somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যাত্রী গায়েব...জাহাজ উপকূলে, ডুবে যাওয়া জাহাজ ফেরত....।

২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

••> এটাও কি বিশ্বাসযোগ্য? যদি আপনাকে বলা হয়- একটি জাহাজ বারমুডার সমুদ্র সীমানায় দাড়ানো, কিন্তু যাত্রী এবং ক্যাপ্টেন গায়েব!! খানার টেবিলে এমনভাবে খানা গুছিয়ে রাখা; দেখলে মনে হবে- হাত ধোয়ার জন্য মনে হয় তারা উঠে গেছে। না আছে দূর্ঘটনার চিহ্ন, আর না কোন লুটপাটের নিদর্শন। নিরব সমুদ্রের মাঝে হঠাৎ খানা পিনা রেখে তারা কার মেহমান হয়ে গেছে?!! ঘটনাটি ঘটেছে "কেরল ডীরিং(Caroll Deering)" নামক জাহাজের সাথে। তীরে জাহাজের সম্মুখভাগ বালুতে গাড়া ছিল আর পেছনের অংশ পানিতে ছিল। খানার টেবিলে খানা রাখা ছিল। চেয়ারগুলি কিছু পেছনের দিকে ঝুকা অবস্থায় ছিল। মনে হবে, যাত্রীরা কোন অলৌকিক কিছু দেখে আপন আপন চেয়ার ছেড়ে উঠে এসেছিল এবং পরে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা আর পারেনি। চেয়ার টেবিলে খানা আর ফলফ্রুট দেখে কোন হাঙ্গামা বা দুর্ঘটনার চিহ্ন বা নিদর্শন উপলব্ধি হয়না। জাহাজের অবস্থা দেখেও এ কথা মনে হয়না যে, এখানে লুটপাট বা ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আশ্চর্যের বিষয়- এতবড় জাহাজকে তীরে কে আনল?? আর যাত্রীরাই বা কিরূপ দুর্ঘটনার স্বীকার হল?? কেননা এত বড় জাহাজ এত অল্প পানিতে আসা অসম্ভব। জাহাজটি ছিল "জি জি ডেয়ারিং কোম্পানি অফ পোর্টলেন্ড" এর মালিকানায়।
হেরি কোনোভার( Herry Conover) প্রসিদ্ধ মার্কিন কোটিপতি, সুদক্ষ জঙ্গি পাইলট, সামুদ্রিক জাহাজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ক্যাপ্টেন ১৯৫৮ সালে তার সাথীদের নিয়ে বারমুডার অতল গহবরে গায়েব হয়েছে। কিন্তু এইবার শুধু যাত্রীরাই নিখোঁজ হয়েছে। কেননা পরবর্তীতে তাদের জাহাজ ফ্লোরিডার সী-বিচ থেকে ৮০ মাইল উত্তরে এক কিনারায় যাত্রীবিহীন অবস্থায় পাওয়া যায়।

