যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো, চলে এসো; এক বরষায়
এসো ঝরঝর বৃষ্টিতে
জল ভরা দৃষ্টিতে
এসো কোমল শ্যামল ছায়…
যদিও তখন আকাশ থাকবে বৈরী
কদমগুচ্ছ হাতে নিয়ে আমি তৈরি
উতলা আকাশ মেঘে মেঘে হবে কালো,
ঝলকে ঝলকে নাচিবে বিজলি আলো
তুমি চলে এসো এক বরষায় ।’
এই গানের কথাগুলোর মতোই চলে এলো আরেক বর্ষা । উথালপাতাল বৃষ্টি নেমেছে নীপবনে । অথচ মানুষটি নেই । জননন্দিত কথাশিল্পী হুমায়ুন আহমেদের আজ তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী । দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি । মৃত্যুর কয়েকদিন পর ২৪ জুলাই নিজের গড়া নুহাশ পল্লীর লিচুতলায় দাফন করা হয় তাঁকে । তার গল্প-উপন্যাসের মতো তার লেখা গানও হৃদয়স্পর্শী । মৃত্যুদিনে তাকে স্মরণ করার পাশাপাশি তার সৃষ্টিকেও স্মরণ করবে অনুরাগীরা । তাঁকে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক । স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদকে বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যেরও পথিকৃৎ বলা হয় । নাট্যকার হিসেবে যেমন নন্দিত চলচ্চিত্রকার হিসেবেও তেমনই সমাদৃত । বাংলা কথাসাহিত্যের সংলাপ প্রবণে নতুন শৈলীর জনক হুমায়ুন আহমেদের দুই শতাধিক গ্রন্থের বেশকিছু পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে । স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তার গ্রন্থ ।
দিন যায়, দিন আসে কিন্তু আমাদের সবার প্রিয় হুমায়ুন স্যার আর আসবে না। আমরা আর পাবো না হিমু, মিসির মতো চরিত্রের বিভিন্ন গল্প। আজ তিনি নেই কিন্তু তার সকল লিখা আছে। তিনি থাকলে আমাদের বাংলা সাহিত্য আরও সম্ভবৃদ্ধ হতো । যেখানেই আছেন ভালো থাকবেন স্যার.................
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৫