somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

** হিমুরাইজ ** = ০৬

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হিমুরাইজ = ০৬

খেচুড়ি আর ইলিশ একটু বেশিই খেয়ে ফেলেছিলাম মনে হয়।সকালে আর ঘুম ভাঙতে চাইছে না।সামান্য জ্বর জ্বর লাগছে।সজিব ভাইয়ের জন্য বেশি ভিজতে পারিনি।বেশি ভিজলে নিশ্চয় এতক্ষনে বেশি জ্বর দেখা দিত।আমার মন বলছে সোমা এখন ফোন করবে।ফোন করলে সজিব ভাইকে বলব বলে দাও আমি এখানে নেই।
মন বলতে না বলতেই পাশের ঘরে ফোন বেজে উঠল । সোমায় ফোন করেছে।সজিব ভাই বলছেন,নীল আছে লাইনে থাকো ডেকে দিচ্ছি।
আমি ঘুমানোর ভান করে আছি।সজিব ভাই এ ঘরে এসে আমাকে ডাকছেন।আমি উত্তর নিতেই বললেন,সোমা ফোন করেছে লাইনে আছে।
তুমি গিয়ে একটু বল আমি নাই।আমার এখন কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।
তুই দিব্যি আমার সামনে বসে আছিস আর আমি গিয়ে বলব তুই নাই।তুই আমাকে মিথ্যা বলতে বলছিস।তোর কান টেনে লম্বা করে দেব।দিন দিন তুই আসলেই একটা রাবিস হচ্ছিস।
ঘুম থেকে উঠে এতক্ষনে একটু ভাল লাগল কারন এই মূহুর্তে মজার গালির গন্ধ পাচ্ছি।কিরে উঠলি নাকি ফুটবলের মত একটা কিক দেব।বেচারি তোকে ভালবাসে আর তুই তার সাথে এমন খারাপা ব্যাবহার করিস।গতকাল ওকে তুই দু ঘন্টা অপেক্ষা করিয়েছিস।শেষ পর্যন্ত আমার এখানেও এসেছিল।কোন সমস্যায় না পড়লে কি আর আমার এখানে আসে তোকে খুজতে।দেখা করতে না গিয়ে গাধারাম গেছে কিনা হাটতে।হাটতে যায়নি ভাইয়া একটা বিশেষ কাজে গিয়েছিলাম।ওই হল আমি আর বুঝি না উনার বিশেষ কাজ কি।তোর বিশেষ কাজই তো হল পাগলের মত রাস্তায় রাস্তায় হেটে বেড়ানো।এখন তাড়াতাড়ি ফোনের কাছে যা বেচারি আর কতক্ষন ওয়েট করবে।অমন একটা মেয়ের ভালবাসা খুব সহজে পেয়েছিস তো তাই তার মূল্যটা বুঝতে পারছিস না।ওকে যখন হারাবি তখন বুঝবি।আর দেরি করা বেয়াদবি।বড়রা কথা বললে দ্রুত শুনতে হয়।
গতকাল দেখা না করার কারনে সোমা নিশ্চয় আমাকে এখন নতুন সব মজার গালি দিবে।আমি ফোনের কাছে গেলাম।হ্যালো সোমা ভাল আছ?
না ভাল নেই, কাল কোথায় ছিলে ?
