somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিশাচ কাহিনীঃ শয়তানের পাল্লায়

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




এক
শেষের আগে

আমি আরেকবার ঘড়ির দিকে তাকালাম।
সন্ধ্যা সাতটা পয়ত্রিশ।
শিট। পৌনে আটটার মধ্যে অবশ্যই আমার ঘাটে পৌছাতে হবে, নাহয় আটটার মধ্যে অফিসে পৌছাতে পারব না।
বাল।মুখ দিয়ে গালি বের হয়।
সিএনজি ড্রাইভার পেছন ফিরে তাকায়। গালাগালি করেন ক্যা? জ্যাম কি আমি লাগাইছি।
আরে না না, আপনাকে না, নিজের কপালকে গালি দেই। আমি জবাব দিলাম।
ক্যান? গল্পের গন্ধ পেয়ে উৎসাহী হয়ে ওঠে ড্রাইভার।
আপনার এত জানার দরকার কি? ঠিকঠাক গাড়ি চালান। আমি রুক্ষ কন্ঠে জবাব দেই।
আমার কর্কশ কন্ঠ শুনে সিএনজিওয়ালা সম্ভবত মনক্ষুন্ন হয়।বলতে না চাইলে বইলেন না। এমন করেন ক্যা?
আমি কোন জবাব না দিয়ে আশেপাশের গাড়িঘোড়া লক্ষ্য করি।আমার কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে সিএনজিওয়ালা সামনে ফিরে তাকায়।
বসে আছি সিইজেডের সেই বিখ্যাত জ্যামে।চট্টগ্রামে যারা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন তারা জানেন কি ভয়াবহ এই জ্যাম।
একই রাস্তার ওপর চট্টগ্রাম ইপিজেড আর তার কিছু দূরে কর্নফুলী ইপিজেড। এত কাছাকাছি দুটো ইপিজেড। চট্টগ্রামের একমাত্র এয়ারপোর্ট বা সীবিচে যেতে হলে আপনাকে যেতে হবে এই রাস্তা দিয়ে, ইপিজেড পেরিয়ে।আবার পোর্টে আসা কন্টেনারগুলো রাখার জন্য কিছু ফেসিলিটি আছে, সেখানে যেসব লরি কন্টেনারগুলো নিয়ে যায় তারাও যায় এই রাস্তা দিয়ে। আবার পদ্মা-মেঘনা-যমুনা অয়েল কোম্পানি বা ইস্টার্ন রিফাইনারীর মত বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিতে যাওয়ার জন্যও এটাই একমাত্র পথ।তাই প্রতিদিন চব্বিশ ঘন্টা, বছরে তিনশ পঁয়ষট্টি দিন এই রাস্তায় জ্যাম।
বাল। আমি মনে মনে আবার গালি দেই। কোন শুয়োরের বাচ্চা এই শহরটা প্ল্যান করেছিল। সবখানে যাওয়ার জন্য খালি এক রাস্তা। আজব।
স্যার, কিছু বলেন আমারে? সিএনজিওয়ালা জানতে চায়।
অদ্ভুত, আপনাকে না বল্লাম সামনে তাকান, গাড়ি চালান। আমার কথা আপনার শোনার দরকার নাই। আমি চেচিয়ে উঠি।
আমার চেচামেচি শুনে লোকটার মুখ কালো হয়ে যায়। আমি রাগে রাগে গজগজ করতে থাকি।
পেইন একটা লোক। যখন থেকে এর গাড়িতে উঠেছি, তখন থেকে লক্ষ্য করছি ড্রাইভিং এর চেয়ে পেছনের সীটে বসে আমি কি করছি, কি বলছি সেদিকেই তার আগ্রহ বেশি। ফালতু।
আমাদের পাশ দিয়ে একটা ট্রাক এগোয়।
সাবধান, ট্রাক আসে।আমি লোকটাকে সাবধান করে দেই।
সিএনজি চালক তাকে সাইড দেয়ার পরিবর্তে বরং ট্রাকের সাথে লাগিয়ে দেয়।
গাজা খাইয়ুস না ওডা? (গাজা খেয়েছিস নাকি ব্যাটা?- চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা)।ট্রাক থেকে কে যেন চেচায়।
ওই মিয়া, চোখের মাথা খাইছেন? আমি চিৎকার করে উঠি।
হঠাৎ লোকটা পেছন ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে ওঠে।ভয়ের একটা শীতল স্রোত আমার শিড়দাড়া দিয়ে বয়ে যায়। মানুষ না, যেন সাক্ষাত শয়তানের হাসি দেখলাম।


