নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি ও পড়ি

মানুষ হিসেবে বেশ বোকা ও বন্ধুসুলভ । চেষ্টা করি মানুষের পাশে দাঁড়াতে । অবাক হই এদেশের রাজনীতি দেখে । তবু লেখালেখিতে ভালোবাসা , আবেগ , অনুভূতি আর কষ্টকে প্রাধাণ্য দেই । জোছনার মাদকতা আমায় টানে । বৃষ্টির শব্দে জুড়ায় আমার প্রান । কফি বা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে

তাহাসিন

হিমু হবার স্বপ্নে কষ্ট কুড়িয়ে জোছনাপ্রেমী মানুষটি ময়ুরাক্ষীর পাড়ে খোঁজ করে ভালোবাসার নীল প্রজাপতির .....

তাহাসিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি কেন নাস্তিক?

০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:১১

আমি একজন মুসলিম পরিবারের সন্তান হিসেবে ছোটকাল থেকেই পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তাম। তাবলীগ জামাতের সাথেও জড়িত ছিলাম। হুজুরেরা যা বলতো মূগ্ধ হয়ে শুনতাম। আর মনে মনে মুসলমান হয়ে জন্মানোর জন্য গর্ব অনুভব করতাম। প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে জিকিরে বসতাম দল বেঁধে। শুধু আল্লাহ আল্লাহ করলেও মনে কেমন জানি এক নির্বোধ প্রশান্তি আসতো।



আমাদেরকে শেখানো হতো দুনিয়ার সমস্ত জ্ঞান-বিজ্ঞান কোরান থেকে আসছে, তাই বেশি বেশি কোরান এবং ইসলামী সাহিত্য পড়তে হবে। কাফের বেদ্বীনদের কোন লেখা পড়া যাবেনা। আমার মনে আছে আমাদের স্কুলের ধর্মশিক্ষক ক্লাসে এসে রবীন্দ্রনাথ কে কিছুক্ষণ গালাগালি করতো আর আমাদেরকে রবীন্দ্রনাথের কোন লেখা না পড়ার জন্য উত্‍সাহিত করতো। আমাদেরকে কবি ইকবালের ঊর্দু শায়েরী শোনাতো, আর বলতো এই না হলে মহাকবি।



তখনো সাহিত্যের হাতেখড়ি আমার হয় নাই। তাই স্যারের কথা নাক কান বুজে বিশ্বাস করতাম। আর রবীন্দ্রনাথ কে মালাউন কবি বলে কটাক্ষ করতাম।



একদিন শুক্রবারের নামাজের খুত্‍বায় হুজুর ইহুদি, নাসারা আর পশ্চিমা দুনিয়া পাপে ভরা, ওদের কোন ধর্ম নেই, ওরা পশু সমতূল্য ইত্যাদি বলে গালি দিচ্ছিল। এটা শুনে আমার কেমন জানি খটকা লাগা শুরু হলো, যে ওই পশুসমতূল্য মানুষগুলোর জন্যই আমরা প্রাসাদ-তূল্য এ,সি, মসজিদে বসে তাদেরকে গালি দিতে পারছি। নইলে আমাদের খেজুর পাতার মসজিদের উপরে যাওয়ার মত প্রযুক্তিগত ক্ষমতা ছিল না।



একদিন হুজুর বেহেশতের বর্ননা করতেছিল যে ওখানে ইমানদারের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী সুখ। সেখানে কিছু খাইতে মন চাইলেই সামনে এসে হাজির হবে। আমি চিন্তা করলাম যেখানে কোন পরিশ্রম নেই, কোন কষ্ট নেই, সেখানে ক্ষুধাই-বা লাগবে কেন? আর সে ক্ষুধা নিবৃত্তির তৃপ্তি টায় বা কি? আবার হুজুর যখন বললেন বেহেশতবাসীর জন্য ৭২টা করে হুর দেয়া হবে, তাদের যৌনবাসনা নিবৃত্তির জন্য, তখন আমার খুব লজ্জা লাগতো। ভাবতাম আমার বাবা বোন যখন বেহেশতে যাবে আর আমি তাদের সামনে ৭২ টা হুর নিয়ে ঘুরবো? আমার কোরানে বর্নিত বেহেশতটা কে খুব নোংরা মনে হতে লাগলো।



আমি কোরানের বাংলা অনুবাদ ও তাফসীর যোগাড় করে পড়া শুরু করলাম। কারন আমার তখন মনে হয়েছিল যে, নিজে কোরান বুঝে ধর্মকর্ম করাই সেরা। আর আমি কোরানের আগে একমাত্র ক্লাসের বই আর দুই চারটা গল্প উপন্যাস ছাড়া আর কিছু পড়িও নাই। যাইহোক যেদিন থেকে কোরান পড়া শুরু করলাম অর্থবুঝে, সেদিন থেকেই আল্লাহর অস্তিত্বের সন্দেহের বীজ আমার মনে রোপন হলো। আমি তাফসিরে মারেফুল কোরান নামক সৌদি সরকারের দেয়া তাফসীর গ্রন্থটা পড়ে শেষ করলাম; কয়েকবার করে পড়লাম ওইটা। পড়ার পর আমার মনে প্রশ্ন তৈরি হলো --



এটা যদি আল্লাহ লিখে থাকে, তাহলে উনি নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত সবসময় খালি ভয় অথবা চরম সুখের লোভ দেখিয়ে খালি নিজের ইবাদত করাতে চান। এতে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে তার লাভ টা কি?



