somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লাল মিয়ার সিরিয়াস পোস্ট::::খিস্তিপুরাণ নতুন কইরা...

২২ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গালাগালি নিয়া আলোচনা জমছে। বছর দুই আগে এই বিষয়ে লিখছিলাম। তারপর নদনদীখালবিলড্রেনে অনেক তরল বৈয়া গেছে। এই বছরের শুরুতে কিছু সুসিল তাত্ত্বিক কথাবার্তা দিয়া ছ্যাড়াব্যাড়া কইরা প্রমাণ করতে চাইছে, আসলে তাগো পক্ষে কোনমতেই ভদ্রচোদা মুখোশের বাইরে আসা সম্ভব না, গালি তারা দিতে পারে না, তারা সোমাজের বাঁড়া, সুতরাং তারা যা পারেনা সেই রুল খেলায় চলবো না ইত্যাদি। এই হাস্যকর দাবীর জবাবে আরো রসাইয়া আরো দুইটা গাইল ছাড়া আর কিছু দেওনের থাকে না। তাই দিছিলাম। কিন্তু পুরান ড্রেনের পানি অতিরিক্ত বিষাক্ত হইয়া যাওয়ায় গালি নিয়া নিজে আর কোন আলোচনায় যাই নাই। মধ্যপন্থা অনুসরণের সুবিধাবাদী লাইনরে নর্ম মনে করতে গেলে কোন আলাপই বেশীদুর আগানো যায় না। সেইটা তখন কৃত্রিম মধ্যবিত্তের হাস্যকর শুচিবায়ুর মধ্যে ঘুরতে থাকে।

গালি দেওয়া উচিত কিনা এইটা আসলে একটা অ্যাবসার্ড প্রশ্ন। কারণ গালি বিষয়টা জনসমাজে নিয়মিত অনুশীলিত একটা ক্রিয়া। আমি জনসমাজই কমু, কারণ যারা বুকে কিল মাইরা নিজেগো নাগরিক সমাজের সদইস্য কইতে চায় তাগো প্রতি করুণা হয়। আর তাগো মইধ্যে যদি সত্যি সত্যি কেউ নোয়াবের পুত হইয়া থাকে তাইলে তো গালি খাওয়া তার জন্য আরো ফরজ। কারণ তখন সে পুরাপুরিভাবে জনসমাজ বহির্ভুত। আরো রূঢ়ভাবে কইতে গেলে ঔচিত্য বিষয়টাই ধোঁয়াইট্টা।

জনগন গালি দেয়। সুতরাং গালি গণসংস্কৃতির আওতায় পড়ে। সেই গালির উৎপত্তি হইছে জনগণের সমাজ জীবনের ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা থিকা। এই অভিজ্ঞতাই সেইখানে বুৎপত্তিগত তথ্য। ঐ অভিজ্ঞতা হওয়া উচিত কিনা সেইটা দিয়া সমাজতত্ত্ব-নৃতত্ত্ব কোনটারই আসলে কিছু আসে যায় না। উচিতের ফেউ উঠে পাওয়ার প্র্যাক্টিসের প্রশ্নে। তথ্যের উপর ঔচিত্য চাপানোর কাজটা করে রাষ্ট্র। সেইখানে সাধারণ ঔচিত্যবোধ বইলা কোন কিছুরে দাঁড় করানো যায় না। যখন কেউ বলে যে গালি দেওয়া ঠিক না কারন তাতে অমুকভাবে অমুক অপমানিত হয়, তখন বুঝতে হইবো সেই অমুক তার কেউ না কেউ লাগে, তারে গালি দিলে স্পীকার সাহেবেরও লাগে। অবস্থানটা রাজনৈতিক। যারা গালি দেয় তাগো অবস্থান যে রাজনৈতিক সেইটা গালি দাতারা কোনদিনই অস্বীকার করে নাই। নিজেরে নিরপেক্ষ দেখানোর ভঙ ধরে খারাপ শব্দ ব্যবহারের বিরুদ্ধে যারা জিহাদে নামে তারা।

নৃবিজ্ঞানের রেফারেন্সে মেইল শভিনিজমের কথা কইয়া এরা আরো ফাঁসে। “নারী”রে ভক্তিবস্তু বানাইলে তারা যে তাঁদের মানুষ পরিচয় থিকা আরো বেশী কইরা এলিয়েনেটেড হয় এইটা তখন আর তাগো চোখে আসে না। কারণ খারাপ শব্দ নির্ধারণের প্রশ্নে হ্যারা যেই মানদন্ড ব্যবহার করেন সেইটা শতকরা দুইশতভাগ পুরুষতান্ত্রিক। তারা কোন কোন ঐতিহাসিক ফেনোমেনা থিকা ঐ গালাগালি আইছে তার একরকম ডকুমেন্টেশান দিয়া পট কইরা সিদ্ধান্ত দিয়া দেয় সুতরাং এগুলা বলা খারাপ। বাদ পইড়া যায় এই শব্দগুলারে কে ক্যাম্নে ক্যান খারাপ শব্দ বইলা চিহ্নিত করছে, যেইসব ক্রিয়ার ধ্বনিরূপরে খারাপ শব্দ কওয়া হইতেছে সেইসব ক্রিয়ারে টাব্যু বানানোর পিছনে সেইসব রাষ্ট্রের কী উদ্দেশ্য ছিল। আলোচনা সেইদিকে বেশী বাড়াইতে গেলে পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে হাপসী বাইয়া কান্তে থাকাগো নিজেগো লুঙ্গী খইসা পড়বো। সুসিলরা কখনোই চায় না তাগো ছুডু পক্কু কেউ দেইখা ফালাক।
৩৮টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×