| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তাহাসিন
হিমু হবার স্বপ্নে কষ্ট কুড়িয়ে জোছনাপ্রেমী মানুষটি ময়ুরাক্ষীর পাড়ে খোঁজ করে ভালোবাসার নীল প্রজাপতির .....
যদি প্রশ্ন করা হয়, সৃষ্টিকর্তা বলে কি কেউ আছেন? তাহলে আমি বলবো সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই, তবে সৃষ্টিঘটনাকারী শক্তি আছে। সৃষ্টিঘটনাকারী শক্তি আর সৃষ্টিকর্তা এক নন। কারণ সৃষ্টিকর্তা বলতে কোন একটি নির্দ্দিষ্ট সত্তাকে বোঝায় যা অনুভুতি সম্পন্ন কোন বস্তুসরূপ এবং যা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে একটি নির্দ্দিষ্ট স্থান হতে, ফলে এই সত্তা তার একত্ববাদকে প্রকাশ করে থাকে। একত্ববাদই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের একটি প্রধান শর্ত। কিন্তু প্রতিটি সৃষ্টির প্রক্রিয়াগত আচরণ দেখে বলা যায় যে এইসব সৃষ্টি একই সত্তা দ্বারা সৃষ্টি বস্তু নয় অর্থাৎ সৃষ্টিঘটনাকারী শক্তির আচরণ বা চরিত্র এক ধরনের নয়। অতএব সৃষ্টিকর্তা এক এবং অদ্বিতীয় এই শর্তটি যদি ঠিক না হয় তাহলে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমানের যে শর্ত তা পুর্ণতা লাভ করে না। কারণ প্রতিটি ধর্মেই বলা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা এক এবং অদ্বিতীয়। যদি সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমানে এই শর্ত না মেলে তাহলে বলতে পারি সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই, তবে সৃষ্টিঘটনাকারী শক্তি আছে যা নিয়ন্ত্রিত হয় বস্তুর আভ্যন্তরিন প্রক্রিয়াগত আচরনের উপর। প্রতিটি সৃষ্টির আচরণ এক নয়, ভিন্ন ভিন্ন। অতএব প্রতিটি সৃষ্ট বস্তুর আচরণগত বৈশিষ্ট যদি এক না হয় তাহলে বলা যায় না প্রতিটি বস্তুর সৃষ্টিকর্তা একই। আর সৃষ্টিকর্তা যদি এক না হন, তাহলে সৃষ্টিকর্তার শর্ত ভুল বলে প্রমানিত হয়। অতএব সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই।
এখন আসি প্রভূ বা পালকর্তার বিষয়ে। প্রভু বা পালনকর্তা কি আছেন? এই বিশ্বভ্রমাণ্ডে একক সত্তা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কোন সৃষ্টিকর্তা নেই ফলে পালনকর্তা বলেও কিছুই নেই। তবে প্রতিটি বস্তুর অবস্থার পরিবর্তন বস্তুর আভ্যন্তরিন বৈশিষ্ট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হায়ে থকে। বস্তু তার ইচ্ছা অনিচ্ছায় তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। তবে শুধুমাত্র মানুষ তার অবস্থার পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে। আভ্যন্তরিন বৈশিষ্টের উপরই মানুষের পরিবর্তন সম্পূর্ণ নির্ভরশীল নয়। মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছাও এই পরিবর্তনের উপর প্রভাব বিস্তার করে। অতএব মানুষ ছাড়া অন্য কোন বস্তুর পালনকর্তার অস্তিত্ব তো নেই, মানুষেরও নেই। মানুষের পালনকর্তা মানুষ নিজেই। অবশ্য ধর্মগ্রন্থের