কি হচ্ছে ইদানিং?
শিশুকে আস্তে আস্তে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, যুবকের দুই হাত গরু কাটার চাপাতি দিয়ে আলাদা করে ফেলা হচ্ছে, স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলা হচ্ছে স্ত্রীর, ডাকাত সন্দেহে কলেজছাত্রদের পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, অনলাইনে লেখালেখি করে বলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলছে একের পর এক মানুষকে, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে গুলি করে পথচারী মেরে ফেলছে কেউ, কেউবা সাত জনকে খুন করে পেট কেটে লাশ ডুবিয়ে দিচ্ছে শীতলক্ষ্যায় - কি হচ্ছে এসব?
প্রতিদিন এরকম খবর; কতগুলো করে।
কোন বিচার নেই, কোন প্রতিকার নেই। কোন উচ্চবাচ্যও নেই।
যাদের ক্ষমতা আছে, পাড়ি জমাচ্ছে ক্যানাডা বা অস্ট্রেলিয়ায়। বাকি ম্যাংগো-পিপল প্রতিদিন প্রস্তুতি নিচ্ছে কবে তার পালা আসবে। সে নিজেই হবে এরকম কোন 'পত্রিকার খবর'। যদি নামজাদা কেউ হয়, তবে ভাগ্যে জুটবে পর পর কয়েকদিন পত্রিকার পাতায় খবর হওয়া, অনলাইনেও লিখবে কেউ কেউ। আর সাধারন কেউ হলে স্রেফ 'মুছে যাবে' পৃথিবী থেকে। কেউই টের পাবে না।
এই অভিশপ্ত সময়, সমাজ আর দেশে কেন জন্মালাম - সারাক্ষন শুধু এই চিন্তাটাই ঘুরে ঘুরে আসে। কোন আশা দেখি না, কোন ভরসার কথা শোনাবার মত কেউ নেই - কেউ আসবেও না দূরতম ভবিষ্যতেও।
জেনে গেছি এটাই আমাদের নিয়তি।
এরমধ্যেও প্রতিদিন প্রস্তুতি নেই আগামীদিনের জন্য। কত পরিকল্পনা - কত পরিশ্রম - কত আশাবাদী হওয়ার চেষ্টা। যদিও জানি না, এই প্রিয় মাতৃভূমি আগামীকাল কি ভয়াবহ সংবাদ আমার জন্য জমিয়ে রেখেছে।
সেই ছোটবেলায় পড়েছিলামঃ
'কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।'
এখন প্রতিদিন এর সত্যতা দেখি, প্রতি পলে পলে অনুভব করি। কিন্তু এখানে কোন স্বর্গ নেই, আছে শুধুই নরক। মানুষের মাঝে কোনও 'সুর'ও নেই, শুধুই অসুরের উপস্তিতি। যাই করি না কেন, নরকেই তো আছি, আর থাকবও।
তাহলে আর কেন প্রার্থনা করা? স্রষ্টার কাছে হাত তোলা?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