জরুরী একটা কাজে গিয়েছিলাম তাই আসতে পারিনি।আচ্ছা সোমা কাল তুমি আমাকে বলেছিলে রাবিস।রাবিস অর্থ কি আমাকে একটু বলবে প্লিজ।
আর আমার মনে হয় তুমি অনেক মজার মজার গালি জানো সেই গালি গুলো এখন আমাকে বলবে?
আসলে তুমি একটা স্ক্রাউন্ডেল
আমি পড়েছি সমস্যায় আর তুমি শুনতে চাইছ মজার গালি।আচ্ছা বলতো তোমার সমস্যা কি।বাসায় আমার বিয়ের কথা বার্তা চলছে।
খুব ভাল কথা মেয়ে বিয়ের বয়সী হলে সব পরিবারেই বিয়ের কথা বার্তা চলে।
আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আর তুমি আমার সাথে ফান করছ।
আরে আমি ফান করব কেন তোমার বিয়ের কার্ড পাব কবে তাই বল?
তুমি কি যাতা বলছ।
যাতা বলছি মানে তুমি না বললে তোমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে।তার মানে তোমার বিয়ে হলে তো বিয়ের কার্ড আমি একটা পাব।নাকি আমাকে দাওয়াত দিবে না।
আসলেই তুমি একটা রাবিস, স্ক্রাউন্ডেল।
কথাটা বলেই সোমা লাইন কেটে দিল।যাক সোমার সাথে কথা বলে ভালই হল আবারও একটা মজার গালি পেয়ে গেলাম স্ক্রাউন্ডেল কিন্তু এর মানে তো আমি জানিনা । পরে সোমার কাছ থেকে জেনে নেব।তবে আমার মনে হচ্ছে এই বইটা আমি না লিখে সোমা লিখলে অনেক ভাল করতো।আমার ধারনা সোমা অনেক মজার মজার গালি জানে।সোমার সাথে এ ভাবে কথা বলা ঠিক হয় নি।আর তাছাড়া আমি সোমার সাথে এভাবেই কথা বলে অভ্যস্ত।সোমা কি আমার উপরে রাগ করল।না সোমা আমার উপরে রাগ করতে পারবে না।কারন সোমা আমাকে ভালবাসে।
আর ভালবাসা মানুষের উপরে অভিমান করা যায় রাগ করা যায় না।আর অভিমান ভালবাসা বাড়ায় ।
রাতে যদি সোমা আবার আমাকে ফোন দেয় তাহলে ১০০% শিওর হব অভিমান ভালবাসা বাড়ায়।সজিব ভাই অনুকাব্য লেখা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন যার কারনে আজ সকালে তিনি কোন নতুন রেসিপি তৈরী করতে পারেননি।সজিব ভাই বর্তমানে বিষয় ভিত্তিক অনুকাব্য লিখছেন।এখন তিনার অনুকাব্য লেখার বিষয় হল বর্ষা।ইতি মধ্যে বর্ষা নিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি অনুকাব্য লিখে ফেলেছেন।তার কিছু আমাকে পাঠ করেও শুনিয়েছেন।এই মূহুর্তে দুটি অনুকাব্য মনে করতে পারছি।বর্ষা নিয়ে অনুকাব্য ।প্রথমটি হল-

