ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো।
ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো।
ভালো থেকো মেঘ, মিটিমিটি তারা।
ভালো থেকো পাখি, সবুজ পাতারা।
ভালো থেকো।

ভালো থেকো চর, ছোট কুঁড়ে ঘর, ভালো থেকো।
ভালো থেকো চিল, আকাশের নীল, ভালো থেকো।
ভালো থেকো পাতা, নিশির শিশির।
ভালো থেকো জল, নদীটির তীর।
ভালো থেকো গাছ, পুকুরের মাছ, ভালো থেকো।
ভালো... বাকিটুকু পড়ুন

গঞ্জ-গাঁও থেকে বাড়ায়ে আসছে যত মানুষ
তাগো সাথে খালপাড়ে যারা নৌকায় উঠছিল
পাশ দিয়া দৌড়ায়া আসছিল মুক্তিবাহিনি
আগুন লাগছে গ্রামে তারো আগে, মাতৃভক্ত--
সন্ধ্যায় গরম অশ্রুর মতোন টুপটাপ বিষ্টি পড়ে
লুকায়া গান গায় আর চান দেখায় নতুন বৌ

পথের বাঁকের পর অদৃশ্য হয়ে গেল তারা
এরপর আর কী কী ঘটেছিল জানি না

আঁচল ধরা শিশুগুলো কই

মিশাপুর গ্রামের কোলাহলে... বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু থেকে দূরে সবুজ উপত্যকার পাশে এক পরিত্যাক্ত শহরে
অচেনা মানুষের জীবনী পড়ি ;

এখানে বিধাতার সঙ্গে পরিচিত দীর্ঘজীবী পাহাড়
এখানে প্রতি রাত্রে পাল্টানো রাতের অন্ধকার

মধ্য দুপুরে যমদূত মল্লযুদ্ধ দেখে মানুষের

অনুভূতিহীন কদর্য সে আক্রমণ, বিস্মৃতিভরা নির্মম তার প্রত্যাখ্যান

২৯/০৬/২০১৬ ইং বাকিটুকু পড়ুন

আর হাসি লুকিয়ে কথা বলো না

আমার মন-বাঁধানো ঘাট, সেই ঘাটলার সিঁড়ি

দিনের অপচয় শেষে
হাতের মুঠোয় কিছুই থাকে না

শুরু হয়, এভাবেই শুরু হয়
কিছু হারানোর বেদনা

কোন বিভ্রম ছিল না যেখানে ছিল না মায়াজাল

অনেক্ষণ একসাথে বসে কথা বলা লোকগুলো
অল্প কিছু দিন থেকে চলে যাবে , ভালো লাগে না বাকিটুকু পড়ুন

উপার্জনের সমন্বয় করতে না পারা
ঝগড়াটে স্বভাবের বয়স্ক গৃহকর্মীটি চার ঘন্টা বাসযাত্রা শেষে
বিকেল তিনটা নাগাদ গ্রামে ফিরে দেখবে
বাবার অসুখ নয়, তার তের বছরের ছেলেটি
গত রাত্রে হঠাৎ মারা গেছে

স্বামী পরিত্যক্তা পঞ্চাশের বেশির এই গ্রাম্য বলে
তার বয়স তেইশ

নানি বাড়ির পুকুর পাড়ে গুটিসুটি বসে নয় বয়সের মেয়ে

মায়ের বিলাপ দরিদ্র কপোলে অস্রু

হাকাকার ভরা বুকে... বাকিটুকু পড়ুন

ছ- অক্ষরটি একদমই সহ্য হয়না আর
সুতরাং- কিশোরীর মতো ছটফটে পায়ে চলে যায়

বৃদ্ধ পিতার পাশে বসে আছি

আমিও শুনেছি কোথাও বৃক্ষ আছে, বিল, টলটলে জল
মৃত নদীর পাশে একটা পুরাতন বাড়ি
শহর থেকে অচেনা মানুষ ঘুরতে যায়

কোন কাজ ছিল না সেই মাসগুলোর কথা মনে পড়ে

এমনই থাকে মানুষের মুখ
দলের মধ্যে একজন থাকেন বয়স চল্লিশ

অন্য কোন... বাকিটুকু পড়ুন

বাল্যকালের আয়না ভেঙ্গে দিল কে

ওগো সখি মলিন হস্ত, শীতের সুঘ্রাণ
প্রতিবিম্ব তোমাকে দেখেনা

সৌভাগ্যের এ জীবন ! বাকিটুকু পড়ুন

তবুও, এই আকুল হেমন্তে যা কিছু হবে হোক আমি থাকবো না

সবুজে বিস্তারিত প্রাণ না দেখার আনন্দ নিয়ে হু হু মাঠে গোত্তা খায় লুকোচুরি মন
মরা বাতাসে ভর দিয়ে ওড়া অগ্রহায়ণ

কিছু দৃশ্যমান হলে হোক -- অবশিষ্ট প্রাণের সমান যে তুলনা আমি খুঁজে এনেছি
জীবনের মধূবনে থোকা থোকা ফুল

ইচ্ছে হয় বার বার এক কথা... বাকিটুকু পড়ুন

কোমড় মুচড়ে ফনা তুলে কালনাগিনী
এই সন্ধ্যায় সেলফি তোলে

দরিদ্র বাজনা বাদক ; পিছে পিছে শিশু কন্যা

তার মা কই ? গ্রামে কুপি ধরায় ?
তাকে ঘিরে আছে হাঁস মুরগিগুলো ?

