somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের দার্জিলিং- বান্দরবন (পর্ব-১)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ঘুরে এলাম বান্দরবন। এর আগে ইতিহাস হিসাবে প্রাগৈতিহাসিক কিছু কথা বলে নেই। আমার বন্ধু মিথুন। আমরা দুজনেই ব্যাচেলর। সেই কবে সুন্দরবন গিয়েছিলাম (মৃত্যূর চেহারা দেখে ফিরে আসছি, সেটা অন্য কোনো সময় বয়ান করা যাবে।)- গত বছর ঈদুল আযহার পরের দিন- আর কোথাও নট নড়ন- চড়ন অবস্থায় আছি (অবশ্য এই বছর ঈদুল ফিতর করেছি দার্জিলিং এ)। তাই দেশের কোথাও যাওয়ার জন্য মন আকু-পাকু করছিলো। নতুন ব্যাংকে যোগ দেয়ায় মিথুন সহজে ছুটি নিতে পারছিলোনা। তবে নভেম্বরের তিন দিন (২৩-২৪-২৫) এক সাথে ছুটি থাকায় অনেক আগে পরিকল্পনা করে ফেললাম। আর মিথুন ও ছুটি ম্যানেজ করলো। ইচ্ছে ছিলো ৬-৮ জনের একটা দল একসাথে যাবো। কিন্তু সবারই এই আছে, সেই আছে করে পিছিয়ে পড়লো। কি আর করা- মিথুন আর আমি। যাই হোক- একবার যখন ঠিক করেছি যাবো তো যাবোই। মিথুনকে নিয়ে গেলাম সায়দাবাদ টিকিট কিনতে। ভালো ভালো বাস কাউন্টারে এসে দেখি টিকিট নাই। যারা একটু ডিজিটাল উপায়ে টিকিটের বিক্রী করেন তাদের সেই ডিজিটাল স্কীনে দেখলাম বুকিং নয়, একেবারে বিক্রী হয়ে রয়েছে সব আসন। খোজ নিয়ে যানা গেল গাড়ি ছাড়ে সকাল আর রাতে। সকাল ৯.৩০ টা থেকে ১১.০০টার মধ্যে আর রাতে ১০.০০টা থেকে ১১.৩০টার মধ্যে। পরের দিনের সকালের বাসের টিকিট বিক্রি হয়নি একটাও। কিন্তু আমাদের তো চাই রাতের। মন খারাপ করে তবুও ঘুরতে লাগলাম, যদি অপরিচিত কোনো বাসের টিকিট পাওয়া যায়, হোক পেছনের সীট, কুছ পরওয়া নেহি। তাই ঘুরতে ঘুরতে চলে এলাম ঈগলের বাসের কাউন্টারে। টিকিট আছে জিজ্ঞাস করায় বললেন, আছে। কোথায় আছে, কিভাবে আছে এই সব প্রশ্ন অবান্তর। তবুও সীট পেলাম পেছন থেকে ৪র্থ নম্বর। আলহামদুলিল্লাহ। গাড়ি ছাড়বে রাত ১১.১৫তে। ভাড়া বেশি না মাত্র ৫৫০ টাকা। সব বাসের এক রেট।