এটা যদি আল্লাহর কিতাব হয়, তাহলে খালি সমসাময়িক ঘটনাবলীতে কোরান ভরা কেন?



কোরান নাকি আল্লাহ আগেই লিখে রাখছিলো তাহলে কোরানের বর্ননারীতি এইরকম কেন যে নবীর যখন যে কথাটা দরকার তখন সেই কথাটাই নাযিল হলো? আগে থেকে লিখে রাখা কোরানের তাহলে কি হলো?



দুনিয়ার সবকিছুই আল্লাহর নির্দেশে হয়, তাহলে একজন মানুষ হিন্দু খ্রিস্টান অথবা নাস্তিক এতো তার ইচ্ছায়-ই হয়েছে। তাহলে মানুষের দোষ টা কোথায়?



আমি এইসব প্রশ্ন দুই-একটা একজন হুজুর কে জিঞ্জাসা করছিলাম সে তো পুরো চোখমুখ গরম করে আমারে প্রায় মারার অবস্থা। তার কথা আল্লাহকে বিনাপ্রশ্নে মেনে নিতে হবে; কোন প্রশ্ন করা যাবেনা; যে প্রশ্ন করবে সে কাফের মূর্তাদ; তাকে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।



সেদিন-ই ধর্মের ওপর থেকে সমস্ত আস্থা আমার শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেদিন থেকে নিজেকে মুক্ত লাগা শুরু হলো। ধর্ম বিষয়ের বাইরে আমি বিভিন্ন বই পড়া শুরু করলাম -- জানলাম বিবর্তনবাদ ,জানলাম দর্শন, গ্রহণ করলাম বিশ্বসাহিত্যের আস্বাদ। আর এভাবেই ধর্মের নামে ছোটকাল থেকে আমার যে মস্তিষ্কধোলাই করা হচ্ছিল, তা থেকে ধিরে ধিরে বের হতে শিখলাম। এখন আমি গর্ব করেই বলি আমার কোন ধর্ম নেই; আমি একজন মানুষ -- এইটাই আমার চূড়ান্ত পরিচয়।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৭

পংবাড়ী বলেছেন: লজিক ঠিক

২| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!

বেশ!

এক শিশু সে শুনেছে কম্পিউটারেও ভাইরাস আক্রমন করে। তার মনে একটা বিশ্বাস। তাই সে বন্ধুদের শোনা কথা, শোনা উপমাতে মন উটে গেল।
সে নিজে গেল কম্পিটার মার্কেটে। তারপর যখন এন্টিভাইরাসের কভার ফটোতে্ দেখল ইয়া ইয়া পোকা শোকার ছবি.. সে নিশ্চিত হয়ে গেল - ভাইরাস এইরকম পোকাই!!!!!যে গুলো কম্পিটারকে আক্রমন করে। মানুষের দেহের মতো।

অতপর সে মুক্ত হয়ে গেল।

নাকি মূর্খ থেকে মহা মূর্খ হয়ে গেল!!!!!!!!!

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: আচ্ছা, লেখককে বলছি,

আপনি যেমন নিজ দায়িত্বে ইসলাম ত্যাগ করেছেন, তেমনি যদি কেউ ইসলামের ব্যপারে আরো বেশি জেনে (কিংবা আপনি যেসবের উত্তর পাননি সেসবের উত্তর পেয়ে) ইসলামের উপর অটল থাকে তার সম্পর্কে আপনি কি বলবেন ?

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

শামস৭১ বলেছেন: দুনিয়ার সবকিছুই আল্লাহর নির্দেশে হয়, তাহলে একজন মানুষ হিন্দু খ্রিস্টান অথবা নাস্তিক এতো তার ইচ্ছায়-ই হয়েছে। তাহলে মানুষের দোষ টা কোথায়?

কেবল এই লাইন টাই বলে দেয় আপনার মস্তিস্কের জোর কত টুকু । আপনি আরও পড়াশুনা করুন ।

খালি কলসি যেমন বাজে বেশি তেমনি অল্প বিদ্যার লোক বোঝে বেশি ।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০০

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: apnar blog porlam....apnar Q er answer Dino In-Sha-Allah. Ami jokhon computer e log in korbo. ekhon mobile e asi.

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৭

রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: এই সব নাস্তিকদের বহুত দেখা আছে। ফেসবুকে বিভিন্ন ব্লগে যেয়ে মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে যা এরা লেখে ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। আমি এই পোস্টদাতাকেও এই নামে সম্ভবত একটা নাস্তিক গ্রুপে দেখেছিলাম, সিওর না।

ধর্ম নিয়ে অনেক বেশী পরালেখা করেই তারা নাস্তিক হয়। মোটামুটি প্রধান সব ধর্ম সম্পরকেই নাস্তিকরা জ্ঞান রাখে। তারা জানে হিন্দু ধর্মের ভিতরে কি আছে। তারা জানে খ্রিস্ট ধর্মের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এই সব ধর্ম নিয়ে নাস্তিকদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। চিল্লায় শুধু ইসলাম। কেবল ইসলামই তাদের মনঃকষ্টের কারণ। সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। হিন্দু নাস্তিকদের কখনও দেখলাম না তাদের নিহ ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করতে। তারা চালাক আর স্বজাতিপ্রিয়। কেবল , মুসলিম থেকে কনভারটেড নাস্তিকরাই কিছু বুঝল না।

আপনারা বুঝে গেছেন ধর্ম মিথ্যা।বেশ তো, আপনারা আপনাদের মতই থাকুন, সাধারণ মানুষদের সেন্টিমেন্টাল নিয়ে খেলা করবেন না।

৭| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৫

সরল পথের পথিক বলেছেন: দম ফুরাইলেই টের পাইবা........... হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করবা নাস্তিকতার আস্বাদ!! পিডা খাইবা আর কইবা আহ আমি মুক্ত হইয়া গেলাম.........

