১৭-১১-৭১
ছোট ভাই
স্নেহাশীষ নিয়ো । থানা সেল গঠন করে সত্বর নাম পাঠাতে হবে। মামাদের নেওয়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিইনি। জিনিসপত্র পাঠানো যাবে - কিন্তু সময় সাপেক্ষ। শীতের বস্ত্র কেনার জন্য জনপ্রতি ১০ টাকা করে পাঠালাম । জনসাধারণকে বুঝিয়ে অন্যান্য খরচের ব্যবস্হা করতে হবে । এটা তো তোমরা ভালো করেই বুঝতে পার। আপাতত ৫০ টাকা পাঠালাম। দলীয় বিশ্বাসঘাতকদের শাস্তির ব্যবস্হা করেছে কি না জানিয়ো । হযরত আলী, রহিম আমাদের কাছে আছে । পরে যাবে। বাহককে ৫০ টাকা দিলাম। ব্যবসাসংক্রান্ত ব্যাপারে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার ২৪ দিনের পরবর্তী সাত দিনের কাজ আরম্ভ করবে এবং খবর জানাবে। নতুন সংকেত দিলাম। এগুলো ব্যবহার করেই চিঠি দিয়ো ।
ইতি
বড় ভাই
---------------------------------------------------------------------------
সংগ্রহে: বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: দলিলপত্র থেকে।
=========================================
পৃষ্ঠা ১০০
১৭.১১.৭১
লেফটেন্যান্ট রফিক
(১) দুই-এক দিনের জন্য ভাঙাবাড়ীর ৮৯ এমএম মর্টার দিয়ে কাজ চালাও; আর বাইরেরটা সম্ভব হলে ওয়েল্ড করে নাও, না হলে এখানে পাঠিয়ে দাও । ভাঙাবাড়ীর দিকে একজন এমএফসি ও কাইসাবাড়ীতে একজন এফএফসি রাখতে পার। জিরোআরজে-২০(জাপানি সেট) সেটটা পাঠিয়ে দিয়ো আজকেই।
(২) ঐ দিনের প্লানিংটা এক দিনের(২৪ ঘন্টা) জন্য পিছিয়ে গিয়েছে।
এম জাহাঙ্গীর
--------------------------------------------------------------------------
৭ নয় সেক্টরের ভোলাহাট সাবসেক্টরের কমান্ডার সেকেন্ড লে. (পরে মেজর) রফিকুল ইসলামকে যুদ্ধের নির্দেশ দিয়ে ১৭ নভেম্বর এই চিঠিটি লেখেন ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে নবাবগঞ্জ থানা মুক্ত করতে গিয়ে শহীদ হন তিনি। চিঠি ২৬ মার্চ ২০০৫ তারিখে প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছিল।
সংগ্রহ: মেজর(অব: ) রফিকুল ইসলাম পিএসসি-র কাছ থেকে।
==========================================
একাত্তরের চিঠি সংকলনের টেক্স্ট কন্টেন্ট প্রকল্পের অংশ হিসাবে প্রকাশিত
বইটি স্ক্যানের জন্য ব্লগার পথিক!!!!! এবং পাতলা খানের কাছে কৃতজ্ঞ।
একাত্তরের চিঠির অন্যান্য পৃষ্ঠার লিংক পাবেন লাইভ আপডেটের পাতায়