ভাষার মাসে তারে স্মরণ না করি কেমনে।তার জন্য শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এই শব্দগুলো তুচ্ছ। যুতসই কোন শব্দও খুঁজে পাচ্ছি না মানুষটির জন্য। একাত্তরে হারিয়েছিলেন ছোট ভাইটিকে। জীবন-জীবিকার টানে প্রবাসে গড়েছিলেন বসতি। কিন্ত একমুহূর্তের জন্যও ভোলেননি দেশকে। ওয়াইনের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে অন্য আট-দশজনের মতো বলেননি, দেশ কী দিয়েছে আমাকে?
একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার দাবিকে সামনে আনার প্রথম দুই বাঙালি সৈনিকের একজন তিনি। তিনি আমাদের রফিকুল ইসলাম। দীর্ঘদিন মারণঘাতী ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই শেষে তিনি ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর পাড়ি জমান অন্য ভুবনে।
দেশপ্রেমিক এই মানুষটিকে জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরন করবে এই গ্যারান্টি দিতে না পারলেও এই মাটি, হাওয়া আর মিষ্টি ভাষা যে তাকে ভুলে যাবে না সে কথা নিশ্চিত।
প্রবাসের কথা যখন চলেই এলো তখন একটা কথা বলেই ফেলি সাহস করে, আশঙ্কাজনকহারে প্রবাসে কমছে রফিকুল ইসলামদের সংখ্যা আর বাড়ছে চৌধুরী মঈনুদ্দীনদের ছানাপোনা তার অনুসারীদের সংখ্যা।
আরেকটি শ্রেনীর উদ্ভব হয়েছে যারা দেশ নিয়ে এক বিচিত্র ধারণা পোষন করে। দেশ, মুক্তিযুদ্ধ সবই তাদের কাছে বুলশিট। তবে কুত্তা ব্যাথা পাইলে বাংলায় কান্দে। এই নব্য প্রবাসী সেমি হেফাজতিদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা অনেক। কাপড় চোপড় দেখলে বাংলা সিনেমার নায়িকাও চোখে আঁচল চাপা দিবো, কিন্তু দেশে ইসলাম রক্ষা করতে গিয়ে বহু মানুষ মারা পড়েছে এমন খবরে ভীষন উদ্বিগ্ন হন তেনারা।
জিগাইতেই পারেন ভাইসাব, তুমি ঘেঁচু এতো জানলা কেমনে? দাড়ান আগে নিজের ঢোলে নিজেই বাড়ি দিয়া লই, ভাই আড়াই বছর মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক বই এবং ডকুমেন্টারির কাজ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি।
খুব ইচ্ছে ছিলো যে সব মুক্তিযোদ্ধারা ৭১-এর পরে জীবন-জীবিকার টানে দেশে ছেড়েছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে যে মানুষগুলো তীব্র অভিমানে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন তাদের নিয়ে একই কাজ করবো। কারন এই সোনার মানুষগুলো আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে দ্রুতই।
তখনই বুঝছিরে ভাই, ফ্যাশন শো আর গালা অ্যাওয়ার্ডের আয়োজনের লাইগা বহুত লোক আছে মাগার এই কামে, ‘যা ফুট।’ এমন না যে তাগো থেইক্যা টাকা চাইছি, চাইছি ইনফরমেশন তাতেই যেই মামদোবাজি...
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