somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা আসলে মানুষ (!!) না , আমরা.... প্রিয় ব্লগার, আমরা কি আপনারাই বলুন !

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং মানবজমিন

চাপাতির কোপ খুঁজে পায়নি ফরেনসিক বিভাগ
মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১২

নূরুজ্জামান: পুলিশের পথ অনুসরণ করেছে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও এবং স্থিরচিত্রে হামলাকারীরা শনাক্ত হলেও পুলিশের রিপোর্টে তারা ছিল ‘অজ্ঞাত’। ঠিক একই ভাবে রড, লাঠি দিয়ে পেটানো ও চাপাতি দিয়ে কোপানোর দৃশ্য দেখা গেলেও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা নিহত বিশ্বজিতের শরীরে ওইসব অস্ত্রের কোন আঘাত খুঁজে পাননি। ধরা পড়েনি কিল-ঘুষি ও লাথির জখম। বিস্ময়কর হলেও এমন প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন মিটফোর্ড হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের একজন চিকিৎসক। অথচ ভিডিও চিত্রে অসংখ্যবার দেখা গেছে, চাপাতি শাকিল উপর্যুপরি কোপাচ্ছিল বিশ্বজিতের শরীরে। রাশেদুজ্জামান শাওন পেটাচ্ছিল রড দিয়ে। তার সঙ্গে ছিল মাহফুজুর রহমান নাহিদ, নূরে আলম লিমন, রাজন, ওবায়দুল কাদের, তাহসিন কাদের ও ইউনুছ। তাদের সবাইকে রড ও লাঠি হাতে বিশ্বজিৎকে পেটানোর দৃশ্য গণমাধ্যমে ধরা পড়েছে। এছাড়া শনাক্ত হওয়া বেশির ভাগ আসামি গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রড, লাঠি দিয়ে পেটানো ও চাপাতি দিয়ে কোপানোর কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু চিকিৎসকের পোর্স্টমর্টেম রিপোর্টে সেই শাকিলের চাপাতির আঘাত খুঁজে পাওয়া যায়নি। মিটফোর্ড হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের একজন চিকিৎসক বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্বজিতের শরীরের ২০-২৫ জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। রক্তাক্ত ক্ষত স্থানসহ অসংখ্য ফোলা-জখমের দাগ ছিল লাশের দেহে। এ সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পুলিশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল। এছাড়া লাশ কাটায় নিয়োজিত কর্মচারীরা (ডোম) বিশ্বজিতের শরীরে পৃথক অস্ত্রের পৃথক আঘাত শনাক্ত করেছিলেন। কিন্তু ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকের চূড়ান্ত ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে তা গোপন করা হয়েছে। তার ধারণা, হামলাকারীদের বাঁচাতেই এমন তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। গতকাল মিটফোর্ড হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের পোস্টমর্টেম রিপোর্টের নথিপত্র অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, বিশ্বজিৎ দাসের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন ডা. মাকসুদুর রহমান। রিপোর্ট নম্বর ৪৬৭/১২। রিপোর্ট তৈরির তারিখ ১৫ই ডিসেম্বর/২০১২। রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, পিঠের ডান পাশে ৩ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও দেড় ইঞ্চ প্রস্থের একটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাম পা থেঁতলে গেছে। মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ। এর বাইরে আর কোন তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিটফোর্ড হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাকসুদুর রহমান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরে কয়েক দফায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ‘পরে কথা বলবো’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ প্রসঙ্গে ওই হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক বলেন, চাঞ্চল্যকর যতগুলো হত্যাকাণ্ডের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে এগুলোর মধ্যে বিশ্বজিতের প্রতিবেদনটি সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম। এ রিপোর্টে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদারক কর্মকর্তা ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট মাত্র হাতে পেয়েছি। রিপোর্টে উল্লেখ করা বিষয়গুলো এখন নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। সূত্রমতে, শুরু থেকেই হামলাকারীদের বাঁচাতে বিশেষ মহল মরিয়া। ঘটনাস্থলের অল্প দূরেই লালবাগ জোনের ডিসি হারুন-অর রশীদ তার পুলিশ বাহিনী নিয়ে উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের হাত থেকে বিশ্বজিতের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে যাননি। গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত বিশ্বজিৎকে যখন এক রিকশাচালক হাসপাতালে নিয়ে যান, তখনও চিকিৎসকরা কার্যকর চিকিৎসাসেবা দেননি। এর প্রতিবাদে জড়িত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, নিহতের স্বজনদের ফিরিয়ে দিয়ে মামলার বাদী হন সূত্রাপুর থানা পুলিশের কর্মকর্তা। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে আসামিদের সবাই চিহ্নিত হলেও পুলিশের এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাত হিসাবে ২০-২৫ সংখ্যা উল্লেখ করেন। সর্বশেষ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকদের মনগড়া রিপোর্ট নিয়ে এখন তোলপাড় শুরু হয়েছে। মামলার বাদী সূত্রাপুর থানার এসআই জালাল উদ্দিন বলেন, বিশ্বজিতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা ও ফোলা জখমসহ অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। সুরতহাল প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী মামলার এজাহার লেখা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন এসআই জাহেদুল হক। তিনি বলেন, লাশের সুরত (চেহারা) যেমন দেখেছি তেমনই রিপোর্টে উল্লেখ করেছি। নিহতের সারা শরীর ছিল রক্তাক্ত। মাথা, হাত, পা ও পিঠসহ সারা শরীরেই অসংখ্য ফোলা ও কাটা জখমের দাগ ছিল।
সূত্র : দৈনিক মানবজমিন , বাংলাদেশ প্রতিদিন

bangladesh protidin
manabjamin
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×