নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি ও পড়ি

মানুষ হিসেবে বেশ বোকা ও বন্ধুসুলভ । চেষ্টা করি মানুষের পাশে দাঁড়াতে । অবাক হই এদেশের রাজনীতি দেখে । তবু লেখালেখিতে ভালোবাসা , আবেগ , অনুভূতি আর কষ্টকে প্রাধাণ্য দেই । জোছনার মাদকতা আমায় টানে । বৃষ্টির শব্দে জুড়ায় আমার প্রান । কফি বা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে

তাহাসিন

হিমু হবার স্বপ্নে কষ্ট কুড়িয়ে জোছনাপ্রেমী মানুষটি ময়ুরাক্ষীর পাড়ে খোঁজ করে ভালোবাসার নীল প্রজাপতির .....

তাহাসিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেহেস্ত নিয়ে ছেলের সাথে বাবার কথোপথন ও বাবার দ্বিধা দ্বন্দ্ব..।একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।

১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

বাবা নামাজ পড়তে যাচ্ছে, সে তার ছেলেকে ডাকছে সাথে নামাজ পড়তে যেতে। ছেলের বয়স ৭। ছেলের বয়স সাত হলে কি হবে, রীতিমতো ইচড়ে পাকা ছেলে। খালি প্রশ্ন করে। প্রশ্নের পর প্রশ্ন। অনেক সময় বাবা রেগে যায় তার প্রশ্ন শুনে।



বাবা বলল - চল নামাজ পড়তে যাই।



ছেলে - নামাজ না পড়লে কি হয়?



বাবা - নামাজ না পড়লে গুনাহ হয়।



ছেলে- গুনাহ হলে কি হয়



বাবা - গুনাহ হলে মানুষ দোজখে যায়।



ছেলে- দোজখ কি?



বাবা- দোজখ হলো খুব খারাপ যায়গা, সেখানে সারাক্ষন আগুন জ্বলে, যারা গুনাহ করে তাদেরকে আল্লাহর দোজখে ফেলে দেবে। তারা সেখানে সব সময় পুড়তে থাকবে।



ছেলে - দোজখ কোথায় আছে?



বাবা - মরার পর দোজখ দেখা যাবে।



ছেলে - মরার পর তো সবাই মাটির সাথে মিশে যায়, সেখানে দোজখ আসবে কোথা থেকে?



বাবা - না, মরার পর তার রহু দোজখে যাবে।



ছেলে - ও আ্চ্চা। কিন্তু নামাজ পড়লে কি লাভ?



বাবা - নামাজ পড়লে বেহেস্তে যাওয়া যায়।



ছেলে - বেহেস্তে কি আছে?



বাবা - বেহেস্তে নানা রকম ফল মুল, পাখী, ঝর্ণা, মদের নদী, হুর এসব আছে।



ছেলে - মদের নদী? মদ খাওয়া না খারাপ? এটা না হারাম? কেন এটা হারাম?



বাবা - মদ হলো খারাপ জিনিস, এটা পান করলে মানুষ মাতাল হয়ে যায়। তাই এটা হারাম।



ছেলে - যে জিনিস খারাপ আর যা দুনিয়াতে হারাম, সে জিনিস বেহেস্তে থাকে কেমন করে? খারাপ জিনিস বেহেস্তে থাকলে সেটা ভাল যায়গা হয় কেমন করে?



বাবা - তুমি অত শত বুঝবে না। এসব অতি জটিল বিষয়, আল্লাহই ভাল জানে এসব।



ছেলে - এটা তো বেশী জটিল কোন বিষয় মনে হচ্ছে না। দুনিয়াতে মদ খারাপ বলে খাওয়া নিষেধ, সেই খারাপ জিনিস কোথাও পাওয়া গেলে সে যায়গাটাও তো খারাপ যায়গা হবে। এতে জটিলতার কি হলো?



বাবা - এত শত তুমি বুঝবে না। চলো নামাজ পড়তে যাই।



ছেলে - হুর কি জিনিস?



বাবা - হুর হলো সুন্দরী নারী।



ছেলে - বেহেস্তে সুন্দরী নারীরা কি করবে?