এইবার আসুন দেখি, ঢাকা থেকে কোন কোন বাস বানন্দরবনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
১. হানিফ ২. ইউনিক ৩. এস, আলম ৪. শ্যামলী ৫. ডলফিন ৬. সৌদিয়া ৭. ঈগল
ঈগল বেশিদিন নয় মাত্র দুই-তিন মাস ধরে যাচ্ছে। তবে প্রতিটি বাসই বেশ ভালো। আমার আবার ইউনিক প্রীতি আছে। ইউনিক পেলে অন্য বাসে যেতে চাই না। কিন্তু কপাল খারাপ এমন চিন্তা প্রথমে করলেও বাসে উঠার পর বুঝেছি ঈগলের বাস গুলো নতুন আর বেশ আরামপ্রদ।
গাড়ি ছাড়ে সকাল আর রাতে। সকাল ৯.৩০ টা থেকে ১১.০০টার মধ্যে আর রাতে ১০.০০টা থেকে ১১.৩০টার মধ্যে। আমরা রাতের টিকিট কাটলাম।
এবার ফোন নম্বর গুলো টুকে রাখুন কাজে দিবে।
১. হানিফ এন্টারপ্রাইজঃ
সায়দাবাদ কাউন্টারঃ ০১৭১৩-০৪৯৫৫৯। গাবতলী কাউন্টারঃ ৮০১১৭৫৯।
২. শ্যামলী পরিবহনঃ
সায়দাবাদ কাউন্টারঃ ০১৭১২-৫৯৬৯৪০, ৭৫২০৪০৫। গাবতলী কাউন্টারঃ ৮০১৪৫৩৮।
৩. ডলফিন সার্ভিসেসঃ
মতিঝিল কাউন্টারঃ ৯৫৫৮৮০২।
৪. এস আলম পরিবহনঃ
ফকিরাপুল কাউন্টারঃ ৯৩৩১৮৬৪ । গাবতলী কাউন্টারঃ ৯০০২৭০২।
৫. ইউনিক পরিবহনঃ
ফকিরাপুল কাউন্টারঃ ৮৩১৮১৫১ । গাবতলী কাউন্টারঃ ৯০০২৭১০।
৬. সৌদিয়া পরিবহনঃ
ফকিরাপুল কাউন্টারঃ ০১৯১৯-৬৫৪৮৫৮ । কলাবাগান কাউন্টারঃ ০১৯১৯-৬৫৪৮৬৩।
সায়দাবাদ কাউন্টারঃ ০১৯১৯-৬৫৪৮৫৬-৭।
৭. ঈগল পরিবহনঃ
সায়দাবাদ কাউন্টারঃ ০৪৪৯-৪৪১৩৬৮০। গাবতলী কাউন্টারঃ ০৪৪৯-৪৪১৩৬৭৩।

এই বার আবার বাধলো খটকা। মিথুন ফোন করে বললো ও যেতে পারবেনা। এইটা নতুন না। এর আগেও একবার বান্দরবনের টিকিট কিনে যেতে পারিনি। সেও প্রায় তিন বছর আগের কথা। কি যে মন খারাপ হয়েছিলো? সেবার ওর মামা অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলো। আর এবার ওর নানী। লেও ঠ্যালা। তবে আমার আরেক বন্ধু সজল এগিয়ে এলো। অনেক দিন কোথাও নাকি ওর যাওয়া হয়নি। ও পীড়াপীড়ি করছিলো যাওয়ার জন্য। মিথুন যেতে না পারায় ওর সৌভাগ্য গেলো খুলে। আমিও একাই যাবো এই হতাশা ঝেড়ে ফেলে গোছাতে শুরু করলাম।

কি কি নিবেন সাথে?
কি কি সাথে নিবেন, সে তো ভ্রমন পিপাসুদের বলে দেয়ার দরকার নেই। তবে যারা এবার নতুন বেড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি। ছবি তোলার জন্য হাফ হাতা শার্ট বা গেঞ্জী বেশ মানান সই। সাথে জিন্সের প্যান্ট।
১. মোবাইল ও এর চার্জার।
২. ক্যামেরা ও এর চার্জার (ক্যামেরার ব্যাটারি দুইটা নিয়ে নিবেন। ছবি তুলতে তুলতে হঠাৎ দেখবেন চার্জ নেই, সাথে সাথে ২য় ব্যাটারি ভরে নিন। আমার এমন অভিজ্ঞতা অনেক, সেই অভিজ্ঞতার খেসারত দার্জিলিং এ সবচেয়ে সুন্দর জায়গা রক গার্ডেনে পৌছে দেখি ক্যামেরার ব্যাটারি শুধু লো না, একেবারে বন্ধ! মন খারাপের ইমো চিন্তা করে নিন।)
৩. দড়ি (মশাড়ি খাটানো ছাড়াও অনেক কাজে দিতে পারে, সাথে রাখুন।)
৪. টর্চ লাইট (অনেক জায়গায় জেনারেটর পাওয়া যায় না, তখন কাজে দিবে।)
৫. ফাস্ট এইড বক্স। (এখানে, তুলা, ব্যান্ডেজ, ওরস্যালাইন, পেট খারাপের ঔষধ সহ প্রয়োজনীয় ঔষধ, এন্টিসেপ্টিক লোশন, গ্যাস্টিকের ট্যাবলেড, মাথা ব্যথার জন্য পেইন কিলার।)
৬. জিন্সের প্যান্ট, টি-শার্ট, টয়লেট টিস্যূ, ফেসিয়াল টিস্যূ, নেপকিন পেপার, সানক্রিম, শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি।
৭. সানগ্লাস, সানক্যাপ, দূরবীন, ছোট ছুরি, ছাতা, পাহাড়ে চলার উপযোগী কেডস, আর চপ্পল।

