আজকে ক্যাম্পাস এর কথা মনে পরছে অনেক। রাসেল এর পোস্ট পরে মনে হয়। কতদিন যাইনা...মনটা খারাপ হয়ে গেল....5 টা মাস আগেও ক্যাম্পাস ছিল আমার ঘরবাড়ি...সপ্তাহের শেষে বাসায় যেতাম বেড়াতে ...মাঝে মাঝে তাও বাদ দিতাম,,,,কতো বকা খাওয়া হলে থাকা নিয়ে....
তুহি এখনো হল ছাড়েনি শুনলাম,তবে প্রায় গুছিয়ে এনেছে,,,ছেড়ে দেবে খুব তাড়াতাড়ি...বাবলি আছে...আমিও বোধ হয় থাকতে পারতাম সামনের বছরটা...কিন্তু উপায় তো নেই।
সব মিস করছি ক্যাম্পাসের, সব। মেইন বিলডিং এর চওড়া বারান্দাগুলো, লিফট বন্ধ পেয়ে মেজাজ খারাপ করে অনেক কষ্টে সিড়ি বেয়ে বেয়ে 5 তলায় ওঠা...হঠাৎ কোন কোন বিকালে আকাশের রং দেখে হা করে তাকিয়ে থাকা...আকাশে এত রং থাকতে পারে? নিজের চোখকে বিশ্বাস হতনা মাঝে মাঝে..এত এত রং....সূর্যটা ডোবার আগে আকাশে একদম একটা মাস্টারপিস এঁকে যেত...আমি সেই বিকালের রোদ্দুরে 5 তলার সেই লম্বা করিডোর মার্কা বারান্দায় দাড়িঁয়ে আকাশ কে দেখতাম চুপচাপ....শর্মীর সতর্কবানী মনে থাকতনা তখন.."সকালের রোদ আর বিকালের রোদে বের হবিনা কখনো..ঐ সময়কার রোদ বেশি ক্ষতিকর..''
টিভি রুমের সামনের শিউলি গাছটা...আবার শীতকাল এসে পড়লো...এখনো নিশ্চই সকাল বেলা সাদা হয়ে থাকে নিচের ঘাসগুলো...অনার্সের সামনের কাঠগোলাপ গাছটা...রাতের বেলা দল বেঁধে সেটার ডালে বসে গল্প করা...সবসময় ফুল থাকত গাছটাতে...নার্গিস আপুএকটা বাদর এনে সেই গাছটার সাথে বেঁধে রাখল একদিন, আর আমাদের সে কি দুঃখ,,,,আমরা আর গাছের ধারেকাছে যেতে পারিনা...
আর সেই মাঠের মাঝখানের বিশাল রেইন ট্রি টা? ঘাসের উপর শুয়ে শুয়ে ওটার পাতার ফাঁকফোকর দিয়ে আকাশ দেখা,,,,তারা দেখা,,,,কত মন খারাপের রাত গুলো কাটিয়েছি ওখানে...আমাদের কত কত কান্নার সাক্ষী...
সেই আড্ডার রাতগুলি...তুহি ঘুমে ঢুলুঢুলু...বাবলার নিয়ম করে 12টায় ঘুমিয়ে যাওয়া...শুধু আমার চোখেই ঘুম থাকতোনা কেন জানি...তখনি টের পেতাম এইদিন গুলো শেষ হয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি...তাই একদম ঘুমুতে চাইতামনা...যতক্ষণ জেগে থাকা যায়...
কলাভবনকে মিস করব জন্মেও ভাবিনি,,,আমি

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