বাবা (রেগে গিয়ে): বললাম না অত শত তুমি বুঝবে না, এখন নামাজ পড়তে চল।



ছেলে - না বোঝার কি হলো, সেই সুন্দরী হুরদের সাথে তুমি কি করবে?



বাবা (এটা থাপ্পড় মেরে) - খানকির পোলা, তোরে না কইছি নামাজ পড়তে চল, তা না খালি প্রশ্ন,বহুত পাজি হইছস? চল, মসজিদে চল ---------



কিন্তু চলতে চলতে বাবা চিন্তায় পড়ে। এ কেমন বেহেস্ত যা নিয়ে তার ছেলের সাথে মন খুলে আলাপ করা যায় না। ইসলাম ধর্ম যদি এতই সত্য ও আল্লাহর ধর্ম হয়ে থাকে, তাহলে তার পুরস্কার নিয়ে ছেলে মেয়ের সাথে মন খুলে আলাপ করা যাবে না, এ কেমন কথা? তার মনটা কেমন খারাপ হয়ে গেল ছেলেকে থাপ্পর মারা ও গালি দেয়ার জন্য। সেই সাথে দ্বিধাগ্রস্তও। ছেলেকে বলল, তোমার মসজিদে যেতে ভাল না লাগলে, না যাও।



ছেলে বলল - না আমি মসজিদে যাব, হুজুরকে জিজ্ঞেস করব হুর দিয়ে বেহেস্তে কি হয়।



বাবা - না তার দরকার নেই। আমি জিজ্ঞেস করে তোমাকে জানাব। তোমার মসজিদে যাওয়া লাগবে না। তুমি যাও।



ছেলে তো মহাখুশী। কারন এই সময়ে বন্ধুদের সাথে খেলার সময়। তা বাদ দিয়ে বিরক্তিকর আরবীতে অর্থহীন নামাজ তার ভাল লাগে না। সে দৌঁড়ে চলে গেল।



কিন্তু বাবার চিন্তা বাড়ল বৈ কমল না। যে বেহেস্তে যাওয়ার জন্য এত নামাজ, রোজা, এত কসরত, কান্ডকারখানা, সেই বেহেস্তের ব্যপারে তার ছেলের সাথে মন খুলে কথা বলতে না পেরে তার মনের মধ্যে দ্বিধা বাড়তেই লাগল। তবে মসজিদে সে অবশেষে গেল, কিন্তু অন্য দিনের মত অত মন দিয়ে আজকে নামাজ পড়তে পারল না, দায়সারা গোছে পড়ে নামাজ শেষ করল। কিন্তু ততক্ষনে তার দ্বিধা আরও বেড়ে গেল।





(একজন সহ ব্লগারের লিখা থেকে সংগৃহীত)









একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। কেহ পড়ে দেখতে পারেন।



কবি এমরূল কায়েস



খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কিন্দার রাজপরিবারের যুবরাজ ইমরুল কায়েস (মৃত সম্ভব্য ৫৪০ খ্রিস্টাব্দ) প্রাক-ইসলামি যুগের আরবের শ্রেষ্ঠ সাতজন কবিদের একজন। আরবের অত্যন্ত উত্তম গীতিকাব্য ‘মোয়াল−াকাত’ (ঝুলন্ত)-এর লেখক। মোয়াল−াকাত হচ্ছে ষাট থেকে একশো পয়ার ছন্দে রচিত গীতিকবিতা। ওকাজের মেলার কবিতা উৎসবে বিচারকেরা গুণ অনুসারে বিচার করে বিজয়ী শ্রেষ্ঠ গীতিকবিতা পুরস্কার হিসেবে মিশরের দামী লিনেন কাপড়ের ওপর সোনার অক্ষরে খোদাই করে ৩৬০ দেবতার ঘর ‘কাবা’র দরজায় ঝুলিয়ে রাখা হতো। সেখান থেকেই বিজয়ী গীতিকবিতার (কাসিদা) নাম হয়েছে ‘ঝুলন্ত’ (মোয়াল−াকাত) কবিতা। ইমরুল কায়েসের কবিতাও ওকাজ মেলায় বিজয়ী হয়ে কাবাঘরের দরজায় শোভিত হয়েছে দীর্ঘদিন। মূল প্রসঙ্গে যাই, মুহাম্মদের জন্ম ও ইসলাম আভির্ভাবের বেশ আগেই কবি ইমরুল কায়েস মারা যান; তবে তাঁর জনপ্রিয় ধর্মীয় ভক্তিমূলক কবিতাগুচ্ছ সারা আরববাসীর মুখে মুখেই প্রচলিত ছিল। একবার নবীজির কনিষ্ঠ কন্যা হজরত ফাতিমা কোরানের (৫৪ নম্বর) সুরা ‘কমর’ (চাঁদ)-এর আয়াত ‘কিয়ামত আসন্ন, আর চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে...’