নভেম্বরের ২২ তারিখেই চেপে বসলাম বাসে। এ কী! সবাই উঠার পরও আরো চারটা সীট খালি! দুইটা সীট একদম খালি। দুই জনকে তোলা হবে শনির আকড়া থেকে। তাই বাকী দুই সীটের যাত্রীর জন্য গাড়ি ছাড়তে দেরী হলো প্রায় ৩০ মিনিট! যাক বাবা তাও গাড়ি ছাড়লো। বাসে আমার কখনোই ঘুম আসে না। তাই তন্দ্রালুর মতো করেই কাটিয়ে দিতে হলো। কিছু বান্দর গোছের হ্যাংলা ছেলে-মেয়েদের দেখা গেলো সামনের দিকে বসেছে। পাতলা জামা পড়ে। আর আমি এই আসি আসি শীতে পুরোদস্তুর জ্যাকেট নিয়ে উঠেছি। কেউ কেউ হয়তো চিড়িয়া দেখছে এমন ভাবে তাকাতেও পারে। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলছে- ঠান্ডা পরবে মধ্য রাত থেকে। চুলতো আর এমনি এমনি পাকেনি। শেষ রাতের দিকে দেখি সেই বান্দর মার্কা ছোকরা-ছুকরিদের এক একটা কাকের মতো ঠক ঠক করছে। কে জানি বললো, আমার গলা ব্যথা করছে। ব্লগীয় বন্ধুরা শিক্ষনীয় হলো- রাতের জার্নির জন্য অবশ্যই গরম কাপড় নিয়ে নিন। নয়তো পুরো ট্যুরের আনন্দ শুরুতেই ন্যুয়ে পড়বে।

মধ্য রাতের বিরতিঃ
মধ্য রাতে কিছু খাওয়া ফ্রেস হওয়া ইত্যাদির জন্য বিরতি হয়। চট্টগ্রামের দিকে বাস গুলো সাধারনতঃ কুমিল্লাতে থামে। আর এই রেস্টুরেন্ট গুলোতে যে গলা কাটে সে তো সকলেরই জানা। ইচ্ছা করলে বাসা থেকে হালকা কিছু নিয়ে নিতে পারেন। ভাত তরকারিও নিয়ে নিতে পারেন। শুধু প্লেট নিয়ে বসে পড়ুন খেতে। কে কী বললো, সেদিকে তাকানোর দরকার কি? এর আগের এক ট্যুরে সজল খাবার নিয়ে নিয়েছিলো। এইবার ওকেই বলেছিলাম কিছু নিয়ে নিস। সে বার ছিলো মোরগ কষানো আর এবার দেখি গরুর মাংস ভুনা করে নিয়ে আসছে। প্লাস্টিকের যে প্যাকেট গুলো করে মিষ্টি বিক্রি করে সে গুলো করে। বুদ্ধিটা চমৎকার। খাওয়া শেষে ফেলে দিলেই হলো। যে হোটেলের সামনে থামলো (নাম মনে করতে পারছিনা) এর আগেও এখানে অনেকবার খেয়েছি। ফ্রেস হয়ে কেবল ভাত নিলাম। এর মধ্যে দেখি ও মাংস গরম করে ফেলেছে। ওভেনে ৭ মিনিট গরম করেছে। নাহ কোনো চর্বি জমে নেই। হয়েছেও মজার। যে পরিমান মাংস সজল নিয়েছে দুজনে খেয়েও শেষ করতে পারলাম না। তাই বাকীটূকু সাথে নিয়ে নিলাম। খাওয়া শেষে চা খেলাম। ওমা! দুটা চা আর দুজনের ভাতের সাথে ডাল এর বিল আসলো ১১৫ টাকা!

