| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরোগ্য
পৃথিবী আজ তার বার্ধক্যে এসে পড়েছে, শৈশব পেরিয়ে যৌবন ও সে হারিয়েছে, তাই বৃথা আনন্দ করো না, ক্ষণিকের সময় হাতে, নশ্বর এ পৃথিবী যেন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। সে মৃত্যু আসার আগে আজ তীর্থে ভ্রমণ করো, পবিত্র জলে হে পৃথিবী তুমি অবগাহন করো, ধুয়ে ফেলো তোমার গায়ের শত কালিমা, সাজিয়ে নাও বিদায়ের আগে আবার আঙিনা।
"ইসলামে নারীর মর্যাদা" শিরোনামে নারী শব্দটি স্পষ্টত উল্লেখ করা হয়েছে তথাপি লেখাগুলো নারী পুরুষ উভয়ের জন্য জানার বিষয়। চারপাশে ফেতনার জোয়ার, কোনটা সঠিক এবং কোনটা ভুল তা বিচার করাও দ্বিধাগ্রস্ত ব্যাপার। এতদ্ব্যতিত নিকট ভবিষ্যতে ইসলামের নাম ব্যবহার করে এক বিশাল ফেতনার আগমন টের পাচ্ছি, যা মুষলধারে বৃষ্টির ন্যায় সকলের উপর আপতিত হবে। এমতাবস্থায় যদি আমরা দ্বীনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে না ধরি তাহলে চরমভাবে বিভ্রান্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমাজে নারীদের বিষয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ও ইসলামি শরীয়তের ভুল ব্যাখ্যার খন্ডনে যথেষ্ট দলিল প্রমাণ, তুলনামূলক ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সহকারে "ইসলামে নারীর মর্যাদা" নামে একটি ধারাবাহিক শুরু করেছিলাম যেগুলোর সারকথা ও লিংক নিম্নে উল্লেখ করা হলো, আগ্রহী পাঠকবৃন্দ চাইলে দেখে নিতে পারেন।
পর্ব ১ : পর্দা
এটি সবচেয়ে দীর্ঘ পর্ব। পর্দা যে কেবল পোশাকের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয় বরং তা গৃহে বাইরে, চলনে বলনে, আচার-আচরণ সবক্ষেত্রেই বিদ্যমান তা কোরআন হাদিসের আলোকে এ পর্বে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতিতে নারীর পর্দার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে এবং শরীয়ত মোতাবেক পর্দা করার ফলে নারীদের জন্য যে উপকারিতা রয়েছে তা বৈজ্ঞানিক তথ্যসহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সবশেষে পর্দার নিয়মনীতি অনুসরণ না করার ফলে সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয়ের চিত্র ও পর্দা অমান্য করার কুফল নিয়েও আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়াও এ পর্বে মন্তব্যগুলোতেও গঠনমূলক আলোচনা করা হয়েছে যা এ পর্বটিকে অধিকতর সমৃদ্ধ করেছে।
পর্ব ২ : কন্যাসন্তান
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই কন্যাসন্তান সমাজে অবহেলিত। এ পর্বে বিভিন্ন যুগ ও সভ্যতায় কন্যাসন্তানের প্রতি পরিবার ও সমাজের অমানবিক আচরণ পর্যাপ্ত দলিলসহ তুলে ধরা হয়েছে। এবং পোস্ট এর মূল বিষয়, ইসলাম ধর্মে কন্যাসন্তানের মূল্যায়নকে কোরআন হাদিসের আলোকে উল্লেখ করা হয়েছে।
পর্ব ৩ : শিক্ষা
নারীবাদী ও তথাকথিত সেকুলার মুক্তমনা সুশীল চিন্তাবিদদের মতে ইসলাম ধর্মাবলম্বী নারী সেকেলে, অজ্ঞ, শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়া নাগরিক। অথচ ইসলামে শিক্ষা অর্জন করা প্রতিটি নারী পুরুষের কর্তব্য। এ পর্বে ইসলামের দৃষ্টিতে শিক্ষা এবং নারী শিক্ষার গুরুত্ব ও ইতিহাস আলোচনা করা হয়েছে।