৫৪:১ সুরা কমর>>



اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ



কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।



বারে-বারে আবৃত্তিকালে কবি ইমরুল কায়েসের মেয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কি বলছো, ফাতিমা? ফাতিমা জবাব দিলেন, ‘আল−াহর ওহি’ কোরানের আয়াত পাঠ করছেন। কায়েসের মেয়ে রাগান্বিত হয়ে বললেন: “সর্বনাশ! এ তো আমার বাবার লেখা কবিতার একটি পংক্তি। তোমার বাবা দেখি আমার বাবার কবিতা নকল করে বেহেস্ত থেকে আগত ‘আল−াহর বাণী’ বলে কোরানে ঢুকিয়ে দিয়েছেন!” ফাতিমা এবং ইমরুল কায়েসের মেয়ের এই ঘটনাটি এখন পর্যন্ত সারা আরব জুড়ে ব্যাপকভাবে প্রচলিত।১৬ তা মুহাম্মদ (দঃ) কখন-কিভাবে ইমরুল কায়েসের ঐ কবিতা সংগ্রহ করেছিলেন তা আমাদের এই প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয় নয়। তবে মুসলমানরা যখন দাবি করেন, ‘আল−াহর বক্তব্যই কোরান’, তখন বলতে ইচ্ছে করে মুহাম্মদ (দঃ) নয়, আল−াহই নিশ্চয়ই তাহলে ইমরুল কায়েসের কবিতার পংক্তি নকল করে কোরানের আয়াত বলে চালিয়ে দিয়েছেন! এ প্রসঙ্গে K W. St. Clair-Tisdall-এর বক্তব্য তুলে ধরছি:



“The connection between the poetry of Imra’ul Qays and the Koran is so obvious that the Muslims cannot but hold that they existed with the latter in the Heavenly table from all eternity! What then will he answer? That the words were taken from the Koran and entered in the poem?—an impossibility. Or that their writer was not really Imra’ul Qays, but some other who, after the appearance of the Koran, had the audacity to quote them there as they now appear?—rather a difficult thing to prove!Ó (সূত্র: The Origins of the Koran, p. 236)|>>



কথিত আছে, খলিফা হযরত ওমর ও হযরত আলি ইমরুল কায়েসের কাব্য প্রতিভা এবং মৌলিকত্বের প্রশংসা করলেও নবীজি আরবের এই শ্রেষ্ঠ কবিকে ‘নরকাগ্নির নেতা’ বলেও অভিহিত করেছেন।১৭ ইমরুল কায়েসকে নিয়ে মুহাম্মদের (দঃ) এরকম তীব্র ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার কারণ বুঝতে নিশ্চয়ই আমাদের ‘রকেট সায়েনটিস্ট’ হতে হবে না! কায়েসের মেয়ের কাছে এভাবে হাতে-নাতে ধরা পড়ে গেলে মাথা কী ঠাণ্ডা রাখা যায়!