প্রয়োজনীয়তা দেখে তাই মনে হয়। কারণ ধর্মগ্রন্থের বাণী যে শুধু মানুষের জন্যে পালনীয় তা দেখেই বুঝা যায়। এই বাণী মানুষ ছাড়া অন্য বস্তুর উপর কোন প্রভাব ফেলে না। অতএব এই গ্রন্থের দ্বারা যে পালনকর্তা বা সৃষ্টিকর্তার বর্ণনা পাওয়া যায় তাতে মানুষের জন্যেই তিনি, অন্য বস্তুর পালনকর্তা তিনি নন। অতএব সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ কোথাও নেই এবং সৃষ্টিকর্তাধারী পালনকর্তা বা প্রভু বলেও কেউ নেই।
তাহলে কি বলতে পারি ধর্মগ্রন্থ সৃষ্টিকর্তার দ্বারা প্রেরণকৃত? অবশ্যই না, এটা মানুষের দ্বারাই রচিত। যেখানে প্রমান করা সম্ভব যে সৃষ্টিকর্তা বা পালনকর্তা বলে কেউ নেই, সেখানে সৃষ্টিকর্তা বা পলনকারীর বাণী বলে কিছু থাকতে পারে এর কোন অর্থ নেই। এটা মানুষের দ্বারা রচিত একটি গ্রন্থ মাত্র। যা দ্বারা মানুষের আভ্যন্তরিন বৈশিষ্টের আচরণগত পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রন করার কিছু কৌশল বর্ণনা করা হয়েছে। তবে এই কৌশল বর্ণনা সম্পূর্ণ নয়, আংশিক। এটা চলমানগত। তবে রচনা শৈলীতে এতই সূক্ষ কারচুপি করা হয়েছে যে মানুষকে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে অত্যন্ত রহস্যের মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে এ কথা সত্য যে এই গ্রন্থ রচনার উদ্দেশ্য মানুষের অকল্যাণে নয়, মানুষের কল্যানের জন্যে। তবে এটা এখন ব্যবহৃত হচ্ছে কিছু মানুষের জীবিকার উদ্দেশ্যে। যা বলা যেতে পারে, এটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন পরবর্তীতে। যেমন: সৃষ্টিকর্তা যদি সর্বশক্তিমান হতেন তাহলে তা জাহির করার জন্যে তার প্রেরিত ধর্মগ্রন্থের কি প্রয়োজন ছিল? তার প্রেরিত ধর্মগ্রন্থ কি তাকে শক্তিমান জাহিরের প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ নয়? মানুষই যে মানুষের নিয়ন্ত্রক এটাকে ভুল ধারণা দেয়ার জন্যেই কি ধর্মগ্রন্থের আবির্ভাব নয়? ধর্মগ্রন্থ দিয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রন করার ব্যবস্থা নয়? তাহলে ধর্মগ্রন্থের আবির্ভাব হয়েছে কেন বা প্রয়োজনীয়তা কি ছিল? ইত্যাদি।
আমার ইচ্ছা এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা। যদি আপনাদের আগ্রহ থাকে এই বিষয় নিয়ে জানার তাহলে আপনারা জানাতে পারেন।
২|
৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: কি লাভ আপনার/ আপনাদের এসব মতবাদ প্রচার করে? সমাজের কোন উপকারটা হবে। আপনার/ আপনাদের কোন সৃষ্টি কর্তা নেই আপনি/আপনারা সমাজের জন্য কতটা ভয়ংকর নিজেই চিনতা করুন। কোন অপরাধ আপনার/ আপনাদের দ্বারা করা সম্ভব নয়? কাকে আর কিসে ভয় পাবেন আপনি?
আর ধর্ম গ্রন্থ? ও আপনাকে শত প্রমান দিলেও আপনি মানবেন না। কারন আপনার মত অবিশ্বাষীরা থাকবেই। তার পরেও বলি:
মোহাম্মদ (সাঃ) পড়া লেখা যানতেন না তার পক্ষে এমন নির্ভুল গ্রন্থ রচনা করা সম্ভব ছিলোকি?