দুই।
দুই ঘন্টা আগে

আয়নার সামনে দাড়িয়ে ট্রায়াল দিচ্ছিলাম।নাহ, পাঞ্জাবীটা ঠিক সুবিধার হয়নি।
আর কত? এবার একটু খেমা দে।আয়নার সামনে থেকে সর। আপু বিরক্ত হয়ে বলে।
তোর কি সমস্যা? আমি বিরক্ত হয়ে বলি।
আপু চলে যায়।আমি আবার আয়নার দিকে মন দেই।
নাহ, ভুড়িটা বেড়ে গেছে।পাঞ্জাবীটা পেটের কাছে এসে বিশ্রীভাবে টাইট হয়ে গেছে।
ধুর। সব দোষ শালার চাকরিটার। সারাক্ষন বসে বসে মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়, কোন শারীরিক পরিশ্রম নাই। ভুড়িতো বাড়বেই।
নিজের ওপর খুব বিরক্ত লাগছে।আম্মু আগেই বলেছিল নতুন পাঞ্জাবি সেলাতে নাহয় কিনতে।আমি কাবিল হয়ে বললাম, কিনতে হবে না, পাঞ্জাবি আমার আছে।আর এখন দেখা যাচ্ছে পাঞ্জাবি আছে ঠিকই, তবে ভুড়ি দিয়ে টাইট।
আর কতক্ষন?
আসতেছি।আমি জবাব দেই।
ব্যাপারটা হচ্ছে আজ আমার মামাতো ভাইয়ের গায়ে হলুদ। আমরা সব মামতো-খালাতো ভাই মিলে ঠিক করলাম আমরা সবাই মেরুন রং-এর পাঞ্জাবি পড়ব। সমস্যা হল সবাই যেদিন পাঞ্জাবি সেলাতে যাবে সেদিন আমি ছুটি পেলাম না। ফলে ওদের সাথে যেতেও পারলাম না।অবশ্য আমার এমনিতেই মেরুন কালারের পাঞ্জাবি আছে, তাই ব্যাপারটা আর গা করলাম না। কিন্তু মাত্র দশ মাসের ব্যবধানে ভুড়িটা এমন বেয়ারাভাবে বেড়ে গিয়ে পাঞ্জাবি নিয়ে আমায় বেকায়দায় ফেলবে- ভাবতে পারিনি।
তোর ফোন বাজে। আপু চেচিয়ে ওর রুম থেকে বল্ল।
কে? আমি জানতে চাই।
নিজে দেখ। আপুর জবাব।
আমি আপুর রুমের দিকে এগিয়ে যাই।মোবাইলটা ওর রুমে চার্জ দেয়া।
আমি ফোনটা হাতে নেই। শাফি ভাই। অদ্ভুত।
শাফি ভাই আমার সিনিয়র কলিগ।আজ ছুটি নিয়েছি রেহান ভাইয়ার গায়ে হলুদ উপলক্ষ্যে, তার ওপর অফিস আওয়ারও শেষ। এখন ফোন করল কেন?
হ্যা, শাফি ভাই।
মাহফুজ, তুমি এক্ষুনি প্ল্যান্টে আস।
আমার আজকে ছুটি ভাই।
আরে ছুটিতে গুল্লি মার, জলদি আসো।
আমার কাজিনের এখন গায়ে হলুদ, এখানে সেখানে যাচ্ছি।
আরে এখন না আসলে জীবনে আর প্ল্যান্টে আসতে হবে না তোমার।
কেন? কি হইছে?
আরে মিয়া, চেয়ারম্যান স্যার আসছে। তোমারে খুজে।
কেন?
সেদিন যে কারো সাথে কন্সাল্ট না করে প্ল্যান্ট শাট ডাউন করে দিলা...
আমি তাকে পুরা বাক্য শেষ করার সুযোগ দেই না।আরে ভাই, প্ল্যান্টে আগুন লাগছিল। শাট ডাউন না দিলে বিস্ফোরনে আমরা সবাই উড়ে যাইতাম।
স্যার এইসব বুঝতে চাচ্ছে না। গত চারদিন প্ল্যান্ট বন্ধ, কোন প্রোডাকশান নাই, দুইটা ডেলিভারি হয় নাই, অর্ডার ক্যান্সেল হইছে। স্যার কিন্তু মহাখাপ্পা।তুমি আস, নাহয় খবরই আছে।
বাল। ফোনটা রেখে দেই।গায়ে হলুদে যাওয়া চান্দে উঠল, এখন চাকরি বাচাতে ছুটতে হবে।