সূত্র-”যে সত্য বলা হয় নাই।“ ৪র্থ পর্ব, পৃষ্ঠা-১৭





মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: দুনিয়াতে যা হারাম বেহেশ্তে তা হালাল হবে। এই কারণে আমাদের সংযত হইতে হবে। কিন্তু গেলমান হুরি ব্যাপারগুলা ছোটবেলাতেই মাথায় ঘুরতো। কিন্তু জিজ্ঞাসার জবাব পাওয়া যাইতো না। একটাই উত্তর- বুঝবা না।

বেশি জোর করলে আরেকটা জবাব হইতো- আল্লারে নিয়া বেশি কিছু জানতে চাইও না। গোমরাহ হইয়া যাইবা। ( গোমরাহ- অর্থ জানতামনা, নিজে নিজেই ধরে নিয়েছিলাম- বোবা-কালা হইতে পারে।) ভয়ে আর কোনো জিজ্ঞাসা নাই। এখনও ধার্মিকদের কাছ থাইক্যা পরিষ্কার জবাব আসে নাই।

১৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

তাহাসিন বলেছেন: ঠিক বলেচেন.

২| ১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

নিজাম বলেছেন: ভাই, আপনি কোন ধর্মের লোক? যদি মুসলমান হন, তাহলে আপনি যা বিশ্বাস করেন তা নিয়ে সমালোচনা করা স্ববিরোধিতা করার শামিল। আর যদি অন্য ধর্মের লোক হন, আপনার প্রতি বিনীত অনুরোধ, আমাদের ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করবেন না, এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। যার যার ধর্ম, তার তার বিশ্বাস। আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘ সুস্থ্য জীবন দান করুন, দুনিয়া ও আখিরাতে সাফল্য দান করুন।

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনি কোরআনের অর্থ পড়ুন,------- এর শানে নজুল পড়ুন। প্রতিটি হাদিস পড়ুন এবং হাদিসগুলোর মর্মার্থ বোঝার চেষ্টা করুন। কিছু পড়ে আর কিছু শুনে অযথা বিভ্রান্তি ছড়াবেন না -------
আর হ্যা --- হুজুরগণ মানুষ- তাদের জানার সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে---তাছাড়া আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মানে মাদ্রাসায়ও শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত বই পত্রের অভাব রযেছে এবং থাকলেও পড়ার জন্য উৎসাহিত করে না-----এ কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তরালেই থেকে যায় -------।

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: কুরয়ানে আরো অনেক কিছু ধার করা আছে, যেমন ঈসা নবী কি কইল, মূসা নবী কি কইল, ইব্রাহীম নবী কি কইল, ফেরাউন কি কইল ...............।। খালি ধার আর ধারে ভরা । । কিন্তু whats your point ??

৫| ১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

সবুজ সাথী বলেছেন: হা হা হা, বাচ্চা নাস্তিক, জ্ঞানের কি তার বাহার!!!!!! B-)

৬| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

নামগোত্রহীন বলেছেন: ধর্ম নিয়ে কোন কথা বলার আগে নিজে ভালো করে পড়াশোনা করুণ। আপনার নাস্তিকতা বা ইসলাম ধর্মে অবিশ্বাস অথবা যে কোন ধর্মেই অবিশ্বাস নিয়ে আপনি আপনার মতো থাকুন না। কি দরকার ব্লগে এসব হাবিজাবি লিখে সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা করার। অন্যকে অসম্মান, অন্যের ধর্মকে অসম্মান আপনার নাস্তিক ধর্মের ওতো সমর্থন করার কথা না। ধার্মিক তো দূরের কথা দূঃখের বিষয় ভালো নাস্তিকও হতে পারলেন না।!

৭| ১৬ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৫:৫৬

কাকপাখি ২ বলেছেন: اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ

01
কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।

وَإِن يَرَوْا آيَةً يُعْرِضُوا وَيَقُولُوا سِحْرٌ مُّسْتَمِرٌّ

02
তারা যদি কোন নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত জাদু।

وَكَذَّبُوا وَاتَّبَعُوا أَهْوَاءهُمْ وَكُلُّ أَمْرٍ مُّسْتَقِرٌّ

03
তারা মিথ্যারোপ করছে এবং নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করছে। প্রত্যেক কাজ যথাসময়ে স্থিরীকৃত হয়।