৮| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

হোসেন মনসুর বলেছেন: আমরা জানি, সকল বস্তু বা পদার্থেরই ধর্ম আছে অর্থাত ধর্ম ছাড়া পদার্থই নাই। যাহার ধর্ম নাই তাহা পদার্থই নয় অর্থাত অপদার্থ।

আর আপনি বলেছেন ''এখন আমি গর্ব করেই বলি আমার কোন ধর্ম নেই; আমি একজন মানুষ -- এইটাই আমার চূড়ান্ত পরিচয়।''

আর আমি বলছি, যেহেতু আপনার কোন ধর্মই নেই, সেহেতু মানুষ তো দূরের কথা আপনি তো পদার্থই নন বরং আপনি একটা অপদার্থ -- আর এইটাই হল আপনার চূড়ান্ত পরিচয়।

৯| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

ড্রীমার বলেছেন: এখানে প্রথমত আপনার হুজুর চরম মূর্খ.. একজন গোড়া। এরা নিজে যেমন কম জানে, অন্যদেরও কম জানতে উৎসাহ দেয়। এভাবে গন্ডি বেধে দিলে এ গন্ডিটা একদিন ছিড়বে এটা একদম সত্য, যেটা আপনি করেছেন। আপনি এক্সপ্লোরে বের হয়েছেন, এটা কন্টিনিউ করেন। আশা করি একদিন কিছু উপলব্দি হবে আপনার। যে নিজেকে সাহায্য করে, আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন। মনে রাখবেন শত শত বছর ধরে যে মানুষগুলো একটা বিশ্বাস নিয়ে এগিয়েছে, তারা সবাই মূর্খ হতে পারেনা। তাই প্রচুর পড়াশুনা করুন। Keep exploring. One day you'll think you need home, which you are ignoring.............

১০| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

করিম মিয়া বলেছেন: হনুবাদী মুত্রমনাতে তোমাকে স্বাগতম। একসময় তোমরা সকলে হনু ছিলো আজ তোমরা মানুষ হলে আবারো হনু হবে...েএভাবে বিবর্তন চলতেই থাকবে........

১১| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

করিম মিয়া বলেছেন: েএই লিংকটি ভিজিট করার আমন্ত্রণ....http://www.somewhereinblog.net/blog/clownboy87/29614808

১২| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫২

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: মামা তোমরা নাস্তিকদেরও নাস্তিক হওয়ার কোন নির্দিষ্ট কারণ আমি দেখিনি আজ পর্যন্ত।! এক এক জনের একেক বাহানা একেক প্রশ্ন!,আজিব নাস্তিকতাবাদ।
আপনাদের আর আমাদের মাঝে পার্থক্যটা কি জানেন?? পার্থক্যটা হচ্ছে আপনারা নাস্তিক হওয়ার জন্য বা নাস্তিক পরিচয় দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কারণ দেখান, বিভিন্ন কারণ প্রদর্শনের প্রয়োজন হয়, আপনাদের কারণ গুলোর মাঝেও ভিন্নতা থাকে। মানে মতের ভিন্নতা আছে আপনাদের মাঝে।
কিন্তু আমরা আস্তিক হওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কারনের প্রয়োজন হয় না আমাদের সকলেরই আস্তিক হওয়ার একটা মাত্র কারণ তা হচ্ছে আল্লাহর প্রতি অগাদ বিশ্বাস এবং এতে আমরা সকলেই একমত, আমাদের মাঝে ভিন্নতা নেই।
এইতো কালই একজন নাস্তিকের সাথে তর্কে লিপ্ত ছিলাম শেষমেশ হার মেনেছে যুক্তির কাছে, আর আপনাদের সব প্রশ্নের মাঝেই উত্তর আছে, প্রতিটি প্রশ্নেরই কুট আছে । সমস্যা হচ্ছে এগুলো ভাবতে আর ভেবে চিন্তে যুক্তি ও উত্তর দিতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন যা অর্ধেকেরও বেশি মানুষের থাকে না। তাই এতে কেউ জড়াতেও চায় না। আপনাদের প্রশ্ন গুলো অতটাও কঠিন না যতটা আপনারা মনে করেন।

১৩| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৩

করিম বস বলেছেন: যুক্তিবাদী হনুমান লেখক ভালোই বানিয়েছে গল্প! আসলে নাস্তিকেরা এইরকমই লেখে তারা প্রথমে ধর্মীয় আবেগ নিয়ে আসে লিখায় তার পর, জ্ঞান সাব করে, যদি নিজেকে এতোই পন্ডিত মনে করেন, কুরআনের কোন আয়াতটা আপনার ভুল পরস্পর বিরোধী তা প্রমাণ করে দেখাও, আপনি কি ঘুমাচ্ছেন এতগুলো কমেন্ট এর আন্সার কই পন্ডিত সাব!

১৪| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:১৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ইসলাম ত্যাগ করা আসলেই খুব সহজ, আপনি সহজ কাজটাই করেছেন, তবে কুরয়ান আর ইসলামের ইতিহাস নিজে স্টাডি করে দেখতে পারেন!!!

আসসালামুয়ালাইকুম!!