এখন কাল বর্ষা
মনে নাই ভরষা।

আমার মনে হয় সজিব ভাই বর্ষা কালে মনে কোন রকম ভরষা পাননা।এজন্য এমন অনুকাব্য লিখেছেন।তাছাড়া বর্ষা কালে আকাশে বেশির ভাগ সময় মেঘ থাকে।আকাশে মেঘ থাকলে তো আবার সজিব ভাইয়ের মাথায় গন্ডগোল দেখা দেয়।যায় হোক এবার দ্বিতীয় অনুকাব্যটা বলি-

বর্ষায় ভিজি
মনের কষ্ট গুলি খুঁজি।

অনুকাব্য লেখার কারনে নতুন রেসিপি না করতে পারলেও সজিব ভাই ঠিকই চা বানিয়েছেন।নাস্তা নিয়ে এসেছেন হোটেল থেকে।পরোটা আর ডিম ভাজি।হোটেলের ডিম ভাজি মজা লাগে ওরা ডিমে অনেক রকমের মশলা দিয়ে ভাজি করে।সজিব ভাই রেসিপিটা ভাল তৈরী করতে পারলেও চাটা ভাল বানাতে পারেন না।এত বিল্টু ভাইয়ের চায়ের দোকানে বসেন তবুও আজ পর্যন্ত কেন যে সজিব ভাই বিল্টু ভাইয়ের কাছ থেকে তার মত চা বানানো শিখে নিতে পারল না তা আমার বোধগম্য হয়না।সজিব ভাইকে বিল্টু ভাইয়ের কাছ থেকে চা বানানোটা শিখে নিতে বলতে হবে।তাহলে আমার বিল্টু ভাইয়ের দোকানে কম যাওয়া লাগবে।এখন আমাকে আবার বিল্টু ভাইয়ের চায়ের দোকানে যেতে হবে চা খাওয়ার জন্য।
আকাশে এখনও প্রচুর মেঘ আবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।বিল্টু ভাইয়ের দোকানে আসতেই কদরের কথা মনে পড়ল।কদরকে নিশ্চয় ওর সৎ মা স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছে।কদর স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করছে কথাটা ভাবতেই খুব ভাল লাগল ।বিল্টু ভাই এখন একা।সব কিছু সামলাতে তিনার একটু কষ্টই হচ্ছে।বিল্টু ভাইয়ের চায়ের দোকানে এখন বয় পদ খালি, বিল্টু ভাইয়ের কষ্টের কথা চিন্তা করে আমি বয় পদে চাকরি করতে লেগে গেলাম।খরিদ্দার আসলে বিল্টু ভাইয়ের কাছ থেকে চা নিয়ে খরিদ্দারের কাছে পৌছে দিচ্ছি।পাশের কল থেকে পানি বয়ে আনছি।চায়ের কাপ মেজে ধুয়ে পরিষ্কার করছি।বিল্টু ভাই আমাকে কাজে নিতে চাচ্ছিলেন না।আমিই জোর করে কাজে লেগে গেছি।বিল্টু ভাইকে বললাম সব কাজই কাজ।আমি শিক্ষিত বলে তোমার দোকানে বয় পদে চাকরি করতে পারব না কেন।কাজ করলে মান যায় না মান বাড়ে।কাজে কোন ছোটা বড় নেই।তবুও আমার এসব কথা বিল্টু ভাই মেনে নিতে পারছিলেন না।আমি এখন বিল্টু ভাইয়ের চায়ের দোকানের বয়।নতুন বয়ের প্রতি অনেক খরিদ্দারে আগ্রহ বেশি।
বিল্টু ভাইকে আগেই বলে রেখেছি সন্ধ্যার সময় আমাকে ছুটি দিতে হবে।বর্তমানে তিনি আমার বস ।বসকে না বলে তো আর কোথাও যাওয়া যায় না।আজ সজিব ভাই একবারও চায়ের দোকানে আসেননি।নিশ্চয় তিনি বর্ষা নিয়ে অনুকাব্য লেখায় ব্যস্ত ছিলেন।সন্ধ্যার সময় মজুরি ষাট টাকা নিয়ে আমি চলে এলাম।কদর দিনে বেতন পেত ত্রিশ টাকা।আর দুপুরে খাওয়া ফ্রি।আমি শিক্ষিত মানুষ তাই শ্রমের দাম কদরের ডাবল।দুপুরে খাওয়া ফ্রি পেয়েছি।এখন সজিব ভাইয়ের বাসায় যাব।চল্লিশ টাকা দিয়ে দুটি কোল্ডড্রিং কিনলাম।সজিব ভাইয়ের বাসায় গিয়ে দেখি তিনি চা খাচ্ছেন হাতে পত্রিকা।চা খেতে খেতে পত্রিকা পড়ছেন।আমাকে দেখে বললেন কিরে সারাদিন ছিলি কোথায়।চাকরি করছিলাম।