وَلَقَدْ جَاءهُم مِّنَ الْأَنبَاء مَا فِيهِ مُزْدَجَرٌ

04
তাদের কাছে এমন সংবাদ এসে গেছে, যাতে সাবধানবাণী রয়েছে।

حِكْمَةٌ بَالِغَةٌ فَمَا تُغْنِ النُّذُرُ

05
এটা পরিপূর্ণ জ্ঞান, তবে সতর্ককারীগণ তাদের কোন উপকারে আসে না।

فَتَوَلَّ عَنْهُمْ يَوْمَ يَدْعُ الدَّاعِ إِلَى شَيْءٍ نُّكُرٍ

06
অতএব, আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। যেদিন আহবানকারী আহবান করবে এক অপ্রিয় পরিণামের দিকে,

خُشَّعًا أَبْصَارُهُمْ يَخْرُجُونَ مِنَ الْأَجْدَاثِ كَأَنَّهُمْ جَرَادٌ مُّنتَشِرٌ

07
তারা তখন অবনমিত নেত্রে কবর থেকে বের হবে বিক্ষিপ্ত পংগপাল সদৃশ।

مُّهْطِعِينَ إِلَى الدَّاعِ يَقُولُ الْكَافِرُونَ هَذَا يَوْمٌ عَسِرٌ

08
তারা আহবানকারীর দিকে দৌড়াতে থাকবে। কাফেরা বলবেঃ এটা কঠিন দিন।

كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ فَكَذَّبُوا عَبْدَنَا وَقَالُوا مَجْنُونٌ وَازْدُجِرَ

09
তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়ও মিথ্যারোপ করেছিল। তারা মিথ্যারোপ করেছিল আমার বান্দা নূহের প্রতি এবং বলেছিলঃ এ তো উম্মাদ। তাঁরা তাকে হুমকি প্রদর্শন করেছিল।

فَدَعَا رَبَّهُ أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانتَصِرْ

10
অতঃপর সে তার পালনকর্তাকে ডেকে বললঃ আমি অক্ষম, অতএব, তুমি প্রতিবিধান কর।

فَفَتَحْنَا أَبْوَابَ السَّمَاء بِمَاء مُّنْهَمِرٍ

11
তখন আমি খুলে দিলাম আকাশের দ্বার প্রবল বারিবর্ষণের মাধ্যমে।

وَفَجَّرْنَا الْأَرْضَ عُيُونًا فَالْتَقَى الْمَاء عَلَى أَمْرٍ قَدْ قُدِرَ

12
এবং ভুমি থেকে প্রবাহিত করলাম প্রস্রবণ। অতঃপর সব পানি মিলিত হল এক পরিকম্পিত কাজে।

وَحَمَلْنَاهُ عَلَى ذَاتِ أَلْوَاحٍ وَدُسُرٍ

13
আমি নূহকে আরোহণ করালাম এক কাষ্ঠ ও পেরেক নির্মিত জলযানে।

تَجْرِي بِأَعْيُنِنَا جَزَاء لِّمَن كَانَ كُفِرَ

14
যা চলত আমার দৃষ্টি সামনে। এটা তার পক্ষ থেকে প্রতিশোধ ছিল, যাকে প্রত্যখ্যান করা হয়েছিল।

وَلَقَد تَّرَكْنَاهَا آيَةً فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

15
আমি একে এক নিদর্শনরূপে রেখে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ

16
কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।

وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

17
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

كَذَّبَتْ عَادٌ فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ

18
আদ সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কেমন কঠোর হয়েছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।

إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا صَرْصَرًا فِي يَوْمِ نَحْسٍ مُّسْتَمِرٍّ

19
আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম ঝঞ্জাবায়ু এক চিরাচরিত অশুভ দিনে।

تَنزِعُ النَّاسَ كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ مُّنقَعِرٍ

20
তা মানুষকে উৎখাত করছিল, যেন তারা উৎপাটিত খর্জুর বৃক্ষের কান্ড।

فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ

21
অতঃপর কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।

وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

22
আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِالنُّذُرِ

23
সামুদ সম্প্রদায় সতর্ককারীদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল।

فَقَالُوا أَبَشَرًا مِّنَّا وَاحِدًا نَّتَّبِعُهُ إِنَّا إِذًا لَّفِي ضَلَالٍ وَسُعُرٍ