তিন
শয়তানের পাল্লায়


মোখলেস আরেকবার চোখ মুছল।
এই সিএনজি, যাবা? লাল পাঞ্জাবি পরা একটা লোক জানতে চাইল।
কই? মোখলেস জানতে চাইল।
ইপিজেডের পর।
উঠেন।
লোকটা উঠে বসল।গাড়ি চলতে শুরু করল।
লোকটা শব্দ করে পেছনের সীটে বসে হঠাৎ মোনাজাত শুরু করে।ইয়া মাবুদ, চাকরিটা বাঁচায় দাও।
স্যার।
কি?
আপনি শয়তানে বিশ্বাস করেন?
হোয়াট?
শয়তান মাঝে মাঝে মানুষকে সাহায্য করে।বিনিময়ে শয়তানের উদ্দেশ্যে মানুষ বলি দিতে হয়।
তাই? লোকটার কথা শুনে এই টেনশানের সময়ও আমার হাসি পায়।
সত্য কথা স্যার।
তা তোমার শয়তানের সাথে দেখা হয়েছে?
শয়তান নিজে আসে নাই।তার লোক আসছিল।
কেন?
আমার ছেলেটা এক্সিডেন্ট করছিল, কোমায় ছিল। ডাক্তাররা কিছু করতে পারল না, তখন ওই লোকটা আসল।
তারপর?
বলল, আমি যদি শয়তানের উদ্দেশ্যে বলি দেই তাহলে সে আমার ছেলেকে বাঁচাবে।
তাহলে তোমারতো শয়তানের সাথে দেখা হয় নাই।তা ওই লোকের কি দেখা হয়েছিল?
না।
তাহলে সে তোমাকে শয়তানের পক্ষ থেকে ডিল অফার করল কিভাবে?
ব্যাপারটা আপনি বুঝেন নাই। শয়তানে প্রথমে একজনকে অফার করছিল।নিজে নরবলি দেয়ার পর সে শয়তানের অফার পৌছায় দিল দ্বিতীয়জনের কাছে। দ্বিতীয়জন থেকে তৃতীয়জন, এভাবেই চলছে।এখন আমি অফার করছি আপনাকে।চাকরি বাঁচাতে চান?
বলতে বলতে মোখলেস সিএনজিটা লাগিয়ে দেয় এক ট্রাকের সাথে।
ড্রাইভরের উদ্দশ্যে গালি ভেসে আসে ট্রাক থেকে, পেছনের সীট থেকে চেচিয়ে ওঠে মাহফুজ। ওই মিয়া, চোখের মাথা খাইছেন নাকি? ঠিকঠাক একটা সিএনজি চালাইতে পারেনা, এরা নাকি আবার শয়তানের চ্যালা। যত্তসব অসুস্থ ভোদাইয়ের দল।
লোকটা হঠাৎ পেছন ফিরে তাকায়। তাহলে আপনি শয়তানের অফার নিবেন না?
শয়তান কেন, তার বাপের কোন অফারও আমি নিব না। তুই সামনে তাকায় গাড়ি চালা। যত্তসব অসুস্থ গর্দভের দল।
মাহফুজের কথা শুনে তীব্র চোখে তাকায় মোখলেস।তার চোখ ঠিকরে যেন আগুন বেরোয়।
হঠাৎ-ই একটা কাজ করে বসে মোখলেস।সিএনজিটা রং সাইডে নিয়ে তীব্র বেগে ছোটাতে শুরু করে। অপর পাশ থেকে ছুটে আসছে একটা দানবীয় লরি।
শয়তানকে না বলার শাস্তি মৃত্যু।বলতে বলতে একটা পৈশাচিক হাসি দেয় মোখলেস।
লরিটা আসছে, লরি বরাবর বিপরীত দিক থেকে তীব্র বেগে ছুটে চলেছে সিএনজি।
মাহফুজ অনেক চেষ্টা করেও দরজাটা খুলতে পারেনা!
ইয়া মাবুদ, রক্ষা কর। মাহফুজ হাত তুলে প্রার্থনা করে।
মোখলেস তখনও হাসছে।তার হাসি চাপা পরে যায় লরির প্রচন্ড শব্দে।


==========================================
আমার লেখা অন্যান্য ভৌতিক গল্পগুলোঃ

১.পিশাচ কাহিনীঃ রক্তখেকো ডাইনী পর্ব-১ পর্ব-২ পর্ব-৩
২.পিশাচ কাহিনীঃ জানোয়ারের রক্ত (১৮+)
৩.পিশাচ কাহিনীঃ অন্ধকারে বিলীন
৪.পিশাচ কাহিনীঃ হোটেল একশ তলা
৫.পিশাচ কাহিনীঃ একশ তলায় আবার
৬.পিশাচ কাহিনীঃ রাতের আঁধারে
৭.পিশাচ কাহিনীঃ কন্ঠ
৮.পিশাচ কাহিনীঃ অতিথি
৯.পিশাচ কাহিনীঃ কান্নার শব্দ
১০.পিশাচ কাহিনীঃ শয়তানের পাল্লায়
১১.পিশাচ কাহিনীঃ নির্ঘুম রাত
১২.পিশাচ কাহিনীঃ জঙ্গল মঙ্গলপুর
১৩.পিশাচ কাহিনীঃ একটি ফটোগ্রাফ
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৮
২১টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

আমরা সবাই জানি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও কম বলা হবে। ইরান ইজরায়েলকে দুচোখে দেখতে পারেনা, এবং ওর ক্ষমতা থাকলে সে আজই এর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।
ইজরায়েল ভাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নগ্ন রাজা কর্তৃক LGBTQ নামক লজ্জা নিবারনকারী গাছের পাতা আবিষ্কার

লিখেছেন মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০

LGBTQ কমিউনিটি নিয়ে বা এর নরমালাইজেশনের বিরুদ্ধে শোরগোল যারা তুলছেন, তারা যে হিপোক্রেট নন, তার কি নিশ্চয়তা? কয়েক দশক ধরে গোটা সমাজটাই তো অধঃপতনে। পরিস্থিতি এখন এরকম যে "সর্বাঙ্গে ব্যথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×