there, come here”.
গুল বলেন “Thanks Mr. Khan for the beautiful neckless.”
“From now on please don’t call me Mr. Khan, I am only Khan for you” হালকা হেসে বলেন খান ।








দশ:
স্যার রিচার্ড ব্র্যানসনের ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে অবস্থিত নেকার আইল্যান্ডের দুটি দিন অসাধারন কাটলো, খাঁ সাহেব ও তার দলের ।
রিচার্ডের সাথে তার পরিচয় দীর্ঘ দিনের, এটা নেকার আইল্যান্ডে খাঁ সাহেবের দ্বিতীয় বার আসা । নেকার আইল্যান্ডে তথাকথিত টেকনোলজিক্যাল কমিউনিক্যাশন মিডিয়ামের বাইরে থেকেও অনেক কিছু করার আছে । সত্যিকার রিল্যাক্সিং বলতে যা বুঝা যায় তার স্বর্গ হলো এই নেকার আইল্যান্ড । তবে খাঁ সাহেবের এবার আসার আরও একটি কারন আছে । বন্ধু ব্রানসনের সাথে ব্যাবসায়িক কিছু চুক্তি করতে চান খাঁ ।
যদিও নেকারে ব্রানসন ব্যাবসায়িক কথাবার্তা বলেননা । তবে বন্ধু খাঁয়ের এবং তার সময়ের সাথে মিলিয়ে এই সময়টাকেই মিলাতে হয়েছে তাদের । উদ্দেশ্য হলো খাঁ ইন্ডিয়ান ওশানে একটি চমৎকার দ্বীপ কিনেছেন । আসলে কিনেছিলেন বহুবছর আগেই । রিচার্ডের এই দ্বীপটা বেশ পছন্দ । রিচার্ড বহুদিন ধরেই জয়েন্টলি কিছু একটা করার কথা বলছিলেন মোনায়েম খাঁ কে ।
অবশেষে তারা এক লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছেন । তারা তৈরী করবেন একটি ব্যাতিক্রমী ট্রাভেল স্বর্গ Creative Mind’s Paradise সংক্ষেপে CMP Island |
দ্বীপটির আর্কিটেকচারাল মডেল দেখাতে নেকার দ্বীপে এসেছেন বিখ্যাত ফরাসী গ্রীন আর্কিটেক্ট ৭১ বছর বয়সী Jean Nouvel |
মোটিভেশনাল স্পীচে ব্রানসন আর খাঁ সাহেব কেউই কম যাননা । তবে ন্যুভেল এর ভূমিকামূলক ব্যাখ্যা দিয়ে শুরু করা আর্কিটেকচারাল স্পীচ দুজনেরই বেশ পছন্দ হয় ।
ক্রিয়েটিভিটির জন্য যেসব কটি উপকরণ বাহ্যত লাগে তার সবকিছুই থাকছে এই ডিজাইনে । থাকছে বিশাল এক ইকো লাইব্রেরী, যা সায়েন্স, হিস্টোরী, সাহিত্য, মিথোলোজীর বিশাল সংগ্রহ । তবে ক্রিয়েটিভ আইডিয়া শুধু কবি, সাহিত্যিক আর সাইন্টিস্টদের থাকে তাই নয় যে কারুর অসাধারন ক্রিয়েটিভ বিজনেস আইডিয়াও থাকতে পারে ।
আর তাই ২০২০ সালে রিচার্ড ব্রানসন, মোনায়েম খাঁ ও গুগল কো ফাউন্ডার ল্যারী পেজের সম্মিলিত জাজমেন্টের মাধ্যমে টিভি ক্রিয়েটিভ Start up Idea’s রিয়েলিটি শো ‘From Ground Zero’ এর মাধ্যমে ক্রিয়েটিভ ওয়ার্লডের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে CMP Island. তাই ন্যুভেল এর কাছে সময় আছে মাত্র তিনটি বছর ।
রিয়েলিটি শোর বেস্ট তিনটি বিজনেস আইডিয়াতে ইনভেস্ট করবেন বিজনেস লাইনে পরিক্ষীত স্বার্থক এই তিন জাজ । আর এই রিয়েলিটি শোর উপস্থাপক হিসাবে সাইন করেছেন বিখ্যাত চলচিত্র অভিনেতা জর্জ ক্লুনী ।
সি, এম, পি আইল্যান্ডকে একদিকে ব্যাবসা সফল আর অন্যদিকে ক্রিয়েটিভ মানুষদের মিলন মেলা বানানোর জন্য যা করার দরকার সবই প্ল্যানিংয়ে রেখেছেন এই দুই মহা ক্রিয়েটিভ ব্যাক্তিত্ব ।
যেহেতু সময় বেশি নেই আর তাই ন্যুভেলকে কাজ শুরু করার অনুমতি দেওয়া হলো আগামী সপ্তাহ থেকেই ।