কোরআন কে জানার বোঝার চেস্টা করুন সব সমাধান পাবেন। ইন শা আল্লাহ।
৩|
৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
মুদ্দাকির বলেছেন:
সূরা আল কামার বার বার শুনুন !!! শুভ কামনা থাকল
৪|
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এই পোস্ট সহ পোস্টদাতাকে ব্যান করার অনুরোধ করা হলো।নাস্তিকতা বিষয়ক খুলামেলা পোস্ট দিয়ে সাম হুয়ার ইন ব্লগ এবং সামহুয়ার ইন ব্লগের ব্লগারদের নাস্তিক তকমা লাগানোর ধৃষ্টতার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া উচৎ।ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে বড় ধরণের অন্যায় পোস্ট দাতা করেছেন ।
৫|
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহামমাদুর রাসুল্লাহ । শুনুন সৃষ্টিকর্তা আছেন এবং আমরা তা অন্ধভাবেই বিশ্বাস করি এবং করব । আর এই বিশ্বাসের কারনে কোন ক্ষতি তো দেখছি না বরং এক ধরনের প্রশান্তি আর নির্ভরতা অনুভব করি । আমাদের জীবনাচরণ পরিচালনার জন্য পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আছে কিন্তু আপনারা নাস্তিকরা কিসের ভিত্তিতে নিজেকে পরিচালনা করেন ? আমাদের পথ প্রদর্শক আছেন,আমরা খারাপ কাজ করতে ভয় পাই, মানবিকতার অনুপ্রেরনা পাই । আপনারা নাস্তিকরা সমাজের জন্য ভয়ংকর কারণ আপনার শৃক্ষলার বাহিরে । আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক জ্ঞান দান করুন, আমিন ।
৬|
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
ইমরান হক সজীব বলেছেন: এত পাক পবিত্র আর পুণ্যবান আর ধর্মীয় বিশ্বাসে ভরপুর আমরা, এই জন্যই আমরা পৃথিবীর উন্নত জাতী, জ্ঞান বিজ্ঞানে সেরা, তথ্য প্রযুক্তিতে সেরা, শিক্ষা দীক্ষাই সেরা, চিকিৎসাই সেরা, আইন শৃঙ্খলাই সেরা, আহার বাস স্থানে স্বয়ং সম্পূর্ণ রাষ্ট্র । কোন দারিদ্রতা নাই, হানাহানি মারামারি কাটাকাটি নাই, খাদ্যে ভেজাল নাই, অফিসে ঘুষ নাই, চাঁদাবাজি নাই, এক কথাই সুসভ্য স্বয়ং সম্পূর্ণ এক জাতী আমরা ।
অন্যদিকে সিঙ্গাপুর, জাপান, সুইডেন, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড ইত্যাদি দেশ গুলোতে যাদের উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক কোন প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসে বিশ্বাসী না, সেখানে মানবিকতার কত ভয়াবহ অবস্থা । বেকারত্য, দারিদ্রতা, খুধা, খাদ্যে ভেজাল, চিকিৎসাই ভেজাল/অবহেলা, ঘুষ, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, আইন শৃঙ্খলা হীন, শিক্ষা দীক্ষা বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়া এক অসভ্য, মূর্খ, উন্মাদ, মোহগ্রস্থ এক সম্প্রদাই এরা ।
এরা নিজেদের বোধ বিশ্বাসকে কোনদিন সন্দেহও করতে পারে না, অপরের শিক্ষা দীক্ষা, যুক্তি, জীবন বোধেও যে মানবতার কল্যান থাকতে পারে তা উপলব্ধিও করতে পারে না ।
৭|
৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
খাটাস বলেছেন:
মজার পোস্ট। স্রস্টার অস্তিত্ব আছে কি নেই, তা নিয়ে বিভিন্ন ভাবে আলোচনা মুলক পোস্ট দেখেছি, মিথ কেন্দ্রিক, মনবিজ্ঞান কেন্দ্রিক, ধর্মগ্রন্থের সঠিকতা কেন্দ্রিক। কিন্তু আপনি বললেন, অতএব প্রতিটি সৃষ্ট বস্তুর আচরণগত বৈশিষ্ট যদি এক না হয় তাহলে বলা যায় না প্রতিটি বস্তুর সৃষ্টিকর্তা একই।
আপনি স্রস্টা কে কর্পোরেট ফ্যাক্টরির মত ভাবছেন কেন ভ্রাতা ? ![]()
আপনার তো আলোচনার গোড়াতেই যথেষ্ট অস্পষ্টতা দেখা যাচ্ছে।
আর আপনি যদি মনে করেন, আপনি মহা পুরুষ বলে গাধা সকল আপনার মত বাদ ধরতে পারছে না। যেভাবে মানুষ যুগে যুগে মহা মানব দের অগ্রাহ্য করেছে, তাহলে আমি নিঃসন্দেহে ঘোষণা করছি,
আপনি নাস্তিকতাবাদের অনন্ত জলিল।
যাই হোক, আর কিছু বলার নাই।
৮|
৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০০
করিম মিয়া বলেছেন: বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড = ব্রক্ষ্ম এর আন্ডা।
মানে হলো হিন্দু ব্রক্ষ্ম হলো সৃষ্টিকর্তা !!!!!
** ব্লগে আবারো হনুবাদী (নাস্তিক) দের মুত্রমনা দেখে ছাগুদের কাঁঠালপাতার কথাও মনে পড়লো।
৯|
৩০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
হোৎকা বলেছেন: এই নাসতিককে বআন করা হোক
১০|
৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:২৭
মেহেদই হাসান বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন ?
১১|
৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:২২
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@ তাহাসিন :
ওহে শয়তানমনা ওরফে মুত্রমনা ছাগু, আর কতকাল ধরে বদ্ধমনা থাকিবে?
এখন কাঠাল পাতা খায়া লাগবে।
১২|
৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৫
আরজু মুন জারিন বলেছেন: যদি প্রশ্ন করা হয়, সৃষ্টিকর্তা বলে কি কেউ আছেন? তাহলে আমি বলবো সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই, তবে সৃষ্টিঘটনাকারী শক্তি আছে। সৃষ্টিঘটনাকারী শক্তি আর সৃষ্টিকর্তা এক নন। কারণ সৃষ্টিকর্তা বলতে কোন একটি নির্দ্দিষ্ট সত্তাকে বোঝায় যা অনুভুতি সম্পন্ন কোন বস্তুসরূপ এবং যা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে একটি নির্দ্দিষ্ট স্থান হতে, ফলে এই সত্তা তার একত্ববাদকে প্রকাশ করে থাকে। একত্ববাদই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের একটি প্রধান শর্ত ।
আপনার এই লেখায় পরে আবার কমেন্টস করব। আপাতত শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম।
১৩|
০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৮
তাহাসিন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১১
সত্য৭৮৬ বলেছেন: আপনি বিষয়টি যেভাবে সরলীকরণ করলেন, সেভাবে মহান স্রষ্টাকে চেনা যায়না।
আমাদের আপন ভাই বোনেরা সবাই কি হুবহু একই রকম?
কিন্তু তারপরও আমাদের পিতা একজন ও মাতাও তো একজনই।
আর সৃষ্টিকর্তা হলেন সেই সর্বশক্তিমান একক সত্তা- মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য যাঁর একক শক্তিই যথেষ্ট।
এটি তর্কের বিষয় নয়, বিশ্বাসের বিষয়।
অন্ধের মত বিশ্বাস করলে তাঁকে যেমন পরিপূর্ণ ভাবে চেনা ও পাওয়া যায়না, তেমনি জেদী ও অবিশ্বাসী অন্তরও তাঁকে চিনতে পারেনা।