পৌঁছে গেলাম বান্দরবনঃ
আমরা যখন বান্দরবন পৌছলাম, তখন ঘড়িতে বাজে সকাল ৭.৩০। হোটেল আগেই বুকিং দিয়ে এসেছিলাম। হোটেলের নাম রয়েল হোটেল। এটা বেশ পুরনো একটা হোটেল। বান্দরবনের প্রায় প্রথম দিককার হোটেল। এর মালিক এখন স্থানীয় চেয়ারম্যান। এটা মারমা বাজারে অবস্থিত। বাস স্ট্যান্ড থেকে ১০-১৫ টাকার ভাড়া। একটা রিক্সা নিয়ে চলে গেলাম। তবে এর আগেই ফিরতি টিকিট কেটে নিলাম।

রবির সৌযন্যে এই ভাস্কর্য একেবারে বান্দরবন চৌরাস্তায়।

রয়েল হোটেল ভাড়া করা নিয়ে কিছু বলা যাক। সিটি ব্যাংকে আছেন তৌহিদ ভাই। তিনি এর আগে ৩ বার এসেছেন। এইবার নিয়ে ৪ বার। এসেছেন মামুন ভাইকে সঙ্গ দিতে। ছবি তোলার জন্য। তার কথা মতোই এই হোটেলে বুকিং দিয়ে আসি। তবে থাকেই হবে এমন না। রুম দেখে পছন্দ হলো না। তার উপর আবার ভাড়া বেশি মনে হলো। চিন্তা করলাম, কেবল এলাম, ঘুরে দেখি আরো কোনো হোটেল খুঁজে পাওয়া যায় কিনা? বেশি ঘুরতে হলো না। রয়েল হোটেলের সামনেই মাস্টার গেস্ট হাউজ। দোতালায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অফিস। রুম শুধু পাওয়া গেল না, চরম পছন্দ হলো রয়েল হোটেলের তুলনায়। এবার কোথায় কোথায় থাকা যায় তার একটা লিস্টি দিচ্ছি, কাজে লাগবে নিশ্চয়ইঃ
১. হোটেল হিল ভিউঃ একেবারে বাস স্ট্যান্ড এর সামনেই। রিক্সা নেয়ার দরকার নেই। একটু হেটে গেলেই হলো। বান্দরবনে আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর হোটেল। ভাড়াঃ ১২০০-২২০০ এর মধ্যে। একটু দর কষাকষি করলে আরো কমে পেতে পারেন। তবে পিক সিজনে গেলে রুম খালি পাওয়া মুশকিল হয়। সরকারি অফিসাররা এটা ঢাকা থেকেই বুকিং দিয়ে যান। মোবাইল নম্বরঃ ০১৮২৮-৮৬৬০০০। এই হোটেলে সুমন নামে একজনের সাথে পরিচয় হলো। তার মোবাইল নম্বরঃ ০১৮১৮-২০৮৫৫৪।
২. থ্রি-স্টার হোটেলঃ এই হোটেলের বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে বাসা বাড়ির মতো থাকা যায়। একটা এপার্টমেন্ট নিয়ে নিতে পারেন। তিন রুমের এপার্টমেন্ট এর ভাড়া প্রায় ৩০০০ টাকা। আমরা এই খানে গিয়েছিলাম ভাড়া কত যানতে, এসে শুনলাম, এর সব রুম এক মাস ব্যাপী ভাড়া করা হয়েছে, একটা ছবির সুটিং এর জন্য। নিচে একটা রেস্টুরেন্ট ও আছে। মোবাইল নম্বরঃ ০১৮১৩-২৭৮৭৩১, ০১৮১৪-২০০৯১৮।
৩. হোটেল ফোর স্টারঃ এটা ডিসি অফিসের সামনেই। ভি,আই,পি রোডে। মোবাইল নম্বরঃ ০১৫৫৩-৪২১০৮৯, টেলিফোনঃ ০৩৬১-৬২৪৬৬।
৪. হোটেল রিভার ভিউঃ এই হোটেলটি বেশ সুন্দর। হোটেল থেকে সাঙ্গু নদী দেখা যায়। ভাড়া ২০০০-৩৫০০ এর মধ্যে।তবে সিঙ্গেল রুম ও আছে, ভাড়া মাত্র ৩০০ টাকা। মোবাইলঃ ০১৭৯১-১১২৭৫৭, ০৩৬১-৬২৭০৭।
৫. ছায়ানীরঃ এটা পুলিশ অফিসার্স রেস্ট হাউজ। চমৎকার আবাসন। ভাড়া একটু বেশি। ১২০০-২৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। তবে যারা ফ্যামিলি নিয়ে যাবেন তাদের জন্য ভালো। ফোনঃ ০১১৯৭-৩৯৭৭৮৮।
এবার যে হোটেল গুলোর নাম দিবো সেগুলো সস্তা আর সিঙ্গেল দের জন্য আদর্শ।
হোটেল পূরবী- ০৩৬১-৬২৮৩১, হোটেল গ্রীন হিল- ০৩৬১-৬২৩৭৪,
হোটেল অতিথিঃ ০৩৬১-৬২৫৩৫, প্রু আবাসিকা- ০৩৬১-৬৮৮৫৭।