এগার:

যদিও দেশ থেকে বেশ কিছুদিন ছুটিতে ছিলেন, অনেক কিছু ঘটে গেছে বৃন্দাবনে, অনেক কিছু চেপে গেলেও নেকার আইল্যান্ডের এই রিল্যাক্সড পরিবেশেও খাঁ কে জানাতে বাধ্য হচ্ছেন কেভিন ।
গুলিস্থান সীমান্তের প্রদেশ মাইপিত এ জাতীগত দাঙ্গায় প্রায় চারশত মানুষ মারা গেছে আজ, সেনা বাহিনী তলব করেছেন প্রেসিডেন্ট । তাই আজ রাতের থাকাটা ক্যান্সেল করে দেশে ফিরে যেতে হচ্ছে খাঁ কে । পুলিশেরও প্রায় ৬ জন কর্মী মারা গেছেন ।
আবার শুরু হতে যাচ্ছে সেই ব্যাস্ততা আর টেনশনের দিন রাত্রী । তবে এগুলোতে ভয় পাননা খাঁ ।
বৃন্দাবনে বিরোধীদল এই সুযোগটা গ্রহন করে, আর দেশী বিদেশী মিডিয়ায় এটা প্রচার করে যে "দেশের এই ক্রান্তিকালে তাদের প্রধানমন্ত্রী তাদের সাথে নেই, তিনি আসলে ইচ্ছে করেই থাকেননি, কারন স্বড়যন্ত্রে তিনিও লিপ্ত", আসল কারন গুলিস্থানে গুল সরকারকে এই দাঙ্গায় প্রত্যক্ষ মদদদাতা হিসাবে আখ্যায়িত করে বৃন্দাবনের বিরোধীদল, তারা আরও বলে যে "গুল সরকারের সাথে অনৈতিক ঘনিষ্ঠতার প্রকৃত কারন তদন্ত করা দরকার, তারা প্রধানমন্ত্রীকে অসফল, অদক্ষ হিসাবে চিহ্নিত করে সরাসরি প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপ কামনা করে ।
তবে খাঁ সাহেবও কম যাননা, তিনি দেশে এসেই প্রথম লেভেল প্রতিরক্ষা নিয়েই ছুটে যান মাইপিত এ, সাথে দুইশ সাংবাদিক, ৫০০০ সেনা সদস্য, ২০ জন কমান্ডো, ৩০ জন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের বিশাল বহর, সাথে থাকছে ১০০০০ পুলিশ দল । ব্যাকআপ হিসাবে রাখা হয় ১০০০০ সেনা সদস্যকে । মাইপিতের কাছে ক্যান্টনমেন্ট ০৮ কে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয় ।
পুরোটা কন্ট্রোলে নিতে সময় লাগে মাত্র তিন ঘন্টা, সব ঠিকই যাচ্ছিলো হঠাৎই একটা গ্রেনেডের কিছু স্প্লিনটার এসে বিদ্ধ হয় খাঁ সাহেবের শরীরে । লুটিয়ে পরেন খান ।
মিডিয়াতে বিশ্ব ব্যাপী ভিডিওটা প্রচার হয় সাথে সাথেই ।মিলিটারী এম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া ন্যাভাল হাসপাতালে, পরে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ।






বার:

মিডিয়াতে একটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়, তবে মাইপিতের পরিস্থিতি পুরোপুরি কন্ট্রোলে আসে, আর কিছুক্ষণ পরে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানান "দেশের মহান নেতা মোনায়েম খাঁর সফল অস্ত্রপোচার হয়েছে, শরীর থেকে তিনটি স্প্লিনটার টুকরো বের করা হয়েছে, জাতির এই মহান নেতা সুস্থ রয়েছেন ।"
পরের দিন সকাল বেলা রাজধানীতে কয়েক লাখ ভক্ত বের হয়, ভাংচুর হয় বিরোধীদলীয় নেতাদের বাড়িঘর ।
সিঙ্গাপুরের ফুলারটন হোটেল থেকে ভাষণ দেন তথ্যমন্ত্রী, দেখানো হয় খাঁয়ের মাটিতে লুটিয়ে পড়ার অফিসিয়াল ভিডিও, আর তাকে বাঁচিয়ে দেওয়া সেই বুলেট প্রুফ ভেস্টটা ।
এদিকে খবরটা শুনার সাথে সাথে সমস্ত অফিশিয়াল প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করেন গুল, ফিরে যান প্রাসাদে । আর তার ব্যাক্তিগত সচিবকে বলেন তাকে কিছুক্ষণ পর পর আপডেট জানাতে । আর বলেন কাল চার্টার প্লেনে তিনি সিঙ্গাপুরে যেতে চান ।