••> এ ধরনের কোন সংবাদও কি আপনি এ পর্যন্ত শুনেছেন যে, কোন জাহাজ সম্পূর্নরূপে সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়েছে এবং কিছুদিন পর তা পূর্বাবস্থায় কোন কিছু নষ্ট হওয়া ছাড়াই উপরে এসে গেছে। একটি জাহাজ বারমুডার ট্রাইএংগেলের সীমানায় চলছিল। সমুদ্রের ঢেউ একে নিয়ে খেলছিল। কিন্তু তাতে কেউ ছিলনা। ভেতরে সম্পূর্ণ খালি ছিল। না ক্যাপ্টেন, না যাত্রী আর না কোন কর্মচারী। জাহাজের নাম "লাদাহামা"। এস. এযটেক নামক জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং কর্মচারীরা যে দৃশ্য অবলোকন করেছিল, তা নিম্নরূপঃ
"সবকিছু ঠিকঠাক, সঠিক জায়গায় বিদ্যমান। না কেউ কিছু উঠিয়েছে, না ছিন্নভিন্ন করেছে। না আছে লুটমারের চিহ্ন, না কোন দুর্ঘটনার আলামত। এমনকি ক্যাপ্টেনের ব্যবহৃত কলম আত দূরবীন পর্যন্ত সঠিক জায়গায় ছিল।" এত্থেকেও অবিশ্বাস্য খবর হচ্ছে- সামুদ্রিক জাহাজ "রানী"র রেকর্ডে এটি ডুবে যাওয়া জাহাজের তালিকায় ছিল যাকে ইটালির রেক্স(Rex) নামক জাহাজের যাত্রী এবং কর্মচারীরা ডুবে যাওয়ার সময় প্রত্যক্ষ করেছিল।
চিন্তার বিষয়......কে এই গায়েবকারী?? গায়েব করার পর জাহাজ থেকে কোন মূল্যবান জিনিস আটক করেনা, কারো কাছে কোন দাবিও পেশ করেনা। বরং চিরদিনের জন্য নিজের কাছে নিয়ে যায়। এরপর যায়ই বা কোথায়?? এমন সব ঘটনা; যার কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যাও আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। বারমুডার সমুদ্রের অভ্যন্তরের সকল ঘটনাই কি আকস্মিক??! নাকি সুসংগঠিত কোন শক্তি নির্দিষ্ট কোন টার্গেট লক্ষ্য করে এসব ঘটনার জন্ম দিচ্ছে??!!!!
বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে নিরব। বরং তাদের চুপ করিয়ে দেয়া হয়েছে। গবেষণার সকল দরজা বন্ধ। সম্পূর্ণ নিশ্চুপ। বরং মৃত্যুর হুমকি। তাহলে এসব কেন?? গবেষকদের কাছে একটি কথা স্পষ্ট যে, সামুদ্রিক ঝড়-তুফান বা স্বাভাবিক দুর্ঘটনার সাথে এগুলোর কোন সম্পর্ক নেই। এমনও কখনো হয়নি যে, জাহাজের সকল মুল্যবান সম্পদ আসবাবপত্র লুট করা হয়েছে। পাশাপশি গায়েবকৃত জাহাজ থেকে আশপাশের হেডকোয়ার্টারগুলিতেও কোন সাহায্যের বার্তা প্রেরণ করা হয়নি। তবে কখনো কখনো কিছু বার্তা পৌছেছিল, যা সম্পূর্ণ অস্পষ্ট ছিল।
এ সকল অস্পষ্ট বার্তার গবেষণা ও তদন্ত করে গবেষকরা একটি ফলাফলে ঠিকই উন্নিত হয়েছেন যে, এ ঘটনাগুলি খুবই দ্রুততার সাথে ঘটানো হয়েছে এবং ঘটনার সময় জাহাজের ক্যাপ্টেন ও যাত্রীদের উপর হঠাৎ ভয়ানক এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
১৯২৪ সালে জাপানী মালবাহী জাহাজ "রিভোকোমারো(Rivoco Maro)" গায়েব হওয়ার পূর্বে উপকূল হেডকোয়ার্টারে এই বার্তা প্রেরণ করে-"আমাদের উপর এক ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে......। ভয়....ভয়.....। দ্রুত আমাদের সাহায্য কর।"
তবে ১৯৬৭ সালে গায়েব হওয়া ভ্রমণ জাহাজ "ভিচক্রাফট" থেকে সর্বশেষ যে বার্তা পৌছেছিল, তা জাহাজের মালিক নিজে(তখন সে জাহাজের মধ্যে ছিল) নিকটস্থ হেডকোয়ার্টারে নিম্নোক্ত বার্তা দিয়েছিলঃ-
"জাহাজ পানির নিচে কোন অজানা বস্তুর সাথে ধাক্কা খেয়েছে ....। পেরেশানীকর কোন কিছু সামনে আসেনি....। জাহাজে কোনরূপ সমস্যা হয়নি ....। তবে সবকিছু ঠিকঠাকরূপে কাজ করছেনা....।" এই বার্তা পাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে বিশেষ সাহায্য টিম জাহাজের স্থানে পৌছেছিল। কিন্তু এই তিন মিনিটের মধ্যেই জাহাজ তার মালিক ও মালিকের বন্ধু (মার্কিন সিনেট জর্জ চার্চের পাদ্রী ফোর্চ লোডার ডেল) সহ যাত্রীদেরকে নিয়ে কোন অজানা স্থানে চলে গেছে। ঠিক পনের মিনিট পরেই আরো একটি টিম ওখানে পৌঁছে আশপাশের দুইশ কিঃমিঃ এলাকাজুড়ে তন্ন তন্ন করে খোঁজাখুঁজির পরও এর কোন হদিস তারা বের করতে সক্ষম হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×