কত মানুষ চারপাশে!ভিড়ে থই থই।ডিম বিক্রেতা বলছে ডিম ডিম বয়েল ডিম।
প্লাটফরম বুঝি এমনই হয়।ট্রেন যায় ট্রেন আসে।যাত্রী উঠে আবার যাত্রী নামে।
জীবন নামক মাল গাড়িটিও বুঝি এমন।যায় আসে যায়।
গাল বেয়ে জল ঝরছে কঙ্গাবতীর
সময় কত দ্রুত বয়ে যায়।বিদায় বলতে হবে যে তাকে
ট্রেন ছাড়ার সময় হলো ওই
ঘন্টা পড়ল ঢং ঢং ঢং
বড্ড অসময়ে ট্রেন এলো।
জানো কঙ্কাবতী,আমার না পাখি হতে ইচ্ছা করে
মুক্ত আকাশে উড়বো এ জন্য নয়
জীবনটাকে একটু বদলে দেখতাম।
ধর,যদি পিঁপড়া হতাম,কিম্বা মৌমাছি
আহ কি না মজা হতো।
অমলেশের কথায় হাসে কঙ্কাবতী-কষ্ট ভরা হাসি তার
বলে-পিঁপড়া?শেষে কিনা এতো ক্ষুদ্র প্রাণী হতে চাইলে?
কেন নয়?-অমলেশ বলে
যদি পিঁপড়া হতাম একসঙ্গে কত জনের সঙ্গ পেতাম
ভাবা যায়
অথবা মৌমাছি
একবার ভাবো মৌচাকের কথা।
ট্রেন হুইসেল বাজায়।প্লাটফরম ছাড়ার সময় হলো তার
অমলেশ কঙ্কাবতীর চোখ মুছিয়ে দেয়
বলে-এর পরে
অন্য কোন ভুবনে যখন আমাদের দেখা হবে
তোমাকে ঠিক চিনে নেবো আমি।ঠিক চিনবো
কঙ্কাবতীর হাতে অমলেশের হাত
উষ্ণতা হারায় ধীরে ধীরে
কঙ্কাবতী আঁচল দিয়ে চোখ মুছে নেয়।অমলেশ তাকে হাসিখুশি দেখতে চেয়েছে চিরকাল।
১১/০৯/২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৯