somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের দার্জিলিং- বান্দরবন (পর্ব-৪)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






আগেই বলেছি, ২য় দিন যাওয়ার কথা ছিলো, নীলগিরি। নীলগিরি যাওয়ার জন্য উঠতে হয় খুব ভোরে। তাহলে মেঘ দেখা যায় পাহাড়ের নিচে। সে এক অপূর্ব দৃশ্য। নীলগিরিতে যেতে হলে তিনটা উপায়ে যাওয়া যায়।
১। জীপ (ক্লজ ডোর)
২। জীপ (ওপেন ডোর)
৩। বাস।

জীপে যেতে হলে রেট ৩,৫০০ টাকা। এর সাথে আরো খরচ হবে গাড়ির সাইজ অনুযায়ী ২০০ বা ৩০০ টাকা। গাড়ি যদি ৪-৫ জন নিতে পারে তবে পার্কিং খরচ ২০০ টাকা, আর ৮-১০ জনের গাড়ি হলে ৩০০ টাকা। জীপে চড়ে যেতে পারেন। এর ভাড়া কিছুটা কম। ২,০০০ টাকা। বাস যায় ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। বান্দরবনের হিল বার্ড হোটেলের সামনে এই গাড়ি পাবেন। তবে Land Cruiser পেলে ভালো। এই গাড়িগুলো সেনাবাহিনীর অকশনে বিক্রি করে দেয়া গাড়ি, তবে খুব আরামপ্রদ আর পাহাড়ি চলাচলের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।

আমরা রওনা দিলাম সকাল ৭.০০ টায়। এতো সকালে খাওয়া হয়নি কিছু। শীত কেবল আসি আসি করছে। কিন্তু এখানে ঠিকই কুয়াশা আর ঠান্ডা পরা শুরু করেছে। আমার জ্যাকেট ও মনে হয় যথেষ্ট নয়। এর মধ্যে খোলা গাড়িতে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। যেতে যেতে যে ছবিগুলো চোখে পড়লঃ


কি মনে হয়? এগুলো মেঘ না কুয়াশা?







এরপর চলে এলাম চিম্বুক পাহাড়ে। এখানে সেনাবাহিনীর পরিচালিত একটা রেস্টুরেন্ট আছে। এখানেই সকালের ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম। তেমন কিছু না। মুরগীর মাংসের খিচুড়ি আর সিদ্ধ ডিম। আমি দুইটা ডিম সাবার করে দিলাম। খাওয়া হলে শরীর গরম করার জন্য এক কাপ কফি। ওহ অসাধারণ! প্রতি প্লেট খিচুড়ি ৫০ টাকা। আর ডিম ১৫ টাকা করে। কফি ২৫ টাকা।



নীলগিরি সেনাবাহিনীর দ্বারা পরিচালিত একটি সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র। রাতে থাকার জন্য রিসোর্ট ও আছে। তিনটি রিসোর্ট রয়েছে। নবদম্পতিদের জন্য একেবারে উপযুক্ত জায়গা। ফুলের বাগান, ছোটদের জন্য খেলার পার্ক, হ্যালিপ্যাড আর অসাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশমন্ডিত নীলগিরিতে গেলে আপনার মনেই হবে, এখানে না এলে, বান্দরবন আসাটাই বৃথা। এটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৭৬১ মি. উঁচু আর বান্দরবন শহর থেকে প্রায় ৪৬ কি. মি. দূরে অবস্থিত। বকর বকর অনেক হলো, এবার ছবি দেখুন।



















- ভাব ধরা ছবি, আসলে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ছবিতে আমি নিজে।




-হ্যালিপ্যাড

-আরো একটা ভাব নেয়া ছবি।


-কাশফুল




-আমার বন্ধু সজল।





এরপর ফেরার পালা। ফিরতে ফিরতে নামলাম 69 Peak এ। এখানে নাকি রবি'র সেই বিখ্যাত বিজ্ঞাপনটা স্যূট করেছে। আসুন দেখি এখানকার কিছু ঘরের ছবি। তার আগে একটু বলে নিই, আজকেই এরা একটা পাহাড়ি হরিণ ধরেছে। সেইটা ঘিরে একটা জটলা বেঁধেছিলো। বাঁধা হরিণের ছবি আর দিলাম না। খুবই করুণ সেই দৃশ্য।







এরপর চলে এলাম চিম্বুক পাহাড়। এখানে তেমন কিছু নেই। চিম্বুক পাহাড় থেকে পুরো বান্দরবনকে দেখা যায়। আকাশ পরিস্কার থাকলে এখান থেকে সমুদ্রে ভাসা জাহাজ থেকে আসা বাত্বিও দেখা যায়। এখানকার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১৫০ মিঃ উঁচু। আর বান্দরবন থেকে ২৫ কিঃ মিঃ দূরে। এখানে অনেক সময় মেঘ ছোঁয়া যায়, বিশেষ করে বর্ষার সময়।

[img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/74217/small/?token_id=350de42c19f12faab78b2feca785b58d









এখান থেকে চলে আসি শৈল্য প্রপাত। এটি একটি পাহাড়ি ঝর্ণা বলা যায়। এখন, এখানে তেমন পানি নেই। তবে বর্ষার সময় বেশ পানি থাকে।
বান্দরবন শহর থেকে শৈল্যপ্রপাত প্রায় ৮ কিঃ মিঃ দূরে। এখানে বেশ কয়েকটি রিসোর্ট রয়েছে।








এরপর ফিরে এলাম বান্দরবন শহর। রাতেই টিকেট পরিবর্তন করে রাতে বাসেই উঠে বসলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। মাত্র দুই দিনেই আসে পাশের স্পট আর নীলগিরি ঘোরা সম্ভব। এই জায়গায় এখনও মানুষ আসে কম। কিন্তু, এখানে ঘোরার স্পট অনেক। আজ এই পর্যন্তই। এর পরের পোস্ট থাকবে প্রান্তিক লেক নিয়ে।

বাংলাদেশের দার্জিলিং- বান্দরবন (পর্ব-১)

বাংলাদেশের দার্জিলিং- বান্দরবন (পর্ব-২)

বাংলাদেশের দার্জিলিং- বান্দরবন (পর্ব-৩)
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×