24
তারা বলেছিলঃ আমরা কি আমাদেরই একজনের অনুসরণ করব? তবে তো আমরা বিপথগামী ও বিকার গ্রস্থরূপে গণ্য হব।

أَؤُلْقِيَ الذِّكْرُ عَلَيْهِ مِن بَيْنِنَا بَلْ هُوَ كَذَّابٌ أَشِرٌ

25
আমাদের মধ্যে কি তারই প্রতি উপদেশ নাযিল করা হয়েছে? বরং সে একজন মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক।

سَيَعْلَمُونَ غَدًا مَّنِ الْكَذَّابُ الْأَشِرُ

26
এখন আগামীকল্যই তারা জানতে পারবে কে মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক।

إِنَّا مُرْسِلُو النَّاقَةِ فِتْنَةً لَّهُمْ فَارْتَقِبْهُمْ وَاصْطَبِرْ

27
আমি তাদের পরীক্ষার জন্য এক উষ্ট্রী প্রেরণ করব, অতএব, তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখ এবং সবর কর।

وَنَبِّئْهُمْ أَنَّ الْمَاء قِسْمَةٌ بَيْنَهُمْ كُلُّ شِرْبٍ مُّحْتَضَرٌ

28
এবং তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তাদের মধ্যে পানির পালা নির্ধারিত হয়েছে এবং পালাক্রমে উপস্থিত হতে হবে।

فَنَادَوْا صَاحِبَهُمْ فَتَعَاطَى فَعَقَرَ

29
অতঃপর তারা তাদের সঙ্গীকে ডাকল। সে তাকে ধরল এবং বধ করল।

فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ

30
অতঃপর কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।

إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ صَيْحَةً وَاحِدَةً فَكَانُوا كَهَشِيمِ الْمُحْتَظِرِ

31
আমি তাদের প্রতি একটিমাত্র নিনাদ প্রেরণ করেছিলাম। এতেই তারা হয়ে গেল শুষ্ক শাখাপল্লব নির্মিত দলিত খোয়াড়ের ন্যায়।

وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

32
আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ بِالنُّذُرِ

33
লূত-সম্প্রদায় সতর্ককারীদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল।

إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ حَاصِبًا إِلَّا آلَ لُوطٍ نَّجَّيْنَاهُم بِسَحَرٍ

34
আমি তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষণকারী প্রচন্ড ঘূর্ণিবায়ু; কিন্তু লূত পরিবারের উপর নয়। আমি তাদেরকে রাতের শেষপ্রহরে উদ্ধার করেছিলাম।

نِعْمَةً مِّنْ عِندِنَا كَذَلِكَ نَجْزِي مَن شَكَرَ

35
আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ। যারা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে, আমি তাদেরকে এভাবে পুরস্কৃত করে থকি।

وَلَقَدْ أَنذَرَهُم بَطْشَتَنَا فَتَمَارَوْا بِالنُّذُرِ

36
লূত (আঃ) তাদেরকে আমার প্রচন্ড পাকড়াও সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। অতঃপর তারা সতর্কবাণী সম্পর্কে বাকবিতন্ডা করেছিল।

وَلَقَدْ رَاوَدُوهُ عَن ضَيْفِهِ فَطَمَسْنَا أَعْيُنَهُمْ فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ

37
তারা লূতের (আঃ) কাছে তার মেহমানদেরকে দাবী করেছিল। তখন আমি তাদের চক্ষু লোপ করে দিলাম। অতএব, আস্বাদন কর আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।

وَلَقَدْ صَبَّحَهُم بُكْرَةً عَذَابٌ مُّسْتَقِرٌّ

38
তাদেরকে প্রত্যুষে নির্ধারিত শাস্তি আঘাত হেনেছিল।

فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ

39
অতএব, আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী আস্বাদন কর।

وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

40
আমি কোরআনকে বোঝবার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

وَلَقَدْ جَاء آلَ فِرْعَوْنَ النُّذُرُ

41
ফেরাউন সম্প্রদায়ের কাছেও সতর্ককারীগণ আগমন করেছিল।

كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا كُلِّهَا فَأَخَذْنَاهُمْ أَخْذَ عَزِيزٍ مُّقْتَدِرٍ