১৫| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫০

খেপাটে বলেছেন: আচ্ছা আপনি তো অনেক বই পড়েছেন বা অনেক দেশ ঘুরেছেন,,,বলেন তো কোন বিগব্যাং থিওরীতে বিজ্ঞানীরা বিস্ফোরণের আগে কি হয়েছিল তা ব্যাখ্যা করতে পারে না কেন? কোন বস্তুই এমনি এমনি সৃষ্টি হয়নি তাহলে ইশ্বরকে কেমনে অবিশ্বাস করেন?

১৬| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫২

খেপাটে বলেছেন: আপনাদের কয়েকটা যদি সামনে পেতাম, তবে উত্তর দিতে না পারলে অপমান নিতে একটু কষ্টকরই হত,,,

১৭| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:০২

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:


@ তাহাসিন :

আপনি বলেছেন।-
"তখনো সাহিত্যের হাতেখড়ি আমার হয় নাই। তাই স্যারের কথা নাক কান বুজে বিশ্বাস করতাম। আর রবীন্দ্রনাথ কে মালাউন কবি বলে কটাক্ষ করতাম।"


মি. তাহসিন, আপনি কোন স্কুলে এবং কবে এই সব কথা বলা স্যার পেয়েছেন, বলবেন কি?

আপনি প্রথম তিনটি প‌্যারাতে যা যা লিখেছেন, এগুলো সাধারাণত ছাগু নাস্তিকরাই বলে থাকে এবং ভাব দেখায় যে তারা যেন কত বড় মুসলিম ছিলো, আর পরে নাস্তিক হয়ে গেছে।



আপনি বলেছেন।-
"একদিন শুক্রবারের নামাজের খুত্‍বায় হুজুর ইহুদি, নাসারা আর পশ্চিমা দুনিয়া পাপে ভরা, ওদের কোন ধর্ম নেই, ওরা পশু সমতূল্য ইত্যাদি বলে গালি দিচ্ছিল।"

তারা আসলেই পশুর চেয়ে অধম, সমতূল্য নয়।
এটা আমার কথা নয়, আল্লাহর কথা।

তারা হযরত মুহাম্মদ সা. -কে কিতাবের মাধ্যমে নিজ সন্তানের মতই চিনতো, অথচ তাদের আলেমরা সেগুলো ইচ্ছে করেই নষ্ট করে ফেলে এবং বর্তমান তাওরাত ও বাইবেল আসল কিতাব নয়।

"তারা আল্লাহকে যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারেনি, যখন তারা বললঃ আল্লাহ কোন মানুষের প্রতি কোন কিছু অবতীর্ণ করেননি। আপনি জিজ্ঞেস করুনঃ ঐ গ্রন্থ কে নাযিল করেছে, যা মূসা নিয়ে এসেছিল ? যা জ্যোতিবিশেষ এবং মানব মন্ডলীর জন্যে হোদায়েতস্বরূপ, যা তোমরা বিক্ষিপ্তপত্রে রেখে লোকদের জন্যে প্রকাশ করছ এবং বহুলাংশকে গোপন করছ। তোমাদেরকে এমন অনেক বিষয় শিক্ষা দেয়া হয়েছে, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা জানতো না। আপনি বলে দিনঃ আল্লাহ নাযিল করেছেন। অতঃপর তাদেরকে তাদের ক্রীড়ামূলক বৃত্তিতে ব্যাপৃত থাকতে দিন। (Al-An'aam {Makki}- 6: 91) "

"যাদেরকে আমি কিতাব দান করেছি, তারা তাকে চিনে, যেমন তাদের সন্তানদেরকে চিনে। যারা নিজেদেরকে ক্ষতির মধ্যে ফেলেছে, তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না। (Al-An'aam {Makki}- 6: 20)"

"হে মুসলমানগণ, তোমরা কি আশা কর যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে? তাদের মধ্যে একদল ছিল, যারা আল্লাহর বাণী শ্রবণ করত; অতঃপর বুঝে-শুনে তা পরিবর্তন করে দিত এবং তারা তা অবগত ছিল। (Al-Baqara {Madani}- 2: 75)"

"অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে। (Al-Baqara {Madani}- 2: 79)"

"আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। আল্লাহর আজ্ঞাবহ পয়গম্বর, দরবেশ ও আলেমরা এর মাধ্যমে ইহুদীদেরকে ফয়সালা দিতেন। কেননা, তাদেরকে এ খোদায়ী গ্রন্থের দেখাশোনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তাঁরা এর রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন। অতএব, তোমরা মানুষকে ভয় করো না এবং আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াত সমূহের বিনিময়ে স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করো না, যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের। (Al-Maaida {Madani}- 5: 44) "


নিচের আয়াত গুলো দেখুন।-

"আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম। (Al-Bayyina {Madani}- 98: 6)"

" সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি। (Al-Anfaal {Madani}- 8: 55)"


আপনি যদি অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থে খুজেন, তবে হয়তো কোন ধর্মের নাম নিয়ে কিছু নাও থাকতে পারে, কিন্তু সকল ধর্মই একটি বিষয়ে একমত যে, অধর্মিকরা খারাপ।


আপনি বলেছেন।--
"এটা শুনে আমার কেমন জানি খটকা লাগা শুরু হলো, যে ওই পশুসমতূল্য মানুষগুলোর জন্যই আমরা প্রাসাদ-তূল্য এ,সি, মসজিদে বসে তাদেরকে গালি দিতে পারছি। নইলে আমাদের খেজুর পাতার মসজিদের উপরে যাওয়ার মত প্রযুক্তিগত ক্ষমতা ছিল না"