তাই নাকি তা কি চাকুরি পেলি?
বিল্টু ভাইয়ের দোকানে বয় পদে চাকুরি নিয়েছি।আজ মজুরী ষাট টাকা পেয়েছি।এই দেখ সেই টাকা দিয়ে তোমার জন্য কোল্ড ড্রিংক কিনে এনেছি।তাহলে শেষ পর্যন্ত বয় পদে চাকরি নিলি।আমার পিএ হলে তো তোকে দিনে এক শত বিশ টাকা দিতাম।সাথে থাকা খাওয়া ফ্রি।তুমি বেতন ভাল দেবে ঠিক আছে কিন্তু বিল্টু ভাইয়ের দোকানে বয় পদে চাকরি করলে অনেক অভিজ্ঞতা হবে, তোমার কাছে চাকরি করলে যা হবে না।
কারন বিল্টু ভাইয়ের চায়ের দোকানে অনেক রকম লোক আসে অনেক রকম কথা বলে ।তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।তোমার কাছে তো কেউ আসে না।তাই তোমার কাছ থেকে বেশি কিছু শেখা যাবে না।এখন চুপ কর আজকাল বেশি বক বক করা শিখেছিস।শোন আমার প্রাইভেট এসিসটেন্ট না হস মিঃ আজাদ এর প্রাইভেট এসিসটেন্ট হবি কিনা বল।মিঃ আজাদ আবার কে?
আরে আমার বাবার বন্ধু হয় পাশের শহরে থাকেন।তুই যতদিন ভাল একটা চাকরি না পাস ততদিন ভদ্রলোকের প্রাইভেট এসিসটেন্ট হয়ে থাক।সেলারি ভাল দিবে।ভিল্টু ভাইয়ের চেয়ে তিনগুন।তাছাড়া আমার জানা মতে আজাদ চাচা অনেক জ্ঞানী মানুষ তুই তিনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবি।আর বিল্টু ভাইয়ের দোকানে তুই বয় পদে চাকরি করছিস এ কথা যদি সোমা জানে তবে তোর সাথে প্রেম করবে কিনা সন্ধেহ।সোমাকে যে আমি ভালবাসি এটা এখনও পুরোপুরি উপলবদ্ধি করতে পারিনি।তবে আজ যে সজিব ভাইয়ের এখানে এসেছি সেটা শুধুমাত্র সোমা ফোন করতে পারে এই ভেবেই এসেছি।এটাকেই কি তাহলে ভালবাসা বলে?কি জানি ভালবাসা কারে কয়।
কিরে কি ভাবছিস অত কিছু।শোন নীল আমি কোন দিন তোর খারাপ চাইনি।ভদ্র লোক ফোন করে আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন একজন বিশ্বস্ত লোক পাওয়া যায় কিনা।আমি বলেছি পেলে জানাবো।আসলে আজাদ চাচা একটা সমস্যায় পড়েছেন।তুই যদি তিনাকে তার প্রাইভেট এসিসটেন্ট হয়ে একটু হেল্প করতিস তাহলে খুব ভাল হত।তোমার আজাদ চাচার সমস্যাটা কি?
তা তুই তিনার কাছ থেকেই জেনে নিস।এখন বল আমি ফোন করে জানিয়ে দেব কিনা কাল থেকে তুই যাচ্ছিস।বসের কাছে পারমিশন নেব তারপর বলতে পারব যেতে পারব কিনা।তোর আবার বস কে ? কেন বিল্টু ভাই।আমি তো তার ওখানেই বয় পদে চাকরি করছি।ঠিক আছে তোর বসকে আমি বলব।শোন সোমা বেচারি ফোন করেছিল বিকালে তোকে ফোন করতে বলেছে।সত্যি বলছ ভাইয়া সোমা ফোন করেছিল!
কি ব্যাপার বলত সকালে কথা বলতে চাইছিলি না আর এখন সোমার ফোন করার কথা শুনে এত উত্তেজিত হয়ে উঠলি কেন?ও তুমি বুঝবে না।বুঝিরে সব বুঝি একেই বলে প্রেম।তা হলে আমার ধারনা একদম ঠিক।অভিমান ভালবাসা বাড়ায়।আমি ফোনের কাছে গিয়ে কল করতেই সোমা ধরল।কেমন আছ সোমা?
ভাল ছিলাম না তবে এখন ভাল আছি।কেন ভাল ছিলে না এখন কেন ভাল আছ জানতে পারি?