পর্ব ৪ : বিবাহ
ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক বিবাহের প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে নারীর জন্য নিরাপত্তা ও সম্মান। এ পর্বে কোরআন হাদিসের আলোকে তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেই বিষয়গুলো সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
পর্ব ৫ : তালাক
তালাক শব্দটি সমাজে অসম্মানজনক হলেও ইসলামি শরীয়তে এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এ পর্বে বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি ও সভ্যতায় তালাকের বিভৎস চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রচলিত তালাক ও কোরআন সুন্নাহভিত্তিক তালাকের পার্থক্য সুস্পষ্ট করা হয়েছে এবং তালাকের বিধান যে নারীর নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার এক অন্যতম হাতিয়ার তা এ পর্ব থেকে সহজেই অনুধাবন করা যায়।
পর্ব ৬ : মাতৃত্ব
মাতৃত্ব নারীর মূল বৈশিষ্ট্য যা একজন নারীকে বিভিন্ন ভাবে পুরুষ থেকে আলাদা করে। এ পর্বে মাতৃত্বের প্রতিটি স্তর, নারীজীবনে মাতৃত্বের প্রভাব, ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃত্ব, বিভিন্ন স্তরে করণীয় বর্জনীয় ও বৈজ্ঞানিক মেলবন্ধন তুলে ধরা হয়েছে।
পর্ব ৭: সম্পদ
ইসলামি শরীয়ত সম্পর্কে যার জ্ঞান নেই কেবল সেই ব্যক্তিই বলতে পারে যে, ইসলাম নারীকে বঞ্চিত করেছে। অথচ ইসলাম নারীকে বিভিন্ন ভাবে সম্পদ লাভের ও সম্পদ অর্জনের অধিকার দিয়েছে। এ পর্বে কোরআন হাদিসের দলিল সহ তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালার বিশেষ রহমতে জটিল ও বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লেখা পর্বগুলো সমাপ্ত করতে পেরেছি। একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই, অনেকেই মনে করতে পারেন এখানে ইসলামকে বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডে রেখে পোস্ট করা হয়েছে ( আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুক) তা মোটেই নয় বরং শরীয়তের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য উপলব্ধি করে বান্দা অধিক শোকরগুজার হবে এবং ঈমান আরো মজবুত হবে সেই লক্ষ্য সামনে রেখে বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো যুক্ত করা হয়েছে। পোস্টগুলোতে উপসংহার ব্যতিত বাকি লেখাগুলো দলিল প্রমাণ ভিত্তিক, এখানে আমার কোন কৃতিত্ব নেই তবে যদি কোনরূপ ভুল তথ্য দিয়ে থাকি সেটার জন্য আমি দায়বদ্ধ। পাঠকের নিকট সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি যে, কোন প্রকার ভুল ত্রুটি দৃষ্টিগোচর হলে তা যেন ধরিয়ে দিয়ে সংশোধনের সুযোগ করে দেয়। এছাড়াও পোস্টটি যদি দ্বীনের জন্য কল্যানকর মনে হয় তাহলে তা ছড়িয়ে দিয়ে সকলের জন্য সাদাকায়ে জারিয়ার পথ উন্মুক্ত রাখার অনুরোধ রইলো এবং সেই সাথে আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান নারী, যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন, যিনি আমার মমতাময়ী মা (আল্লাহ তার উপর রহম করুন) তার জন্য সকলের নিকট দোয়ার দরখাস্ত রইল, আল্লাহ যেন আমার মা জননীকে জান্নাতুল ফেরদৌসের ওয়ারিশ করেন।