প্রকৃত মুসলিমরা সবসময় মধ্যপন্থা অনুসরণ করে চলে।
তারা ইহকাল ও পরকালকে সমান গুরুত্ব দেয় এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা পরকালকেই বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

কাজেই শুধু ইহকালে কোন মানুষ পৃথিবীকে কি দিলো এবং পৃথিবী থেকে কি পেলো এটা নাস্তিকদের হিসেবের মধ্যে থাকলেও ধার্মিকদের হিসেবে থাকে না।

বরং ধর্মিকেরা পৃথিবীকে কিছু দেয়া ও নেয়ার হিসাবের পাশাপাশি পরকালে তারা কি পাচ্ছে সেটাও হিসাবে রাখে।

নিচের আয়াত গুলো দেখুন।--

"আর আল্লাহর হুকুম ছাড়া কেউ মরতে পারে না-সেজন্য একটা সময় নির্ধারিত রয়েছে। বস্তুতঃ যে লোক দুনিয়ায় বিনিময় কামনা করবে, আমি তাকে তা দুনিয়াতেই দান করব। পক্ষান্তরে-যে লোক আখেরাতে বিনিময় কামনা করবে, তা থেকে আমি তাকে তাই দেবো। আর যারা কৃতজ্ঞ তাদেরকে আমি প্রতিদান দেবো (Aali Imraan/Al-Imran {Madani}- 3: 145)"

"হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প। (At-Tawba {Madani}- 9: 38)"

"এরাই হলো সে লোক যাদের সমগ্র আমল দুনিয়া ও আখেরাত উভয়লোকেই বিনষ্ট হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে তাদের কোন সাহায্যকারীও নেই। (Aali Imraan/Al-Imran {Madani}- 3: 22)"

"আর আল্লাহ সে ওয়াদাকে সত্যে পরিণত করেছেন, যখন তোমরা তাঁরই নির্দেশে ওদের খতম করছিলে। এমনকি যখন তোমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে ও কর্তব্য স্থির করার ব্যাপারে বিবাদে লিপ্ত হয়েছে। আর যা তোমরা চাইতে তা দেখার পর কৃতঘ্নতা প্রদর্শন করেছ, তাতে তোমাদের কারো কাম্য ছিল দুনিয়া আর কারো বা কাম্য ছিল আখেরাত। অতঃপর তোমাদিগকে সরিয়ে দিলেন ওদের উপর থেকে যাতে তোমাদিগকে পরীক্ষা করেন। বস্তুতঃ তিনি তোমাদিগকে ক্ষমা করেছেন। আর আল্লাহর মুমিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল। (Aali Imraan/Al-Imran {Madani}- 3: 152)"




আপনি বলেছেন।-
"আমি চিন্তা করলাম যেখানে কোন পরিশ্রম নেই, কোন কষ্ট নেই, সেখানে ক্ষুধাই-বা লাগবে কেন? আর সে ক্ষুধা নিবৃত্তির তৃপ্তি টায় বা কি?"

আপনি কি ক্ষুধা ছাড়া কোন খাবারই খান না নাকি?

আমরা তো তিন বেলা মূল খাবারের পাশাপাশি এমন অনেক খাবারই খেয়ে থাকি, যা আমাদের প্রিয় এবং পছন্দের হয়ে থাকে।

আবার ২৪ ঘন্টা কেউ আরাম করে কাটালেও তো তার ক্ষুধা লাগার কথা।




আপনি বলেছেন।-
"আবার হুজুর যখন বললেন বেহেশতবাসীর জন্য ৭২টা করে হুর দেয়া হবে, তাদের যৌনবাসনা নিবৃত্তির জন্য, তখন আমার খুব লজ্জা লাগতো। ভাবতাম আমার বাবা বোন যখন বেহেশতে যাবে আর আমি তাদের সামনে ৭২ টা হুর নিয়ে ঘুরবো?"

এতেই বুঝা যায় যে আপনি মুসলিম নন এবং কোন দিন ছিলেনও না।

আপনার বাবা যখন আপনার মাকে নিয়ে আপনাদের অথবা তার আপনার ফূফুদের অথবা আপনার দাদা-দাদির সামনে ঘুরা-ঘুরি করে তখন কি আপনি বা আপনার বাবা লজ্জা পান?

নিশ্চয়ই না, কারণ আপনার মা আপনার বাবার স্ত্রী এবং এটা সামাজিক ভাবেও স্বীকৃত।

ঠিক এমনি ভাবে বেহেশতে পুরুষদের মধ্যে যার ভাগে যে কয়জন হুর পরবে, তারা প্রত্যেকেই উক্ত পুরুষের স্ত্রী হবেন অর্থাৎ তাদেরকে পরস্পর বিয়ে দেয়া হবে।

পূর্ব একজন মানুষ বহু বিবাহ করে কোন ধরণের লজ্জা পেত না কারণ সেটা সামাজিক ভাবেই স্বীকৃত ছিলো, আর বেহেশতের সামাজিক জিবনেও ঠিক সেই রকম হবে। কাজেই চিন্তার কিছুই নেই।

আর আপনি যদি চান, তবে কোন হুর না নিতে পারেন।

আবার আপনি যদি পরকালে একবারে নারী বর্জত জিবন চান, তবে আমার পরামর্শ আপনি সেচ্চায় জাহান্নামে চলে যান, আর সেখানে আপনি পৃথিবীতে থাকা নিজ স্ত্রীকেও পাবেন না।

তাছাড়া, আপনি কি শহীদ হয়েছেন বা হবেন যে ৭২ হুর পেয়ে যাবেন?
সাধারণরা কি এত হুর পায় নাকি?




