
সিঁথিপাটিতে মাকে লুকিয়ে একচিমটি সিঁদুর রাঙিয়ে অদ্ভুত ভালো লাগায় মন ভরে ওঠে শেফালী নামের সেই মায়াভরা চপলমতি শ্যাম তরুণী বুনোঘাসে মুখ ডুবিয়ে শিশির স্নানে যার দিনের শুরুগুলো শেষ হয় দুপা ছড়িয়ে বুড়ো বটগাছটির গুঁড়িতে সূর্য্যিবাবুর ঘুমাতে যাওয়া দেখতে দেখতে
ভালোবাসা যার কাছে তেঁতুলের আচার চুরিতে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা ঝপ করে লাফিয়ে পড়া সেনবাবুদের দিঘীতে কিংবা বুড়ো দাদুর হুকোয় দুটানে ধোঁয়াদের জন্ম দিতেই ব্যস্ত তার কাছে শাড়ির আঁচলের বাহুল্যতা বাড়ন্ত শরীর বাঁকগুলো লুকনোর জন্য নয় বরং মাঝদুপুরে ঘেমেনেয়ে ঘরে ফেরা মাঝিপাড়ার সেই শক্তপোক্ত ছেলেটার কোমরের গামছার সাথে পাল্লা দিয়ে তার নোনাজল মুছিয়ে দেবার
আমিও তাই দিনদুপুরে চুরি করতে চাই সেই শেফালীর চোখের কাজল নাকের নথ সাথে ওই কোমরবিছে শুধু কিছু পাওয়ার আশায় কিছু সত্য প্রেম নিয়ে বাঁচার ইচ্ছায় শুধু সেই শেফালীকে চাই নরম বিছানায় নয় ঘাসেদের মাঝে ধানদূর্ব্য দিয়ে বরণ করতে
আর রোদে পোড়া বাদামী চুলগুলো আলগোছে সরিয়ে ওই অবুঝ ঠোঁটে ভালবাসা এঁকে দেব
এ ধরনের কিছুর এই প্রথম চেষ্টা। অপচেষ্টাও বলা যায়। দীপংকর চন্দ যতিচিহ্নহীন লেখাগুলো খুব প্রভাবিত করেছে আমায়। তার পরিণতিই আমার আনাড়ি হাতের এই লেখাখানা। আর সেইজন্যেই প্রথম এই কবিতাটি দীপংকরদাকে উৎসর্গ করলাম।
প্রিয় দীপংকর দা'র কিছু অদ্ভুত সুন্দর কবিতাঃ
১। হ্যালো তুমি কি আসছো আজ বিকেলে
২। এই কথাগুলোই কি লেখা থাকবে এপিটাফে
৩। সেই চুলে জড়াইয়া ছিলো রক্তজবা ফুল
৪। ধ্বনিত হইল কবিতা মন্দ্রস্বরে
৫। ছিলো অশ্রুসিক্ত চোখ এবং সুদীর্ঘ শোক
||ভালো থাকুন দাদা, শুভ কামনা||
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