বাবা মারা যাওয়ার পর যেরকম একা লেগেছিল গুলের আজ আবারো একা লাগছিলো তার ।রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা লাগছিলো গুলের, মনে হয় জ্বর এসেছে, বহু বহুদিন পর হালকা জ্বর আসলো আয়রন লেডীর । তার ব্যাক্তিগত সচীবের একটা ম্যাসেজ আসলো," Madam everything is alright tomorrow, flight will start at 7.30AM. I will call you at 6.30. All the Protocols are checked and upright.”
পরের দিন দুপুর নাগাদ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পৌছুলেন গুল, পরনে খাঁ সাহেবের দেওয়া সেই সিল্কের ড্রেসটি । গুল কখনও চুল বাঁধেননা । অনেকদিন পরে চুল পিছনে টেনে বাঁধলেন গুল । খাঁ সাহেবের সাথে দেখা হতেই খাঁ সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন “How are you Gul, I am still Alive, Probably….”
বলেই বুঝলেন সবাই আছেন, তাই মিস গুল বলা উচিৎ ছিলো ।
গুল অবশ্য ব্যাপারটা এড়িয়ে গিয়ে বললেন "Are you feeling better right now Mr. Khan?”
"Folks, will you all please let the two prime ministers talk for 10 minutes in one to one, if you do not mind.”
সবাই চলে গেলে গুল বললেন "কেমন আছেন মি: খান? আপনার নিজে ওখানে যাওয়ার কি দরকার ছিলো? এরকম ছেলে মানুষী আর কখনও করবেননা "ওনেকটা রাগী গলায় অধিকার নিয়েই বললেন গুল ।
"তুমি কেমন আছ গুল, পেছনে চুল বাঁধা অবস্থায় তোমাকে বেশ সুন্দর লাগছে গুল, এই দেখ তুমি বলে ফেললাম, না চিন্তা নেই আমি সবার সামনে তুমি বলবনা ।"
গুল একটা দীর্ঘ নি:শ্বাস ফেলল, মেয়েরা এমনিতেই সব কথা বলেনা, আর দেশের প্রথিত যশা প্রাইম মিনিস্টাররা তো অবশ্যই নয়, তবে তার এই দীর্ঘ নি:শ্বাস অনেক কথা বলে দিল । পাঁচ মিনিট নীরব হয়ে গুল খাঁ সাহেবকে দেখলো ।
খাঁও দীর্ঘ একটা নি:শ্বাস ফেলে বললেন, "গুল আমি মারা গেলে ভালো ছিলো, জীবনে তো পেলাম অনেক কিছুই । আমি মারা গেলে দেখতে এসো, তোমার কাছে এইটাই আমার চাওয়া ।"
গুলের চোখ ছাপিয়ে কান্না আসতে চাইছিলো, অনেক কষ্টে কান্না থামাল গুল । আবার ক্ষাণিকক্ষনের বিরতি ।
আয়রন লেডিদের কাঁদতে হয়না, তবে আসলেই কি তিনি এখানে একটি শুভাকাঙ্খী দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এসেছেন?
“গুল তোমার হাতটা আমার মাথায় রাখবে?”
গুল চোখের পানি ধরে রাখতে পারলোনা, অনেক দিন পরে কঠিন হৃদয় গুল কাঁদলেন ।
চোখ বন্দ করলেন খাঁ, আউরালেন তার লেখা একটি ছড়ার পংক্তি:
“হৃদয়টাকে আজকে আমি বাঁধবো শেকল দিয়ে,
মেঘের রাজ্যে ঘুরবো আমি তোমায় সাথে নিয়ে
……………………………………..
নিলয় মাঝে যেই পাখিটা ফুরুৎ ফুরুৎ করে,
হৃদয় খাঁচায় তারে আমি বাঁধবো চিরতরে |”



সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×