বান্দরবনের আদি নাম ‘কাক চিং মো’। এটি মারমা শব্দ। জেলার বিস্তৃতি ৪,৪৭৯ বর্গকিঃমিঃ। চট্রগ্রাম থেকে ৯২ কিঃ মিঃ আর ঢাকা থেকে ৩৮২ কিঃ মিঃ দূরে। এখানকার নাম বান্দরবন কেন হলো? সেটা নিশ্চয়ই বান্দরের জন্য। আগে এখানকার বনে নিশ্চয়ই প্রচুর বান্দর দেখা যেত। এখন পাহাড়ি বনগুলো ধীরে ধীরে মানুষের দখলে আসার সাথে সাথে বান্দরের দেখা পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে গেছে। সে যাকগে আমি বান্দরবনের সৌন্দর্য দেখতে আসছি, বান্দর দেখতে তো আসিনি।

হোটেলে গোসল সেরে নিলাম। এখনো সকালের নাস্তা হয়নি। গরম গরম পরাটা আনানো হলো। কিন্তু মাংস তো জমা। কি করি? পরাটা নিয়েই বের হলাম। এলাম বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত। কিন্তু কিছু নেই। পরাটা, ভাজি সব শেষ। একটা হোটেলা ঢুকে আমাদের পরাটা আর মাংস গরম করে দিতে বললাম। ওই দিয়েই সকালের নাস্তা সারলাম। সাথে আরো দুই জন। তারা পাউরুটি দিয়ে নাস্তা করেছে তাই তেমন খেলেন না। তবে সিঙ্গারা একটা করে চেখে দেখলেন। এখানে সিঙ্গারার মধ্যে নারকেল দেয়। এটা একটা নতুন স্বাদ। খারাপ না।
শহরের আশে-পাশে ঘুরবো আজ। শহরের আশে-পাশের জায়গা গুলো হলো-
১. স্বর্ণ মন্দির, ২. রামা জাদী মন্দির, ৩. নীলাচল, ৪. মেঘালয়। একটা সি.এন.জি
ভাড়া করলাম ১৪০০ টাকা থেকে নামতে নামতে ৮৫০তে অনেক কষ্টে রাজী করানো গেলো। প্রথমে গেলাম নীলাচল।


চলবে ...


(এর পরের পর্ব গুলো কিন্তু মিস করবেন না, ছবি আছে, চমৎকার চমৎকার ছবি। আমার সমস্যা একটাই, কোনো কিছুই ছোট করে লিখতে পারিনা। এই দোষটা নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন। এই পর্যন্ত কোনো ছবি নেই, তাই ছবি দিতে পারলাম না।

বাংলাদেশের দার্জিলিং- বান্দরবন (পর্ব-২)

বাংলাদেশের দার্জিলিং- বান্দরবন (পর্ব-৩)

বাংলাদেশের দার্জিলিং- বান্দরবন (পর্ব-৪)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫০
১৮টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×