#SupportGaza হ্যাশট্যাগ
খুব পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি #SupportGaza হ্যাশট্যাগ মুভমেন্টের বিরুদ্ধে অনেকেই বিষেদাগার করছেন। এ ব্যাপারে শাহবাগীদের মধ্যে বিশেষ গাত্রদাহ লক্ষ করা যাচ্ছে। অত্যধিক আশ্চর্যের বিষয় কিছু ইসলামিস্টও অভিমান করছেন হ্যাশট্যাগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে।
প্রথমেই বলে নেই এই হ্যাশট্যাগ মুভমেন্টের উদ্যোক্তা কারা। এটার উদ্যোক্তা হচ্ছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন (পিএসসি) নামের একটি সংগঠন যারা কাজ করছে ১৯৮২ সাল থেকে। প্যালাস্টাইনিদের অধিকার আদায়ে জনমত তৈরিতে ইন্টারন্যাশনালি সবচেয়ে বেশী রেকগনাইজড এই সংগঠনটিই মূলত #SupportGaza হ্যাশটাগ ব্যবহার করার জন্য রিকুয়েস্ট করেছে। পাশাপাশি, ফ্রেন্ডস অফ আল আকসা, বিএমআই সহ অন্যান্য মানবতাবাদী সংগঠনগুলোও এটিকে ওয়েলকাম করেছে।
কি হবে এই আন্দোলন করে
হ্যাশট্যাগ করে কি হবে এমন প্রশ্ন অনেকেরই? কিছু লাভ হতে পারে আবার নাও হতে পারে। নির্ভর করছে আপনি কি উদ্দএশ্যে এটি বয়াবহার করছেন। আপনি যদি রাতারাতি বিজয়ের উদ্দেশ্যে #SupportGaza ব্যবহার করেন তাহলে আপনার উদ্দেশ্য সফল হবেনা। তবে জনমত ট্রেন্ড কোনদিকে তা বুঝানোর জন্য এটার কোন বিকল্প নেই এ মূহুর্তের সোশ্যাল মিডিয়াময় পৃথিবীতে। শুধু মাত্র একটা একটা উদাহরন দেবো। চ্যানেল ফোর রিপোর্ট করেছে ইজরেল সোশাল মিডিয়া যুদ্ধে হেরে গেছে। আপনি কি অনুধাবন করতে পারছেন কেন হেরে গেছে। হেরে গেছে এই হ্যাশট্যাগের কারনেই। ইজরেল হেরে গেছে প্যালেস্টািনের নির্যাতিত মানুষের প্রতি বিশ্বের সাধারন মানুষের ভালোবাসার কাছে। এই সাধারন মানুষজন তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করছেন #SupportGaza হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে।
ওকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের কথা নিশ্চয় মনে আছে আপনাদের। আমেরিকা সরকারের কলিজায় কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলো যে আন্দোলন সেটির শুরুও কিন্তু একটি মাত্র হ্যাশট্যাগ দিয়েই #OccupyWallStreet
চ্যানেল ৪ এর রিসেন্ট একটা ব্লগে বলে হয়েছে গতানুগতিক মিডিয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে। পল ম্যাসন তার ব্লগে এভাবেই বর্ননা করেছেন
I “witnessed” it sitting in a field in Wales, with no TV, and no computer, only a sporadically updated Twitter app on my iPhone using wi-fi too rubbish to even get any of the HTML
সোশ্যাল মিডিয়ার জয়জয়কার
ইজরেলি মিডিয়া দ্য জুইশ ডেইলী ফরওয়ার্ড নিউজ করেছে ইজরেলের চরম নতুন শত্রু হচ্ছে টুইটার। নিউজটা পড়েই দেখুন সোশ্যাল মিডিয়ার পাওয়ারটা কি?
তাই সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব আমাদের বুঝতে হবে। কয়েকযুগ আগের ইজরেল আর আজকের ইজরেল এক নয়। কয়েকযুগ আগে ইজরেল মানেই ইউরোপীয়ান-আমেরিকানদের ভালোবাসা, মমতায় বেড়ে উঠা এক বেয়াড়া জংগি যাদের প্রতি সাধারন পশ্চিমাদের ভালোবাসা ছিলো। কিন্তু আজ যুগ বদলে গেছে বিবিসি, সিএনএন, ফক্স নিউজ যা তাদের জায়নিস্ট সম্পাদকীয় নীতিমালার কারনে দেখায় না তা মুহুর্তেই টুইটার, ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে পৃথিবীময়। মানুষ টেলিভিশন দেখার প্রয়োজনই বোধ করেনা অনেক সময়।
ইজরেল তার দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধ করছে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশী বেশী এক্টিভ হওয়ার জন্য এবং এজন্য স্কলারশীপ সহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধাও ঘোষনা করেছে। বিষয়টার মধ্যে শাহবাগীদের মিল রয়েছে। শাহবাগীরা যেমন করে রাস্ট্র বা শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা অনুদান ও লুটপাটের সুযোগ পেয়েছে ঠিক তেমনি ইজরেল জায়নিস্টরাও একই পদ্ধতিতে এগিয়ে যেতে চাচ্ছে।
আমাদের জায়নিস্ট, মুজিবিস্ট, আওয়ামিস্টদের অবস্থান
কিছু আওয়ামী শাহবাগী যেমন অমি পিয়াল, আরিফ জেবতিকরা #SupportGaza এর বিরুদ্ধে থাকবেই এটা খুব স্বাভাবিক কারন #SupportGaza মানেই হচ্ছে দেশপ্রেম, #SupportGaza মানেই হচ্ছে ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত হওয়া। #SupportGaza মানেই হচ্ছে দুঃখিনী মায়ের শেষ সম্বল ছেলেটির গুলতি হাতে আধুনিক অস্ত্রে সুসজ্জিত ইজরেলি টেররিস্টের বিরুদ্ধে অবিরাম প্রতিরোধ। শাহবাগীরা কি এতও বোকা যে তারাও এই #SupportGaza আন্দোলনকে সমর্থন করে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম ও ধর্মানুভূতি জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করবে?
তাই একজন সচেতন বাংলাদেশী মানবতাবাদী হিসেবে আমি আবারো বলবো, I am উপপাদ্য From #London, #UK. I #SupportGaza .
জেগে উঠুক বাংলাদেশ, জেগে উঠো সকল মানবতাবিরোধী রাস্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। জেগে উঠো ব্রাম্মন্যবাদী, ইহুদীবাদী ও তাদের সহযোগী সেকুলার এক্স্ট্রিমিস্ট, কমিউনিস্ট এক্স্ট্রিমিস্টদের বিরুদ্ধে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৭