নাখাল পাড়ায় নিচু মুখে হাটে
ঢাকায় তাদের গান কোন ফুটপাতে !


রচনা: ১৭/৫/২০১৫- ১৫/৯/১৫ ইং বাকিটুকু পড়ুন

কোটি মানুষের ভীড়ে ক্লান্ত নিভে আছো শহরে

ক্লেদজ রাত শেষে সুরূপের ভোর উঠে আসে

প্রতি ভোরে একটা গ্রীবা উঁচু জাহাজ বড়-মুখ করে তোমাকে
ফিরিয়ে আনতে যায়
মায়ের সশ্রুষামাখা সতেজ হাওয়া বয় ঋতুর ঘ্রাণসহ

আমি মরতে মরতে বেঁচে যাই : এটা কোন অহংকার হতে পারে না

তুমি দূরে আছো, স্মৃতিহীন : এটা কোন অহংকার হতে পারে না বাকিটুকু পড়ুন

বাঁকা রেখা - পাশের গলিপথ, যে মাঠে বিকালের একটু আগে থেকে বসে আছো -- পেছনের গাছ,
হলুদ পাজামা-ওড়না-জামা, দায়িত্ত্বহীন বখাটে মেঘ, বৈশাখ মাস , আহ্লাদি বাতাস, পশ্চিম দিক,
কোলে গুটানো হাত, নির্মলেন্দুর কবিতা, বৃষ্টি -- তোমার পক্ষে আছে

সম্ভাব্য তোমার সকল ঢেউয়ে আছড়ে পড়া যে কোন প্রেমিক যেকোন নামে তোমাকে ডাকুক
--... বাকিটুকু পড়ুন

অন্যান্য লাশের পাশে শুয়ে আছি
পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছে খুনি

হাতুড়ি-বাটালে খুলি ভাঙ্গছে মাতাল ডোম
নিঃসঙ্গ নিরিবিলি ঘুম। কারো সঙ্গে দেখা হয় না আর
নিরুদ্দেশ মৃত্যুর মতোই সুন্দর এ ঘটনা

মানুষের বিরুদ্ধে যতো অভিশাপ মানুষ দিয়েছে এতো দিন
সব দেখি মেখে আছে গায়ে।

নিশ্চুপ ও মনযোগ সময় দেয় না মোটেই,
এমন কি জানি না... বাকিটুকু পড়ুন

চলুন এক চোখে দেখি - ওখানে মানুষ মরছে ! দীর্ঘ ষড়যন্ত্র মনে রেখে
সকল আলোচনার আগে ডাঙ্গায় উঠে আসুক
সুলতান জালালুদ্দীন মুহাম্মদ শাহ, নারামেখলার আরাকান মানচিত্রের আদি মানুষগুলো

মনে রেখে ১৭৮৫, বর্মী মৃত্যুপুরি, ব্রিটিশ রাজনীতি, ষড়যন্ত্রময় গোত্র তালিকা,
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ, মনে রেখে কিং ড্রাগন অপারেশন; চলুন এক চোখে দেখি
-- এখানের ঘর ছেড়ে, গ্রাম... বাকিটুকু পড়ুন

সন্ধ্যা বেলার বৃষ্টি ছটা মুখে, বাতাস উড়ায় ভুল

ক্ষরস্রোতা খালে এক হাতলের দোদুল্যমান সাঁকো

গোড়ালি ডোবা নতুন পানি, পেড়িয়ে গিয়েও তাকে মনে রাখো

পা-পিছলানো কাদা, আমি এই গ্রামেই থাকি। পুরান বাড়ির ঝোঁপে
একটা বন মোরগের বাসা, তার দিকে চোখ রাখি

আর, এহেন বর্ষায় অনাগ্রহী ময়ূরটিকে দেখে মনে পড়ে -
বাড়ির মধ্যে একটা অচেনা ফুলগাছ ;... বাকিটুকু পড়ুন

এই নিদারুণ নাগরিক শোকে তুমি ছুঁয়ে থাকো পাখি মা ।



চঞ্চু বাড়িয়ে দাও । চোখ মুছে দাও ।

কণ্ঠে দাও চুমুর আনন্দ ভরা পিপাসার নিবারণ ।



তুমি উড়ে, পাখা ঝাপটায়ে উড়ে - দ্রুত ফিরে আসো আমার কাছে ;

আমার কান্না শোন পাখি মা । ... বাকিটুকু পড়ুন