আপনি বলেছেন।--
"আমি কোরানের বাংলা অনুবাদ ও তাফসীর যোগাড় করে পড়া শুরু করলাম। কারন আমার তখন মনে হয়েছিল যে, নিজে কোরান বুঝে ধর্মকর্ম করাই সেরা। "

ডাক্তারী বই যেমন মেডিকেলে অথবা কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের অধীনে না পড়লে ঠিক মতো বুঝা যায় না, তেমনি ধর্মীয় বই অভিজ্ঞ শিক্ষকের কাছে না পরলে বুঝা যায় না।

নিজে নিজে পন্ডিত করতে চাইলে আপনার মতোই ফল হয়।

তাছাড়া আপনার কোরআন ও তাফসীরের উপর যতই জ্ঞান থাকুক না কেন, আপনি যদি ইসলামের মৌলিক বিষয়ের শিক্ষা যা যুগ যুগ ধরে পরিবারের মাধ্যমে চলে আসছে, সেটা যদি না পান, তবে আপনার তাফসীরের জ্ঞান কোন কাজেই আসবে না।

তাছাড়া ওগুলো পড়তে গেলে যেই ধরণের পূর্ব প্রস্তুতি লাগে সেটাও মনে হয় আপনার নেই।

"এটা কিতাব, এর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত আরবী কোরআনরূপে জ্ঞানী লোকদের জন্য। (Ha mim Sajdah/Fussilat {Makki}- 41: 3)"

এই জন্য আপনি ওগুলো পড়ার সময়ে সর্বসময়ে একপেশে এবং ইসলাম বিরোধী চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে এসেছেন।
এর ফলে আপনি সঠিক শিক্ষাটা পাননি।

অনেক কিছুই দুই ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।

এখন আপনি যদি নিজের ইচ্ছায় ভুল এবং বাজে ব্যাখ্যা যা ইসলাম বিরোধীরা করে সেগুলোই গ্রহণ করে থাকেন, তবে সেটা আপনার নিজের দোষ।
আর আপনি যদি নিজেই ইচ্ছা মতো ব্যাখ্যা গুলোকে অপব্যাখ্যায় রুপান্তরিত করেন, তবে সেটাও আপনার দোষ।

তবে আপনি যদি সঠিক ব্যাখ্যা গ্রহণ করেন তাহলেই আপনি প্রকৃত বিষয়টা বুঝতে পারবেন।



আপনি বলেছেন।-
"এটা যদি আল্লাহ লিখে থাকে, তাহলে উনি নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত সবসময় খালি ভয় অথবা চরম সুখের লোভ দেখিয়ে খালি নিজের ইবাদত করাতে চান। এতে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে তার লাভ টা কি?"

সকল মানুষ তো আর একরকমের নয়।
কেউ ওসব ছাড়াই আল্লাহর ইবাদত করে আর কেউ ভয়ে করে।

যদি পরিক্ষার ফেল করার ভয় না থাকতো, তবে একটি ক্লাসের সকল ছাত্র বা ছাত্রি কি লেখা পড়া করতো বলুন?

তাছাড়া আল্লাহ মানুষকে ইবাদত করার জন্যই তৈরি করেছেন, পশুর মতো উশ্রিন্খল জীবন জাপন করার জন্য নয়।

এছাড়া আরো একটা কথা ভাবুন, আপনি যখন বেহেশতে যাবে, তখন তো আর এই ধরণের ইবাদত করতে হবে না্

কাজেই আল্লাহ সবসময় খালি ভয় অথবা চরম সুখের লোভ দেখিয়ে খালি নিজের ইবাদত করাতে চান এটাও ভুল কথা।

বরং আপনার ওগুলো আপনার নেক কাজ ও পাপ কাজের ফল।




আপনি বলেছেন।-
"এটা যদি আল্লাহর কিতাব হয়, তাহলে খালি সমসাময়িক ঘটনাবলীতে কোরান ভরা কেন?"

কোরআনে ভবিষ্যতের কাথাও রয়েছে, সেটা হলো কিয়ামত এবং পরকালের কথা। কাজেই আপনি শুধু সমসাময়িক ঘটনাবলী কি ভাবে পেলেন।

তাছাড়া কোরআনে বেশ কিছু ইতিহাসের ঘটনাও রয়েছে।

কোরআন নাযিলের উদ্দেশ্যই ছিলো তাখন কার মানুষদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান দেওয়া, যাতে তাদের মাধ্যেমে তখনকার এবং ভবিষ্যত মানুষেরা আল্লাহ সম্পর্ক সঠিক ধারণা পেয়ে যায় এবং আল্লাহর ইবাদত করে।
এই জন্য কোরআনে কি দেওয়া প্রয়োজন সেটা আল্লাহই ভালো জানেন।

কাজেই এর মধ্যে অযথা ইতিহাস এবং ভবিষ্যতের কথা খুজার কোন মানে হয় না।

সেই কালের মানুষকে যদি বর্তমান বিজ্ঞানের টার্মে কিছু বলা হতো, তবে কি তারা সেটা বুঝতে পারতো বা সেটা কি তাদের কোন কাজে লাগতো।

তাছাড়া এত জ্ঞান একটি বইয়ের মধ্যে রাখতে গেলে সেটার আকারটা কি হতে পরতো চিন্তা করেছেন কি?

