somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

:D:D প্রেম কাহানী (অল্প বিস্তর ১৮ +)X(X(

১৬ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম - শালা বলে কি ? কবিতার বই দরকার ? তাও আবার রোমান্টিক কবিতার বই। ডাকাতের ছেলে কবি হয়েছে শুনলেও মানা যায় কিন্তু - ও কবিতার বই খোজে ? অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার । ভার্সিটির লাইফে যে পোলা সাইন্সের এর রোমান্টিক বই থেকে শুরু করে আজ কালকার হুমায়ুন এর ধারে কাছে ঘেষে নাই সে কিনা খোজে-------B-)B-)

আমিতো আকাশ থেকে পড়লাম- সমস্যা কোথায় ? ও কবিতার বই খোজে কেন ? চেপে ধরতেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। বন্ধু আমার প্রেমে পড়েছে, যে সে প্রেম নয় - একেবারে লাইলি-মজনু টাইপের। মেয়ে আবার ফেলনা নয়, হাল আমলের আর-জে(রেডিও জকি)। মিনিটি খানেক সময় লাগলো ধাতস্ত হতে। নির্বিশ স্টুডেন্ট লাইফ পার করে চাকরির চার বছরের মাথায় কি না প্রথম বারের মত প্রেমে পড়ল ? তাও আবার আরজের- পোলার সাহস আছে ! ;);)

আপনারা হয়েতো বলবেন - প্রেমের কোন বয়স নাই। আমিও বলবো বয়স নাই, তাই বলে এত ভদ্র একটা ছেলে প্রেমে পড়বে, তাও আবার (ফটকা=বাচাল) আরজের ! আপানারা হয়তো ভৈরবের সেই চাচার কথা মনে করিয়ে দেবেন- কাকে আর ভালো বলি ? হুজুর ছেলে দেখে মেয়েটারে বিয়ে দিলাম, তারও দেখি ছেলে মেয়ে হয় ! হুজুরের ছেলে মেয়ে হতে পারে কিন্তু ওর প্রেমে পড়া অস্বাভাবিক, অন্তত্য আমি তাই বলবো! যদিও বড়রা বলেন- ফাদ পাতা ছিল বাসার খুব কাছে, উড়তে না উড়তেই ধরা পড়ে গেলাম !!! :):)

ও জিপিতে চাকরি করে, চাকরির শুবাদে একটি ফ্রি মোবাইল হাতে থাকে। আর অবসরকে বিনেদনে ভরিয়ে দেওয়ার জন্য জিপির ২৮২৮টাকে বেছে নেয় ও। কথা বলতে থাকে অপরিচিত অনেক বঙ্গ ললনার সাথে । এর মাঝে এক আরজের সাথে কথা বলে ভালো লেগে যায়। আরজেরও ভালো লাগে তার মতো একটা োদাই ছেলেকে, কারন এরকম োদাই এখন বিরল। যাই হোক মোবাইল নাম্বার বিনিময় হয় আর শুরু হয় রাত জেগে প্যান প্যানানি ।

আরজে হওয়ায় মেয়েটার কন্ঠ স্বর আর কথা বলার স্টাইল স্বভবতই ভালো । ও গলতে শুরু করে মেয়ের স্বরচিত কবিতা শুনে । দুনিয়ার সব কবিতাই ওর কাছে আরজের মনে হয় । একদিন আড্ডায় কোন এক প্রসঙ্গে আমি গুরুর দুই লাইন আওড়াতে না আওড়াতেই সে আমাকে চেপে ধরে- এই কবিতা তুই কোথায় পেলি, এটাতো ওর লেখা কবিতা, ও আমাকে শুনিয়েছে ? আমি দুদিকে মাথা ঝাকিয়ে মুচকি হাসলাম(হে হে হে) । :P:P



মাঝে মাঝে ওর কাছ থেকে ফোন পাই - অমুক এফ এম শোন ওর অনুষ্ঠান চলে, শুনতেছি বলে ওকে আশ্বস্থ করি। আমার আর বুঝতে বাকি থাকে না- জল অনেক দুর গড়িয়েছে। ফেস-বুকের অনিন্দ সুন্দর (ফটো ইডিটিং সফট এর কল্যানে) ছবি দেখে দুই জনে বোঝে - আমি ঠকি নাই।/:)/:)

যদিও কেউ কাউকেই দেখেনি তার পরও প্রেম আর শুধু কবিতা শোনানোর মধ্যে সীমাদ্ধ থাকেনা। প্রেম যে এখন হৃদয় থেকে শরীর মুখি বুঝতে পারি ওর কথা শুনে । “ আচ্ছা আমি যদি তোমার ওটা ধরি তোমার কেমন লাগবে ?” মেয়ে নাকি তাকে এটা বলেছে - এর মানে কি ? ও বুঝতে চায় আমার কাছ থেকে । আমি মনে মনে বলি োদাই থেকে গেলি ! মুখে বলি আরে গাধা তোর হাত ধরতে চাইছে- এটাও বুঝিস না ? দেখা করে ফেল । ওবলে দেখা যখন তখনই করা যায়, দিনের বেলায় ওদের বাসায় কেউ থাকে না, আমাকে যেতে বলে, আমার ভয় করে । আমি তাকে সাহস দিই। যদিও আমি কনফিউজড ।

অবশেষে তারা দেখা করে প্রিন্স প্লাজার সামনে- আমি দুরে দাড়িয়ে ওকে সাহস জোগায়। ফেসবুকে দেখা ছবির সাথে মেয়ের মিল খুজে পাইনা, বুঝতে পারি। ওরা নাস্তা করে আর আমি দুরে দাড়িয়ে আঙ্গুল চুশি। পরদিন সকালে ওর ফোন পাই। উদ্ভ্রান্তের মত আমাকে অনেক কথা বলে যায়। যার সারমর্ম হচ্ছে, মেয়ের যে সব কথা সে বুঝতে পারিনি এত দিন , গত রাতে সে সব কথা মেয়েয় বুঝিয়ে দিয়েছে। আর বাসায় যেতে বলার কারনটাও তার কাছে পরিস্কার । সাথে বোনাস হিসাবে মেয়ের পূর্বের প্রেমের (বিছানা পর্বের) বর্ননা শুনে সে অসুস্থ। ফলা ফল দুইদিনের লিভ এ্যাপ্লিকেশন সাথে মোবাইল নাম্বার পরিবর্তনের দরখাস্ত। :((:((

বিঃদ্রঃ সকল চরিত্র ঘটনা কাল্পনিক, কারো সাথে মিলে গেলে সেটা নিতান্তই দুর্ঘটনা।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪১
২২টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×