42
তারা আমার সকল নিদর্শনের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। অতঃপর আমি পরাভূতকারী, পরাক্রমশালীর ন্যায় তাদেরকে পাকড়াও করলাম।

أَكُفَّارُكُمْ خَيْرٌ مِّنْ أُوْلَئِكُمْ أَمْ لَكُم بَرَاءةٌ فِي الزُّبُرِ

43
তোমাদের মধ্যকার কাফেররা কি তাদের চাইতে শ্রেষ্ঠ ? না তোমাদের মুক্তির সনদপত্র রয়েছে কিতাবসমূহে?

أَمْ يَقُولُونَ نَحْنُ جَمِيعٌ مُّنتَصِرٌ

44
না তারা বলে যে, আমারা এক অপরাজেয় দল?

سَيُهْزَمُ الْجَمْعُ وَيُوَلُّونَ الدُّبُرَ

45
এ দল তো সত্ত্বরই পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে।

بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ

46
বরং কেয়ামত তাদের প্রতিশ্রুত সময় এবং কেয়ামত ঘোরতর বিপদ ও তিক্ততর।

إِنَّ الْمُجْرِمِينَ فِي ضَلَالٍ وَسُعُرٍ

47
নিশ্চয় অপরাধীরা পথভ্রষ্ট ও বিকারগ্রস্ত।

يَوْمَ يُسْحَبُونَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ ذُوقُوا مَسَّ سَقَرَ

48
যেদিন তাদেরকে মুখ হিঁচড়ে টেনে নেয়া হবে জাহান্নামে, বলা হবেঃ অগ্নির খাদ্য আস্বাদন কর।

إِنَّا كُلَّ شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ

49
আমি প্রত্যেক বস্তুকে পরিমিতরূপে সৃষ্টি করেছি।

وَمَا أَمْرُنَا إِلَّا وَاحِدَةٌ كَلَمْحٍ بِالْبَصَرِ

50
আমার কাজ তো এক মুহূর্তে চোখের পলকের মত।

وَلَقَدْ أَهْلَكْنَا أَشْيَاعَكُمْ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

51
আমি তোমাদের সমমনা লোকদেরকে ধ্বংস করেছি, অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

وَكُلُّ شَيْءٍ فَعَلُوهُ فِي الزُّبُرِ

52
তারা যা কিছু করেছে, সবই আমলনামায় লিপিবদ্ধ আছে।

وَكُلُّ صَغِيرٍ وَكَبِيرٍ مُسْتَطَرٌ

53
ছোট ও বড় সবই লিপিবদ্ধ।

إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَنَهَرٍ

54
খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নির্ঝরিণীতে।

فِي مَقْعَدِ صِدْقٍ عِندَ مَلِيكٍ مُّقْتَدِرٍ

55
যোগ্য আসনে, সর্বাধিপতি সম্রাটের সান্নিধ্যে।

৮| ১৬ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৫:৫৯

কাকপাখি ২ বলেছেন: যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব (Reason Why Atheists are Stupid)

৯| ০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দুনিয়ার জীবন আর পরকালের জীবন তো এক না। এই জীবনে রগ জরা আছে, বেশি মাল খাইলে লিভার খারাপ হইবো, কিন্তু ওই জায়গায় তো লিভার খারাপের ঘাপলা নাই, সময় অপচয়ের ঘাপলা নাই। খালি পিনিক লইবেন। পিনিক মানেই মজা। তাই এইখানে এইটা খারাপ হইলেও ওই জায়গার প্রেক্ষাপটে এইটা খারাপ না। কারন এইটা আপনারে আনন্দই দিবে, ক্ষতি করতে পারবেনা।


আবার হুর রে পাইলে ধর্মের কই বলা আছে যে কেবল লাগাইতেই হইবো? হুর আর গেলমান দেয়া হবে সঙ্গী হিসেবে। বইসা বইসা তাস খেলেন, পার্কে বইসা বাদাম খাইতে খাইতে গল্প করেন, অসুবিধা কই? মাথায় খালি কুচিন্তা ঘুরলেই সমস্যা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.