( বি.দ্র : উল্লেখিত পর্বের বিষয়ে যদি কোন মন্তব্য থাকে সেটা সংশ্লিষ্ট পোস্টে করলে বিষয়ভিত্তিক আলোচনার ধারা বজায় থাকে। মন্তব্য করার সময় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য সম্মানিত পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ধন্যবাদ! )
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৮
আরোগ্য বলেছেন: ওয়া ইয়্যাকুম জাযা! অনেক ধন্যবাদ নকিব ভাই শুরু থেকেই আপনারা কয়েকজন পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দিয়ে উৎসাহ জুগিয়েছেন। আল্লাহ চাইলে হয়তো আবারও কোন নতুন বিষয় নিয়ে সিরিজ শুরু করবো, যেটা আমার জ্ঞানের দুয়ার আরো আলোকিত করবে ইনশাআল্লাহ। সেই সময়েও আপনাদের পাশে থাকা প্রত্যাশা করছি।
২|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: মূলত ইসলাম নারীর সর্বনাশ করেছে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২১
আরোগ্য বলেছেন: সব পর্বে প্রায় একই মন্তব্য। আপনার শব্দ ভান্ডারে ক্ষয় ধরেছে।
৩|
০১ লা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ''ইসলামে নারীর মর্যাদা'' সিরিজের সারকথা পোষ্ট আইডিয়াটা আমার পছন্দ হইছে।
আমাগো ইসলামোফোব আর 'অত্যাধুনিক' নামধারী চুশীল আবালরা ইসলাম লয়া পড়ালেখা না কইরাই কিছু তোতাপাখীর বুলি আওড়ানোরে তাগো সুমহান কর্তব্য মনে করে। এইসব আবাল গো ধারনা, সবকিছুর লেইগা দায়ী হইলো ইসলাম। ইসলামের কামই হইলো নারীগোরে চাইর দেওয়ালের মইদ্দে আটকাইয়া রাখা। এই ধারনার পিছে অবশ্য কিছু আলেম নামের ভুয়া ইসলামী বক্তাও দায়ী।
যাউকগ্যা, আপনের এই সিরিজ তাগো আন্ধার কাটাইতে কামে দিবো, যারা তাদের মনের আন্ধার কাটাইতে চায়। আর যারা চায় না, তাগো আরো ল্যাদানোর সুযোগ দিবো। আশাকরি, ভবিষ্যতে আপনে সবাইরে যার যার মনের আশা পূরণে আরো সহায়তা করবেন।
আইতে ইকটু দেরী হইলো, তয় এই পোষ্টের কথা সব সময়েই আমার মনে আছিলো। অল দ্য বেস্ট ফর ফিউচার সিরিজ। ![]()
০১ লা নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আরোগ্য বলেছেন:
ব্যক্তিগত ভাবে আমি অহন সালাফি আকিদা পছন্দ করি আর তাগো তরিকাই আমার কাছে সহীহ মনে অহে। বাকিরা তো কয় খালি, "চিল্লায়া কন ঠিক না / কি ঠিক নাকি বেঠিক / বলেন না কেন ঠিক বললাম না ভুল "। হায়রে দুনিয়া নিজেই জানে না কোনটা ঠিক শ্রোতাগো থেইকা জানবার চায়। ওয়াজ করবার আহে নাকি ঠিক বেঠিক জানবার আহে?
চুশীল আর চুলকাটা নারীবাদীগো লয়া কি কমু। এরা আদামিদি আয়াত মুখস্ত কইরা টক শোতে টিকটক করে। তয় এগো দোষ কম কারণ এরা মানসিক বিকারগস্ত। দোষ তাগো বেশি যারা দ্বীন প্রচারের দায়িত্ব লয়া ব্যবসা শুরু করসে তয় বেশিদিন এই ব্যবসা আর টিকবো না ইনশাআল্লাহ।
নাহ্ অত জলদি কোন সিরিজ ধরুম না। কয়দিন আগে ২০ টা বই কিনসি সাড়ে তিনটা শেষ করসি, আর সিরাত শেষ না কইরা কোন গবেষণা পোস্টে হাত দিমু না। কয় বছর হইসে সিরাত পড়তে লইলেই শয়তান আমারে ডিসটার্ব করে। এইবার ইনশাআল্লাহ শেষ করুম যদি আল্লাহ বাঁচায়।

©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
জাজাকুমুল্লাহু খাইরান। আপনার প্রচেষ্টা আল্লাহ তাআ'লা দ্বীনের প্রচারের মাধ্যম হিসেবে কবুল করে নিন।