"পৃথিবীতে যত বৃক্ষ আছে, সবই যদি কলম হয় এবং সমুদ্রের সাথেও সাত সমুদ্র যুক্ত হয়ে কালি হয়, তবুও তাঁর বাক্যাবলী লিখে শেষ করা যাবে না। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (Luqman {Makki}- 31: 27)"

"কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে। (Saba {Makki}- 34: 3)"

"পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না; কিন্তু তা জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। (Al-Hadid {Madani}- 57: 22)"

"তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। (Aali Imraan/Al-Imran {Madani}- 3: 7)"


"আমি জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতাই রেখেছি। আমি কাফেরদেরকে পরীক্ষা করার জন্যেই তার এই সংখ্যা করেছি-যাতে কিতাবীরা দৃঢ়বিশ্বাসী হয়, মুমিনদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং কিতাবীরা ও মুমিনগণ সন্দেহ পোষণ না করে এবং যাতে যাদের অন্তরে রোগ আছে, তারা এবং কাফেররা বলে যে, আল্লাহ এর দ্বারা কি বোঝাতে চেয়েছেন। এমনিভাবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথে চালান। আপনার পালনকর্তার বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন এটা তো মানুষের জন্যে উপদেশ বৈ নয়। (Al-Muddaththir {Makki}- 74: 31)"


"তুমি কি জান না যে, আল্লাহ জানেন যা কিছু আকাশে ও ভুমন্ডলে আছে এসব কিতাবে লিখিত আছে। এটা আল্লাহর কাছে সহজ। (Al-Hajj {Madani}- 22: 70)"

"আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে। (Hud {Makki}- 11: 6)"


আপনি বলেছেন।-
"কোরান নাকি আল্লাহ আগেই লিখে রাখছিলো তাহলে কোরানের বর্ননারীতি এইরকম কেন যে নবীর যখন যে কথাটা দরকার তখন সেই কথাটাই নাযিল হলো? আগে থেকে লিখে রাখা কোরানের তাহলে কি হলো?"


এটা পাল্টা ভাবেও ভাবা যায় যে, যা লিখা ছিলো সেটা ঘটলো কেন?
আগে পিছি কি ঘটবে সকলি তো আল্লাহ জানা কথা।

"পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না; কিন্তু তা জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। (Al-Hadid {Madani}- 57: 22)"





আপনি বলেছেন।-
"দুনিয়ার সবকিছুই আল্লাহর নির্দেশে হয়, তাহলে একজন মানুষ হিন্দু খ্রিস্টান অথবা নাস্তিক এতো তার ইচ্ছায়-ই হয়েছে। তাহলে মানুষের দোষ টা কোথায়?"


"যাদের জ্ঞান ও ঈমান দেয়া হয়েছে, তারা বলবে আমরা আল্লাহর কিতাব মতে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবস্থান করেছি। এটাই পুনরুত্থান দিবস, কিন্তু তোমরা তা জানতে না। (Ar-Room {Makki}- 30: 56)"

মানুষ চিরকাল শিশু থাকে না, একসময় বয়েস বাড়ে এবং তাকে বুঝে নিতে হয় আসল ধর্ম কোনটি।
এখন সে যদি দ্বায়িত্ব অবহেলা করে, তবে সেটা তার নিজের দোষ।

তবুও ধরুণ, আপনি যদি বিশ্বাস করেন নাস্তিরা আল্লাহর নির্দেশেই নাস্তিক হয়েছে।
তবে আসলেই তো এখানে মানুষের কোন দোষ নেই।
এখন তারা আল্লাহর ইচ্ছায় বা নির্দেশে তারা জাহান্নামে যাবে, এতে আপত্তি কোথায় বা কেনই বা থাকবে।

মূলত আল্লাহ যা ইচ্ছা আল্লাহ সেটাই করেন।
এই ব্যাপারে তিনি কাউকেই জবাবদিহি করেন না, কারণ তার উপরে কি কেউ আছে যে তার কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

আর অন্যদিকে মানুষতো আল্লাহর সৃষ্টি, কাজেই মানুষের কি ক্ষমতা বা মর্যাদা যে সে আল্লাহ জবাবদিহি চাবে।

আপনাকে যদি দোযখে ফেলে দেয়, তবে আপনার কি বাচার কোন রাস্তা রয়েছে?




আপনি বলেছেন।-
"তার কথা আল্লাহকে বিনাপ্রশ্নে মেনে নিতে হবে; কোন প্রশ্ন করা যাবেনা; যে প্রশ্ন করবে সে কাফের মূর্তাদ; তাকে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।"


বুঝাই যায় যে আপনি এখানেও মিথ্যা কথা বলেছেন।

প্রশ্ন করতে কোন বাধা নেই। তবে যিনি জানেন না তাকে অযথা প্রশ্ন করার কোন মানে হয় না। আবার সকল প্রশ্ন সব খানে কারাও ঠিক না।

আপনি নিশ্চয়ই এমন ভাবে প্রশ্ন করেছিলেন, যেই ভাবে ইসলাম বিরোধীরা ব্যা্ঙ্গ করে প্রশ্ন করে অথবা বুঝাই যায় আপনি প্রশ্নের উত্তর গ্রহণ করবেন না বরং অযথা সময় নষ্ট করবেন।

