somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গণজাগরণ মঞ্চে গ্রুপিং কেন? পর্ব-৪

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আর্থিক অস্বচ্ছতা: স্বতপ্রণোদিত হয়ে আন্দোলনের শুরুর দিকে বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন আর্থিক সহায়তা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চকে। কয়েকহাত ঘুরে হলেও অর্থ ইমরান এইচ সরকারের হাতেই গিয়েছে।
বেশ কয়েকদিন আগ পর্যন্ত পত্র পত্রিকায় তিনি কোনো ধরণের আর্থিক লেনদেনের কথাই স্বীকার করেন নি। মঞ্চের কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের অর্থের সংস্হান করেছে বলে জানিয়েছেন।
যখন অভিযোগগুলো তীব্রতর হতে থাকলো, তখন তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি জোর করে তাঁর কাছে টাকা দিয়ে গেছে। কিন্তু এর কোনো হিসাব তিনি রাখেন নি।
সর্বশেষ এক ইন্টারভিউতে তিনি স্বীকার খেতে বাধ্য হয়েছেন, সব কিছুর হিসাব লিপিবদ্ধ করা আছে, যা শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই অর্থ সম্পর্কে হিসাব নিতে ইতোমধ্যে একটি কমিটি হয়েছে। দেখা যাক, কতদূর কি হয়।
বর্তমান সমস্যার সূত্রপাত: আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি না থাকলেও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগ জাদুঘরের সামনে সান্ধ‍্য আড্ডায় বসেন। সেখানে ইমরানবিরোধী পক্ষটিও বসে প্রতিদিন। শাহীন, মেহেদী, কামাল পাশারাও আসেন।
গণজাগরণ মঞ্চের নিজস্ব অর্থায়নে কেনা গোটা পঞ্চশেক চেয়ার সবসময় শাহবাগে থাকে। কিন্তু ৩ এপ্রিল শুক্রবার সেগুলো পান নি গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। উল্টো পক্ষের নতুন কয়েকটি চেয়ার দেখে তাদেরকে প্রশ্ন করেন নিজেদের চেয়ার প্রসঙ্গে। তখন বাক বিতন্ডা শুরু হয়। শেষমেশ মারামারিতে গড়ায় দুই পক্ষের বিবাদ। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে মঞ্চের কয়েকজন কর্মীকে মেরে বসেন এক পক্ষ।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলও নই, কোনো অফিসও নেই আমাদের। গণআন্দোলনের কর্মী হিসেবে রাজপথেই বসি আমরা। কোনো ঠিকানা নেই, এজন্য সবাই মিলিত হওয়ার জন্য শাহবাগকে বেছে নিয়েছি।
মামলাটামলা শেষে দেখা গেলো মেহেদী ছাড়া পাওয়ার পর ধীরে ধীরে শাহবাগে তারা নিজেরা দখল করে নিতে থাকে। ইদানীং লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, গণজাগরণ মঞ্চের যে মিডিয়া সেল ছিল, সেটা পুরোটাই মেহেদীর সংগঠনের দখলে চলে গেছে। গণস্বাক্ষর অভিযান চালাচ্ছে তারা।
আরও লক্ষ্য করলে দেখবেন, কর্মসূচি ছাড়া এখন আর ইমরান এইচ সরকার বা সঙ্গের কেউ শাহবাগ মাড়ান না। পুরো শাহবাগ চত্বর জুড়েই চলে ইমরানের বিরোধিতা। তবে সবাই যে এক পক্ষেরই তা নয়। বিভক্তির মাঝেও আছে বিভক্তি।। সেগুলো ক্রমাগত বাড়ছেই।
দ্বিখন্ডিত নয়, কয়েক খন্ড: মোটা দাগে ইমরান এইচ সরকারের পক্ষের একটি পক্ষ ও বিপক্ষে একটি পক্ষ দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এর পরও ভাগ আছে গণজাগরণ মঞ্চে। এই তো সংবাদ সম্মেলন করে একদল ব্লগার তাদের অনাস্থার কথা জানিয়ে দিয়েছে। এর আগেও ৫ বাম সংগঠন তাকে বয়কট করেছে। এখন আবার আলোচনার মাধ্যমে ইমরানকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। সামনে আরও একটা বড় অংশ তাকে ত্যাগ করবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে। যারা ছিলেন ইমরানের ছায়া। ভাবুন তো, কারা হতে পারে ??

গণজাগরণ মঞ্চের গ্রুপিং কেন? পর্ব-১

গণজাগরণ মঞ্চে গ্রুপিং কেন? পর্ব-২

গণজাগরণ মঞ্চে গ্রুপিং কেন? পর্ব-৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×