তোমার তো দেখি অনেক উন্নতি হয়েছে।রাবিস ভাবটাও দেখছি কেটে গেছে।শোন সকালে আমার বিয়ের কথা বার্তা চলছিল তাই ভাল ছিলাম না।আমার জন্য যে ছেলে দেখা হয়েছিল সে এক জন ডাইল খোর ।এই কথা জানার পরে ওখানে বিয়ের কথা বার্তা বাতিল।আচ্ছা সোমা ছেলেটা তো খারাপ কিছু খাইনা ডাল খাই ডাল খুবই ভাল খাদ্য আর ডালে প্রচুর আমিষ আছে।তাহলে ডাল খাওয়ার কারনে বিয়ে ভেঙে যাবে কেন?এখন থেকে আমিও আর ডাল খাব না।
তুমি আসলেই একটা বুদ্ধু।এই ডাল মুশুরি কিম্বা মুগ ডাইল না এই ডাইল হল মদ-ফেনসিডিল।
ও আচ্ছা আমি জানতাম না তোমাকে ধন্যবাদ নতুন সব ডাইলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।আচ্ছা সোমা এসব ডাইলে কি আমিষ আছে? আর তুমি আমাকে বুদ্ধু বললে বুদ্ধু কি একটা মজার গালি?
হ্যা বুদ্ধু একটা গালি তবে মজার না বে মজার।এখন আমার কথা মন দিয়ে শোন খুব তাড়াতাড়ি একটা চাকরিতে লেগে যাও।তুমি চাকরি পেলে আমরা দুজন কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ফেলব।
তুমি কালই চলে আস সোমা আমরা দুজন কালই কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ফেলব।কারন আমি এখন বিল্টু ভাইয়ের চায়ের দোকানে বয় পদে চাকুরিরত আছি।তাছাড়া এই চাকুরি বাদে আরও একটা নতুন চাকরির কথা চলছে প্রাইভেট এসিসটেন্ট পদে।
এসব ছোট খাট চাকরি তে চলবে না।তোমাকে মোটামুটি মানের ভাল চাকরি পেতে হবে।আর শোন কাল থেকে বিল্টু ভাইয়ের চায়ের দোকানে আর বয় পদে চাকুরি করবে না।
আচ্ছা করব না।আমার সাথে খুব তাড়াতাড়ি দেখা করবে।এখন ফোন রেখে দাও।আচ্ছা রাখছি।ফোন রেখে দিলাম।আমি চাকরি না পেলে সোমা আমাকে বিয়ে করবে না।তাহলে যতদিন সোমার বিয়ে না হচ্ছে ততদিন আমার চাকরি করা যাবে না।চাকরি না করলে সোমা আমাকে বিয়ে করতে চাইবে না।বিয়ের সাথে চাকরির কি সম্পর্ক বুঝি না।আমার মনে হয় প্রত্যক মেয়েই চাই তার স্বামী ভাল একটা চাকরি করুক।কারন ভাল চাকরি করলে স্বামী অনেক বেতন পাবে।আর সেই বেতনের টাকা দিয়ে মাস শেষে মজা করে মার্কেটিং করবে।
কিরে তোর কথা বলা হল ?জ্বী ভাইয়া হয়েছে।রাগ কমেছে বেচারীর।জ্বী কমেছে। তোর মত গাধার সাথে সোমার মত একটা স্মার্ট মেয়ের প্রেম হল কি করে তা ভেবে আমি অবাক হই।বলতো তোদের প্রেমটা হল কি করে।আরেক দিন বলব এখন আমি যাচ্ছি।যাচ্ছিস ভাল কথা খেয়ে যা।ঠিক মত না খেয়ে তো শরীরের বারোটা বাজিয়েছিস।এই শরীর এখন তোর আর একার না।এই শরীরের উপর সোমারও অধীকার আছে।সজীব ভাইয়াটা না আসলেই দিন দিন পাগল হয়ে যাচ্ছে।আমার শরীরের উপরে সোমার আবার কিসের অধীকার থাকবে আমি কি সোমার কেনা সম্পত্তি নাকি।আমি কিছু না বলে চুপচাপ সজিব ভাইয়ের কথা শুনে যায়।বেশির ভাগ সময় বক্তা না হয়ে শ্রোতা হওয়াই ভাল।
** হিমুরইজ ** =০1
** হিমুরইজ ** =০2
** হিমুরাইজ ** = ০3
** হিমুরাইজ ** = ০4
** হিমুরাইজ ** = ০5

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×