১৮| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:০২

খেপাটে বলেছেন: আমি আবার একটু অন্যরকম স্বভাবের,,,প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারলে,,,নগ্ন করিয়ে বসুন্ধরার সামনে প্ল্যাকার্ডসহ ঝুলিয়ে রাখতাম। আমার তো আপনার জন্ম নিয়েই এখন সন্দেহ হচ্ছে,,,কারন, আপনি কোন কিছুই বিশ্বাস করেন না। শুধু যুক্তিই মানেন।

১৯| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:২০

সাম্পানওয়ালা বলেছেন: আহারে ! পোলাটা গেছেরে ! এত কিছু থাকতে নাস্তিক হওয়ার কি দরকার আছিল বাপু ? সামুর মোল্লামওলানারা যেমনে পোষ্টটারে ধুইতেছে মনে হয় আজ পোষ্টদাতার বালসুদ্ধা আস্তিক বানিয়ে ছাড়বে।

২০| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৩৫

পংবাড়ী বলেছেন:


@মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ ,

আপনি যেসব সুরা'র কথা বলেছেন, ঐগুলো মানুষের লেখা; সবধর্মীয় বই মানুষের লেখা।

২১| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করেছেন যে ,
কোরআন আগে থেকেই লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত ছিল পরবর্তীতে স্থান কাল ও পাত্র বেদে দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত তার আয়াতে কারীমা ও সূরা সমূহ পৃথিবীতে নাযিল হয়।হুম মানুষের লেখা কিতাব, কারণ যখন কিতাব নাযিল হয়েছিল তখন রসূল (স) এর মুখে আয়াত গুলো সাহাবীরা শুনত এবং লিখে রাখত। পরবর্তীতে এগুলো সংরক্ষণ করে কোরআনের ৭ টি হস্তলিপি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে পৌছে দেওয়া হয় কারণ বিভিন্ন ভাষাভাষি তাদের মত করে কোরআন পড়া শুরু করেছিল এতে কোরআনরে বিকৃতির সম্ভবনা ছিল।সে হিসাবে হ্যাঁ এটা মানুষের লেখা কিন্তু কপি করা, এর প্রধান লেখক আল্লাহ।
উদাহারণ: যেমন একটা কবিতা রবিন্দ্রনাথ লিখে গেছেন পরবর্তীতে তা আমি সংরক্ষন করি তাহলে কবিতা টা আমার হয়ে গেল??
এত কথার পরও যদি বল যে এটা মানুষের লেখা কিতাব তাহলে তোমার ক্ষত্রেে এই আয়াত গুলো প্রযোজ্য,

আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন, আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।(সূরা বাক্বারা”:৭)

তারা ভাবে, তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোকা দেয় না, অথচ তা তারা অনুভব করতে পারে না (বাক্বারা:৯)

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদের মত! মনে রেখ, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না।(বাক্বারা:১৩)
তারা বধির, মূর্খ ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না(বাক্বারা:১৮)

তারা কিছু জানে না তারা বলে, আল্লাহ আমাদের সাথে কথা বলেন না কেন? অথবা আমাদের কাছে কোন নিদর্শন কেন আসেনা, এমনি ভাবে তাদের পূর্ব জন যারা ছিল তারাও তাদেরই অনুরুপ কথা বলেছে। তাদের অন্তর একই রকম, নিশ্চয় আমি উজ্জ্বল নিদর্শন সমূহ বর্ণনা করেছি তাদের জন্য যারা প্রত্যয়শীল।(বাক্বারা:১৮)

দেখ ১৪০০ বছর পূর্বে নাস্তিক ছিল না, ছিল ইহুদি নাসারা। নাস্তিকের আবির্ভাব হয়েছে কয় দিন হচ্ছে!। তোমরা যে ফিরবে না ঘুরে ফিরে এসব কথায় বলবে আল্লাহ ১৪০০ বছর পূর্বেই ঘোষনা করে দিয়েছেন।এবং বলেছেন বস্তুত তোমরাই নির্বোদ। ঘোষনা করে দিয়েছেন যখন তোমাদেরকে বুঝালেও বুঝতে চায়বে না। তখন তোমাদের চোখ, কান আল্লাহ বন্ধ করে দিয়ে অন্তরে মোহর মেরে দেন যে তোমরা আর ফিরবে না।

২২| ১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:

@ পংবাড়ী :

"আপনি যেসব সুরা'র কথা বলেছেন, ঐগুলো মানুষের লেখা; সবধর্মীয় বই মানুষের লেখা।"

হু, ওগুলো মানুষই হযরত মুহাম্মদ সা. -এর কাছ থেকে শুনে এবং মুখস্ত করে তবে লিখেছে। এবং ফেরেস্তা জীব্রাইল আ. আল্লাহর কাছ থেকে কোরআনের ওই বাণীগুলো মহানবী সা.-এর কাছে নিয়ে এসেছেন।

এই ব্যাপারে "আজব গোয়েন্দা" ভালো উত্তর দিয়েছেন।

২৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

সরল পথের পথিক বলেছেন: আপনি আরো ভালভাবে গবেষণা করুন। খটকাগুলো বিজ্ঞ আলেমদের কাছ থেকে জেনে নিন। কারণ, আস্তিকেরা যা বলছে, তা মিথ্যা হলে তো বেঁচে গেলেন। সত্য হলে তো মহা মুশকিলে পড়বেন। ক্ষতি তখন আপনারই হবে। নিজের প্রতি রহমদিল হউন। নিজের জন্যই ভাবুন। ধন্যবাদ। আমি আপনার কল্যাণকামী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.